নবপ্রণয় পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব

0
225

#নবপ্রণয় (শেষ পর্ব)
#হৃদিতা_রহমান

দিন,সপ্তাহ করে কেটে গেলো আরো তিনটা মাস। রুহি খেয়াল করছে যত দিন যাচ্ছে বাড়ির মানুষ গুলো তত বেশি কেয়ারিং হয়ে উঠছে। আগে শুধু কিচেনে যাওয়া বারন ছিলো, এখন সব কিছুতেই শ্বাশুড়ির খবরদারী।শ্বাশুড়ির এমন খবরদারীতে রুহি মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়,কখনো আবার আনন্দে নেচে উঠে মন। কখনো কখনো খুশিতে চোখের পাতায় জল জমে।

আবিরটাও হয়েছে একদম মায়ের মত। সারাক্ষণ পেছনে পেছনে থাকবে। কোনো কিছু দরকার হলে চাওয়ার আগেই নিয়ে এসে হাজির হবে। বাড়ির মানুষ জনের ব্যবহারে রুহির মনে হয় সে রুপকথার জগৎে আছে। নিজেকে মহারানী মহারানী লাগে। সবাই যেনো তার সেবা করার জন্য প্রতিযোগীতা শুরু করেছে। প্রতি মাসে একবার করে রুহিকে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেত আবির চেকআপের জন্য। রাস্তায় এত ধীরে গাড়ি চালাতো যে বিরক্ত হয়ে যেতো রুহি। গত মাসে ডাক্তার বললো বাইরের খাবার, ভাজা-পোড়া খাওয়া একদম নিষেদ। তারপর থেকে আবিরকে হাজার বার বলেও রুহি কোনো কিছু আনাতে পারলো না।

সেদিন রুহির বাবা মা রুহিকে দেখতে এসেছিলো। আবিরের সাথে বিয়ে হবার পর থেকে তারা আর এই বাড়িতে আসে নি। মাঝে মাঝে ফোন করতো কিন্তু রুহি ধরতো না।
‘ তুই কি এখনো আমাদের উপর রাগ করে আছিস? আমরা তো তোর ভালোই চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদের কথা যখন শুনলি না তখন আমাদের তো কিছু করার নাই। তোর জিবন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তোর আছে। তাই বলে আমাদের পর করে দিবি? কোনো রকম যোগাযোগ রাখবি না?’

মায়ের কথা শুনে রুহি বললো,
‘ তোমরাই তো পর করে দিয়েছো মা। গত চার মাসে একটা বারের জন্যও দেখতে আসো নি।’

‘ তোকে কতবার ফোন করেছি, তুই কখনো ফোন ধরেছিস? তোর ফোন না ধরায় আমাদের মনে হলো তোর রাগ এখনো কমে নি। তাই তোর সামনে আসার সাহস পাই নি। আচ্ছা, এসব বাদ দে। আমরা তোকে নিতে এসেছি। এই সময়টা মেয়েদের বাবার বাড়ি থাকতে হয়।’

রুহি মায়ের কথা শুনে অবাক চোখে চাইলো। রুহি বললো,
‘ বাবার বাড়ি থাকতে হবে কেনো?’

‘ কারন,আমি মা। মা বাবা সন্তানের যতটা যত্ন নিতে পারে অন্যরা তা পারে না। বাবার বাড়ি আর শ্বশুড় ভাড়ি অনেক তফাত আছে। এই সময়টা মেয়েদের যত্নে রাখতে হয়।’

মায়ের কথা শুনে রুহি হেসে ফেললো। হাসি থামিয়ে সে বললো,
‘ তোমরা এখনো মানুষ চিনতে পারো নি মা। তোমরা যেমনটা ভাবো এই বাড়ির মানুষ গুলো তেমন না। তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না এরা সবাই কতটা ভালো। আর যত্নের কথা বললে না? কখনো যদি শ্বাশুড়ি আর তোমার মধ্যে কোনো একজনকে বেছে নিতে হয় আমি চোখ বন্ধ করে শ্বাশুড়িকে বেছে নিবো।’

রেহানা বেগম মেয়ের কথায় মন খারাপ করলেন। তারপরও বরলেন,
‘ কিন্তু মানুষ কি বলবে? প্রথম সন্তান হবে, অথচ সেটা শ্বশুড় বাড়ি। তোর কি বাবা মা নাই?’

‘ মানুষের কথায় আমার কিছু যায় আসে না মা। এই বাড়ির মানুষ গুলোকে না দেখে আমি যেমন থাকতে পারবো না। তেমনি এরাও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও গেলে আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো।’

রেহানা বেগম অনেক বুঝিয়েও রুহিকে রাজি করতে পারলো না। রুহির এক কথা, এই বাড়ি ছেড়ে সে কোথাও যাবে না। মৃত্য হলে এই বাড়িতেই হবে। রেহানা বেগম শেষ পযান্ত হতাশ হয়েই ফিরে গেলো৷

বিকালে রুহি ছাদে যেতে চাইলে আবির রুহির হাত ধরে ধীরে ধীরে ছাদে নিয়ে এলো। ছাদের দোলনায় বসে দোল খেতে খেতে রুহি আবিরকে জিজ্ঞেস করলো,
‘ আচ্ছা, দুনিয়ায় কি আর কোনো মানুষ মা হয় না? তোমাদের ব্যবহারে মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে একমাত্র আমিই মা হবো।’

আবির রুহির পাশে বসে বললো,
‘ দুনিয়ার সব মানুষ তো আর তুমি না। তুমি হলে স্পেশাল।’

‘ কেনো? আমার মাথায় কি দুটো শিং আছে?’

‘ জি, হরিণের মত বড় বড় দুটো শিং।’

কথাটা বলেই হাসতে লাগলো আবির। হেসে ফেললো রুহিও।

নয় মাস পড়তেই রুহির ছাদে যাওয়া, নড়াচড়া করার উপর আবারো নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন আদিবা বেগম। রুহি কখনো খেতে না চাইলে তিনি জোর করে নিজের হাতে খাওয়াতে লাগলো। মাঝে মাঝে রুহি না খেলে তিনিও না খেয়ে বসে থাকতেন। রুহি পেটের দিকে তাকিয়ে বলতো,
‘ ওই তুই তারাতাড়ি ল্যাল্ড কর দুনিয়ায়। তোর দাদী আমাকে মেরে ফেলছে আদর করে করে।’

আবির পড়তেছিলো। রুহি আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে পরখ করে আবিরকে জিজ্ঞেস করলো,
‘ আচ্ছা আবির আমি অনেক মোটা হয়ে গেছি তাই না?’

আবির বই থেকে মুখ না তুলে বরলো,
‘ বাচ্চা হবার আগে মেয়েরা একটু মোটা হবে এটা তো স্বাভাবিক।’

‘ তুমি বুঝতে পারছো না, শুধু পেট না। মুখ,হাত পা,পুরো শরির মোটা হয়ে গেছে। এটা বাচ্চা হবার জন্য না। আমার শ্বাশুড়ি মায়ের জোর করে এটা ওটা খাওয়ানোর জন্য। বাচ্চা হবার পরও দেখো আমি মোটাই রয়ে যাবো। তখন সকাল বিকাল দৌড়াতে হবে। চিকন হবার জন্য৷’

রুহি আবিরের পাশে এসে বসে বললো,
‘ আচ্ছা, তোমার পরিচিত কোনো জিমনেসিয়াম আছে? ভাবছি ভর্তি হবো।’

‘ এসব আজাইরা চিন্তা ভাবনা বাদ দাও। ওই যে ডেসিন টেবিলের উপর আম্মু দুধ রেখে গেছে তারাতাড়ি খেয়ে নাও। এবার রুমে এসে যদি দেখে এখনো দুধ খাও নি, চিৎকার করে বাড়ি কিন্ত মাথায় তুলে ফেলবে।’

‘ একটা উপকার করতে পারবে?’

‘ কি?’

রুহি দুধের গ্লাস এনে আবিরের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
‘ তুমি খেয়ে ফেলো, মা বুঝবে না।’

‘ ফাজলামি করো? আম্মুকে ডাক দিবো?’

রুহি অনইচ্ছে শর্তেও দুধ খেলো। তারপর আবিরের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ আমাকে জোর করে খাওয়ানোর অপরাধে বাচ্চা হবার পর তোমাদের সবাইকে না খাইয়ে মারবো।’

রাত দুইটার দিকে রুহির ডেলিভারির ব্যাথা উঠলো। আবির দৌরে যেয়ে ডেকে তুললো বাবা মাকে। জামান সাহেব হাসপাতালে ফোন করার ২০ মিনিটের মধ্যে এম্বুলেন্স এসে থামলো বাসার সামনে।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালে রুহির নরমাল ডেলিভারি হলো। নার্স এসে যানালো মেয়ে সন্তান হয়েছে। মা মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছে। খুশিতে মাকে জরিয়ে ধরে কেদে ফেললো আবির। জামান সাহেবের চোখও ঝাপসা হয়ে এলো। আবির ফোনে আবিদের ছবির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ শোন ভাইয়া, একটা বিরাট খুশির সংবাদ আছে। তুই তো বাবা হয়ে গেছিস রে। আর আমি চাচ্চু। আমাদের পরিবারে তো একটা রাজকন্যা চলে এলো। ঠিক তুই যেমন চাইতি। ‘

আবিরের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো অঝর ধারায়। ভাইয়ার ছবির দিকে তাকিয়ে ফুপিয়ে কেদে উঠলো সে। বুকের ভিতর জ্বলে পুড়ে যেতে লাগলো। মনে হলো দম বন্ধ হয়ে এখনি মারা যাবে সে। কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পেছন দিকে ঘুরলো আবির। বাবা দাড়িয়ে আছে। বাবাকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে ফেললো।

রুহি এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেয়ের মুখের দিকে। মেয়েটা দেখতে একদম বাবার মত হবে। এরকম একটা ফুটফুটে মেয়ে বাচ্চার খুব শখ ছিলো আবিদের।

রুহির মনে পড়লো, আবিদ বলেছিলো,
” শোনো,আমাদের প্রথমে মেয়ে হলে তার নাম রাখবো ‘রুপকথা’।তোমার নামের সাথে মিল থাকবে।’

রুহি জিজ্ঞেস করেছিলো,
‘ রুপকথাই কেনো? আমার নামের সাথে মিল রেখে তো আরো নাম হয়। ‘

‘ রুপকথা কারন, আমাদের মেয়েটা হবে রুপকথার রাজকন্যাদের মতই সুন্দর। ছোট ছোট করে সে অনার্গল কথা বলে যাবে। রুপ কথার মুখ থেকে বেরোনো প্রতিটা কথাই হবে রুপকথা। বুঝতে পারছো? আমরা দুজন, রুপকথার দুই পাশে শুয়ে রুপকথার গল্প শুনবো। মানুষ বললে, ওই যে রুপথার বাবা মা।’

কথা গুলো মনে হতেই রুহির চোখ জোরা ভিজে গেলো। রুহি মেয়ের দিকে তাকিয়ে আনমনে বললো,
‘ রুপকথা’

সপ্তাহ,মাস,বছর করে কেটে গেলো পাঁচটা বছর। রুপকথার বয়স এখন পাঁচ বছর। রুপকথাকে দেখে মনে হয় আসলেই যেনো রুপকথার রাজ্য থেকে নেমে আসা কোনো রাজকন্যা। সারা বাড়ি জুরে রুপকথার বিচরন। সব সময় মূয়ুর পাখির মত উরে বেরায় এদিক থেকে সেদিক। সব সময় কথা বলতেই থাকে। মাঝে মাঝে রুহি মেয়ের উপর কৃত্রিম রাগ দেখিয়ে বললে,
‘ তুই কি চুপ করবি? নাকি সুই সুতো দিয়ে তোর মুখ সেলাই করে দিবো?’

‘ মুখ সেলাই করে দিলে আমি খাবো কেমনে?’

‘ তোকে খেতে হবে না।’

‘ না খেলে তো আমি মারা যাবো। ‘

‘ তোর কথার যন্ত্রণায় আমি নিজে মারা যাবো। রান্না করবো ডিসটার্ব না করে এখান থেকে যা। আফরা তোকে ডাকছে। ‘

রুপকথা চলে যেতেই রুহি রান্নায় মন দিলো। রুপকথা হবার পর রুহি সুস্থ হয়ে শ্বাশুড়ির কাছ থেকে আবারো সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়েছে। রুপকথা পেটে থাকতে আবিদা বেগম যে অত্যচার গুলো করতো রুহি এখন তা সুদে আসলে ফেরত দিচ্ছে। শ্বাশুড়িকে নিজের ইচ্ছে মত খাওয়াচ্ছে। খেতে না চাইলে জোর করে নিজের হাতে খাওয়াবে। রাতে ঘুমানোর আগে বড় গ্লাসে করে এক গ্লাস দুধ নিয়ে শ্বাশুড়ির কাছে হাজির হবে, নিজে দাড়িয়ে থেকে পুরোটা খাওয়াবে তারপর আসবে।শ্বাশুড়িকে ভুলেও কিচেনে ডুকতে দিবে না, কোন কাজ করার তো প্রশ্নই আসে না। রুহির অত্যাচার শুধু আদিবা বেগমের উপর স্থির থাকলো না, জামান সাহেবের উপরেও পরলো অনেকটা। পরিবারের সবাই আদিবকে হারানোর শোক রুপকথার মাধ্যমে ভুলে যেতে চাইছে যেনো।

আবির পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকে চাকরি করছে। সকাল নয়টায় বের হয় বাসা থেকে ফিরে আসে বিকাল পাচঁটায়। দুপুরের খাবার রুহি প্রতিদিন দিয়ে দেয়। আবিরের জন্য আরো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয় তাকে। সকালের নাস্তা তৌরি করে আবার আবিরের জন্য খাবার তৌরি করতে হয়। আবির অফিসে যাবার পর রুপকথাকে স্কুলের জন্য রেডি করে দিতে হয়। এবার প্লে তে ভর্তি করানো হয়েছে রুপকথাকে। জামান সাহেব রুপকথাকে স্কুলে আনা নেওয়া করেন। আগ্রহের সাথেই করেন কাজটা। অবসর জিবনে এই একটা মাত্র কজই আছে তার।

রুপকথা আবিরকে বাবা বলে ডাকে, আবিদের ব্যপারে সে কিছু যানে না। কেউ চায়ও না রুপকথা যানুক। আবির বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় প্রতিদিন রুপকথার জন্য চকলেট আর রুহির জন্য পেয়াজু, জিলাপি,ঝালমুড়ি ইত্যাদি কিছু একটা নিয়ে আসে। হঠাৎ কোনো দিন টেনশনে বা সারাদিনের ক্লান্তিতে যদি এগুলো আনতে না পারে তাহলে মা মেয়ে দুজনেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। আবির যতক্ষণ না, বাইরে যেয়ে এগুলো নিয়ে আসবে ততক্ষণে তারা কেউ কথা বলে না আবিরের সাথে।

আবির আর রুহি এক রুমেই আছে। শুধু থাকার জন্যই যেনো থাকা। তাদের মাঝে সম্পর্কটা একদম আগের মতই আছে। দুজনের বিয়ে হলেও নতুন সম্পর্কটা নিয়ে আগ্রহ দেখায় নি কেউ।

রুহি রান্না করছিলো তখন রুপকথা কাদতে কাদতে কিচেনে এলো। মেয়েকে কান্না করতে দেখে রান্না রেখেই কোলে তুলে নিলো রুহি। আদর করে, চোখের পানি মুছে দিয়ে রুহি জিজ্ঞেস করলো,
‘ কি হয়েছে আম্মু? কাদছো কেনো?’

রুপকথা ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো,
‘আফরা আমাকে বকা দিছে।’

‘ কেনো? ‘

‘ আমি আফরার ভাইকে একটু ধরেছি সেই জন্য।’

‘ আচ্ছা, বাবা আসলে বলবো আফরাকে বকা দিতে। বাবা আফরাকে ইচ্ছে মত বকা দিয়ে দিবে।ঠিক আছে?’

‘ না, ঠিক নেই।’

‘ আবার কি হলো?’

‘ আমার একটা ভাই লাগবে। আফরা ওর ভাইয়ের সাথে খেলে। আমিও আমার ভাইয়ের সাথে খেলবো। কোলে করে রাখবো। আমাকে ভাই এনে দাও।’

‘ আচ্ছা, এনে দিবো। এখন আইসক্রিম খাবি? না কান্না করবি?’

‘ কান্না করতে করতে আইসক্রিম খাবো।’

রুহি ভ্রু জোরা বাকিয়ে চেয়ে রইলো মেয়ের দিকে।

আবির অফিস থেকে এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে সার্টের বোতাম খুলছিলো তখন রুহি এসে আবিরকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। হঠাৎ করে এমন কিছু হওয়ায় আবির যেনো কারেন্টের শক খেলো। চিন্তা শক্তি হারিয়ে গেলো মুহুর্তের জন্য । রুহি আবিরের পিঠে মাথা ঠেকিয়ে বললো,
‘ রুপকথা ভাইয়ের আবদার করেছে, তার একটা ভাই লাগবে।’

আবির ঘুরলো রুহির দিকে। তারপর সাহস করে রুহির মতই জরিয়ে ধরে বললো,
‘ তো আমাকে কি করতে হবে বড় বউ?’

‘ তেমন কিছু না। শুধু বড় বউয়ের বড় শব্দটা বাদ দিতে হবে।’

কথাটা বলেই রুহি মুচকি একটা হাসি দিলো। রুহির হাসিটা আবিরের কাছে যতটা সুন্দর লাগলো তারচেয়ে বেশি রহস্যময়ী মনে হলো। এই রহস্য ভেদ করা তার পক্ষে সম্ভব না। রুহির দিকে তাকিয়ে আবিরও হেসে ফেললো।

……..সমাপ্ত……..