নীলচে তারার আলো পর্ব-০৭

0
706

#নীলচে_তারার_আলো
#নবনী_নীলা
#পর্ব_৭

হিয়ার চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে ফেলতেই শুভ্র নিঃশব্দে হাসলো। তারপর ওড়নাটা দিয়ে মুখের পানি মুছতে মুছতে বললো,” আশা করছি নেক্সট টাইম থেকে চুলের পানি দিয়ে বন্যা ভাসানোর ইচ্ছে বা শখ কোনোটাই তোমার হবে না।”শুভ্রের এমন উক্তিতে হিয়া পিট পিট করে চোখ খুলে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে গেলো।
কি লোকরে বাবা! তার ওড়না দিয়ে মুখের পানি মুচ্ছে। এরপর কি করবে লোকটা? হিয়া আতঙ্কিত চেহারায় শুভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। শুভ্র মুখের পানি মুছে ওড়নাটা এমন ভাবে ছুড়ে মারলো এসে একে বারে হিয়ার মুখের উপর পড়লো। তারপর শুভ্র আড় চোখে তাকিয়ে একহাত পকেটে ভরে সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে গেলো।

হিয়া ঐখানেই মূর্তির মতন দাড়িয়ে রইলো। একটু আগে তার সাথে কি হলো এইটা? যখন এতোই তার ওড়না দিয়ে মুখ মুছে ওড়নাটা ভেজানোর শখ ছিল। ওড়নাটা টান মেরে নিয়ে গেলেই পারতো। একেবারে সিনেমার হিরোদের মতন এগিয়ে এসে এমন ঢং করার মানে কি? অসভ্য একটা লোক। মনে মনে বির বির করেই তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো হিয়া তারপর নিচে নেমে এলো।

মোহনা আপু টিভিতে কি একটা অনুষ্ঠান দেখছে। হিয়া গিয়ে তার পাশে বসলো। মোহনা হিয়াকে আড় চোখে তাকিয়ে বললো,” ছাদে গিয়ে যে বৃষ্টিতে ভিজেছো আমি কিন্তু দেখেছি। জ্বর যদি বাধিয়েছো চান্দু….,” বাকিটা বলার আগেই হিয়া মোহনার হাত ধরে টেনে নিজের দিকে নিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে বললো,” আস্তে বলো না,প্লীজ। গোসল করতে গিয়েছিলাম তখন বৃষ্টির আওয়াজে বেড়িয়ে আসি। সরি আর ভিজবো না, এইটাই লাস্ট।”
মোহনা সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললো,
” হটাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে কেনো?”

হিয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে আবারো ফিসফিসিয়ে বললো,” আমার ভালোলাগে ভিজতে।”
মোহনা আড় চোখে একবার শুভ্রের দিকে তাকালো। শুভ্র কফির জন্য বলছে তার মাকে। মোহনার হটাৎ একটা ঘটনার কথা মনে পড়লো। মনে পরতেই সে হেসে ফেলল। হিয়া উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” তুমি এভাবে হাসছো কেনো?”

” একটা কথা মনে পড়ে গেলো তাই।”, মোহনার কথায় হিয়া কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,” কি কথা? আমাকে বলো।”

” তুমি যখন খুব ছোট ছিলে, মানে সবে হাঁটতে শিখেছো তখন তোমরা আমাদের পুরানো বাসায় এসেছিলে। সেদিনও এমন বৃষ্টি ছিলো। তোমাকে কোলে করে আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। তুমি তোমার ছোট্ট হাত গুলো বাড়িয়ে বৃষ্টির পানি ধরছিলে আর হেসে লুটোপুটি খাচ্ছ। সেই মুহুর্তে শুভ্র পাশ দিয়ে যেতেই তুমি ওর গায়ে বৃষ্টির পানি ছিটিয়ে দিতেই শুভ্র কড়া চোখে তোমার দিকে তাকায়। ব্যাস এরপর থেকে শুভ্রকে দেখলেই তুমি কান্না করে দিতে। শুভ্রের তখন সাত আট বছর হবে, তখন থেকেই ওর বাচ্চা কাচ্চা খুবই অপছন্দ।”

এই কাহিনী শুনে হিয়া মোটেই খুশী হয় নি। বনমানুষটা দেখি ছোটো বেলা থেকেই এমন খিটখিটে মেজাজের। বাচ্চা বলে এনার অপছন্দ। এনার পছন্দটা কি? একটা রুমে ঘাপটি মেরে বসে থাকাই কি এনার পছন্দ? এ কেমন মানুষ? ছোটো বেলাও কেমন হনুমান ছিলো।

শুভ্র কফি হাতে সোফায় এসে বসতেই মোহনা বলে উঠলো,” ভাই তোর মনে আছে? ছোটো বেলায় ও তোর রুমের সামনে হাসের মতন আওয়াজ করা জুতো গুলো পরে ছোটো ছোটো পায়ে হাঁটতো আর তুই রাগী চোখে তাকালেই অ্যা করে কেঁদে দৌড় দিতো।”

শুভ্র কফির মগে চুমুক দিতে দিতে হিয়ার দিকে তাকালো। হিয়া রাগে কিরমির করছে। ছোটবেলায়ও লোকটা তাকে জ্বালিয়েছে, ছোটো থাকতেও রেহাই পাই নি।
শুভ্র কফির মগটা একপাশে রেখে ফোনটা হাতে নিয়ে মনে মনে বললো,” বড়ো হয়েছে কখন? আগেও ঘাড়তেড়া ছিলো এখনও ঘাড়তেড়াই আছে। পার্থক্য খালি আগে হাসের আওয়াজ করে জ্বালাতো আর এখন নূপুরের।” তারপরও দ্বিতীয়বারের মতন দৃষ্টি স্ক্রিন থেকে সরিয়ে হিয়ার দিকে তাকালো। চেহারাটা দেখো একেবারে জঙ্গলী বিড়ালের মতন করে রেখেছে যেনো এক্ষুনি উঠে এসে খামচি দিবে।


হিয়া কলেজ শেষে বাড়ী ফেরার সময় দেখলো দিবা তার দিকে ছুটে ছুটে আসছে। হিয়া রাস্তার একপাশে দাড়িয়ে দিবার জন্য অপেক্ষা করলো। আজ সারাদিন মেয়েটা উধাও ছিলো। ক্লাসেও দেখেনি ওকে।
দিবা ছুটতে ছুটতে এসে হিয়ার সামনে থেমেই হাপাতে হাপাতে বললো,” এতো তাড়া কিসের বাসায় যাওয়ার? একটু অপেক্ষা করতে পারলে না।”

” সরি, আমি তো প্রথম ক্লাসের পর তোমাকে আর দেখিনি তাই ….”, এতটুকু বলেই হিয়া থামলো তারপর ব্যাগ থেকে নিজের পনির বোতল দিবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,” পানি খাও।”
দিবা বোতলটা নিয়ে পানি খেয়ে স্বাভাবিক হলো। তারপর বললো,” ঐ ছেলেগুলো যে প্রতিদিন তোমার পিছু নেয় তুমি দেখো না? আমি তোমার জায়গায় থাকলে এতদিনে এদের মাথা ফাটিয়ে দিতাম।”

দিবার কথায় হিয়া সামনে তাকালো সত্যি কয়েকটা ছেলে একপাশে দাড়িয়ে ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে। কিন্তু এর আগে হিয়া ব্যাপারটা খেয়াল করেনি কোনোদিন। দিবা উঠে দাড়িয়ে বলল,” ওদিকে তাকিয়ে থেকো না। এরা বখাটে ছেলে পরে ভাববে তুমিও ওদের এসব কাজে মজা পাও।”

হিয়া সঙ্গে ভয় পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে দাড়ালো। এইটা আবার কেমন বিপদ। দিবা বললো,” চলো আজকে আমি তোমাদের বাড়ী যাবো। এমনিও যেতাম বিকালে, আংকেলকে পটাইতে হবে বুঝছো। আর দুইজনকে একসাথে যেতে দেখলে এরাও এগুতে সাহস পাবে না।”

হিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো আংকেলকে পটাবা মানে?”

” আমি তো স্কাউট করি, তো একটা মেডিকেল ক্যাম্পের ওনারা চাইছে আমরা ওনাদের জন্য কাজ করি। বিশ জনের দরকার ছিলো। আমাদের কলেজে আমরা ছিলাম মাত্র বারো জন। আরো আটজন প্রয়োজন ছিলো, যারা ঐ ক্যাম্পে হেল্প করবে। সব ক্লাস ঘুরে ঘুরে সাতজনকে রাজি করানো গেছে আর একজনের কমতি ছিলো তাই তোমার নাম দিয়ে দিয়েছি। সময় ছিলো না হাতে কি করবো বলো? কালকেই ক্যাম্পিং।”, বলেই দিবা হিয়ার মুখের দিকে তাকালো। শেষের কথাটা শুনে হিয়া হকচকিয়ে তাকিয়ে বললো,” মানে? আমি গিয়ে কি করবো? আমি এইসব কোনোদিন করিনি।”

” আরে তেমন কঠিন না। মে হূ না , আমি শিখিয়ে দিবো।যারা ডক্টর দেখাতে আসবে সবাইকে লাইন ধরে দাড়করানো, ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করতে হবে। মানে ভলেন্টিয়রের কাজ আর কি। আর আমার তেমন কোনো ফ্রেন্ডও নেই তুমি গেলে আমারও ভালোলাগবে।” বলতে বলতে দিবা পিছনে তাকালো ছেলেগুলো নেই। যাক বাবা বদমাইশ গুলো গেছে।

হিয়া নীচের ঠোঁট কামড়ে চিন্তিত মুখে বললো,
” আংকেল যদি যেতে না দেয়।”

” আরে আমি তো সে জন্যেই যাচ্ছি। পাহাড়ে যাবো, অনেক সুন্দর জায়গা গেলেই দেখবে।”কথা বলতে বলতে ওরা বাড়ি ফিরলো। আজ আর হিয়ার বাড়ি ফেরার সময় ভয় লাগে নি। রবীউল সাহেবকেও দিবা সহজেই পটিয়ে ফেলেছে। দিবা ভয়ে ছিলো যদি আংকেল যেতে না করে দিতেন। কিন্তু তিনি সহজেই রাজি হয়ে গেছেন।

দিবা হিয়ার ঘর দেখবে বলে হিয়ার সাথে উপরে এলো। হিয়া আর শুভ্র আলাদা রূমে থাকে শুনে দিবার মুখ হা হয়ে রইলো। নাক মুখ কুচকে বিছানায় বসতে বসতে বললো,” এটা আবার কোন দেশি বিয়ে। তাই তো বলি বিয়ের পরও আমার বোন শুভ্র শুভ্র করে লাফায় কেনো।”

মাঝে মাঝে দিবার কথার প্রতিউত্তরে বলার মতন কিছু খুজে পায় না হিয়া, ঠিক এখনকার মতন। আসলে দিবা মেয়েটা বয়সের তুলনায় একটু বেশী ম্যাচিউর। তাই তার কথাবার্তায় সেটা প্রকাশ পায়।

দিবা একদৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু একটা ভাবলো তারপর বললো, “আচ্ছা তুমি কোনোদিন প্রেম করোনি তাই না? প্রেম করতে ইচ্ছে করে না তোমার?”

দিবার এমন প্রশ্নে হিয়া চোখ বড় বড় করে না সূচক মাথা নাড়লো। দিবা ঠোঁট উল্টে বললো,” উফফ,তুমি এতো ইনোসেন্ট কেনো? তোমাকে না আমি কিছু রোমান্টিক সিরিজ দেখাবো, তখন তোমারও আমার মতন প্রেম করতে ইচ্ছে করবে। ওইখানের হিরো গুলা কি রোমান্টিক হয়!” বলতে গিয়ে গাল দুটো টমেটোর মতন হয়ে গেলো দিবার।

হিয়ার সে মুহুর্তে কেনো জানি শুভ্রের চেহারা মুখের সামনে ভেসে উঠলো। হিয়া ভ্রূ কুচকে বললো,
” ওইগুলো শুধু ফিল্মেই হয়, বাস্তবে একেকটা হনুমান আর বদমেজাজি হয়।”

দিবা এদিক সেদিক তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,
” বদমেজাজি ছেলেগুলোই বেশি রোমান্টিক হয়।” হিয়া মুখ বাকালো। রোমান্টিক হলে হবে তাতে ওর কি! আচ্ছা ঐ লোকটা রোমান্টিক হলে কিভাবে হবে? ইমাজিন লোকটার বউ লোকটার গলা জরিয়ে ধরলো। তখন সে বউয়ের হাত গলা থেকে সরিয়ে দিয়ে বলবে আমার গলা জড়ানোর আগে তুমি আমার পারমিশন নিয়েছো? নেক্সট টাইম থেকে আমার পারমিশন নিবে। পারমিশন ছাড়া আমার কাছে আসা আমার খুবই অপছন্দ। ভেবেই হিয়া ফিক করে হেসে ফেললো।

✨ দিবার পাল্লায় পড়ে যে হিয়া এমনভাবে ফেঁসে যাবে কে জানতো। এইসবের কোনো মানে হয়। এইখানে এই লোকটা কি করছে? বাসে উঠার আগেও যদি জানতো এই লোকটা এইখানে আসবে হিয়া জীবনেও এইখানে আসতো না। বাস থেকে নেমে এই জায়গায় এসে দেখতে হচ্ছে এই লোকটা এইখানে। দিবাকে জিজ্ঞেস করেছে করার পর সে বাকা হাসিদিয়ে চলে গেছে।এইখান থেকে কি কোনো বাস পাওয়া যাবে এক্ষুনি ফেরার বাসে উঠে পড়তে ইচ্ছে করছে তার।

শুভ্রকে দেখে হিয়া যতটা অবাক তার থেকে দ্বিগুণ অবাক হয়েছে শুভ্র। এই মেয়েটা এইখানে? শুভ্রের পাশেই প্রভা বসে আছে। শুভ্র ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,” এই মেয়েটা এইখানে কি করছে?”

প্রভা সামনে তাকালো,” কার কথা বলছিস? হিয়া!”
শুভ্র আড় চোখে হিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,” ওর নাম হিয়া?”
প্রভা অবাক, এক বাসায় থাকে অথচ মেয়েটার নাম এখনো শুভ্র জানে না। প্রভা হতভম্ব হয়ে বললো,” তুই ওর নাম জানিস না এখনো?”

” খেয়াল করা হয়নি। যাই হোক ও এইখানে কি করছে?”,দ্বিতীয়বারের মতোন প্রশ্ন করলো সে।

” আমি কিভাবে জানবো? হয়তো স্কাউটে যোগ দিয়েছে।”,

” তার মানে ও দিবার কলেজেই ভর্তি হয়েছে।”, মনে মনে বললো শুভ্র। বাহ্ আর বাবাও আসার অনুমতি দিয়ে দিলো। এই মেয়ে লাফালাফি করে আবার কি ঘটাবে কে জানে।

প্রথমে হিয়ার বিরক্ত লাগলেও এখন ভালোই লাগছে। অনেকদিন পর কেমন মুক্ত পাখির মতন লাগছে নিজেকে। তারমধ্যে এতো মানুষের ভীড়। নতুন নতুন সব মুখ। সবাইকে লাইনে দাড় করানো হয়েছে। মহিলাদের একটা লাইন আর পুরুষদের। দুপুরের পর বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হবে। সবাই কিছুক্ষনের মধ্যে যার যার কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেলো। অনেকেই লাইন ভেঙ্গে আগে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দিবা আর বাকিরা মিলে আটকে দেয়।

প্রভা শুভ্রের বুথের সামনে এসে বললো,” তোর আইডিয়াটা ভালোই ছিলো।”

” আমার আইডিয়া ভালোই হয়। আর মেডিকেলের প্রথমবর্ষের ছাত্রছাত্রীকে ভলেন্টিয়ার হিসাবে আনলে আগের বার কি হয়েছিল মনে আছে। পিকনিকে এসেছি মনে হচ্ছছিলো, একেকজন গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রন্ডকে নিয়ে এসেছে। অ্যান্ড লুক আট দেম, দে আর অ্যাক্টিভট। একচুয়ালি ওরা জানে কিভাবে এইসব সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে হয়।” প্রভা ভালোই বুঝেছে এইবারের ক্যাম্পিং শুভ্রের মনের মতো হচ্ছে।

দুপুরের আগ পর্যন্ত সব ঠিক ছিলো। দুপুরের পর বাচ্চাদেরকে নিয়ে শুভ্রের ঝামেলা পোহাতে হলো। প্রতিটা বাচ্চা শুভ্রকে দেখেই কাদতে শুরু করছে। অন্যদের বুথেও বাচ্চারা কাদঁছে কিন্তু এভাবে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কেউ কাদঁছে না। শুভ্রের নাজেহাল অবস্থা। হিয়া পাশেই ছিলো বাচ্চাদের কান্না দেখে হিয়া এগিয়ে গেলো। মুখটা বাংলার পাঁচের মতন করে রাখলে তো যে কোনো বাচ্চাই কাদবে। হাতে আবার জল্লাদের মতোন ইনজেকশন ধরে আছে। এমনিতেই গম্ভীর চেহারা তার উপর হাতে ইনজেকশন বাচ্চারা কাদবে না তো কি করবে?

হিয়া একটু এগিয়ে এসে ঈশারায় বাচ্চাটার সাথে খেলা করতেই কিছুক্ষনের মধ্যে বাচ্চাটা চুপ করে গেলো। হটাৎ বাচ্চাটার চুপ হয়ে যাওয়ায় শুভ্র বামদিকে তাকালো বাচ্চাটা ঐদিকে তাকিয়ে আছে। শুভ্রকে দেখেই হিয়া লুকিয়ে গেলেও শুভ্র তাকে ঠিকই দেখেছে।

[ #চলবে