প্রিয়তমা পর্ব-১৫

0
385

#গল্পঃপ্রিয়তমা
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_১৫(ধামাকা)

আফফান আরমিনকে ফোন দিয়ে প্রীতির ব্যাপারে জানিয়ে দিলো।
আরমিন তখন অবাক হয়ে বলেছিলো আফফান কেনো রূপকদের বাড়ীতে এ কথা জানায়নি?
আফফান ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বলল,আমার মাথা তখন কাজ করছিলোনা।ভেবেছি মোবাইল ব্যাগ দিতে গেলে যদি আমাদের কথা যেনে যায়?যদি প্রশ্ন করতো এটা যে প্রীতি ভাবির ব্যাগ সেটা আমি কিভাবে জানি?

আরমিন রেগে গিয়ে বলল,ফোনের স্ক্রিনে ছবি নেই?বললেই হতো ব্যাগ আর ফোন একই জায়গায় পেয়েছো আর ছবি দেখে চিনেছো।
আফফান এখন আফসোস করছে।
আরমিন শাসিয়ে বলল,তাড়াতাড়ি গিয়ে উনাদের বাসায় সব জানাও।অনেক বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।
রাত দশটা বাজে আফফান ছুটলো রূপকদের বাসায়।হাজেরা বেগমকে বলল,প্রীতির ব্যাগ আর ফোন রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছে।ছবি দেখেই চিনতে পেরেছে এখন এগুলো দিতেই এসেছে।
টেনশনের ভেতরে কেউ আর প্রশ্ন করলোনা বিকেলে যখন আফফান এসেছিলো তখন কেনো একথা বললোনা।
সবার চিন্তা বেড়ে এখন দ্বিগুণ হয়েছে।এখনো প্রীতির হদিস পেলোনা।
—————————————————★

হ্যালো মিস্টার রকি।হ্যান্ডশেখ করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল মধ্যবয়স্ক ব্যাক্তি।রকি ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে হাত বাড়িয়ে দিলো।
এখানে মোট তিনজন উপস্থিত আছে।তাদের মধ্যে কথোপকথন চলছিলো।প্রীতিসহ সব গুলো মেয়েকে ধরে নিয়ে আসা হলো।ওদের কথোপকথন শুনে ঘৃণায় প্রীতির গা জ্বলে উঠলো।ওর আর বুঝতে বাকি রইলোনা ওকে কোথায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে কয়েকটা কথা কানে বাজতেই মনে হলো কন্ঠস্বর গুলো ওর চেনা।কান খাড়া করে কথাগুলো শোনার চেষ্টা করলো কিন্তু সেরকম আর কোনো কথা কানে ভেসে আসলোনা।
রকি বলল,তো দেখা যাক একে একে সব পাখিদেরকে।আর বলেছিলাম সারপ্রাইজ আছে সেটা সবার শেষে দেখবে।
একে একে সব মেয়েদের মুখ থেকে মুখোশ সরিয়ে আগত দুই ব্যক্তিকে দেখানো হচ্ছে।ঠোঁটে বিদঘুটে হাসি খেলছে তাদের।একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে প্রীতির মুখ উন্মুক্ত করলো।সামনের দুই ব্যক্তি সহ প্রীতি তিনজনেই চমকে উঠলো।অবিশ্বাস্য চোখে তাকালো প্রীতি।ঘৃণায় প্রীতির চোখে পানি চিকচিক করে উঠলো।
রকি হেসে দিয়ে বলল,এটা হলো সারপ্রাইজ।দেখো রূপকের প্রিয়তমা।শেষের কথাটা সুর টেনে বলল রকি।

রাজিব শেখ আর ফারুখ থমকে গেলো।হতবিহ্বল চাহনি নিক্ষেপ করে তাকালো প্রীতির দিকে।প্রীতি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।চিৎকার করে বলল,ঘৃণা করি আমি তোমাদের।মা বাবার বুক খালি করে তাদের সন্তানদের নিয়ে ব্যবসা করো।একটুও বুক কাঁপেনা তোমাদের?অবশ্য কাঁপবে কেনো?যেখানে নিজের মেয়েকে,বোনকে ছাড় দেওনা সেখানে অন্যকারো মেয়েকে ছাড় দেবে কেনো?একেকটা অমানুষ,জানোয়ারের দল বলেই একদলা থুথু ফেললো প্রীতি।
রকি তেড়ে এসে প্রীতির গালে সপাটে চড় মারতে গেলে রাজিব শেখ রকির হাত ধরে আটকে দেয়।শান্ত স্বরে রকিকে বলে,ওর হাতের বাঁধন খুলে ছেড়ে দাও।

রকি তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল,মানে?আরে এটা রূপকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আর আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।ওকে ছাড়ার প্রশ্নই আসেনা।বেশ চওড়া দাম হবে এর।
ফারুখ চোখমুখ খিঁচিয়ে চিৎকার করে বলল,ও আমার বোন হয়।আর একটা বাজে শব্দ মুখ দিয়ে বের করলে জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলবো।
রকি অবিশ্বাস্য চোখে তাকালো ফারুখ আর রাজিব শেখের দিকে।রাজিব শেখ ইশারায় বোঝালেন ফারুখ যা বলছে সেটাই সত্যি।
এবার রকি তীরের মতো প্রশ্ন ছুঁড়লো,রূপক পুলিশ অফিসার জেনেও মেয়েকে কেনো বিয়ে দিলেন?
রাজিব শেখ কন্ঠে তেজ নিয়ে বললেন,সেটা তোমার না জানলেও চলবে।আগে আমার মেয়েকে ছাড়ো।
রকি বাঁকা হেসে বলল,ওকে জানলাম না।কোনো ব্যাপারনা।তবে মেয়েকে নিয়ে যেতে হলে যে মোটা অঙ্ক প্রদান করতে হবে।
রাজিব শেখ হুঙ্কার ছেড়ে বলল,ও আমার মেয়ে।
রকি দাঁতে দাঁত চেপে বলল,আওয়াজ নিচে।ব্যবসায় মেয়ে,ছেলে দেখবেনা টাকা দেখবে টাকা।
মুহূর্তেই শান্ত কন্ঠে বলল,এবারের চালানে পাঁচ কোটি টাকার মতো আসবে।সেখানে তোমাদের ভাগে থার্টি পারসেন্ট আর আমার ভাগে সেভেন্টি পারসেন্ট যাবে।

ফারুখ রকির কলার চেপে ধরে বলল,বেশি বাড়াবাড়ি করছো কিন্তু।
রকি কলার ছাড়িয়ে বলল,রিল্যাক্স।হাইপার হওয়ার দরকার একদম নেই।তোমাদেরকে আমি অপশন দিচ্ছি দুটো।হয় বোনকে নাও নয়তো থার্টি পারসেন্ট এ মেনে যাও।এখন চয়েস তোমাদের।
রাজিব শেখ মেনে গেলেন রকির শর্তে।ফারুখ রক্তচক্ষু নিয়ে রাজিব শেখকে বলল,এত টাকার লোকসান আমি কিছুতেই মেনে নেবোনা।
রাজিব শেখ ফারুখকে শান্ত করে বলল,এখন তোমার বোনকে বাঁচানো জরুরি বুঝতেই পারছো।
ফারুখ কিছুতেই শান্ত হতে পারছেনা।তবুও রাজিব শেখের উপর কথা বলতে পারবেনা।রাজিব শেখ শর্ত মেনে প্রীতিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গোডাউন থেকে বের হলো।সামনে গিয়ে ফারুখ প্রীতির হাত মুঠো করে ধরতেই প্রীতি ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিলো।
আঙ্গুল উঁচিয়ে কাঠকাঠ গলায় বলল,কোনো পাপি যেনো আমাকে স্পর্শ না করে বলে দিলাম।
প্রীতি আর বেশি কিছু বলল না।এখন কিছু বলাই বিপদ।সে বাড়িতে গিয়ে রূপককে সব জানাবে।কিচ্ছুটি বাদ রাখবেনা।

ফারুখ প্রীতির অভিব্যক্তি পরোখ করে বলল,তুই যদি ভেবে থাকিস রূপককে সব কিছু জানাবি তবে ভালো হবেনা বলে দিলাম।
প্রীতি রোষানল দৃষ্টিতে তাকিয়ে বাজখাঁই গলায় বলল,কি করবে আমাকে নিয়ে ব্যবসায় নামবে?
ফারুখ আচমকা প্রীতির গলা টিপে ধরলো।প্রীতির শ্বাস রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখে গলা ছেড়ে ডানহাতে দুগাল টিপে ধরলো।দাঁতে দাঁত চেপে বলল,বেশি কিছুনা,একটা ননদ আছেনা তোর?ঢাকায় থাকে হোস্টেলে।ওকে তুলে নিয়ে আসবো।
কলেজ ছেড়ে কোথায় গিয়েছিলি?তোর জন্য আজ কোটি টাকা লস হতে যাচ্ছে।

প্রীতি কেপে উঠলো।ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে তুতলিয়ে বলল,খখবরদার!মমমনি আপুর ককোন ক্ষতি করবেনা।
আমি স্বপ্না আপাকেও সব বলে দেবো।তুমি,তোমরা কতটা নোংরা,জঘন্য সব বলবো।
ফারুখ আরেকটু জোরে চাপ দিলো।আঙ্গুল ডেবে গেলো প্রীতির গালে।বলল,স্বপ্নাকে কিছুই বলবিনা।আমি স্বপ্নাকে ভালোবাসি।

প্রীতি তাচ্ছিল্য হেসে বলল,ভালোবাসা?লজ্জা করেনা এই শব্দ তোমার ওই নোংরা মুখে উচ্চারণ করতে?আমি সব বলবো স্বপ্না আপাকে।
ফারুখ শান্ত কন্ঠে হুঙ্কার ছেড়ে বলল,এখানে কিছুই হয়নি।তুই কিছুই জানিসনা।
মনে আছেতো তোর ননদের কথা?

রাজিব শেখ ধমকে বললেন,আহ!ফারুখ গাল ছাড়ো।ব্যথা পাচ্ছে আমার আম্মাজান।
ফারুখ গাল ছেড়ে দিলো সাথে সাথেই।প্রীতি চোখ ঘুরিয়ে তাকালো রাজিব শেখের দিকে।ঘৃণাভরা চোখে বলল,আমি কারো আম্মাজান না।দ্বিতীয়বার আর আপনার মুখে আমি আম্মাজান ডাক শুনতে চাইনা।
ফারুখ প্রীতিকে বলল,সব কিছু মাথায় রাখবি আমি কি বলেছি।এখন আমি গিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেবো।আমি যা যা বলবো শুধু হ্যাঁ তে হ্যাঁ জানাবি নাতে না।
কথা না শুনলে আগে তোর ননদকে তুলে আনবো পরে তোর স্বামীকে ধ্বংস করবো।
প্রীতির ভয় হচ্ছেনা বরং নিজের উপর ঘৃণা হচ্ছে কেনো সে এমন পরিবারে জন্ম নিলো।
এজন্যই বুঝি তাদের মা মেয়েকে কখনো বলতোনা কিসের ব্যবসা তাদের।এত এত কালো টাকা এই নারী ব্যবসা দিয়ে উপার্জন করেছে।
————————————————★

ফারুখ প্রীতিকে রূপকের বাড়িতে নিয়ে আসে।রাত তখন বারোটা ছুঁই ছুঁই।কারো চোখেই ঘুম নেই।রূপকের বাবাও বসে নেই তিনিও ছোটাছুটি করেছেন সারাদিন।কলিংবেল বেজে উঠতেই ফারিহা দৌঁড়ে গেলো দরজা খুলতে।রুবি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে।সে জানে তার ভাই রকি প্রীতিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।তবুও এমন দুঃখী দুঃখী চেহারা বানিয়ে রেখেছে যেন সে কষ্টে মরে যাচ্ছে।
ফারিহা দরজা খুলে দিতেই বাইরে প্রীতিকে ফারুখের সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে হাজেরা বেগমকে ডাকলো,আম্মা!
হাজেরা বেগম চকিতে উঠে দরজার কাছে আসলেন।প্রীতিকে দেখে টেনে জড়িয়ে ধরলেন।বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন।
অস্থির কন্ঠে বললেন,কোথায় ছিলে সারাদিন?
প্রীতি হাজেরা বেগমের বুকের সাথে মিশে আছে।কথা বলছেনা।
রূপকের বাবা বললেন,আস্তে মেয়েটাকে আগে বসতে দাও।
হাজেরা বেগম প্রীতিকে নিয়ে বসালো সোফায়।

ফারুখ লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,কলেজ থেকে ফেরার পথে রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যায় প্রীতি।ওখান থেকে কয়েকজন মিলে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।শরীর একেবারে দুর্বল থাকায় জ্ঞান ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়।প্রীতিকে যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সেখানে আজ আমার একজন বন্ধু তার মায়ের রিপোর্ট আনতে গিয়েছিলো।সৌভাগ্যবশত প্রীতির কেবিনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রীতিকে দেখে ভেতরে ঢুকে।পরে ডাক্তারের কাছ থেকে জানতে পারে প্রীতিকে কয়েকজন মিলে এখানে ভর্তি করিয়ে চলে গেছে।তখন সে আমাকে ফোন করে জানায় আর আমি ছুটে গিয়েছিলাম।
প্রীতি অনুভূতি শূন্য হয়ে ফ্লোরে তাকিয়ে রইলো।সবাই ফারুখের বানোয়াট কাহিনি বিশ্বাস করে নিয়েছে।

হাজেরা বেগম এবার বকাঝকা শুরু করলেন প্রীতিকে।খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে ভালো করে নজর দিতে বললেন।ফারুখ দাঁড়িয়ে পড়ে বলল,আমি বাড়িতে যাচ্ছি।মা চিন্তা করছেন।আমি ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি প্রীতির কথা।
ফারুখকে বিদায় দিয়ে হাজেরা বেগম ফারিহাকে বলল,প্রীতির জন্য খাবার বাড়তে।প্রীতিকে বললেন জামাকাপড় পাল্টে ফেলতে।
প্রীতি এলোমেলো পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো।প্রাণহীন চোখে তাকিয়ে এগিয়ে গেলো আলমারির দিকে।একটা শাড়ি নিয়ে গোসল করে আসলো।হাজেরা বেগম খাবার নিয়ে এসে প্রীতিকে খেতে বললেন।লোকমা বানিয়ে প্রীতির মুখের সামনে ধরলো।প্রীতির এই মুহূর্তে পেটে ক্ষুধা থাকলেও খেতে ইচ্ছে করছেনা।মুখ থেকে গলা অব্দি খাবার নামবেনা।
অস্পষ্ট স্বরে খাবোনা বলতেই হাজেরা বেগম ধমকে বললেন,খাবার না খেলে মার একটাও মাটিতে পড়বেনা।তুমি নিজেইতো বললে আমি তোমার আরেকটা মা।শাসন করে নিতে।এখন কথা শুনছোনা কেনো?
ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও প্রীতি হা করলো।
কয়েক লোকমা খেয়ে আর খাবোনা বললো।হাজেরা বেগম আর জোর করলেননা।প্রীতিকে ঘুমাতে বলে চলে গেলেন।
হাজেরা বেগম যেতেই প্রীতি দরজা আটকে দিলো।

চোখ ভেঙে নামলো অশ্রুবৃষ্টি।পায়ের পাতায় ভর দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো।কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা তার বাবা আর ভাইয়ের এতবড় প্রতারণা।অথচ নিজের বাবাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা ভেবেছিলো।আর আজ সেই বাবার অপকর্ম নিজের চোখে দেখেও কিছু করতে পারছেনা।
চাপা আর্তনাদ করে ঠোঁট ভেঙে কেঁদে দিলো।বেশি আওয়াজ করলোনা।রাতের পরিবেশ নিস্তব্ধ থাকে।কান্নার আওয়াজ অন্যরুমে শোনা যেতে পারে।ফ্লোরে বসে হাঁটুতে থুতনি ঠেকিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো প্রীতি।
মৃদুস্বরে বলছে,আমি অবুঝ নেই রূপক।দেখুননা আমি অনেক বড় হয়ে গেছি।সব বুঝতে শিখে গেছি।সবকিছু সহ্য করতে শিখে গেছি আমি।নিজের বাবা ভাইয়ের অপকর্ম সম্পর্কে জেনেও আমি আপনাকে কিছু বলতে পারছিনা,তাদেরকে বাঁধা দিতে পারছিনা এর চেয়ে বড় কষ্ট কি হতে পারে।এই ব্যথাটা আমাকে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে হচ্ছে।আল্লাহ আমাকে এমন দৃশ্য কেনো দেখালো।এর আগে মরে গেলাম না কেনো?
আপনাকে বড্ড মিস করছি আমি।এই সময়টাতে আপনার বুকে মাথা রেখে শান্তি অনুভব করতে চাইছি।আমি নিরুপায়।তবে আল্লাহ তাদের পাপের শাস্তি অবশ্যই দেবেন।
————————————————★

ক্রিং ক্রিং ক্রিং…..

রূপক ফোন কানে তুলতেই অপর পাশ থেকে আওয়াজ আসলো,”চিন্তার কিছুই নেই।একদম সেইফ আছে তোমার প্রিয়তমা।এখন বাড়িতেই।”

রূপকের লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,বাড়ি থেকে ফোন এসেছে,শুনেছি আমি।সারাদিন আজ ফোনে একে নয় ওকে,ওকে নয় একে ফোন করে করে সব কিছু করিয়েছে রূপক।ভয় কাটলেও শান্ত হলোনা।কন্ঠে তীব্র ঝংকার তুলে হুঙ্কার ছাড়লো।
তোমাকে দায়িত্ব দিয়ে আসার পরও কিভাবে এতকিছু ঘটে গেলো?নাকি নিজের দায়িত্ব না মনে করে প্রীতিকে বোঝা মনে করেছিলে?যেখানে খুশি যাক তাতে তোমার কি তাইতো?

বিপরীত পাশ থেকে হুঙ্কার আসলো,ঠিক করে কথা বলো।তুমি মনে হয় সব কিছু ভুলে যাচ্ছো।
রূুপক থেমে গিয়ে বলল,কি কি ঘটেছিলো আজ?

অপরপাশ থেকে বলল,………
……………………..

ফোন কেটে দিয়ে রূপক ভাবলো প্রীতিকে কল দিবে,পরোক্ষণে কিছু একটা ভেবে কল দিলোনা।সকালে কথা বলা যাবে।
#চলবে…….