প্রেমতরী পর্ব-০১

0
595

#প্রেমতরী
লেখক :- #A_Al_Mamun
পর্ব :- ১

–আজ ওরা আমায় বিয়ের জন্য দেখতে এসেছে। পছন্দ করে ফেলেছে। আব্বুও ওদের হ্যা বলে দিয়েছে।
–বাহ, এতো ভালো কথা।
–তুইকি আমায় একটুও ভালোবাসিস না?
–ধুর পাগলি, কি বলিস এসব?
–তাহলে আমার বিয়ের কথা শুনে তোর চোখে পানি এলো কেনো?
–আমার চোখে কোনো পানি নাই, যা এখান থেকে।
–তোকে খুব ভালোবাসিরে, পারবো না আমি তোকে ছাড়া থাকতে। একটু বোঝার চেষ্টা কর।
–এখন কিছুই বুঝে লাভ নাই।
–আছে, আমায় ধর্ষন করবি?????
মিষ্টির এমন কথায় মামুন যেন আকাশ থেকে পড়লো।
–কি বললি?
–আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবি? যেনো বাড়ির সবাই জেনে যায়।
–তোর মাথা ঠিক আছে তো? কি সব উল্টাপাল্টা কথা বলছিস?
–আমি ঠিকই বলছি। আমি তোকে ছাড়া বাচবো না, তোকে আমার চাই।
–বেশি হয়ে যাচ্ছে মিষ্টি।
–যদি তুই আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করিস, তাহলে আমি সবাইকে গিয়ে বলবো তুই আমাকে ধর্ষন করার চেষ্টা করেছিস। তাহলেই আমি তোকে পেয়ে যাবো। সবাই মিলে তোকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে।
–মিষ্টি……… (মামুন করুন চোখে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে, মিষ্টির এই রুপ মামুন কখনোই দেখেনি।)
–মিষ্টি কি? এক্ষুনি তুই আমার সাথে শারীরিকভাবে মেলামেশা করবি।
–তুই এতোটা নিচে নেমে যাবি তা আমি কখনো কল্পনাও করি নি, ছিঃ…..
–আমি এক্ষুনি চিৎকার করে সবাইকে ডাকবো কিন্তু।
–এমন করিসনা মিষ্টি, আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যবে। সারাজীবন বাবা মাকে এই মুখ দেখাতে পারবো না।
–কি করবো আমি বল, আজ ওরা আমায় দেখতে এসেছে। আমার বিয়ে হয়ে যাবে। আমি তোকে খুব ভালোবাসি। তুই ছাড়া কেউ আমায় ছুতেও পারবে না। আমার তোকে চাইই চাই।
–এটা হয়না মিষ্টি। কেউ এটা মেনে নেবে না, তুই যে আমার চাচাতো বোন।
–এজন্যই এখন আমাকে এই পথটা বেছে নিতে হলো। আর কেনো উপায় নেই আমার।
–এমন করিস না মিষ্টি প্লিজ।
–(মিষ্টি নিজে থেকে তার জামা ছেড়া শুরু করে)
–কি করছিস এসব?
–আমি এখন সবাইকে ডাকবো, বলবো তুই আমার ইজ্জত নেওয়ার চেষ্টা করছিস।
–এভাবে আমার পরিবারটা শেষ করে দিবি তুই?
–কিচ্ছু হবেনা দেখিস, আমি সব সামলে নেবো?
–তুই এতোটা খারাপ হতে পারিস তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। এভাবে সবার কাছে আমাকে অপরাধী বানাস না প্লিজ।
–কিচ্ছু হবে না তোর, আমি আছি তো।
–প্লিজ মিষ্টি, আমি মরে যাবো।
–বাজে কথা বলিস না। আমি চিৎকার করতেছি।
–আমায় শেষ করে দিস না মিষ্টি….।
–বাচাওওওওওওওওওও(মিষ্টি চিৎকার করতে থাকে) এখন সবাই ছুটে আসবে দাড়া।
–আমার প্রান থাকতে আমার পরিবারের মান-সম্মান আমি কিছুতেই নষ্ট হতে দিবো না। কিছুতেই না……..।
মামুন মিষ্টিকে সাইটে সরিয়ে দৌড়ে গিয়ে ৩ তালা থেকে লাফ দেয়।
মিষ্টি চিৎকার দিয়ে সেখানেই জ্ঞান হারায়।
,
দুঃখিত, এখনো পরিচয়টাই দেওয়া হলো না। মিষ্টি আর মামুন ২জন চাচাতো জেঠাতো ভাই-বোন।
ছোটবেলা থেকেই মিষ্টি মামুনকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, যা সে বারবার মামুনকে বোঝানোর চেষ্টা করতো।
কিন্তু মামুন বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকতো। কারন এই সম্পর্কটা যে কেউই মেনে নিবে না।
আজ মিষ্টিকে বিয়ের জন্য দেখতে আসে। ছেলেপক্ষের মিষ্টিকে পছন্দ হওয়ায় আংটি পরিয়ে চলে যায়।
ছেলে দেশের বাহিরে থাকে,কিছুদিন পর ছেলে বাড়ি আসলেই বিয়েটা হয়ে যাবে।
রাতে মামুন বাসায় এলে মিষ্টি মামুনকে ডেকে ছাদে নিয়ে আসে।
বাকিটা তো আপনারা জানেনই।
.
সকালে মিষ্টির জ্ঞান ফেরে।
চোখ মেলে দেখে সে বিছানা, পাশেই দাদু বসে আছে।
–দাদু, মামুন কোথায়?
–মামুন হাসপাতালে, কি হয়েছিলো তোদের?
–কোন হাসপাতালে? বাড়ির বাকিরা কোথায়?
–(——- হাসপালে, সবাই ওখানেই গিয়েছে)
–আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে(বলেই মিষ্টি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে)
.
সবাই অপারেশন থিয়েটারের বাহির অপেক্ষা করছে।
মিষ্টি দৌড়ে জেঠিমার কাছে আসে।
–জেঠিমা, মামুন কোথায়? কেমন আছে ও?
ঠিক তখনই ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসে।
মিষ্টি দৌড়ে ডাক্তারের কাছে যায়।
–ডাক্তার সাহেব মামুন???
–আপনি কে হন রুগির?
–আমি ওর চাচাতো বোন।
–ওনার বাবা মাকে ডাক দিন।
–আমাকে বলুন না ডাক্তার, ও ঠিক আছেতো?
–বলছি, আগে ওনার বাবা মাকে ডাক দিন।
–ডাক্তার সাহেব, আমি রুগির মা। আমার ছেলে কেমন আছে?(মামুনের মা)
–দেখুন, অবস্থা খুবই গুরুতর, ওনার এক হাত আর এক পায়ে একটু বেশিই আঘাত পেয়েছে। আর মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার কারনে আমরাও একটু শঙ্কায় আছি। এক্ষুনি কিছু বলতে পারছি না। আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
মিষ্টি ডুকরে কেঁদে ওঠে।
দৌড়ে অপারেশন থিয়েটারের কাছে চলে আসে।
গ্লাসের ফাকে মামুনকে হালকা দেখা যাচ্ছে।
পুরো মুখ রক্তের দাগে লাল হয়ে আছে।
মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে পুরো হাসপাতাল মাথায় তুলে ফেলে।
মিষ্টির বাবা মা,জেঠু জঠিমা সবাই মিষ্টিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে।
মিষ্টি কাউকেই জবাব দিতে পারে নি। শুধু কেঁদেই যাচ্ছে।
অপারেশন শেষে মামুনকে বেডে দেওয়া হয়।
মিষ্টি মামুনের হাত ধরে পাশেই বসে আছে।
জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত ডাক্তাররা ও কিছু বলতে পারছে না।
সারাদিন পর সন্ধ্যায় মামুনের জ্ঞান ফেরে।
পুরো পরিবারটা একটা স্বস্তির নিশ্বাস নেয়।
ডাক্তার বললো ভয় কেটে গেছে। কিন্তু সুস্থ হতে মাসখানেক সময় লাগবে।
রাত প্রায় ১টা হবে। মামুনের মা আর মিষ্টি মামুনের কাছেই রয়ে গেছে, বাকিরা বাসায় চলে যায়,
মামুন তখন ঘুমাচ্ছিলো
পাশের একটা চেয়ারে বসে মামুনের মা ঘুমাচ্ছে, আর মিষ্টি এক দৃষ্টিতে মামুনের দিকে তাকিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে।
–কি করে পারলি এত বড় একটা কাজ করতে? তোর কিছু হয়ে গেলে আমি কি নিয়ে বাচতাম? আমিও যে মরে যেতাম। আমায় ক্ষমা করে দে প্লিজ, আমায় ক্ষমা করে দে।
–কি হয়েছে মিষ্টি? কাঁদছিস কেনো?(মামুনের মা)
–তুমি ঘুমাও নি?
–না, কি হয়েছে তোর? কাঁদছিস কেনো?
–কই নাতো, কাঁদছি কই?
–কি হয়েছিলো কাল রাতে?
–(মিষ্টি চুপ করে মামুনের দিকে তাকিয়ে আছে।)
–কি হয়েছে বল.।
–সব আমার জন্য হয়েছে। আজ মামুনের এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ি(কাঁদতে কাঁদতে)
–এই মিষ্টি, কি হয়েছে?
–(মিষ্টি জেঠিমাকে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে)
মিষ্টির কথা শুনে জেঠিমা ওকে একটা চড় মেরে বসে।
–ছিঃ মিষ্টি, ছিঃ….। তুই এতোটা নিচে নামতে পারলি?
–(মিষ্টি মামুনের দিকে তাকিয়ে আছে আর কাঁদছে)
–কি করে পারলি এমন একটা বাজে কাজ করতে? তোর বুকটা একবার ও কেপে উঠলো না?
–আমায় ক্ষমা করে দাও জেঠিমা, আমি বুঝতে পারিনি এমনটা হয়ে যাবে। বিয়েটা আটকানোর জন্য আমি পাগল হয়ে গেছিলাম। আমায় ক্ষমা করে দাও জেঠিমা।
–তোর বিয়ে আটকানোর জন্য আমার ছেলেটাকেই শেষ করে দিচ্ছিলি?
–আমায় ক্ষমা করে দাও জেঠিমা, আমি বুঝতে পারিনি এমনটা হয়ে যাবে। আমি যে ওকে খুব ভালোবাসি, অন্য কারো সাথে বিয়ে হলে যে আমি মরে যাবো।
–সেই জন্য আমার ছেলেটাকে মেরে ফেল….! আমি কখনো কল্পনাও করিনি তুই এতোটা নিচ মানসিকতার মানুষ। আজ যদি মামুন ছাদ থেকে লাফ না দিতো তাহলে আমার ছেলেটাকে তুই ফাঁসিয়ে দিতি, আমাদের পরিবারের মান ইজ্জত সব ধুলোয় মিশিয়ে দিতি। তোকে তো আমি নিজের মেয়ের মতোই মনে করতাম, তুই তো চাইলেই সব আমাকে বলতে পারতি। কেনো করলি এমন? কেনো আমার ছেলেটার এত বড় ক্ষতি করলি?
–(মিষ্টি নিচের দিকে তাকিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে)
.
মামুনের মা রাগে ক্ষোভে মিষ্টির হাত ধরে টেনে বাহিরে নিয়ে আসে।
–তুই একদম ভেতরে যাবি না।
–জেঠিমা….!!!(করুন চোখে)
–হুম আমি ঠিকই বলছি, তুই ওর সাথে আর কখনো দেখা ও করবি না। মুক্তি দে আমার ছেলেকে।
–আমি যে ওকে ছাড়া বাচবো না, আমায় ক্ষমা করে দাও জেঠিমা।
–তুই ভেতরে ঢুকবি না একদম।
বলেই মামুনের মা ভিতরে চলে যায়।
মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে বাহিরে দরজার সামনে বসে পরে……..
পরদিন সকালে বাড়ির সবাই মামুনকে দেখতে আবার হাসপাতালে আসে।
মিষ্টি আজ সবার থেকে একটু দুরে দুরেই ছিলো, শুধু দরজার সামনে দাড়িয়ে মামুনের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
দুই দিন পর মামুনকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়।
ডাক্তার বলেছে বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নিতে, আর ঠিকমতো ঔষুধগুলো খেতে।
মামুনের জ্ঞান ফেরার পর মিষ্টি এখনো মামুনের সামনে আসে নি।
দুপুরে মিষ্টি জেঠিমার রান্নাঘরে গিয়ে জেঠিমার পায়ে ধরে কান্নাকাটি শুধু করে।
–কি করছিস মিষ্টি, ওঠ।
–আমাকে ক্ষমা করে দাও জেঠিমা, আমি যে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।
–কেনো করলি এমন? একবার ভেবে দেখতি যা করছিস তা কি ঠিক।
–আমি যে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। ওকে আমি খুব ভালোবাসি জেঠিমা। আমাকে একবার ওর কাছে যেতে দাওনা জেঠিমা, আমি যে আর পারছি না। আমাকে যে ওর কাছে ক্ষমা চাইতেই হবে। এই অপরাধবোধ আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। প্লিজ জেঠিমা।
–ও এখন তোকে দেখলেই রেগে যাবে, যাস না।
–শুধু একটা বার প্লিজ।
–সাবধানে….। যা।
মিষ্টি দৌড়ে মামুনের রুমের সামনে চলে আসে।
মামুন জানালার গ্রিল ধরে বসে আসে, এক হাত ও এক পা ব্যান্ডেজ করা।
মিষ্টি মনে সাহস নিয়ে ধীরেসুস্থে রুমে প্রবেশ করে।
–মামুন……(শান্ত গলায় মিষ্টি মামুনকে ডাক দেয়)
–(মামুন পেছনে ফিরে তাকায়)
–আমি আসবো?
–একদম ভিতরে আসবি না, চলে যা এখান থেকে। আমি তোর মুখটাও দেখতে চাই না।
–(মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে ভেতরে প্রবেশ করে হাত জোড় করে হাটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইতে থাকে)
–দেখ মিষ্টি, আমার সামনে একদম ন্যাকামো করবি না। তোর আসল চেহারা আমি সেই দিনই দেখে ফেলেছি। তুই একটা কালনাগিনী, তোকে আমি আর এক মুহুর্ত ও এখানে দেখতে চাই না। বের হ এখান থেকে।
–আমায় ক্ষমা করে দে প্লিজ, আমি বুঝতে পারিনি এমনটা হয়ে যাবে। তুই এমন করবি জানলে আমি কখনো এই কাজটা করতাম না। আমি যে তোকে খুব ভালোবাসি।
–তোর ওই নোংরা মুখে ভালোবাসার নাম নিবি না, মানায় না এসব তোর মুখে। ওই দিন আমি ছাদ থেকে লাফ না দিলে এতক্ষণে সবাই আমার বাবা মা কে কতই না অপমান করতো, জানি না আরও কত কি হয়ে যেত। আমি সবার সামনে কি করে আসতাম। তুই প্রায় আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিচ্ছিলি। তুই বের হ এখান থেকে।
–প্লিজ মামুন।
–আম্মুউউউউউউ(মামুন চিৎকার দিয়ে ওঠে)
মামুনের চিৎকারে তার মা দৌড়ে আসে।
–কি হয়েছে বাবা? কিছু হয়েছে?
–মিষ্টি এখানে কি করে? বের হতে বলো ওকে এখান থেকে।
–আয় মিষ্টি, বাহিরে আয়।
–জেঠিমা, ওকে বলো না আমায় যেনো ক্ষমা করে দেয়। এই অপরাধবোধ নিয়ে যে আমি আর থাকতে পারছি না।(মিষ্টি)
–অপরাধ বোধ? তুই তো আমার জীবনটাই ধ্বংস করে দিচ্ছিলি। সেটা কি কিছুই না? আম্মু ওকে এক্ষুনি এখান থেকে বের হতে বলো, না হলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।(মামুন)
–মিষ্টি আয় আমার সাথে(বলেই মিষ্টির হাত ধরে বাহিরে নিয়ে আসে)
.
–বিশ্বাস করো জেঠিমা, আমি এমনটা করতে চাই নি। তুমি তো জানোই আমি এমন নই। জানিনা সেদিন আমার কি হয়েছিলো, আমি যেকোনো উছিলায় বিয়েটা ভাঙতে চেয়েছিলাম।
আমার ভুল হয়ে গেছে জেঠিমা।
–দেখ মিষ্টি, যা করেছিস করে ফেলেছিস। কারো বিশ্বাস ভেঙে দিলে তা প্রায় ঠিক করা যায় না বললেই চলে, আমরা মানুষরা এমনই। বিশ্বাস খুবই অমূল্য। তুই বিশ্বাসটাই ভেঙে ফেলেছিস। আমি চাই না তোর বাবা মা এই বিষয়ে জানুক। তুই আর মামুনের আসে পাশেও আসিস না, চলে যা।
–আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না জেঠিমা।(কেঁদে কেদে)
–কাঁদিস না, চলে যা এখান থেকে। তোর বিয়ের সব কিছুই প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। এসব বাহিরে জানাজানি হলে তোর বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরী হবে, চলে যা।
–করবো না আমি এ বিয়ে, আমি মামুনকে ভালোবাসি। বিয়ে করতে হলে আমি ওকেই বিয়ে করবো। আর যদি কেউ আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।
–তুই পাগল হয়ে গেছিস মিষ্টি। আমি তোর বাবা মাকে সব বলে দিবো।
–বলে দাও, আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমার শুধু মামুনকে চাই। কেউ ওকে আমার থেকে আলাদা করার চেষ্টা করলে আমি শেষ করে দিবো তাকে।
–তুই বের হ এই ঘর থেকে। তোর মতো বেয়াদব মেয়ে আমি আর একটা দেখিনি।
–তুমি সরো? মামুনের সাথে আমার কথা আছে।
বলেই মিষ্টি মামুনের রুমের দিকে হনহন করে ছুটে যায়।
জেঠিমা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিষ্টি মামুনের রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেয়।
মামুনের মা দৌড়ে দরজার সামনে এসে দরজা ধাক্কা দিতে থাকে।
হঠ্যাৎ ভেতর থেকে মামুনের চিৎকার শুনা যায়.
.
.
.
চলবে………