বিষাদের শহরে তুমি এলে পর্ব-০১

0
385

#বিষাদের_শহরে_তুমি_এলে
#পর্ব_০১
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

নিষিদ্ধ পল্লীর সামনে,নিজের প্রিয় মানুষ’টিকে দাঁড়িয়ে থাকতে, দেখে থমকে গেল ইফাদ। স্থীর হলো দু’টি চক্ষুদ্বয়। বিস্ময় নয়নে তাকিয়ে আছে,তার প্রেয়সীর দিকে! ইফাদে’র সাথে তাল মিলিয়ে থমকে রয়েছে রজনী। শুনশান রাত, নিস্তব্ধ রাস্তা। নিষিদ্ধ জায়গায় নিজের প্রিয় মানুষটা’র মুখ ভিষন করে পিড়া দিচ্ছে।”

অপর দিকে শ্রেয়া’ও ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ইফাদে’র দিকে তাকিয়ে আছে। পুরো শরীরের শিরা-উপশিরা কেঁপে কেঁপে উঠছে। মস্তিষ্ক ফাঁকা হতে শুরু করেছে। জ্ঞান, বুদ্ধিরা জোট বেঁধে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে। পুরো শরীর অবশ হয়ে আসছে। সামনের দিকে এগোনোর শক্তি টুকু সঞ্চয় নেই শ্রেয়ার কাছে! এখন ইফাদ’কে কি বলে বুঝ দিবে, সেই বাক্য শ্রেয়ার জানা নেই। ইফাদ শান্ত হয়ে শ্রেয়ার দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করল। ইফাদকে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে, শ্রেয়ার হৃদস্পন্দনের গতিবেগ, দিগুণ গতিতে ছুটে চলেছে। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এসেছে। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। ইফাদ শান্ত হয়ে, শ্রেয়ার সামনে দাঁড়ালো। নরম কণ্ঠে প্রশ্ন করল।

–এত রাতে, এই নিষিদ্ধ জায়গায় কি করছো শ্রেয়া? ইফাদের শান্ত কণ্ঠে বলা কথা’টা শ্রেয়া পুরো শরীর কাঁপিয়ে তুলল। নিজেকে যথেষ্ট স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। তবে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছে, ইফাদের রাগ সম্পর্কে সে, অবগত আছে। কথার মধ্যে একটু সন্দেহের ছোঁয়া পেলে, তাকে এক বিন্দু ছাড় দিবে না। সে ভালো করেই বুঝতে পারছে। ঠান্ডা মস্তিষ্কে ইফাদের সাথে কথা বলতে হবে। নিজেকে শান্ত করে নিল শ্রেয়া। জোরে একটা শ্বাস নিয়ে, পাল্টা প্রশ্ন করল।

–তুমি আমাকে ভুল বুঝো না। আমি তোমাকে সব’টা বুঝিয়ে বলছি। তার আগে তুমি বলো? তুমি এতরাতে এখানে কি করছো? বলেই গম্ভীর মুখ করে তাকালো। ইফাদের শান্ত দৃষ্টি, এখনো শ্রেয়ার দিকে বিদ্যমান আছে। ইফাদ নরম কণ্ঠে উত্তর দিল।

–তোমার কি মনে হয়? আমি এখানে কি করতে আসতে পারি? বলেই পকেটে দু-হাত গুঁজে শান্ত নয়নে শ্রেয়ার দিকে তাকালো। শ্রেয়া একটু স্বাভাবিক হলো। নিজেকে হালকা করে নিয়ে বলল।

–তুমি একজন এডাল্ট ছেলে। তোমাকে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। এত রাতে নিষিদ্ধ পল্লীতে একটা ছেলে কি করতে আসে?

–আচ্ছা মানলাম আমি নিষিদ্ধ পল্লীতে বাজে কাজে এসেছি। এখন তুমি বলো? তুমি একা একটা মেয়ে হয়ে, এই নিষিদ্ধ স্থানে কি করছো?

–তোমার মন মানসিকতা এতটা নিচু ইফাদ! আমি তোমাকে কতটা ভালো ভাবতাম। তোমাকে নিয়ে আমার অনেক গর্ব ছিল। বিশ্বাস ছিল। তোমার জন্য এক সমুদ্র সমান ভালোবাসা ছিল। সবকিছু তুমি এক নিমিষেই শেষ করে দিলে, আমি তোমার কোন দিকে কমতি রেখে ছিলাম?

–যেভাবে কথা বলছো? মনে হচ্ছে, তুমি আমাকে ভাত কাপড় দিয়ে পালছো?

–একদম ত্যাড়া কথা বলবে না ইফাদ। আমি তোমাকে বলেছি, আমি তোমাকে ভাত কাপড় দিয়ে পালছি। আমি জানতে চেয়েছি। তুমি এত রাতে কি করছো?

–খুব সাহস হয়ে গিয়েছে তাই না! আমার সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলছো? আমাকে কথা শোনাচ্ছো? আমি পুরুষ না হয় নষ্ট! তুমি নারী শ্রেষ্ঠ! তাহলে এত রাতে এই নিষিদ্ধ গলিতে কি করছো? ইফাদের কথায় নিস্তব্ধ হয়ে গেল শ্রেয়া। মনে মনে হাজার খানেক কথা সাজিয়ে নিল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করল।

–তুমি আমাকে যেমন’টা ভাবছো?আমি ঠিক তেমন’টা নই? আমার ফ্রেন্ড স্রুতি আছে না। এই নিষিদ্ধ পল্লীর সর্দারনী স্রুতিকে তুলে নিয়ে এসেছে। দুপুরে ছোট করে মেসেজ পাঠিয়েছিল। দিনের বেলায় উদ্ধার করতে পারবো না। তাই রাতের বেলায় আমি আর আবির এসেছি। স্রুতিকে উদ্ধার করতে, আবির ভেতরে গিয়েছে। আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি।

–তা’ বিষয়’টা আমাকে জানাওনি যে! আমাকে জানিয়ে রাখতে পারতে, আমি তোমাদের সাহায্য করতাম।

–আসলে স্রুতি চায় নাই। এই বিষয়’টা কেউ জানুক। তার বাবা-মায়ের একটা সন্মান আছে না।

–তোমার ফ্রেন্ড যখন বাবা-মাকে নিয়ে, এতই চিন্তা করে, তাহলে মাঝরাতে বয়ফ্রেন্ডের সাথে বাহিরে বের হয়ে আসে কেনো? তখন বাবা-মায়ের সন্মান কোথায় ছিল? এখন যখন তার বয়ফ্রেন্ড তাকে, নিষিদ্ধ পল্লীতে নিয়ে এসে, বিক্রি করে দিল। এখন তার বাবা-মায়ের কথা চিন্তা করছে। দারুন একটা মেয়ে জন্ম দিয়েছে, তোমার ফ্রেন্ডের বাবা-মা! কয়েকদিনের ভালোবাসার কাছে কয়েক বছরের ভালোবাসা তুচ্ছ!

“ইফাদের কথা শুনে শ্রেয়া চমকে উঠলো। চক্ষুদ্বয় জোড়া গোল গোল করে, ইফাদের দিকে তাকিয়ে আছে। শ্রেয়ার চোখের ভাষা বুঝতে পেরে, ইফাদ তাচ্ছিল্য হাসলো। ইফাদকে হাসতে দেখে, শ্রেয়া রাগান্বিত হয়ে বলে উঠলো।

–এভাবে না হেসে, আমাদের সাহায্য করলে’ও তো পারো।

–মিথ্যা কথা বলছো কেনো শ্রেয়া? সত্যি কথা বলো? এত রাতে এখানে কি করছো? আমার সামনে মিথ্যা বলার দুঃসাহস দেখিও না। মিথ্যা কথা আমি সহ্য করতে পারি না। আমার সমানে দাঁড়িয়ে যদি আর একটা মিথ্যা কথা বলেছো? তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। ইফাদের কথা শুনে, পুরো শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো। এখন সে, কি করে ইফাদকে জবাব দিবে, এই নিষিদ্ধ পল্লীর অর্ধেক মালিকানা শ্রেয়া। নিষিদ্ধ পল্লীতে কিছু সমস্যার কারণে, তাকে রাতের আঁধারে লুকিয়ে আসতে হয়েছে। কে জানতো, এই ছেলেটা তার পিছু পিছু মাঝরাতে, এখানে চলে আসবে।

–আমার সামনে একদম নীরব থাকবে না। নীরবতা আমি একদম পছন্দ করি না। পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর জিনিস হচ্ছে, নীরবতা। আমার সামনে কেউ নীরব থাকলে, তাকে আমার খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করে। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো শ্রেয়া। রাতের ঘুম নষ্ট করে, তোমার পেছনে এসেছি। রাতের ঘুম নষ্ট হলে, আমার নিজকে পাগল পাগল লাগে, মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। রাগের মাথায় কি করে, বসবো। সেটা তুমি নিজেও জানো না। তাই ভালোই ভালোই বলছি। সত্যি কথা বলে দাও।

–আমি এত রাতে এখানে এসেছি। এটা তুমি কিভাবে জানলে? শ্রেয়ার সোজাসাপটা প্রশ্নে, ইফাদ সোজাসাপটা উত্তর দিল। আমার ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে জানিয়েছে। ইফাদের কথা শুনে, শ্রেয়া ভাবলেশহীন হয়ে প্রশ্ন করল। তোমার ফ্রেন্ড কিভাবে জানলো?

–তুমি তার বাসার সামনে দিয়ে আসবে সে, জানতে পারবে না। এখন আবার এটা বলো না। যে, এতরাতে আমার ফ্রেন্ড কি করছে? তুমি নিশ্চয়ই জানো, আমার প্রত্যেক’টা ফ্রেন্ড রিলেশনশিপে আছে। হয়তো গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিল।

–তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো ইফাদ?

–সন্দেহ করতে চাইছি না। সেজন্য এখনো শান্ত হয়ে আছি। তাই শান্ত ভাবে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। শ্রেয়া কিছু বলতে যাবে। তার আগেই আবির স্রুতি’কে নিয়ে নিষিদ্ধ পল্লীর গলি দিয়ে বের হয়ে আসলো। ইফাদ ভ্রু কুঁচকে তাকালো। তারমানে শ্রেয়া সত্যি কথা বলছিল। নিজের বিশ্বাসের ওপরে ধিক্কার জানালো ইফাদ। মনে মনে শত শত গালি দিল আহান’কে। এত রাতে তার ঘুম নষ্ট করে, শান্তিতে ঘুমোতে গিয়েছে। কালকে সকালে তোর শান্তি আমি নষ্ট করে দিব। বলেই রক্তিম চোখে মাটির দিকে তাকালো।

–এখন দৃষ্টি নত করে আছো কেনো ইফাদ। খুব তো বলেছিলে, আমি তোমাকে মিথ্যা কথা বলছি। নিজের ফ্রেন্ডের কথা শুনে, আমাকে সন্দেহ করলে ইফাদ। আমার প্রতি তোমার এতটুকু বিশ্বাস নেই। ছয় মাসে আমাকে এতটুকু চিনলে? তুমি আমাকে এখনই বিশ্বাস করতে পারো না। অন্যের কথা শুনে, সন্দেহ করো। তাহলে সারাজীবন কিভাবে আমার সাথে থাকবে।

–এত বেশি কথা বলছো কেনো? আমি তোমাকে একটাও বাজে কথা বলেছি? তুমি কষ্ট পাবে, এমন কোনো বাক্য ব্যবহার করেছি। কোনো বাজে শব্দ আমার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে।

–ইফাদ এটা ঝগড়া করার সময় নয়। স্রুতি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে। আমাদের আগে স্রুতির জ্ঞান ফেরাতে হবে। আমাদের জন্য এই জায়গাটা’ও নিরাপদ নয়। পল্লীর মানুষ গুলো, যেকোনো সময় সজাগ হয়ে যেতে পারে। তাই আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা না বলি। দ্রুত পায়ে সবাই মিলে, এই পল্লীর স্থান ত্যাগ করি। আবিরের কথা শুনে, ইফাদ আবিরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। শান্ত কণ্ঠে, গম্ভীর মুখ করে বলল।

–তুমি এই পল্লীর মধ্যে গিয়ে, একটা মেয়েকে নিয়ে চলে আসলি। আর কেউ টের পেল না। বিষয়টি খুব ভাবার তাই না। ইফাদের কথায় আবির বিরক্ত প্রকাশ করল। বিরক্তির স্বরে বলল।

–তুই এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাক। আমরা স্থান ত্যাগ করি। তুই পুলিশ নাকি, যে আমাদের এত জেরা করছিস।বলেই স্রুতিকে নিয়ে এগোতে লাগলো। ইফাদ আর কোনো কথা বলল না। ধীর পায়ে ওদের সাথে এগোতে লাগলো। কোথাও যেনো কোনো একটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘুম না হবার দরুনে ইফাদে’র বিচক্ষণ মাথাটা হিসেব মেলাতে পারল না। আপাতত ঘুমের প্রয়োজন। বাসায় গিয়ে ঘুমোতে হবে, সকালে উঠে এই বিষয়ে ভাবা যাবে।

ইফাদ নিজ কক্ষে প্রবেশ করে, সোজা বিছানায় শরীর এলিয়ে দিল। কিছুক্ষণের মধ্যে নিদ্রা দেশে তলিয়ে গেল।

ইফাদ চলে যাবার সাথে সাথে, স্রুতি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো। রাগান্বিত হয়ে শ্রেয়া আর আবিরের দিকে তাকালো। তেজী কণ্ঠে বলে উঠলো।

–তোরা দু’জন আমাকে আজকে মেরেই ফেলেছিলি। একবার যদি ইফাদে’র সামনে ধরা খেয়ে যেতাম। তাহলে আজকেই ইফাদ আমাকে শেষ করে ফেলতো। শ্রুতির কথা শুনে, শ্রেয়া বিরক্তি মাখা মুখ করে বলল।

–তুই চুপ থাক। ইফাদ কি তোকে সেই ভাবে চিনে নাকি। আবির আমার ফুফাতো ভাই। আবির ইফাদের সাথে পড়াশোনা করে, ইফাদ আবিরের বেস্ট ফ্রেন্ড। আবির একবার ইফাদের সামনে বলেছিল। যে ইফাদ আমাকে পছন্দ করে। তারপরে থেকে, আমাদের মধ্যে টুকটাক কথা হতো। আমি একদিন ইফাদের কাছে, তোর ছবি দেখিয়ে ছিলাম। সেই থেকে ইফাদ জানে, তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আবিরকে দিয়েই ইফাদের সাথে আমার সম্পর্ক।

–আমাদের নোবেল দেওয়া উচিৎ! বড় ভাইকে কি সুন্দর তুই তুই করে বলছি। স্রুতির কথা শুনে, আবির বলল।

–ভাইয়ের বোনের সম্পর্ক’টা এমনই হয়। ভাই কি’বা বোন যত বড়ই হোক না কেনো? ছোট ভাই বোনেরা তুই তুই করে ডাকবেই। আবিরের কথা শুনে, শ্রেয়া বলল।

–অযথা কথা না বলি। এখন ভাবার বিষয় হচ্ছে, ইফাদের কোন বন্ধু ইফাদকে খবর দিল। যে, আমি নিষিদ্ধ পল্লীতে গিয়েছি। শ্রেয়ার কথা শুনে সবাই চিন্তায় পড়ে গেল। সবার ললাটে চিন্তার ভাজ বিদ্যমান।

–আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে, ইফাদের সাথে রিলেশনে যাওয়া। সবটা হয়েছে আবিরের জন্য, এখন এই আপদের থেকে মুক্তি পাব কি করে? এই আপদটা যদি সারাক্ষণ আমার পিছনে পড়ে থাকে। তাহলে যেকোনো সময় আমাদের কুকীর্তির সকল তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। আবির ভাই আমাকে একটা উপায় বল। যেকোনো উপায়ে ইফাদকে আমার জীবন থেকে সরাতে হবে।

–ইফাদ কিন্তু তোকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। তাই তোর ভালো খারাপ দিক গুলো চোখে ধরলে, শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করে। ইফাদকে ছাড়ার মতো বোকামি করিস না। এমন ছেলে এই যুকে পাওয়া খুব মুশকিল। তুই পেয়েছিস। সারাজীবন ধরে রাখ।

–আমি তোর থেকে বুদ্ধি চেয়েছি। জ্ঞান চাই নাই। তুই বুঝতে পারছিস। ইফাদ আমাদের সব কথা জানতে পালরে, কি হবে। তোর কোনো ধারণা নেই আবির ভাই। এই ছয় মাসে আমি খুব ভালোভাবে ইফাদকে চিনেছি। ছেলেটা’র একেকটা রুপ, একেক রকম ভাবে ভয়ংকর।

–ইফাদের সবকিছুই ভয়ংকর সুন্দর। যেমন তার রাগ, তেমনই তার ভালোবাসা রাগের মতোই ভয়ংকর সুন্দর। জীবন’টা যেহেতু তোর, তুই যেহেতু সামনে এগোতে চাচ্ছিস না। তাই আমি আর জোর করবো না। তবে তোকে একটা বুদ্ধি দিতে পারি। তুই একটা বিয়ে করে ফেল। ইফাদকে তোর জীবন থেকে সরানোর এই একটা মাত্র মাধ্যম আছে। আবিরের কথা শুনে, রহস্যময় হাসি দিল শ্রেয়া।আবিরের গাল টেনে বাসার মধ্যে প্রবেশ করল। স্রুতি আর আবির শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপরে ওরা দু’জন-ও বাসার মধ্যে প্রবেশ করল।

চলবে…..