ব্যক্তিগত সুখ পর্ব-০৩

0
271

#ব্যক্তিগত_সুখ
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ৩

কথা গুলো বলেই, ইমান গাড়ি নিয়ে মিমের পেছন পেছন যেতে শুরু করলো।
সে মিমকে ফলো করতে করতে এসে দেখলো, মিম মনমরা হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনের নির্জন রাস্তা টায় এসে চুপচাপ হাত-পা গুটিয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে বসে আছে। কেন যেন তার দুঃশ্চিন্তা হতে লাগলো খুব?
তবে পরক্ষণেই সে খেয়াল করে দেখলো, ফাইজান সাহেব ধীরে ধীরে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে মেয়ের কাছে। তিনি মেয়ের পেছনে দাঁড়িয়ে তাকে ফোন করলেন, মিম কল টা রিসিভ করতে গিয়ে পেছনে ফিরে তাকিয়ে বেশ চমকে গেলো বাবাকে অসময়ে এখানে দেখে।
ও উঠে ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো, তিনি মেয়ের মন ভালো করে দিতে বললেন,
– “চলো মা, আমরা গিয়ে একটু ঘুরে আসি বাণিজ্য মেলা থেকে?”
– “তুমি আমাকে মেলায় নিয়ে যাবে?”
– “জ্বি, অবশ্যই। আমি যেন কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাই না তোমাকে?” মিম বাবার কথা শুনে’ই হেসে ফেললো,
ফাইজান সাহেব হারানো স্বস্তি ফিরে পেলেন মেয়েকে হাসতে দেখে। তারপর তিনি মেয়েকে নিয়ে বাণিজ্য মেলায় পৌঁছে গেলেন টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকেই তিনি সর্বপ্রথম বেশ কয়েকডজন রেশমি চুড়ি কিনে দিলেন মেয়েকে।
তারপর তার পছন্দের ফুচকা কিনে খাওয়ালেন আর বেশ কয়েক পদের আচার মেয়ের জন্য কিনে নিলেন মেলা থেকে। আর ইমান, কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েই সে এ সব প্রতক্ষ্য করছিলো। কেন যেন ফাইজান সাহেবের করা এই ছোটো-ছোটো কাজ গুলো তার মন ছুয়ে গেছে।
সে মাস্ক পরে তাদের সাথে নাগরদোলায় চড়ে বসলো
মিম ফাইজান সাহেবের হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললো,
– “জানো বাবা?
আমার নিচে তাকাতে খুব ভয় করছে।” তিনি মুচকি হেসে বললেন,
– “কোনো ভয় নেই মা। বাবা আছেনা? আর বারবার নিচে কে তাকাতে বলেছে তোমাকে?
তুমি আমার সাথে কথা বলো, নিচে না তাকালেও চলবে।”
– “তবুও কেন যেন ভয় ভয় করছে?”
– “কোনো ব্যাপার না, একটা বলো? তুমি মেলা থেকে বেড়িয়ে চাইনিজ খাবে,থাই খাবে না কি কন্টিনেন্টাল খাবে?”
– “কি জানি? অনেক দিন ধরে শুধু মগজ ভুনা আর বি.বি.কিউ খেতে ইচ্ছে করছে।”
মেয়ের কথা শুনে হাসলে তিনি, তারপর মেলা থেকে বেড়িয়ে মগজ ভুনা আর বি.বি.কিউ খাওয়াতে নিয়ে গেলেন মেয়েকে।ইমান তবুও কেন যেন তাদের পিছন ছাড়তে পারলোনা সে ও তাদের পেছন পেছন পৌঁছে গেলো…………… পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, মোহম্মদপুর, সেকেরটেক,আদাবরে অবস্থিত বিখ্যাত ‘ওশান ক্যাফেতে’ সেখানে পৌঁছে ফাইজান সাহেব মেয়ের পছন্দের সকল খাবার অডার করলেন ইমান কোরাল মাছ অডার করেছে।
মিম ও বাবার জন্য কোরাল মাছ অডার করলো, ওয়েটার খাবার নিয়ে আসার পর, ফাইজান সাহেব নিজের হাতে করে মুখে তুলে খাইয়ে দিতে লাগলেন মেয়েকে। তিনি কথায় কথায় এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলেন,
– “মা আজ কান্না করেছ তুমি? মিম বললো,
– “না বাবা, আদৌও আজ কান্না করার মতো কোনো কিছু হয়েছে?” তিনি মেয়ের পাল্টা প্রশ্নের জবাবে বললেন,
– “বাবাকে মিথ্যে বলছ তুমি?
একটা কথা বলো, বাবা আগে এসেছে না কি তুমি এসেছ বাবার আগে?” মিম মিটিমিটি হেসে বললো,
– “যেহেতু লজিক্যালি আমি তোমার মা,
তাহলে মায়ের আগে তার ছেলে কি করে দুনিয়াতে আসবে?” মেয়ের কথা শুনে হাসতে লাগলেন তিনি। ইমান ও তার কথা শুনে মিটিমিটি হাসছে।
হঠাৎ, ফাইজান সাহেবের ইমানে’র সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলো।
ইমান দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে একজন ওয়েটার কে ডেকে বললো,
– “কোরাল মাছ টা পার্সেল করে পাঠিয়েদিন, আমি ড্রাইভার কে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
– “ওকে, স্যার। আর কিছু?”
– “না ঠিক আছে।” মিম একটু অবাক হয়ে গেলো। সে পেছনে ফিরে দেখলো কেউ নেই পুরো টেবিল টা ফাঁকা পরে আছে। ও তখন কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলো,
– “কি ব্যাপার বাবা?” তিনি মেয়েকে খাইয়ে দিতে দিতে বললেন,
– “কোনো ব্যাপার না মা।”
তবে ইমান ততক্ষণে বাসার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পরেছে। কিন্তু, তার মন টা খারাপ হ’য়ে আছে খুব। মেয়েটাকে কাঁদানোর চিন্তাভাবনা করে এখন তার নিজের’ই খুব খারাপ লাগছে।
সে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলো,
– “আমার নিশ্চয়ই, এতো খারাপ লাগার কথা না? তাহলে হঠাৎ কেন আমার এতো কষ্ট হচ্ছে? মেয়েটাই বা কেন সু*ইসাইড করতে গিয়েছিল?
কে কষ্ট দিয়েছে তাকে?” এতো কিছু ভাবতে ভাবতে ইমানের মাথা টা ধরে গেলো। তবে তার খুব ভালো লাগছে ফাইজান সাহেবের কথা ভেবে। বাবা হিসেবে ভীষণ দারুণ একজন মানুষ তিনি। সেটা ইমান ছয় মাস আগেই বুঝতে পরেছিল তার কথাবার্তার ধাঁচে। তিনি এটাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ের পছন্দই তার পছন্দ তিনি কখনো বিয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জোর-জবরদস্তি করতে চাননা মেয়ের সাথে। আর এছাড়াও ইমান নয়ন কে ভোলেনি নয়ন তাকে বলেছিল,
– “মেঝো আপুকে পটাতে হলে আগে বাবাকে পটাতে হবে। বাবা মেঝো আপু অন্ত প্রাণ। প্রয়োজনে, তিনি নিজের সবটা উজাড় করে আগলে রাখবেন মেঝো আপুকে। ছোটো বেলা থেকেই দেখে এসেছি, বাবার মেঝো আপুর প্রতি ভালোবাসা আবার মেঝো আপুও খুব ভালোবাসে বাবাকে।
বাবার কথা আপু কখনো অমান্য করেনা,বাবার কথা
‘র অনেক দাম আপুর কাছে।”
এই সব কিছু চিন্তা করে ইমান মিটিমিটি হাসতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে’ই বাড়িতে পৌঁছে গেলো সে……..
ফাইজান সাহেব মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলেন, মিম চুপচাপ নিজের ঘরে চলে এলো হলঘর থেকে। রেষা ফাইজান সাহেব কে দেখে বললো,
– “বাবা আমি গিয়ে বোন কে খাইয়ে আসছি।” নয়ন বললো,
– “হ্যাঁ বাবা, আমিও যাচ্ছি বড় আপুর সাথে।” তিনি মুচকি হেসে বললেন,
– “তোমাদের কি মনে হয়? আমার মেয়েটা এখনো না খেয়ে আছে?
তোমরা রোজকার নতুন নতুন ড্রামা করবে আর সে না খেয়ে থাকবে আমি সেটা হতে দেবো তার সাথে?”
তখন রেষা আমতাআমতা করে বললো,
– “বলছিলাম বাবা, কাল আমার শাশুড়ি মা আমার দেওর নুহাস কে নিয়ে আসছেন এ বাড়িতে।” হালিমা এসে বললেন,
– “তুমি রাগ করো না। ওনারা আসলে মিমকে একটু দেখতে চাইছে।” ফাইজান সাহেব হাসিমুখে বললেন,
– “তোমাদের কেন মনে হলো আমি ও সব ছা-পোষা লোকজনকে ঢোকার অনুমতি দেবো আমার বাড়িতে
না মানে, আমাকে না জানিয়ে তোমরা এত বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছো।
এতো সাহস কে দিয়েছে তোমাদের কে?” হালিমা বললেন,
– “ও গো তুমি রাগ করো না, আমি বুঝিয়ে বলবো মেয়েকে।”
– “খবরদার, তুমি আমার মেয়ের আশে-পাশেও যাবে না। আর তাছাড়া, ওমন একটা পরিবারে আমি কখন
-নোই তুলে দেবো না আমার কলিজার টুকরোকে।”
– “বাবা আমরা কি তোমরা মেয়ে নই?”
– “হ্যাঁ রেষা, তবে তোমরা চুনকালি মাখিয়েছ আমার মুখে নিজের ভবিষ্যৎ অলরেডি নষ্ট করে বসে আছো এখন দয়া করে ছোটো বোন গুলোর মাথা খেয়ে না। ঠিক আছে?”
বাবার কথা শুনে চোখে জল চলে এলো রেষার, নয়ন চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে। হালিমা স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন,
– “তুমি রাতে কিছু খাবে না?”
– “খেলেও, তোমাকে আমি দেখতে চাই না আমার আশেপাশে। আর হ্যাঁ, কাল এ বাড়িতে কেউ আসবে না আর আসলেও খবরদার৷ সাবধান করে দিচ্ছি।
আমার মেয়েকে কেউ টানা হেঁচড়া করবে না এ সবের মাঝে।” ফাইজান সাহেবের এক কথায় সব ঠান্ডা। দীপ্ত সব শুনে রেষা কে বললো,
– “শোনো বড় আপু ফাতরামির একটা লিমিট থাকে। বাবা তো পরের কথা,
ওরকম একটা মগা ছেলের সাথে আমরা ভাইয়েরা কখনো বিয়ে দিতামনা আমাদের আদরের বোনকে।” তাদের আলাপ আলোচনা শুনে হালিমা এক পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন, ফাইজান সাহেব ঘুমতে যাওয়ার আগে মেয়েকে ডেকে বললেন,
– “শোনো মা, ঘরের দরজা লাগিয়ে ঘুমবে না আমার দুঃশ্চিন্তা হয়। একটু ভয় লাগে।”
মিম বাবার কথা শুনে হাসতে লাগলো। ফাইজান সাহেব চলে যাওয়ার পর হালিমা খাবার নিয়ে এসে বসলেন তার মাথার কাছে।
মিম ততক্ষণে ঘুমিয়ে কাঁদা, লাবণি অনেক আগেই বুঝিয়ে খাইয়ে দিয়েছে শাশুড়ী মা কে। কিন্তু, হালিমা সে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেনা বারবার মেয়েকে ডাকতে গিয়েও তার গলা জড়িয়ে আসছে।”তখন ইসাদ হঠাৎ
বোনের ঘরে চলে এলো, বললো,
– “তুমি কি এখন শান্তিতে ঘুমতে ও দেবেনা মেয়ে টা কে?” ছেলের কথা শুনে তিনি চোখের জল মুছতে মুছতে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। সকালে মিম না খেয়ে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গেছে, ভার্সিটি পৌঁছে সে তড়িঘড়ি করে নিজের ডিপার্টমেন্টে দৌড় লাগালো। পথিমধ্যে,
গতকালের মতোই সে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে পরে যেতে লাগলো স্লিপ কেটে। হঠাৎ, এক জোড়া বলিষ্ঠ হাত তাকে ধরে ফেললো। মিম ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে চমকে গেলো ইমানকে দেখে……….ইমান বলে উঠলো,
– “একটু দেখেশুনে,
পথেঘাটে চলাফেরা করতে পারেন না তাই না? শেষ মেষ উড়ে এসে আমার গায়ে’ই জুড়ে বসতে হবে?”
মিম রেগে গিয়ে তাকে ধাক্কা মে’রে দূরে সরিয়ে দিয়ে বললো,
– “এই যে ভাই কি সমস্যা কি আপনার? আপনি কি মনে করেন নিজেকে? আমার কি খেয়ে কোনো কাজ নেই?
আমি কেন আপনার গায়ে পরতে যাবো? হুমম,কোন দুঃখে? দেখুন, আমাকে চাওয়ার লোকের অভাব নেই দু’ই একটা ইমান খান না থাকলে আমার কিছু যায় আসে না তাতে।”
– “ওমা তাই? তা একটু এ্যাটেনশন দিয়েছি বলে কি মনে করেন আপনি নিজেকে?
আপনার মতোন মেয়ে না রোজ আমার চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। কিছুকিছু আবার টাইম পাস ও করতে যায় আমার বাগান বাড়িতে। এখন এখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যদি আপনার চরম সর্বনাশ টা করে ফেলি দু’দিন পর কোলে বাচ্চা নিয়ে আর মুখ দেখাতে পারবেন না এই সমাজে।
সো জাস্ট বিহেভ ইয়োর সেলফ, আমার মাথা এর থেকে বেশি গরম হয়ে গেলে আপনার কপালে ঢের দুঃখ আছে।”
– “এই এই…… এই মশাই? আমি কি ভয় পাই না কি আপনাকে?” ইমান হঠাৎ তাকে ওয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে ধরলো, মিম নিজেকে ছাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
ও ইমানকে কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। ইমান তাকে ছেড়ে শাড়ির কুঁচি টেনে খুলে ফেললো চোখের পলকে।
তারপর, সে হাসতে হাসতে ব্যবস্থাপনা বিভাগে চলে এলো। কিন্তু, পরক্ষণেই তার মিমে’র কাঁদো কাঁদো চেহারা টা মনে পরতে’ই তার খুব কষ্ট হচ্ছে। সে আবারও,
সেই একই জায়গায় ফিরে এলো। মিম কোনো মতে সেখান থেকে আইন বিভাগে পালিয়ে এসেছে। ওকে এলোমেলো অবস্থায় দেখে লিরা খুব দুঃশ্চিন্তায় পরে গেলো। মিম নিজেকে সাহস জুগিয়ে চললো ইমানের ব্যাপারে কমপ্লেইন করতে।
তবে, তার আগে ও সেখানেকার সি.সি টিভি ফুটেজ চেক করতে হলো। দেখা গেলো, ওখান কার ক্যামেরা টা আরও একমাস আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। মিম রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।
ইমান সে হাসিমুখে এসে দাঁড়িয়ে গেলো তার সম্মুখে। সে মিমকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। মিম তার পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার সময় সে মিটিমিটি হেসে তাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– “পছন্দের মানুষ, প্রিয় মানুষ সবসময় আবেদনময়ী হয় ম্যাডাম, এর জন্য সাদা চামড়ার প্রয়োজন পরেনা ঠিক আছে?
আর হ্যাঁ, এর পর থেকে পথে-ঘাটে একটু সাবধানে চলা ফেরা করবেন। বলা তো যায় না, কখন মাথা টা খারাপ হয়ে গেলো আমার। তারপর বিয়ের আগেই মা ডাক শুনতে হলো আপনাকে।
আমি আপনার কাছে ভদ্র ভাবেই যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা ভালো লাগেনি আপনার কাছে। যাগগে, সে সব কথা। আমার ব্যাপারে এখানে কমপ্লেন করে কোনো লাভ নেই ম্যাডাম।
কারণ, তারা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান থেকে বের করে দেবে। তাই বলছি, এখনো সুযোগ আছে। কাজেই এতো কষ্ট না করে না হয় বিয়ে-থা করে ঘর সংসার পেতে বসলেন আমার সাথে।” মিম তার কথা শুনে ফিরে এসে বললো,
– “আমি আর যাকেই বিয়ে করি না কেন জীবনে কখনে ম’রে গেলেও বিয়ে করতাম না আপনাকে আর কি যেন বললেন?
এখানে কেউ আমার কথা শুনবেনা।তাইতো? তাহলে যারা আমার কথা শুনবে, আমি আপনাকে শায়েস্তা করার জন্য ঠিক সময় মতোন পৌঁছে যাবো তাদের কাছে” ইমান হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করলো,
– “সত্যি? তুমি কি এ দেশের আইন-আদালতের কথা বলছ বেবি……..?
তুমি কি জানো? তারা আমার পকেটে থাকে? হ্যাঁ, সত্যি? দেখবে? জাস্ট একটা ফোন কল করবো? আর সকলেই আমাকে সুরসুর করে সালাম দিতে হাজির হয়ে যাবে।
মিম হাসতে হাসতে বললো,
– “ওহ তাই বুঝি?”
– “জ্বি।”
– “তাহলে কাল সকালে’ই দেখা যাক? আশাকরছি, তখন আপনার পকেটের করুণ দশা হবে।” ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “আচ্ছা,তবে দেখাই যাক। এই ইমান খান কিন্তু ভয় পায় না চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্ট করতে।”
– “হুমম, বুঝলাম৷ কাল চুলকানির ঔষধ ছাড়াই আপনার সমস্ত চুলকানি কমে যাবে।” ইমান তবুও নিজের ভাব বজায় রাখলো আর সে মিটিমিটি হেসে বললো,
– “ম্যাডাম,
ভদ্রতা বুঝি একটু বেশি দেখানো হয়ে গেছে আপনার সাথে?” মিম হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
– “ওই বাবা মায়ের এই ছেলে? এই শুনুন, তারা কি রাস্তাঘাটে কুড়িয়ে পেয়েছিল না কি আপনাকে? না মানে,
চেহারা সুরত দেখে মনে হচ্ছে তো তাই। কোনো ভদ্র বাড়ির ছেলে-পেলে মনে হচ্ছে না আপনাকে দেখে।”

চলবে,,,