ভয়ংকর সে পর্ব-১০

0
196

#ভয়ংকর_সে #পর্ব_১০
#M_Sonali

চাঁদনী রেডি হয়ে এসে সামনে দাঁড়িয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে বলল,

“চলুন আমি রেডি। আমাকে তাড়াতাড়ি আমার বাবার কাছে নিয়ে চলুন। আমি আর এখানে থাকতে চাই না।”

শ্রাবণ করুন দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকাল। বেশ কিছুক্ষণ এক নজরে তাকিয়ে থেকে শান্ত গলায় বললো,

“এখন যাওয়া যাবে না। আর আধঘন্টা ঘন্টা পর নিয়ে যাব। এতক্ষণ আমার জন্য একটি কাজ করতে পারবে?”

ওর এমন কথায় কিছুটা ঘাবড়ে গেল চাঁদনী। মনে মনে ভাবল এই বুঝি তাকে মেরে ফেলবে শ্রাবণ। এতক্ষণ হয়তো মিথ্যে শান্তনা দিয়েছে তাকে। সে ভয়ে ভয়ে বলল,

“ক কি কাজ?”

“তেমন কিছু নয়। এই আধঘন্টা আমার সামনে বসে থেকে গল্প করবে। ঠিক আগের মত।”

ওর কথার উত্তরে চাঁদনী কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। ওর এসব কথায় যেমন ভয় পাচ্ছে তেমন খারাপও লাগছে। কিন্তু তবুও মনে সাহস নিয়ে বললো,

“আচ্ছা ঠিক আছে আমি গল্প করবো।”

ওর থেকে সম্মতি পেতেই শ্রাবণ খপ করে ওর হাত ধরে বসলো। তারপর ওকে নিয়ে বাইরের রুমের সোফার উপর গিয়ে বসল। চাঁদনী কিছুটা ভয় পেলেও মনে সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলো ওর সাথে। সোফার উপর বসে টেবিলের ওপর থেকে একটি আপেল নিয়ে ওর হাতে দিয়ে বলল,

“এটা খেয়ে নাও চাঁদপাখি। অনেকক্ষণ হলো কিছু খাওনি তুমি। আর আমার সাথে গল্প করো তোমার যা মন চায়।”

সে আপেলটা হাতে নিলো। কিন্তু খাবার সাহস পাচ্ছে না। তাই হাতে নিয়েই চুপচাপ বসে রইলো। ওকে আপেল হাতে চুপ করে বসে থাকতে দেখে শ্রাবণ টেবিলের ওপর থেকে একটি ছুড়ি হাতে নিল। ওর হাতে ছুড়ি দেখতেই লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল চাঁদনী চিৎকার দিয়ে কয়েকপা পিছিয়ে গেল সে। ও মনে মনে ভাবলো ওকে হয়তো খুন করার জন্য ছুড়িটা হাতে নিয়েছে সে। তার মনের কথা বুঝতে পেরে মৃদু হেসে শ্রাবণ বলল,

“ভয় পেয়ো না এটা আমি এই আপেলটা কাটার জন্য নিয়েছিলাম। কাউকে মারতে হলে আমার ছুড়ির দরকার হয়না। আচ্ছা নাও তুমি নিজেই কেটে খাও।”

এবার কিছুটা সাহস ফিরে ফেলো চাঁদনী। গুটিগুটি পায়ে ওর পাশে এসে বসে হাত থেকে ছু-ড়িটা ছো মেরে কেড়ে নিল। ওর কান্ড দেখে মৃদু হাসলো শ্রাবণ। তারপর বলতে শুরু করলো,

“জানো চাঁদপাখি, তোমাকে এখানে তুলে নিয়ে আসার একটাই কারণ ছিল আমার কাছে। আর সেটা হল আমাবস্যার রাতে তোমাকে হত্যা করে তোমার রক্ত পান করে নিজের শক্তি চিরস্থায়ী করা। কিন্তু কখনও স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে আমি কোন এক মানব কন্যার প্রেমে পড়ে যাব। আর সে হবে তুমি। যাকে আমি মেরে ফেলার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। অথচ দেখো তোমায় ভালোবেসে এতটাই ডুবে গেছি যে, এখন তোমাকে হত্যা করা তো দূর তোমার কথা কেউ মুখে আনলেও তাকে চিরতরে শেষ করে দিব। বিশ্বাস করো চাঁদ পাখি তোমাকে আমি বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। ভ্যাম্পায়ারদের কোন মন হয় না। তাদের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় না। তাদের মাঝে কোন মায়া মমতা থাকেনা। অথচ জানিনা কিভাবে তুমি সেগুলো আমার মাঝে সৃষ্টি করেছ। আমি না চাইতেও তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। তোমার ভালবাসায় অন্ধ হয়ে গেছি। সবকিছু ভুলে শুধু তোমাকে চাই আমার। আর কিছু নয়। কিন্তু তুমি যেহেতু আমাকে ভয় পাচ্ছো। আমার থেকে দূরে সরে যেতে চাইছো। আমি তোমায় মানা করবো না। কিন্তু,,,,!”

এতোটুকু বলতেই হঠাৎ চিৎকার করে উঠল চাঁদনী। সাথে সাথে রক্তের তীব্র গন্ধ পৌঁছে গেল শ্রাবনের নাকে। মুহূর্তের মধ্যে তার চোখদুটো রক্তবর্ণ ধারণ করলো। মুখের ফাঁক দিয়ে দুটো দাঁত বেরিয়ে এল। ভয়ঙ্কর চেহারার ভ্যাম্পায়ার রুপে ফিরে এলো সে। আপেল কাটতে গিয়ে বেখেয়ালে নিজের হাত কেটে ফেলেছে চাঁদনী। সেখান থেকেই গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। সেটার গন্ধেই হঠাৎ করে শ্রাবণের এত অধঃপতন। চাঁদনী ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখতেই ভয়ে চিৎকার করে উঠে কয়েক পা পিছিয়ে গেল। কান্না করতে করতে বলল,

“প্লিজ আমাকে মারবেন না। আমাকে যেতে দিন।আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করিনি। আমাকে যেতে দিন। আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমাকে মারবেন না প্লিজ।”

ওকে ভয় পেতে দেখে শ্রাবণ শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো,

“ভয় পেওনা চাঁদ পাখি। আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। আসলে রক্তের গন্ধটা এত কাছ থেকে নাকে এসে লাগায় আমার আসল রূপটা সামনে চলে এসেছে। নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি। কিছুক্ষণের মাঝেই সেটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তোমার গায়ে একটি আচরও পড়বে না। তোমার এক ফোঁটা রক্তের দাম আমার কাছে আমার জীবনের চাইতেও বেশি। ওই ঘরের ড্রয়ারে ওষুধের বক্স আছে। সেটা নিয়ে নিজের হাতটা ব্যান্ডেজ করে নাও। আমি এখানেই আছি।”

ওর কথা শুনে আর এক মুহূর্ত দেরি করল না চাঁদনী। দ্রুত হাতটা চেপে ধরে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেল। ড্রয়ার থেকে ওষুধের বক্স বের করে নিজের হাতের কাটাস্থানে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিল। কিছুক্ষণ পরেই ওর রুমে ঢুকলো শ্রাবণ। এবার স্বাভাবিক রুপে ফিরে এসেছে সে। ওকে স্বাভাবিক রুপে দেখে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো চাঁদনী।

শ্রাবণ জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,

“চলো তোমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।”

কথাটি বলে ওর দিকে ফিরে তাকাল। তার পর মুহূর্তেই ভ্যাম্পায়ারের রূপ নিয়ে নিলো। পিছন থেকে দুটি পাখা বেরিয়ে এল তার। চাঁদনী কিছুটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেল। ওকে ভয় পেতে দেখে গম্ভীর গলায় বলে উঠলো,

“ভয় পেয়ো না আমি তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যেতেই এই রুপ নিয়েছি। এদিকে আসো।”

কিন্তু চাঁদনী সাহস পেলো না। শেষে বাধ্য হয়েই সেকেন্ডের মধ্যে ওর কাছে চলে এলো। ওকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নিজের ডানা দিয়ে ঢেকে নিলো। তারপরে চাঁদনীর মনে হতে লাগল সে যেন হাওয়ার বেগে কোথাও একটা ছুটে চলেছে। ভালো করে বোঝার জন্য ওর বুক থেকে মাথা তুলে তাকাতেই দেখলো তারা যেন হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে।

প্রায় ১৫ মিনিট এভাবে ওর বুকের মাঝে থেকে উড়ে আসার পর একটি শুনশান জায়গায় এসে ওকে নিয়ে নামলো শ্রাবণ। সেখানে নামতেই চাঁদনী চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে নিল। ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকার কারণে জায়গাটা ঠিক কোথায় কিছুই বুঝতে পারছেনা সে। ওকে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে শ্রাবণ গম্ভীর গলায় বলল,

“এটা সেই জায়গা। যেখানে তোমার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল আমার। তুমি এখন ঠিক সেখানেই আছো যেখান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় কোলে তুলে নিয়েছিলাম আমি তোমায়। এখান থেকে কিছুটা হেঁটে গেলেই তোমার বাড়ি।”

কথাগুলো বলেই সামনের দিকে চোখ তুলে তাকালো। সাথে সাথে তার চোখ থেকে একটি আলোকরশ্মি বেরিয়ে সামনের পথ টুকু একদম আলোকিত হয়ে গেল। চাঁদনী চারপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারল ও ঠিক কথাই বলছে। সে এখন তার বাড়ির কাছের জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু শ্রাবণের চোখ থেকে আলোকরশ্মি বেরোতে দেখে বেশ ভয় পায় সে। তাই দ্রুত বাড়ির দিকে দৌড়ে যেতে লাগল। তখন’ই শ্রাবণ আবার উড়ে এসে তার সামনে দাঁড়াল। তার হাতটা ধরে করুন গলায় বলল,

“চলে যাচ্ছ যাও চাঁদ পাখি। আমি তোমাকে আটকাবো না। কিন্তু একটা কথা মনে রাখো তোমার হাতের এই পালকটা এক মিনিটের জন্য নিজের থেকে দুরে সরাবে না। বিশেষ করে অমাবস্যার আগে তো কখনোই না। কারণ এর আগে এটা সরালে তোমার জীবনে একটি অন্ধকার নেমে আসবে। তুমি কোনভাবেই নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে পারবে না। কথাটা মনে রেখো।”

চাঁদনী মুখে কিছু বলল না। ভয়ে ভয়ে মাথা নেড়ে সায় দিলো। তারপর আবার ওকে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে লাগল। তখন’ই পিছন থেকে করুন কন্ঠে বলে উঠল,

“আমি তোমাকে ভালোবাসি চাঁদ পাখি। সত্যিই অনেক বেশি ভালবাসি। কখনো যদি আমার কথা একটিবারের জন্য মনে হয়। যদি মনে হয় তুমি আমাকে ভালোবাসো। তাহলে ফিরে এসো। আমি তোমার অপেক্ষা করব। একটিবার আমাকে স্মরণ করে দেখো। আমি যেখানেই থাকি ছুটে চলে আসবো তোমার কাছে। তোমাকে নিজের করতে। নিজের করে নিয়ে যেতে নিজের রাজ্যে।”

কথাটি বলেই পিছন থেকে উড়ে গেল শ্রাবণ। চাঁদনী পিছন ঘুরে ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকাল। কিন্তু কোথাও তাকে দেখতে পেল না। সে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উৎফুল্ল মনে ছুটলো নিজের বাড়ির দিকে। আজ যেন নিজেকে মুক্ত পাখির মতো মনে হচ্ছে তার।

মাঝরাতের সময় দরজায় ঠাস ঠাস করে শব্দ হওয়ায় ঘুম ভেঙে গেলো রতন মিয়া ও তার মায়ের। দুজনেই নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এসে একে অপরের দিকে তাকালো। রতন মিয়ার মা ভয়ার্ত গলায় বললো,

“কি রে রতন এত রাতে কে এসেছে বলতো? আমার তো ভীষণ ভয় লাগছে। এমনিতেই এখানে মৃত্যুর মিছিল চলছে। কোন খারাপ কিছু আসেনি তো? তুই কিন্তু একদম দরজা খুলবি না বলে দিলুম।”

উনার কথার উত্তরে রতন মিয়া দরজার কাছে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,

“কিন্তু কেউতো বিপদে পড়েও আসতে পারে মা। এভাবে দরজা না খুলে দাঁড়িয়ে থাকা কি ঠিক হবে? আর তাছাড়া আমাদের কাছে তো জামাই বাবাজির দেওয়া এটা আছেই। তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তুমি দাঁড়াও আমি দেখছি।”

কিন্তু না রতনের মা দৌড়ে গিয়ে তার হাত টেনে ধরে বলল,

“নারে বাবা না, খবরদার দরজা খুলিস না। এত রাতে আবার কে আসবে শুনি। তুই বরং আগে জিজ্ঞেস কর কে এসেছে। যদি সত্যিই কোনো মানুষ হয়ে থাকে। তাহলে না হয় দরজা খুলিস।”

উনার কথায় রতন মিয়া এবার চিৎকার করে বলতে লাগল,

“কে, কে আছে বাইরে? এত রাতে কে দরজা ধাক্কাচ্ছে?”

তখনই বাইরে থেকে চাঁদনীর কন্ঠ ভেসে এলো। সে বলে উঠলো,

“বাবা দরজা খুলো। আমি তোমার মেয়ে চাঁদনী।”

ওর কণ্ঠস্বর শুনতেই যেন কেঁপে উঠলেন রতন মিয়া। তিনি দৌড়ে এসে দরজা খুলে দিলেন। সাথে সাথে চাঁদনী রুমের মধ্যে ঢুকে বাবা এবং দাদিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল। ওকে এভাবে কাঁদতে দেখে দুজনেই বেশ ঘাবড়ে গেলেন। রতন মিয়া আগে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিলেন। তারপর চাঁদনীর মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলেন,

“তুই এত রাতে কোথা থেকে আসলি মা? আর জামাই কোথায়। তুই এভাবে কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে বল। জামাইয়ের কিছু হয়নি তো?”

বাবার কথায় ভীষণ অবাক হলো চাঁদনী। কারণ সে ভেবেছিল তাকে এখান থেকে যেভাবে নিয়ে গিয়েছে শ্রাবণ। তারপর থেকে তো আর এখানে কোন খবর দেশনি। তাই সে অনুযায়ী নিশ্চয়ই তার বাবা এবং তার দাদি তাকে নিয়ে অনেক টেনশনে আছে। হয়তো তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেছে। কিন্তু বাবার কথায় তো তেমন কিছুই মনে হচ্ছে না। সে চোখের জল মুছে নিয়ে ভ্রু কুঁচকে তার বাবার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,

“এভাবে বলছ কেন বাবা? তোমার জামাই কি আমায় নিয়ে যাওয়ার পর এখানে এসেছিল?”

রতন মিয়া স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিলেন,

“আসবে না কেন, তোকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন সন্ধ্যায়’ই তো এখানে এসে ছিল। আর আসার সময় অনেক মিষ্টি এবং ফলমূলও নিয়ে এসেছিল। কিন্তু জানিস কোনভাবেই এখানে কিছু খেলো না ছেলেটা। ছেলেটা বড্ড ভালো। ওকে যখন তোর কথা জিজ্ঞেস করলাম বললো তুই অনেক ভালো আছিস। তুই নাকি ঘুমিয়েছিলি তাই নিয়ে আসেনি সাথে। আর চলে যাওয়ার আগে আমাদের এই দেখ এই পালকের মতো দেখতে জিনিসগুলো দিয়ে গেছে। আর বলে গেছে এগুলো যতক্ষণ আমাদের কাছে থাকবে ততক্ষন আমাদের কোনো বিপদ হবে না। জানিস মা সত্যি করে এটা যখন থেকে পড়েছি। তখন থেকে এখানে আর কোনো বিপদ হচ্ছে না। আমরা অনেক শান্তিতে আছি। কিন্তু তুই এত রাতে একা কোথা থেকে এলি জামাই বা কোথায়?”

বাবার কথার উত্তরে শ্রাবণের ভ্যাম্পায়ার হওয়ার কথাটা বলতে গিয়েও আটকে গেল চাঁদনী। আর কিছু বলল না সে। মাথা নিচু করে উত্তর দিলো,

“আসলে তোমাদের কথা অনেক বেশি মনে পড়ছিল বাবা। তাই এই মাঝরাতে জিৎ করেই চলে এসেছি। উনি আমাকে দরজার কাছে রেখে চলে গিয়েছেন। একটি জরুরী কাজ ছিল তো তাই।”

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,