মাই এক্স পর্ব-০৫

0
205

মাই এক্স (৫ম পর্ব)
রাজিয়া সুলতানা জেনি


পিডিএফ ফাইলটা পড়ার সাথে সাথে বুঝে গেলাম, সুমন কিভাবে ওর প্রতিশোধ নেবে। অযথাই ভাবছিলাম ছবি টবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করার প্ল্যান করছে। এমন সস্তা প্ল্যান কখনই ও করে না। ইভেন ছবিগুলো ও রেখেছে কি না, তাতেও সন্দেহ আছে। ওর প্ল্যান সম্পুর্ণ ভিন্ন। আমার সংসারে ভাঙ্গন ওর উদ্দেশ্য না, ওর উদ্দেশ্য অন্য কিছু।
দ্রুত ভাবলাম। ছ’টা বাজতে এখনও ঘন্টা চারেক দেরী আছে। যাব কি না এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মন সায় দিচ্ছে না। মন বলছে, একবার ওকে ব্ল্যাকমেইলিং করতে দিলে, ও পেয়ে বসবে। দাবীর শেষ থাকবে না। আবার উল্টোটাও ভাবছি, একবার গিয়েই দেখি না, কি বলে। বাজে কিছু বললে, তখন না হয়…।
নাহ, এতো টেনশান করার চেয়ে, শাহেদকে সব কিছু জানিয়ে দেয়া অনেক ভাল। ও রিয়াক্ট করবে, আগে কেন সবকিছু বলিনি, সেটা ভেবে কষ্টও পাবে, তবে এটাও ঠিক, ও পাশেও দাঁড়াবে। সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা হয়তো আসবে, বাট আই থিঙ্ক সময়ের সাথে সাথে সেটা সরেও যাবে। কিছুটা যদি থেকেও যায়, সেটা সামলানো খুব সমস্যা হবে না। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম।
শাহেদকে ফোন করলাম। রিং বাজছে। ঘড়ির দিকে তাকালাম। দুপুর দু’টা। অফিসের ক্যান্টিনে খায়। এখন হয়তো খাওয়া দাওয়া করছে। সবার সামনে ফোন না ও ধরতে পারে। কোন কারণে আমার ফোন ধরতে না পারলে, ফ্রি হওয়ার পরে শাহেদ রিং ব্যাক করে। তাই শাহেদকে সাধারণতঃ একবারের বেশি ফোন করিনা। বাট আজকে নিয়ম ভাঙ্গলাম। আবার রিং করলাম। সমস্যাটা বেশ জটিল। দ্রুত ওকে জানান দরকার। রিং বেজে বেজে থেমে গেল। এবারও ধরল না। মনের ভেতরে জমে থাকা ভয়টা ছলকে উঠল। ঘটনাটা কি তাহলে ঘটে গেছে?
স্পস্ট বুঝতে পারছি, আমার বিট্রেটা সুমন ভোলেনি। ঘটনাটা যখন ঘটে, আমি তখন থার্ড ইয়ারে। সুমনের সাথে প্রেমের তখন দেড় বছর হয়ে গেছে। ইনিশিয়াল উচ্ছলতা ততদিনে থিতিয়ে এসেছে। বিয়ের প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছি। সুমন মাস্টার্স দিয়েছে। ছাত্র ভাল ছিল, রেজাল্ট ভাল হবে সবাই আশা করছে। আর সেটা হলেই, ইউনিভার্সিটিতে টিচার হিসেবে ঢুকে যাবে। ছোট্ট একটা সমস্যা। ও যে দল করতে তার বিপক্ষ দল এখন ক্ষমতায়। চাইলে ওরা বাধা দিতে পারে।
ব্যাক আপ হিসেবে তাই ও একটা স্কলারশিপের জন্যও ট্রাই করছে। জাপানে। এটা রিলেটিভলি সহজ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করেই স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে যাবে। এরমধ্যে আমারও ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যাবে। এরপরের প্ল্যান ঠিক ডিসাইডেড না। হয় পুরো পিএইচডি কমপ্লিট করে আসবে আর নয়তো কোন একফাঁকে দেশে ফিরে এলে আমাদের বিয়ে হবে।
এমন সময় দুর্ঘটনাটা ঘটল। ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে, অনেক শত্রু তৈরি করেছিল। শত্রু নিজের দলের সাবগ্রুপেও যেমন ছিল, অন্য দলেও ছিল। সরকারে তখন ওর প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল। ওরা বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট শুরু করল। ছাত্র গ্রুপটা আন্দোলনে গেল। সুমনও মিছিল মিটিং শুরু করে। এমনভাবে কিছুদিন চলার পরে একদিন সরকার ফাইনাল অ্যাকশানে গেল। টার্গেট করে প্রমিন্যান্ট নেতাদের অ্যারেস্ট শুরু করল। ওকে একটা আর্মস কেসে ফাঁসানো হল। শত্রু নিজ ঘরেই ছিল, তাই শক্ত কেস তৈরি করতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। ওর রুমে রিভলভার আর গ্রেনেড পাওয়া গেল।
কোর্ট কেস শুরু হল। পুলিশ রিমান্ড চাইল। পেয়ে গেল। সেখানে সম্ভবতঃ বেশ ভালোই টর্চার করে। শর্ত দেয়, দোষ স্বীকার করতে হবে, নইলে…। উপায় ছিল না। ওর দল থেকেও নির্দেশ দেয়া হল, আপাততঃ বেঁচে থাকবার জন্য, যা বলছে সেটাই যেন করে। তাই শর্ত মেনে নিল। শুরু হল ওর জেল জীবন।
আমার তখন পর্যুদস্ত অবস্থা। কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ওর দলের যে দুএকজন নেতার সাথে কিছুটা পরিচয় ছিল, তাদের সাথে দেখা করে সুমনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইতাম। উনারা জানালেন, তেমন হোপ নেই। অন্ততঃ এই সরকারের আমলে তো কিছু করার স্কোপ নেইই। দোয়া কর যেন ক্রসফায়ারে না ফেলে।
এদিকে আমার একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব আসছে। কিছু মা না বলে দিচ্ছেন কিছু আমি। কখনও পরীক্ষার কথা বলে কখনও ‘আরও পড়তে চাই’ বলে এড়িয়ে যাচ্ছি।
বাবা কিংবা মা, বিয়ের জন্য সেভাবে জোর করছেন না, কারণ সুমনের ব্যাপারটা বাসায় জানিয়েছি আগেই। প্রেম বলিনি, বলেছি আমাকে পছন্দ করে। টিচার হলে তখন প্রস্তাব পাঠাবে। বাবা মাও বুঝছেন, আমি আসলে সুমনের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। আর সুমনের কেসটা উনারা ভেবেছিলেন দ্রুতই একটা নেগোশসিয়েশান হয়ে যাবে। তাই প্রথম প্রথম কেউই সেভাবে কিছু বললেন না।
আর তাছাড়া বাবা আমার পক্ষে ছিলেন। মেয়ে যা চায়, তাই হবে। মা অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ে খুশি ছিলেন না। ‘এমন পলিটিক্স করা ছেলের কি কোন ভবিষ্যৎ আছে?’ কিন্তু বিরক্ত ফিল করলেও বাবার জন্য মুখে কিছু বলতেন না। ব্যাপারটা যখন মাস ছয় পেরোল, তখন একদিন বুঝতে পারলাম বাবাও বিরক্ত হতে শুরু করেছেন।
সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছিল, আমিও ভয় পেতে শুরু করি। কিছুটা সুমনের জন্য আর কিছুটা নিজের জন্য। এরপরে দ্বিধাগ্রস্থ হতে থাকি। ঠিক করে উঠতে পারি না, কি করব? সুমনের জন্য অপেক্ষা করব? করলে কতদিন? পরের ইলেকশান আসতে এখনও তিন বছর বাকী। এই সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ওকে যে বেরোতে দেবে না, এটা ততোদিনে বুঝে গেছি। ওর দল থেকে চেস্টা করছে, কিন্তু পারছে না। ওরাও বুঝে গেছে, লাভ নেই। একটা না একটা কেসে ফাঁসিয়ে দেবেই। জেলে একবার সুমনের সাথে দেখা করতেও গিয়েছিলাম। সুমনই বলল, এখানে আর এসো না।
ফাইনালের তখনও মাস ছয়েক দেরী। ঠিক এমন সময়ে শাহেদের বিয়ের প্রস্তাবটা আসে। সুমনের ব্যাপারটা অফিশিয়ালি কাউকে না বললেও বান্ধবীরা অনেকেই বিশ্বাস করত, উই আর পেয়ার। তাঁরা প্রায় সবাই একবাক্যেই বলল, সুমনের আর কোন ভবিষ্যৎ নেই। ওর জন্য অপেক্ষা করার কোন মানে হয় না।
বাসায়ও অবস্থা পরিবর্তন হতে লাগল। সুমনের ব্যাপারটায় শুরুতে আপত্তি না থাকলেও এখন ঘোর আপত্তি শুরু হয়ে গেছে। রাজনীতি করা ছেলে, কোন ভবিষ্যৎ নেই। আর জেল থেকে বের হওয়ার তেমন কোন লক্ষণ না দেখে, বিরোধিতা চরমে উঠল। বাবা মা অবশ্য সরাসরি কিছু বললেন না। বিয়ের জন্য ইমোশানাল প্রেসার দেয়া শুরু করলেন।
ব্যাপারটা হয়তো পরীক্ষার কথা বলে আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা যেত। বাধ সাধল শাহেদ। আমাকে ওর দারুণ পছন্দ। বিয়ের প্রস্তাবের উত্তরে যখন জানানো হল, ‘সামনে পরীক্ষা’ তখন ও জানাল সে প্রয়োজনে ফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ইউনিভার্সিটিতে একদিন আমার সাথে দেখাও করল। বেশ হ্যান্ডসাম। ভাল লেগে গেল। আমার আচরণে বোধহয় কিছু ছিল। দেখা গেল কিছুদিনের ভেতরেই ওর বাসা থেকে অফার আসল, আপাততঃ এনগেজমেন্ট করে রাখতে চায়। ব্যাপারটা বাবারও পছন্দ হল। বাধা দেয়ার তেমন কোন কারণ দেখাতে পারলাম না, বা অনেস্টলি স্পীকিং, দেখালাম না। হয়তো তখন মন মনে শাহেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এমন অবস্থায় যা হয়, পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে নিজেকে সান্তনা দিলাম। বললাম, জীবন আবার নতুন করে শুরু করব।
এদিকে মা প্রায় প্রতিদিনই জিজ্ঞেস করেন, ‘কি ঠিক করলি’। বুঝলাম, এই পাত্র কেউই হাতছাড়া করতে চাইছে না। ভাল ছেলে, দারুণ প্রসপেক্ট। এমবিএ করা। ভাল একটা কোম্পানীতে ম্যানেজার। অচিরেই সিনিয়র ম্যানেজার হবে। মামা খবর নিয়ে এসে জানালেন, ফ্যামিলিও ভাল।
এমন সময় একদিন নিউমার্কেটে শাহেদের সাথে দেখা। অফার করল, একসাথে কফি খেতে আপত্তি আছে কি না। আপত্তি করলাম না। কাছেই একটা কফি হাউজে গেলাম। বেশ খানিকক্ষণ আলাপও হল। খারাপ লাগল না। জানতে চাইল, মাঝে মাঝে ফোন করলে বিরক্ত হব কি না। ‘জানি না’ বলে বুঝিয়ে দিলাম, অমত নেই।
মাঝে মাঝে মোবাইলে ফোন আসতে লাগল। একসময় ফিল করলাম, শাহেদকে পছন্দ করতে শুরু করেছি। শাহেদের সাথে যে আলাপ পরিচয় হয়েছে, ব্যাপারটা সম্ভবতঃ শাহেদ ওর বাসায় জানায়। সেই সুবাদে দেখা গেল আমাদের বাসায়ও সবাই জানে। মা প্রায় প্রতিদিনই জানতে আসে, বলে, ‘আলাপ পরিচয় তো হয়েছেই, এখন আর অমত করছিস কেন?’
একসময় বুঝতে পারলাম, আমার নিজের ভেতরও প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ছে। আগের মত আর কড়া করে প্রতিবাদ করতে পারছি না। একদিন যখন মা জানাল, ‘এনগেজমেন্টের জন্য ওরা আসতে চাচ্ছে, কি বলব?’ তখন আর প্রতিবাদ করলাম না। এনগেজমেন্টে মত দিয়ে দিলাম।
রাজনীতি করত বলে, সুমনের সাথে প্রেমের ব্যাপারটা ডিসক্লোজ করিনি। প্রেমের ব্যাপারটা জানাজানি হলে ছাত্র সংসদ ভোটে মেয়েদের ভোট কমে যাবে, তাই প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। অনেকে সন্দেহ করলেও ডেফিনিটভাবে কেউই জানত না। লেডিস হোস্টেলে আসত, তবে মাঝে মাঝে। প্রেমটা আবছা রাখার জন্য অনেক মেয়ের সাথেই ও আলাপ করত। একসাথে নিচে দাড়িয়ে গল্প করতাম খুব কম। বান্ধবীদের কাছে ব্যাপারটা ‘সন্দেহ’ কিংবা ‘স্বীকার না করলে কি হবে, আমরা ঠিকই বুঝি’ টাইপ অবস্থায় ছিল।
সময় এগিয়ে গেল। একসময় ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হল। ততোদিনে আমি অনেকটাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। বিয়ের ব্যাপারে আর তেমন আপত্তি করিনি। বিয়ে যখন হয়, তখনও সুমন জেলে। একবার ভেবেছিলাম, ওর সাথে দেখা করে আমার পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে আসি। সাহসে কুলায়নি। ওর সামনে দাঁড়াতে অস্বস্তি লাগল। সুমনের সাথে তাই আর দেখা করিনি।
কাজাটা ঠিক করেছিলাম কিনা জানি না, তবে আজ, এতোদিন পরে শুরু হতে যাচ্ছে সেই ঘটনার কনসিকোয়েন্স। পুরো প্ল্যান করেই সুমন মাঠে নেমেছে। ও এমনই। ঠান্ডা মাথার খুনী। রাগের মাথায় ও কিছু করে না। প্ল্যান কষে, এরপরে সুযোগমত নিজের প্ল্যান এক্সিকিউট করে। মনে আছে, খোকন ভাই, মানে যে ছেলেটা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে হুমকি দিয়েছিল, নিজের দলের হওয়া সত্ত্বেও সে ছেলেটাকে ও একটা আর্ম কেসে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল। পার্টিতে যেই ওর রাইভাল হয়ে উঠত, তাকেই ও কোন না কোন ভাবে ফাঁদে ফেলে সরিয়ে দিত। যেটা কখনও ভাবিনি, তা হচ্ছে, কোন একদিন আমিও হতে পারি ওর প্রতিশোধের টার্গেট।
কি করব? দেখা করতে যাব ছ’টার সময়? দেখা করে কি বলব? পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললে কি ও বুঝবে? আচ্ছা, যদি অনুরোধ করি, যা হওয়ার হয়েছে, প্লিজ সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু কর, শুনবে?
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল। আমার ফোনটা। শাহেদ রিং করেছে। ফোনটার দিকে তাকালাম। বুক ধকধক করছে। কি খবর দেবে শাহেদ? কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে উদ্বিগ্ন আওয়াজ শোনা গেল
— কি ব্যাপার? এনিথিং রং?
এক মুহুর্তের জন্য মনে হল, বোধহয় ঘটেনি ঘটনাটা। আমিই ওভার রিয়াক্ট করছি। গলা যতটা সংযত করা সম্ভব, করে বললাম
— কেন? ফোন করতে পারি না?
— দুবার করেছিলে, তাই জানতে চাইছি, এনি ইমার্জেন্সি?
কি বলব? ব্যাপারটা জানতে চাইব? জানতে চাইলেই জিজ্ঞেস করবে, আমি কিভাবে জানলাম। কিন্তু সেটা ফোনে বলতে চাইছি না। সুমনের ব্যাপারটা ওকে আজই বলব। তবে সেটা ফোনে বলার মত বিষয় না। এটা নিয়ে ওর সাথে সামনাসামনি আলাপ করতে চাই। কিন্তু ব্যাপারটাও জানা দরকার। কি বলব ভাবছি এমন সময় শাহেদই আবার বলল
— আজ কি রান্না করেছ?
— চিংড়ি।
— গুড। আমি আসছি।
হঠাৎ বুকে ধক করে উঠল। এক মুহুর্তের জন্য মনে হল, ঘটনাটা বোধহয় ঘটে গেছে। ভয়ে ভয়ে কথাটা জানতে চাইলাম।
— অফিস?
— আজকে ছুটি নিচ্ছে। চিংড়ি ছুটি।
অর্থাৎ বলবে না। জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। ওকে চিনি। জিজ্ঞেস করলে উদ্ভট কোন এক্সকিউজ দেবে। তাই উত্তরে বললাম
— ঠিক আছে। এসো।
কথা আর না বাড়িয়ে ফোন রাখলাম। শাহেদকে যতটা চিনেছি, ঘটনাটা ঘটে থাকলেও, ব্যাপারটা ও আমাকে জানাবে না। অন্ততঃ এখন না। জানাবে, এমন সময় জানাবে, যখন ব্যাপারটা আর টেনশানের থাকবে না, বয়া সহজ করে বললে ঘটনাটার জন্য আমি টেনশান করব না, তখন।
শাহেদের সাথে কথা শেষ করে, কেবল ভাবতে যাব, ‘এখন কি করা যায়?’ এমন সময় সুমনের পাঠানো ফোনটায় ম্যাসেজ আসল। সেদিকে তাকালাম না। সুমনের রিভেঞ্জের আউটলাইন আমি ধরে ফেলেছি।
আই নিউ ইট ফর সিওর, ঐ মোবাইলে এক লাইনের একটা ম্যাসেজ এসেছিল। লেখা ছিল
‘হি ইজ স্যাকড।’

চলবে