লাল_গোলাপ
লেখিকা মিতু
পর্বঃ ০২
সবাই ওর দিকে তাকায়। কিন্তু সবার মাঝে নিশান আর একটা মেয়ের চোখ একে অপরের দিকে আঁটকে যায়। নিশানের সব মনে পড়ে। আর মেয়েটা হঠাৎই আস্তে করে ওর ফ্রেন্ডের পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়। নিশান যে কিছু বলবে তাও বলতে পারছে না। ফারহান বলে উঠে,
– নিশান দোস্ত দেখ, আমার খালার মেয়ে রুমি এবার আমাদের ভার্সিটিতেই ভর্তি হয়েছে। এই রুমি…কিরে ওখানে কি করছিস?? এদিকে আয়।
রুমি সামনে এসে বলে,
– জি ভাইয়া??
ফারহান হাসি দিয়ে বলে,
– এই হলো নিশান যার কথা এত্তোক্ষন তোদের বলছিলাম।
ফারহানের কথাটা শেষ করতে দেরী হয়নি আর রুমির বান্ধবীরা একপ্রকার নিশানের উপর ঝাপিয়েই পড়ে ফ্রেন্ডশিপ করার জন্য। কারণ নিশান বেশ সুন্দর হ্যান্ডসাম একটা ছেলে। ফর্সা মুখ, চাপ দাঁড়ি, বড় ঘন কালো সিল্কি চুল আর সিক্স প্যাক বডি। নিশান জিম করায় ওর বডি কাটিং পুরো ভার্সিটির মধ্যে আকর্ষনীয় ছিল। আর সবাই ওকে ভয়ও পায়। কারণ ও একাই ৫০ জনকে মেরে ভূত বানানোর ক্ষমতা রাখে।
নিশানকে রুমির বান্ধবীরা যখন ওকে ঘিরে রেখেছিল তখন নিশানের চোখ শুধু রুমির উপর। নিশান রুমির সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু পারছেই না। রুমি অন্যদিকে ফিরে তাকিয়ে আছে। নিশান ফারহানের দিকে তাকিয়ে রাগী ভাবে ইশারা করে। ফারহান বুঝতে পেরে,
– আচ্ছা হয়েছে হয়েছে। এবার তোমরা ক্লাসে যাও।
রুমির বান্ধবীদের সাথে রুমিও চলে যেতে নিলে নিশান পিছন থেকে রুমিকে ডাক দেয়। রুমি দাঁড়িয়ে যায়। নিশান রুমির কাছে গিয়ে বলে,
– তোমরা যাও। আমি একটু ওর সাথে কথা বলি।
রুমির ফ্রেন্ডরা রুমির দিকে হিংসামিশ্রিত চাহনি দিয়ে চলে যায়। কারণ ওরা রুমির চেয়ে অনেক সুন্দর ছিল। রুমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ। নিশান এবার আস্তে করে বিনয়ের সাথে বলে,
– একটু কথা বলা যাবে তোমার সাথে ওদিকে গিয়ে??
রুমি নিশানের মুখে আচমকা এরকম কথা শুনে ঘাবড়ে যায়। আর বলে,
– না না। যা বলার এখানেই বলুন।
নিশান ফারহানের দিকে তাকায়। ফারহান কাছে এসে বলে,
– আরে যাও সমস্যা নেই। ও কথা বলবে শুধু।
রুমি না চাওয়া স্বত্তেও নিশানের সাথে একটা খালি জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়। রুমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। নিশান আশেপাশে তাকিয়ে দ্রুত কণ্ঠে বলে,
– দেখ আমার সব মনে পড়েছে বললে ভুল হবে। আমি শুধু জানতে চাই আমি কি তোমার সাথে গতকাল খারাপ কিছু করেছি?? প্লিজ বলো না??
রুমি মাথা নিচু করে আছে। কিছু বলছে না।
– প্লিজ চুপ করে থাকবে না বলো। আমি আসলে কাল মাতাল ছিলাম। আমার নিজ থেকে কিছুই করিনি। প্লিজ বলো।
নিশান রুমিকে খুব শান্তশিষ্ট ভেবেছিল এতোক্ষন পর্যাবেক্ষন করে৷ কিন্তু রুমি যে এমনও হতে পারে তা ও স্বপ্নেও ভাবে নি।
রুমি মাথা তুলে নিশানের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বলে,
– আমাদের মেয়েদের পেয়েছেন কি আপনারা?? খেলনা?? আপনারা নেশা করে তার তেজ আমাদের নষ্ট করে বের করবেন?? আমরা কি হাতের মোয়া?? নিজেদের পুরুষত্ব খাটিয়ে আমাদের ভোগ করবেন। মাতাল হবেন নেশা করবেন আর সব আমাদের উপর দিয়ে চালাবেন?? একটা মেয়েকে আপনি ভাবেন কি?? নিজেদের চাহিদা পূরণ করার পাত্র?? কাল কীভাবে আমাকে ধরেছিলেন আপনি!! আমার চিন্তা করলেও গায় কাঁটা দিয়ে উঠে। এই আপনাদের মতো ছেলেদের জন্যই মেয়েরা পথে ঘাটে ধর্ষিত হয়। কাল একটুর জন্য আমিও ধর্ষিতা হয়নি। আল্লাহ বাচিঁয়েছেন। আপনাকে দেখে মনে চাচ্ছিল কষিয়ে একটা থাপ্পড় দি। বড় বলে কিছু বলতে পারলাম না। নাহলে…
নিশান একদম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ভুলটা ওর বন্ধুদের। ও আগে কখনো ড্রিংক করেনি। কিন্তু ওর বন্ধুরা গতকাল জোরপূর্বকই ওকে ড্রিংক করায় যার ফলে ও এই ভুলটা করে ফেলে। নিশানের খুব রাগ হচ্ছে। তাও রাগটা গিলে আস্তে করে বলল,
– আমি সরি। আমি ইচ্ছা করে করিনি।
– সরি বললেই কি সব সমাধান হয়?? আমার যে ক্ষতিটা আপনি কাল করতে নিয়েছিলেন তা কি শুধু একটা সরিতেই হয়ে যেত??
– তুমি চাইলে আমাকে একটা না যে কয়টা খুশী থাপ্পড় দিতে পারে। নেও দেও থাপ্পড়।
– আমি এরকম মানুষদের গায়ে হাতও দিনা। অাসি।
বলেই রুমি চলে যায়। নিশান সেখানেই চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। রাগে গা’টা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। শেষমেশ একটা মেয়ের কাছে নিজের সম্মানটা চলে গেল!! নিশানকে রাগীভাবে বেশ ভয়ানক লাগে। নিশান ওর বন্ধুদের কাছে এসে বলে,
– তোদের মতো বন্ধু থাকা আর না থাকার সমান। তোদের জন্য আজ আমি একটা মেয়ের কাছে এত্তো অপমানিত হলাম। আর কখনো তোরা আমার সামনে আসবি না।
নিশানের ফ্রেন্ডরা সব আকাশ থেকে পড়ে। ওরা সবাই সক খায়। ওরা বুঝতেই পারছে না কি হয়েছে। নিশান ভার্সিটি থেকে বের হতে নিলে ফারহান এসে নিশানকে থামায়।
– কি হয়েছে দোস্ত?? তুই রুমির সাথে কথা বলতে গিয়ে এমন হয়ে গেলি কেন??
– কারণ রুমিই সেই মেয়ে যাকে গতরাতে আমি ধর্ষণ করতে চেয়েছিলাম। সব দোষ আমার। আর কথাই বলবো না তোদের সাথে। আজ তোদের জন্য আমার সেল্ফ রেস্পেক্টটা শেষ।
নিশান ফারহানকে রেখে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যায়। ফারহানের কাছে ওর বাকি বন্ধুরা মানে, মিহান, ওমি আর রুপম দৌঁড়ে আসে। ওমি বলে,
– দোস্ত নিশানের কি হয়েছে ও এমন করলো কেন??
রুপম বলে,
– ওতো আগে কখনো আমাদের সাথে এভাবে কথা বলে নি।
এবার ফারহান রাগী ভাবে বলে,
– তোদের একশো বার না করে ছিলাম নিশানকে ওসব খাওয়াস না। ওতো খেয়ে রুমির সাথে খারাপ কিছু করতে চলেছিল। হয়তো করেনি। তাই রুমি ওকে মনে হয় কিছু বলেছে।
মিহান বলে,
– কি বলিস দোস্ত এতো কিছু হয়েছে। এখন?? ও তো অনেক রেগে আছে।
– এখন আর কি। আগে রুমিকে বুঝাই। তারপর নিশানের কাছে তোরা সবাই মিলে মাফ চাবি। (ফারহান)
– দোস্ত এখনই যাই??(রুপম)
– নাহ। এখন ও অনেক রেগে আছে। পরে। (ফারহান)
রুমি ক্লাস শেষ করে বের হতেই ফারহান রুমির কাছে গিয়ে বলে,
– রুমি এদিকে আয় তোর সাথে কথা আছে।
– উনার কথা বললে কিচ্ছু শুনবো না।
– আরে আগে শুনতো।
– কি বলো??
– চল ক্যানটিনে বসি তারপর সব বলছি।
– আচ্ছা।
এরপর ফারহান রুমিকে সব বুঝিয়ে বলে। নিশান কেমন, ওর আচরণ কেমন সব।
– ও খেতে চায়নি বুঝলি আমরাই জোরকরে ওকে খাইয়েছি। যার জন্য ও মাতলামি করে কিনা কি করে ফেলল।
– ভাইয়া আমিতো ওনাকে খুব বকা দিয়ে ফেলেছি। অনেক বকা দিয়েছি। উনি তাও আমাকে সরি বলেছেন।
– দেখেছিস?? ও খারাপ হলে তোকে সরি বলতো বল??
– এখন??
– এখন ওর রাগ নামাতে হবে। দেখা হলে ওকে তুই সরি বলে দিস।
– আচ্ছা ভাইয়া বলবো। সিট আমি তো উনাকে কিছু বলতেই দেইনি। কীসব বললাম উনাকে। ধুর।
– ও খুব কষ্ট পেয়েছে। আমাদেরকে বলেছে আর ওর সামনে যেতে না। ভাবতে পারিস??
– ওনার কাছে আমি মাফ চাবো। না জেনেই কত কিছু বলে ফেলেছি।
– হ্যাঁ বোন মাফ চাস প্লিজ। আমাদের জন্যই ও তোর সাথে এমন কিছু করেছে।
– আচ্ছা চাবো।
এরপর ৩/৪ দিন আরো কেটে যায়। নিশান ওর ফোন অফ করে সম্পূর্ণ একা হয়ে বাসায় বসে থাকে। ওর বন্ধুরা আর না পেরে সবাই নিশানের বাসায় যায়। বেল দিতেই নিশানের মা দরজা খুলে৷ ফারহান বলে,
– আন্টি নিশান কি বাসায়??
~ হ্যাঁ বাবা। উপরে ওর রুমে। বলল ভার্সিটি নাকি অফ তাই বাসায়ই আছে।
– আচ্ছা আন্টি আমরা তাহলে উপরেই যাই।
– আচ্ছা যাও। দেখো তো ওর কি হইছে। কেমন রেগে আছে। কারো সাথে কথা বলে না।
– জি আন্টি যাচ্ছি এখনই। এই তোরাও আয়।
সবাই ভয়ে ভয়ে উপরে যায়। নিশানের রুমের কাছে গিয়ে দরজাটা হাল্কা সরিয়ে দেখে, নিশান রাগী ভাবে টিভিতে গেইম খেলছে। ওমি নিশানকে দেখে বলে,
– ভাই তোরা যা আমার ভয় করছে। ও অামাদের ওর সামনে যাইতে না করছে। যদি যাই তাইলে ও মারবে দোস্ত।
মিহান পাশ থেকে আস্তে করে বলে উঠে,
– দোস্ত নিশানের রাগ অনেক খারাপ। পরে কি না কি করে তার চেয়ে চল ফিরে যাই।
রুপম বলে,
– ঠিক বলেছিস ভাই। দেখ কী রাগী ভাবে গেইম খেলছে। মনে হয় গেইমের ভিতরে আমাদেরই মারতাছে।
ফারহান এবার মুখ শক্ত করে বলে,
– তোদের আসলেই মার দেওয়া উচিৎ। আচ্ছা তোরা কি চাস না নিশান আবার আগের মতো হোক??
– চাইতো দোস্ত। (সবাই)
– তাহলে শোন তোদের বুদ্ধি শিখিয়ে দিচ্ছি ঠিক সেটাই করবি। তাহলে হয়তো নিশানের রাগ কমবে।
– কি বুদ্ধি দোস্ত। (সবাই)
– তাহলে শোন।
ফারহান এর বুদ্ধি শুনে ওরা নিজেরাই বুদ্ধু হয়ে যায়। মিহান বলে,
– এতে কাজ হবে দোস্ত??
– ট্রাই তো কর??
– তুই করবি না আমাদের সাথে??
– আমি কি তোদের সাথে ছিলাম নাকি!! তোরাই এই কান্ড করেছিস তাই তোরাই এখন এর মাশুল দিবি। যা তাড়াতাড়ি যা৷
ওমি বলল,
– যাই দোস্ত। কোন ভুল করে থাকলে মাফ করে দিস।
ফারহান হাসি চেপে বলে,
– আগে এখন যে ভুল করেছিস তা ঠিক কর যা।
রুপম বলে,
– আয় বন্ধুরা হয়ে যাক। যা আছে কপালে।
নিশান থেকে টিভির মাঝে বেশ দূরত্ব। টিভি আর নিশানের মাঝে হঠাৎই ওর তিন শয়তান বন্ধু ওমি, রুপম আর মিহান এসে কান ধরে দাঁড়িয়ে উঠবস করছে আর বলছে,
– আমরা আর জীবনে কখনো এমন করবো না। দোস্ত কান ধরে বলছি আমাদের মাফ করে দে৷
ওরা এভাবে বলছে আর উঠবস করছে। নিশানের প্রচুর হাসি পাচ্ছে। খুব কষ্টে হাসি চেপে রেখেছে। কিন্তু যেই ফারহানের দিকে তাকায় ফারহান ও নিশানের দিকে তাকায় দুইজনই অট্টো হাসিতে ভেঙে পড়ে। সেকি হাসি। বাকি তিনজন ফ্রেন্ড এসে নিশানকে জড়িয়ে ধরে। আর মন থেকে মাফ চায়। নিশান ওদের মাফ করে দিয়ে বলে,
– ভাই তোদের যা লাগছিল না। হাহা। মনে হচ্ছিলো তিনটা বান্দর উঠবস করছিল। হাহাহা।
মিহান বলে,
– দেখছছ ফারহান ও আমাদের কি বলে??
– আরে মজা করতাছে। দোস্ত, কাল কিন্তু ভার্সিটি আসবি। রুমি তোকে কিছু বলবে।
নিশান মুখ ভার করে বলে,
– না দোস্ত ওর সাথে আর কথা বলার কোন ইচ্ছা আমার নেই। অনেক কিছু শুনছি আর না।
– আরে জাস্ট একবার মিট করিস। আমার রিকোয়েস্ট।
– আচ্ছা যা করবো নে।
– থ্যাংকস দোস্ত।
– এই আইডিয়াটা তোর ছিল তাইনা??
ফারহান মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে।
– শালা ভালো হবি না। চল ঘুরে আসি। রাগে বাসায় বসে শরীর ঝিম দিয়ে আছে। চল আজ তোদের জিম করাবো। আমাকে অনেক প্যারা দিয়েছিস। চল তোদের শরীরের মাসল গুলো একটু চালু করি।
এরপর জোর করেই সবাইকে নিয়ে নিশান জিম করতে চলে যায়।
পরদিন সকালে ভার্সিটিতে,
নিশান আর ওর বন্ধুরা ক্লাস করে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। হঠাৎই নিশানের পিছনে থেকে কেউ খুব সুন্দর কণ্ঠে বলে উঠলো,
– নিশান ভাইয়া…
নিশান পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে রুমি। নিশান রুমির কাছে গিয়ে বলে,
– হুম বলো।
– একটা কথা ছিল আমরা ওদিকটায় একটু যেতে পারি??
– হুম চলো।
নিশান আর রুমি একসাথে হেঁটে হেঁটে ক্যানটিনের দিকে গেল। রুমি দেখলো অনেক মেয়ে ওদের দিকে কীভাবে যেন তাকিয়ে আছে। তাদের দেখে মনে হচ্ছে তারা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। নিশানকে নিয়ে রুমি ক্যানটিনের একটা ফাঁকা জায়গায় বসল। রুমি মাথা নিচু করে আছে। নিশান বলে,
– কি হলো তুমি এরকম বসে আছো কেন?? কিছু বলবে না??
রুমি এবার মাথা তুলে বলে,
– হ্যাঁ বলব তো। আসলে ভাইয়া সেদিন না জেনেই আপনাকে রাগে কত কিছু বলে ফেলেছি। প্লিজ আপনি আর রাগ করবেন না। আমাকে মাফ করে দিন। আমি না বুঝেই রাগের মাথায় উল্টা পাল্টা বলে ফেলেছি। সরি। আর কখনো এমন হবে না।
নিশান একটু নড়েচড়ে বসে হঠাৎই মুখটা শক্ত করে রাগী ভাবে বলে,
– তুমি পাইছটা কি হ্যাঁ?? গতকাল যা ইচ্ছা আমাকে বলছ!! আমি রাস্তার ছেলে?? আমাকে কি রাস্তার ছেলে মনে হয়?? আমি গতকাল বলেছিলাম তোমাকে যে, আমি ইচ্ছা করে করিনি। তাও আমাকে ধর্ষক আরো কতো কিছু বলছ। তুমি কি করে ভাবলে তোমার মতো মেয়েকে আমি মাফ করে দিব?? কোন মাফ নাই। থাকো এখানে বসে। পঁচা মেয়ে একটা। আর কখনো আমার সামনে আসবে না।
বলেই নিশান উঠে যায়। রুমি পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ভাষা হারিয়ে ফেলেছে রুমি। ও কল্পনা তো দূরের কথা স্বপ্নেও ভাবে নি এমন কিছু হবে। রুমির চোখ থেকে অজান্তেই টপটপ করে পানি ঝরছে। এ কি হলো?? এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। রুমি যেন পাথর হয়ে গিয়েছে।
চলবে…