#শুধু_তোমারই_জন্য
#পর্ব_৩
#Ornisha_Sathi
ছাদের রেলিঙের উপরে বসে দু পা ঝুলিয়ে কানে ইয়ারফোন গুজে গান শুনছিলো আনিতা। এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন আনিতাকে হালকা ভাবে ধাক্কা দিয়ে আবার ধরে ফেলে। আনিতা ভয়ে মৃদু চিৎকার করে উঠে। পিছনের মানুষটি আনিতাকে ছেড়ে দিতেই আনিতা রেলিং থেকে নেমে পেছনে ঘুরে দেখে ওর আরেক বেস্টু আরোহী কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আনিতাদের বাসার তিনটা বাসার পরই আরোহীদের বাসা। আরোহী পড়াশুনা করে না বিয়ে হয়ে গিয়েছে কিন্তু বাবার বাসাতেই থাকে। একে অপরের কলিজার বন্ধু কেউ কাউকে ছাড়া এক মূহুর্ত থাকতে পারে না। আনিতা আরোহীকে তাড়া করলেই আরোহী দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে যায়। পেছন পেছন আনিতাও নেমে যায়।
আরোহী দৌড়াচ্ছে আর আনিতা ওর পিছু ওকে তাড়া করে যাচ্ছে। আরোহীর সামনে হুট করেই আহিয়ান আর তন্ময় এসে যাওয়াতে আরোহী খুব কষ্টে ব্রেক কষে নেয়। আই মিন দৌড় থামিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আরোহী কে থামতে দেখে আনিতাও থেমে যায়। আরোহী একবার পিছনে তাকিয়ে আনিতাকে দেখে আবারো দৌড় লাগায়। আনিতা দৌড়ে আহিয়ান আর তন্ময়কে ক্রস করবে এমন সময় আহিয়ান তন্ময়কে বলে,
–“ধানী লঙ্কাকে যখনই দেখি তখনই এভাবে ছুটাছুটিই করে। এই মেয়ে ক্লান্ত হয় না রে?”
আহিয়ানের কথা শুনে আনিতা দৌড় থামিয়ে আহিয়ানের সামনে এসে দাঁড়ায়। আনিতা ডান হাতের শাহাদাত আঙুল আহিয়ানের সামনে উঁচু করে ধরে বলে,
–“এই আপনি আমাকে কি বললেন? আমি ধানী লঙ্কা? আপনার সাহস তো কম নয় আমাকে ধানী লঙ্কা বলেন। ফাইয়াজ ভাইয়ার বন্ধু বলে ভাববেন না আপনাকে আমি ছেড়ে কথা বলবো।”
আহিয়ান আনিতার উঁচু করা আঙুলটা ধরে আনিতার দিকে কিছুটা ঝুকে। তা দেখে আনিতা কিছুটা পিছন দিকে হেলে যায়। আহিয়ান আরো কিছুটা ঝুকে আনিতার দিকে। আনিতা আবারো পিছন দিকে হেলে যায়। আর একটু হলেই আনিতা ধপাস করে মাটিতে পড়ে যাবে। আনিতা একবার মাথা ঘুরিয়ে পিছনে তাকিয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে। আনিতা এবার আহিয়ানের দিকে তাকাতেই আহিয়ান বলে,
–“আমার সাহসটা বরাবরই একটু বেশি। এখনো তো সাহসের কিছুই দেখো নি।”
কথাটা বলে আহিয়ান আনিতার হাত ধরে টান দিয়ে আনিতাকে সোজা করে দাঁড় করায়। তারপর আবার একপলক আনিতার দিকে তাকিয়ে পকেটে হাত গুজে শিস বাজাতে বাজাতে চলে যায়। তন্ময় আনিতার সামনে এসে দাঁড়াতেই আনিতা রেগে তন্ময়কে বলে,
–“তোমার বন্ধুকে আমি একদিন মাথায় তুলে আছাড় মারবো দেখো।”
–“বিশ্বাস করো আমিও সেটাই চাই। তুমি ওকে তুলে একটা আছাড় মারো এতে ওর হাত পা ভেঙে যাবে মাস খানেক বিছানা থেকে উঠতে পারবে না। এমন হলে আমার থেকে বেশি খুশি আর কেউ হবে না সত্যি বলছি বিশ্বাস করো। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকে যায় আমার।”
–“কি প্রশ্ন?”
–“আমার বন্ধুকে তুমি মাথায় তুলে আছাড় মারতে পারবে তো? মানে আমি বলতে চাচ্ছি তুমি ওকে দুহাতে তুলতে পারবে তো?”
–“তন্ময়।”
আনিতা কিছুটা রেগেই তন্ময়ের নাম ধরে ডাকে। আনিতাকে রাগিয়ে দিয়ে তন্ময় এবার মুখ টিপে হাসছে। তা দেখে আনিতা তন্ময়কে মারতে গেলেই তন্ময় দৌড় লাগায়। আরোহী আনিতার কাঁধে হাত দিয়ে আফসোসের সুরে বলে,
–“ইশ্ ওকেও কিছু করতে পারলি না বুঝি?”
আনিতা চোখ পাকিয়ে আরোহীর দিকে তাকাতেই আরোহী কানে হাত দিয়ে সরি বলে। আরোহী আর আনিতা দুজনে মিলে ওদের বাড়ির পাশেরই ছোট ইটের রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে। এমন সময় ঝালমুড়ি আর ফুচকার গাড়ি দেখে দুজনেই খুশিতে লাফিয়ে উঠে। এই মামাটা মাঝে মাঝেই ওদের এখানে আসে ঝালমুড়ি আর ফুচকা বিক্রি করতে। তার হাতের ঝালমুড়ি ফুচকা আনিতা আর আরোহী দুজনেরই খুব পছন্দের। ওরা হাঁটতে হাঁটতে সেখানে গিয়ে প্রথমে দু প্লেট ঝালমুড়ি দিতে বলে। একটা প্রচুর ঝাল দিয়ে আর অন্যটা আরোহীর জন্য ঝাল কম দিয়ে।
এর মাঝেই আনিতার ফোন বেজে উঠল। ফোন হাতে নিয়ে দেখে আদৃতের ফোন। এসময় আদৃতের ফোন দেখে বেশ অবাক হলো আনিতা। এখন তো সাড়ে চারটা বাজে আর এসময় আদৃতের অফিস থাকার কথা। তাহলে কি আজ অফিসে যায়নি? আনিতা এসব ভাবতে ভাবতেই একবার ফোন কেটে গেলো। আবারো ফোন বাজতেই আনিতা রিসিভ করে হ্যালো বলার আগেই ওপাশ থেকে আদৃত বলে,
–“বিজি আছো তুমি? ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করলাম কি?”
আনিতা ক্ষানিকটা হেসে জবাব দিলো,
–“আরেহ না বিরক্ত করবে কেন? কি বলবে বলো?”
–“কি করছিলে তুমি?”
–“এই তো আমি আর আমার একটা ফ্রেন্ড আসছি ঝালমুড়ি খেতে। খাবা নাকি?”
–“ইশ্ লোভ লাগিও না। পরে কিন্তু সত্যি সত্যি খেতে চলে আসবো।”
আদৃতের কথায় আনিতা কিছুটা শব্দ করেই হেসে ফেলে। আদৃতও ক্ষানিকটা হেসে বলে,
–“ইশ্ হাসলে তোমাকে বেশ সুন্দর লাগে তো আনি।”
–“দেখেছো কখনো আমাকে হাসতে?”
–“নাহ সেটা দেখার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। তবে কল্পনা করে নিয়েছি।”
–“বাব্বাহ খুব ফাস্ট দেখছি।”
–“হ্যাঁ তা তো একটু আধটু হবোই। তবে আর যাই বলো তোমাকে দেখলে কিন্ত যে কেউ থমকে যাবে। আর কারো কথা সিউরলি বলতে পারছি না। তবে আমি একেবারে থমকে গিয়েছিলাম প্রথম তোমাকে দেখে।”
–“এফবিতে দেখেছিলা?”
–“হ্যাঁ এফবিতে মাঝে মাঝেই পিক আপ দাও দেখছি।”
–“পিকে দেখেছেন বলেই থমকে গিয়েছেন। বাস্তবে দেখলে দৌড়ে পালাবেন।”
কথাটা বলে আনিতা আবারো হেসে উঠলো সাথে আরোহীও। আনিতা লাউডে দিয়ে কথা বলছিলো তাই সব কথাই আরোহী শুনতে পেয়েছে। আদৃতও ক্ষানিকটা হেসে বলে,
–“আমি পালাবো না নিশ্চিত থাকো।”
–“আচ্ছা সময় হলে দেখা যাবে।”
–“হুম বাই দ্যা ওয়ে__এফবিতে পিক আপ দাও বাসার কেউ কিছু বলে না?”
–“জানলে তো কেউ কিছু বলবে। আর তাছাড়া ছোট চাচ্চুকে ব্লক দিয়ে রাখছি। সো নো টেনসন।”
আনিতার কথায় আদৃত এবার শব্দ করেই হেসে দিলো। আনিতা মুগ্ধ হয়ে আদৃতের হাসি শুনছে। তখনই ঝালমুড়িওয়াল ঝালমুড়ির প্লেট এগিয়ে দিয়ে গেলো। আনিতা ঝালমুড়ি প্লেট হাতে নিয়ে আদৃতকে বলে,
–“আচ্ছা সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে ম্যাসেজ করছি। অনলাইনে থেকো।”
–“আচ্ছা।”
এরপর আনিতা কল কেটে ফোনটা পাশের বেঞ্চিতে রাখলো। চামোচে করে এক চামোচ ঝালমুড়ি মুখে দিতেই তন্ময় ফাইয়াজ আহিয়ান সেখানে হাজির হয়। ফাইয়াজও ৩ প্লেট ঝালমুড়ি দিতে বলে। তখন আহিয়ান ফাইয়াজের দিকে তাকিয়ে আনিতাকে কিছুটা খোঁচা মেরে বলে,
–“ফাইয়াজ তোর বোনটা কেমন যেন। আমরা তোদের এখানকার অতিথি ও কোথায় আমাদের খেতে বলবে তা না নিজে একা একাই খাচ্ছে।”
আহিয়ানের কথা শুনে আনিতার মাথায় ধপ করে আগুন জ্বলে যায়। আনিতা কিছু বলবে তার আগেই আরোহী আনিতার হাত চেপে ধরে ইশারায় না করে। তখন ঝালমুড়ি ওয়ালা মামা ফাইয়াজকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করে,
–“মামা মুড়ি কেমন ঝাল দিমু?”
–“কম ঝাল মামা।”
ফাইয়াজ এর কথা শুনে আনিতার মনে দুষ্টুমি বুদ্ধি খেলে গেলো। ফাইয়াজ যেহেতু কম ঝাল দিয়ে মুড়ি দিতে বলছে তার মানে আহিয়ান ঝাল খেতে পারে না। আনিতা উঠে গিয়ে আহিয়ানের সামনে দাঁড়ালো। আহিয়ান সহ বাকি তিনজনেই অবাক চোখে আনিতার দিকে তাকায়। আনিতা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আহিয়ানকে বলে,
–“কি যেন বললেন একটু আগে? আমি একা একাই খাচ্ছি? ওহ সরি আমার না একদম মনে ছিলো না যে আপনি আমাদের এখানকার অতিথি। আচ্ছা এই নিন আর একা খাচ্ছি না আপনিও খান।”
এই বলে আনিতা আহিয়ানের দিকে ওর নিজের ঝালমুড়ির প্লেটটা এগিয়ে দিলো। আহিয়ান বোকা বোকা চোখে আনিতার দিকে তাকিয়ে আছে। আহিয়ান কিছু না বলে মৃদু হেসে আনিতার হাত থেকে ঝালমুড়ির প্লেট নিয়ে নেয়। তা দেখে ফাইয়াজ বলে,
–“ওটা খাস না মামা। নিশ্চয়ই কোনো শয়তানি বুদ্ধি আছে ওর।”
–“এমন কিউটিপাই এর হাতে বিষ খেয়ে মরে যাওয়াও তো সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই না আহিয়ান?”
তন্ময় এর কথায় আহিয়ান রাগী চোখ একবার ওর দিকে তাকায়। তারপর আবার আনিতার দিকে তাকিয়ে বলে,
–“আচ্ছা ম্যাডাম আমি আপনার আপ্যায়ন গ্রহণ করলাম।”
আহিয়ানের কথায় আনিতা মুখ ভেংচি কেটে অন্য দিকে তাকায়। তারপর বিড়বিড় করে বলে,
–“খান__খুব ভালো করে খান একবার খেলেই বুঝবেন।”
–“কিছু বললে?”
–“কই না তো। আপনি খাওয়া শুরু করুন।”
এই বলে আনিতা পাঁচ প্লেট ফুচকা অর্ডার দেয়। তারপর পাশের একটা দোকান থেকে একটা আইসক্রিম কিনে আরোহীর পাশে গিয়ে বসে। আইসক্রিম বের করে সবে মাত্র বাইট বসিয়েছে এমন সময় আহিয়ান মৃদু চিৎকার করে উঠে। ফাইয়াজ আর তন্ময় আহিয়ানকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঝালে শাসাচ্ছে আহিয়ান। চোখমুখ একদম লাল হয়ে গিয়েছে। তন্ময় জানালো বেশি ঝালে নাকি আহিয়ানের এলার্জি আছে। এবার আনিতার বেশ খারাপ লাগলো। ফাইয়াজ পাশের দোকানে গিয়েছে পানির বোতল কিনতে।
আনিতা ছোট ছোট কদম ফেলে আহিয়ানের সামনে গিয়ে আইসক্রিম টা এগিয়ে দেয়। আহিয়ান আইসক্রিম দেখে মাথা তুলে আনিতার দিকে তাকায়। তা দেখে আনিতা বলে,
–“এতে কিচ্ছু মেশানো নেই বিশ্বাস করুন। আর আমি সত্যি জানতাম না ঝালে আপনার এলার্জি আছে। তাহলে এমন করতাম না আমি।”
আহিয়ান আনিতার কথা শুনে মুচকি হেসে আইসক্রিম হাতে নিয়ে তাতে বাইট বসায়। ফুচকা খেয়ে সবাই একসাথেই বাসার দিকে এগোয়। আনিতা আরোহী ফাইয়াজ তন্ময় ওরা চারজনে একসাথে গল্প করতে করতে হাঁটছে। আর আহিয়ান ওদের থেকে কিছুটা পিছনে। আনিতা হাত নাড়িয়ে কথা বলছে আর হাসছে। আহিয়ান আড়চোখে বারবার আনিতাকে দেখছে। তন্ময় পাশে তাকিয়ে আহিয়ানকে দেখতে না পিছন ঘুরে তাকায়। তন্ময় আহিয়ানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলে,
–“কি ব্যাপার মামা? লুকিয়ে লুকিয়ে আনিতাকে দেখা হচ্ছে বুঝি?”
তন্ময়ের কথা শুনে আহিয়ান দাঁড়িয়ে যায়। সাথে তন্ময়ও দাঁড়ায়। আহিয়ান পকেটে দুহাত গুজে দাঁড়িয়ে তন্ময় এর দিকে তাকিয়ে বলে,
–“কি যাতা বলছিস? মাথা ঠিক আছে তোর?”
–“হ্যাঁ আমি সবই বুঝি বুঝছো? তখন আনিতার খাওয়া ঝালমুড়ি খেলে আবার ওর খাওয়া আইসক্রিমও খেলে। আবার আড়চোখে ওর দিকে তাকিয়ে ওকে দেখে মুচকি হাসা। এসব কি হ্যাঁ? আমি কিছু বুঝিনা ভেবেছো?”
–“তেমন কিচ্ছু না। জাস্ট ওর বাচ্চামো আর দস্যিপনা গুলো ভালো লাগে এই।”
–“হ্যাঁ ধীরে ধীরে ওর সবকিছুই ভালো লাগবে। তারপর ওর প্রেমেও পড়বে।”
–“ইউ নো না? আমার অনেক জিএফ আছে। ওরা আমার জন্য এতটা পাগল কি না করে ওরা আমার জন্য? ওদের প্রেমেই আমি পড়লাম না। আর তুই কিনা বলছিস এই পিচ্চির প্রেমে পড়বো আমি? হাউ পসিবল ইয়ার?”
তন্ময় কিছু বলার আগেই আহিয়ানের ফোন বেজে উঠে। আহিয়ান পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে ওর গার্লফ্রেন্ড জিনিয়ার ফোন। তন্ময় জিনিয়ার নাম দেখে মুখ বাকিয়ে হাঁটা ধরে। আহিয়ান ফোন রিসিভ করে কানে নিতেই ওপাশ থেকে জিনিয়া বলে,
–“আহিয়ান জান তুমি কোথায় ছিলে? আমি এতগুলো ফোন দিলাম অথচ তুমি একবারো ফোন রিসিভ করো নি? জানো কত চিন্তা হচ্ছিলো আমার তোমাকে নিয়ে।”
জিনিয়ার কথা শুনে আহিয়ানের বেশ বিরক্ত লাগে। এই মেয়েটা সবকিছুতে ন্যাকামি করে বেরায়। জিনিয়ার বকবক শুনে আহিয়ান ফোনটা মিনিট দুয়েক কান থেকে নামিয়ে রাখে। আর এদিকে জিনিয়ে কথা বলেই যাচ্ছে। অনেকটা সময় আহিয়ানের সারা শব্দ না পেয়ে জিনিয়া হ্যালো হ্যালো বলতেই আহিয়ান ফোন কানে তুলে নিয়ে বলে,
–“হ্যাঁ বলো। শুনছি তো আমি।”
–“কি করছিলে এখন?”
–“এই তো তোমার কথাই হচ্ছিলো তন্ময় এর সাথে। তোমাকে বড্ড মিস করছি জানো?”
–“তুমি তো আমাকে ভালোই বাসো না। তাহলে মিস করছিলে কেন?”
–“কে বলেছে তোমাকে আমি ভালোবাসি না? তোমাকে আমি এত্তো গুলা ভালোবাসি। আই লাভ ইউ।”
–“আই লাভ ইউ টু সোনা।”
–“আচ্ছা জিনিয়া এখন রাখি আমি? তন্ময় ফাইয়াজ ওরা সাথে আছে তো।”
এই বলেই আহিয়ান জিনিয়াকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই লাইন কেটে দেয়। ফোন পকেটে ঢুকিয়ে আহিয়ান একটা স্বস্তির নিশ্বাস নেয়। তারপর এগিয়ে যায় ফাইয়াজদের কাছে।
।
।
।
।
চলবে।
[ ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। গল্পটা কেমন হচ্ছে জানাবেন সবাই। হ্যাপি রিডিং🥰 ]