শুধু তোমারই জন্য পর্ব-০৬

0
759

#শুধু_তোমারই_জন্য
#পর্ব_৬
#Ornisha_Sathi

পড়াশুনো শেষে রাতের খাবার খেয়ে মাত্রই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো আনিতা। সন্ধ্যার পর আর আদৃতের সাথে কথা হয়নি ওর। আদৃতও ম্যাসেজ করেনি আর আনিতাও নিজ থেকে কথা বলতে যায়নি। ওয়াইফাই অন করতেই মেসেঞ্জারে একের পর এক ম্যাসেজের টুংটাং আওয়াজ হয়েই যাচ্ছে। আনিতা মেসেঞ্জার গ্রুপে গিয়ে ম্যাসেজগুলো সিন করে বের হয়ে গেলো।

ক্ষানিকটা সময় বাদেই আদৃতের নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এলো আনিতার ফোনে। আনিতা ম্যাসেজটা ওপেন করে দেখে সেখানে লিখা ছিলো,

–“এই যে ম্যাডাম একটু অনলাইনে আসেন তো।”

মনে মনে একবার যাবে না ঠিক করেও শেষে অনলাইনে গেলো আনিতা। আনিতাকে অনলাইন দেখাতেই আদৃত ওকে ইনবক্সে নক করে বলে,

–“ম্যাডাম আপনার যদি খুব বেশি অসুবিধে না হয় তাহলে একটু কষ্ট করে গ্রুপে আসবেন?”

–“কেন?”

–“কিছু বলার ছিলো।”

–“যা বলার এখানেই বলুন। গ্রুপে যাওয়ার কি দরকার?”

–“আসলে জেরিনকে সবার সামনে প্রপোজ করতে চাচ্ছিলাম। আর আপনি তো ওর পিচ্চিকালের ফ্রেন্ড আপনি না থাকলে কি হয়?”

আদৃতের কথা শুনে আনিতার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। আজ সকালে জেরিনের মুখে আদৃতের প্রপোজের কথাটা শুনেই এই অবস্থা। এখন যদি নিজের চোখে আদৃতকে দেখে জেরিনকে প্রপোজ করতে তাহলে ও তো সেটা সহ্যই করতে পারবে না। আনিতা মনে মনে একবার ভাবলো ও যাবে না গ্রুপে। আবার পরমূহুর্তেই ভাবলো কেন যাবে না? ওর আদৃতের প্রতি একটা ফিলিংস আছে বলে যে আদৃতেরও ওর প্রতি ফিলিংস থাকবে এমন তো না। আদৃতেরও ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। ওর যাকে ইচ্ছে তাকে প্রপোজ করবে এতে ওর কি?

আনিতা মনে মনে এসে ভেবে ঠিক করলো ও যাবে গ্রুপে। যেই ভাবা সেই কাজ। আনিতা গ্রুপের ম্যাসেজ সিন করতেই আদৃত বলে,

–“আমার কিছু কথা বলার ছিলো।”

সকলেই আদৃতের ম্যাসেজ সিন করলো। সাথে আনিতাও। আদৃতের করা ম্যাসেজের রিপ্লাই করলো রাতুল,

–“হ্যাঁ বল কি বলবি।”

–“আসলে আমি একজনকে ভালোবাসি আর তাকে প্রপোজ করতে চাচ্ছিলাম।”

আদৃতের এই ম্যাসেজটা দেখে আনিতার আর সহ্য হলো না। বের হয়ে আসলো গ্রুপ থেকে। কেন ওর এত কষ্ট হচ্ছে সেটা আনিতা নিজেও বুঝতে পারছে না। যে ছেলেটাকে কোনোদিন সামনা সামনি তো দূরে থাক আজ অব্দি ছবিতেও একটা বার দেখলো না সে ছেলের জন্য কেন কষ্ট হচ্ছে ওর? কেন অচেনা অজানা একটা ছেলের উপর এত মায়া কাজ করে? কেন এত টান অনুভব করে ছেলেটার উপর সেটাই ভাবছে আনিতা।

এদিকে গ্রুপে আদৃতের ম্যাসেজের রিপ্লাই করলো আরহান,

–“এটা তো ভালো কথা…কে মেয়েটি?”

–“একজন তো প্রপোজের কথা শুনেই গ্রুপের ম্যাসেজ আর সিন করছে না। ওকে গ্রুপে আসতে বল তারপর সবাইকে একসাথেই বলছি। তোরা সবাই শুনবি আমি কাকে ভালোবাসি আর আনিতা শুনবে না এটা হয় নাকি? আফটার অল শি ইজ এ ভেরি ক্লোজ ফ্রেন্ড অফ মাইন।”

আদৃতের কথায় ওরা সবাই জানালো আনিতাকে ম্যাসেজ করছে ইনবক্সে। আনিতা এফবি তে গল্প পড়ছিলো তখনই একে একে ওর ইনবক্সে ম্যাসেজ আসতে থাকে। আনিতা জেরিনের ম্যাসেজ ওপেন করে,

–“গ্রুপে আয় একটু।”

–“কেন?”

–“আহ! আয় না।”

আনিতা আর জেরিনের ম্যাসেজের রিপ্লে করলো না। আরহান রাতুল আমিরা সবার ম্যাসেজ চেক করে দেখলো আনিতা। সবাই গ্রুপে যাওয়ার জন্য বলছে। শেষে ইচ্ছে না থাকলেও সবার জোরাজোরিতে গ্রুপের ম্যাসেজ সিন করলো আনিতা। আনিতা গ্রুপের ম্যাসেজ সিন করতেই আদৃত বলে,

–“তোহ এখন তো গ্রুপের সকলেই এখানে আছে। তাহলে আমি আমার কথাটা বলি?”

আদৃতের ম্যাসেজের রিপ্লে সবাই করলো শুধু আনিতা ছাড়া। আনিতা শুধু সিন করেই রেখে দিলো কিছুই বলল না। আদৃত আবারো ম্যাসেজ করলো,

–“আনিতা?”

–“হুম বলেন।”

–“আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি?”

আদৃতের ম্যাসেজটা দেখে থমকে গেলো আনিতা। কি বললো আদৃত এটা? আনিতা ঠিক দেখলো তো? নাকি ভুল? এটাই ভাবছে আনিতা। আনিতার এসব ভাবনার মাঝেই আদৃতের ম্যাসেজের রিপ্লে করলো রাতুল,

–“এই জন্যই সারাদিন আনিতা আনিতা বলে আমাদের মাথা খাও তাই না? এবার বুঝলাম আসল কারন।”

–“আনিতা সে ইয়েস প্লিজ।”

আরহানের ম্যাসেজের সাথে জেরিনও সহমত প্রকাশ করে। এদিকে আনিতার মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। আদৃত তো কালকেই জেরিনকে প্রপোজ করলো। তাহলে এখন আবার আনিতাকে ভালোবাসি বলছে কেন ও? ফাজলামো পেয়েছে নাকি যখন যাকে খুশি প্রপোজ করবে, ভালোবাসি বলবে। মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি? মনে মনে এসব ভেবেই রিপ্লাই করলো আনিতা,

–“আপনি না জেরিনকে প্রপোজ করলেন কাল? ওকে না ভালোবাসেন আপনি? তাহলে এখন আবার এসব কি বলছেন?”

আনিতার ম্যাসেজ এর রিপ্লাই তে আদৃত বললো,

–“আচ্ছা আনিতা, আমি যদি জেরিনকে ভালোবাসতাম তাহলে কি ওর সামনে তোমাকে প্রপোজ করে ভালোবাসার কথা বলতাম?”

–“কিন্তু আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না।”

জেরিন বলল,
–“আনিতা ও আমার সাথে মজা করেছে তুই সিরিয়াসলি কেন নিচ্ছিস?”

আনিতা আর কিছু বলল না শুধু সিন করে গেলো। রাতুল এবার রিপ্লাই করলো,

–“আনিতা আদৃত কিন্তু ঠিকই বলেছে। ও যদি সত্যি জেরিনকে ভালোবাসতো তাহলে জেরিনের সামনে কিন্তু তোমাকে প্রপোজ করতে পারতো না। আর জেরিনকে তো মজা করে ইনবক্সে প্রপোজ করেছিলো। কিন্তু তোমাকে তো গ্রুপে আমাদের সবার সামনে ভালোবাসি কথাটা বলল। ও জেরিনকে না তোমাকে ভালোবাসে।”

আনিতা কিছু না বলেই গ্রুপ থেকে বের হয়ে আসলো। রাগ, কষ্ট, আনন্দ সব কিছু মিলিয়ে মিশ্র অনূভুতি হচ্ছে আনিতার। গভীর ভাবনায় মগ্ন আনিতা। তখনই মেসেঞ্জারে আবার টুংটাং আওয়াজ হলো। এখনো সবাই গ্রুপে ম্যাসেজ করেই যাচ্ছে। আনিতা দেখলো আদৃত ইনবক্সে ম্যাসেজ করেছে। আনিতা ম্যাসেজটা ওপেন করলো,

–“ওই আনি___”

–“একটা সত্যি কথা বলবেন?”

–“হ্যাঁ বলবো। তার আগে তুমি বলো এখনো রাগ করে আছো আমার উপর?”

–“নাহ তো আমি কেন আপনার উপর রাগ করে থাকবো?”

–“রাগ করে না থাকলে আপনি করে বলতে না।”

–“আচ্ছা আপনি করে বলছি না। তুমিই বলছি। এবার বলো সত্যিটা বলবে তো?”

–“হ্যাঁ বলো কি জানতে চাও?”

–“সত্যিই ভালোবাসো তো আমাকে? নাকি সময় কাটানোর জন্য ভালোবাসি বললে?”

–“কি মনে হয় তোমার?”

–“ঠিক বুঝতে পারছি না।”

–“সত্যিই ভালোবাসি।”

–“ওহ আচ্ছা।”

–“তুমি কিছু বললে না তো।”

–“কি বলবো?”

–“ভালোবাসো আমাকে?”

–“জানি না।”

–“কিন্তু আমি জানি তো।”

–“কি জানো?”

–“এই যে ভালোবাসো আমাকে এটাই।”

–“কে বলল?”

–“কেউ বলেনি তবুও জানি।”

–“আমি তো কখনো বুঝতে দেইনি বা বলিও নি যে তোমাকে ভালোবাসি।”

–“সবসময় কি মুখেই বলতে হবে? তাছাড়া বোঝা যায় না? আমার উপর করা তোমার রাগ অভিমানগুলোই আমাকে জানান দেয় তুমি আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসো।”

আদৃতের ম্যাসেজটা আনিতা সিন করে রেখে দিলো। ও কাউকে কিচ্ছু বলেনি আদৃতের প্রতি ওর ফিলিংস এর কথাটা। যার থেকে লুকোতে চেয়েছিলো সেই মানুষটাই সবার আগে বুঝে ফেলল সবটা। আনিতার বেশ খুশি খুশি লাগছে। যে মানুষটার মায়ায় ও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গিয়েছে সেই মানুষটাও ওকে ভালোবাসে। একটা অচেনা অজানা ছেলের মায়ায় কিভাবে জড়িয়ে গেলো ও?

অনেকটা সময় যাবত আনিতা রিপ্লাই করছিলো না বলে আদৃত আবারো ম্যাসেজ করলো,

–“জানি ভালোবাসো আমাকে। তবুও একটাবার তোমার মুখে থেকে ভালোবাসার কথাটা শুনতে চাই। বলবে?”

আনিতা ম্যাসেজটা সাথে সাথেই সিন করলো। আনিতার ফিলিংসটা তো বুঝেই ফেলেছে আদৃত। তাহলে আর লুকিয়ে কি হবে? তবুও বেশ ক্ষানিকটা সময় চুপ থেকে আনিতা রিপ্লাই করলো,

–“আই লাভ ইউ আদৃত।”

–“আমিও ভালোবাসি। কিন্তু ম্যাডাম আমি তো আপনাকে গ্রুপে সবার সামনে ভালোবাসি বললাম। আর আপনি কিনা ইনবক্সে লুকিয়ে ভালোবাসি বলছেন? দিস ইজ নট ডান। সবাই আমার ভালোবাসার কথা জানলো। এবার আপনিও যে আমাকে ভালোবাসেন এটাও সবাইকে জানান। নাকি সেই সাহসটা নেই?”

–“এই এই শুনো একদম সাহস নিয়ে কথা বলবে না। ইউ নো না? আমি অনেক সাহসী।”

–“হুম তাহলে সবার সামনেও ভালোবাসি বলে দেখাও।”

–“হু হুম বল্ বলবো তাতে কি হয়েছে? আমি কি কাউকে ভয় পাই নাকি? এখনই ব্ বলছি ওয়েট।”

আনিতা ম্যাসেজ দেখে আদৃত দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরে হাসলো। আসলেই পাগলী মেয়েটা। আদৃতও রাগাতে চাইলো আনিতাকে আর আনিতাও রেগে গিয়ে বলে দিলো গ্রুপে সবার সামনে ভালোবাসি বলবে।

আসলে ভালোবাসা তো ভালোবাসাই। ভালোবাসার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। আড়ালে শুধু ভালোবাসার মানুষটাকে ভালোবাসি বললেই যে ভালোবাসা হবে না। আবার সবার সামনে প্রকাশ্যে ভালোবাসি বললেই যে ভালোবাসা হবে এমন না। ভালোবাসাটা তো উপলব্ধি করার বিষয়। মুখে ভালোবাসি না বলেও ভালোবাসা যায়।

আনিতা গ্রুপে গিয়ে দেখে এখনো সবাই ম্যাসেজ করছে। আনিতা গ্রুপ ম্যাসেজ সিন করতেই রাতুল বলে,

–“এই যে আনিতা ম্যাডাম, আমি তো ভেবেছিলাম আমি তোমাকে প্রপোজ করে সবাইকে দেখিয়ে বিয়ে করে নিবো তোমায়। আর ভেবেছিলাম তুমিও আমায় ভালোবাসো।”

–“হ্যাঁ ভালোবাসি তো। তুমি তোমার জায়গায় থাকবে আর আদৃত আদৃতের জায়গায় থাকবে। কেউ তো কারো জায়গাটা নিতে পারবে না।”

আনিতার ম্যাসেজের রিপ্লে করলো আরহান,
–“আরেহ বাহ! তার মানে দুজনের মাঝে সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে? এখানে তো খুব বলছিলে ভালোবাসি না। এখন আবার বলছো আদৃত আদৃতের জায়গায় থাকবে। ব্যাপারটা কি হুম?”

রাতুল আনিতার ম্যাসেজে স্যাড রিয়্যাক্ট দিলো। তারপর আনিতার ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করলো,

–“কিন্তু আমি যে তোমাকে কারো সাথে শেয়ার করতে পারবো না বেবি।”

রাতুলের ম্যাসেজ দেখে আনিতা ক্ষানিকটা শব্দ করেই হাসলো। এই ছেলে মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করতে ওস্তাদ। আনিতাকে প্রায় মজা করে জানু বেবি সোনা এসব বলে ডাকে রাতুল। আনিতাও মজা করে বলে রাতুলকে। আর এই সবই আদৃত ওরা সবাই জানে। ওরা সবাই কম বেশি ম্যাসেজ করছে। আদৃত জাস্ট চুপচাপ সব দেখে যাচ্ছে। আনিতা এবার রাতুলের ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করে বলে,

–“ওলে কিউট বাবুটা আমার। কে বলেছে আমাকে শেয়ার করতে? আমি তো তোমার ওয়ান এন্ড অনলি ভাবী তাই না? সো কেন আমাকে অন্য কারো সাথে শেয়ার করবে বলো? তোমার ফ্রেন্ড ছাড়া তো আমার উপর আর কারো একদমই অধীকার নেই। সুতরাং তোমার ফ্রেন্ড ছাড়া অন্য কারো সাথে শেয়ার করার প্রশ্নই আসে না।”

আনিতার ম্যাসেজ দেখে আরহান জেরিন আমিরা আদৃত চারজনেই হাসির ইমুজি দিলো। শুধুমাত্র রাতুল স্যাড ইমুজি সেন্ড করলো। তা দেখেও আনিতার বেশ হাসি পেলো। এই ছেলে পারেও। রাতুল আবার বলে,

–“ওকে শুধুমাত্র তুমি বললে বলে কিন্তু আদৃতের সাথে তোমার শেয়ার করলাম আমি।”

–“হুম বুঝলাম। এখন তোমার ফ্রেন্ডকে বলো তো আবার আমাকে প্রপোজ করতে। তখন তো কিছুই বলিনি। কিন্তু এখন বলবো।”

আনিতার ম্যাসেজ দেখে রাতুল আদৃতকে আবার প্রপোজ করতে বলে। কিন্তু আদৃত রিপ্লাই করে বলে,

–“কেন? ওকে প্রপোজ করবো কেন আমি? আমি তো জেরিনকে ভালোবাসি আনিতা একটু আগেই বলল। তাহলে জেরিনকে ভালোবাসলে ওকে প্রপোজ করবো কেন?”

আদৃতের ম্যাসেজের রিপ্লে তে সবাই হাসির ইমুজি সেন্ড করলো। আর আনিতা রাগী ইমুজি দিলো। আনিতা কিছুটা রেগেই রিপ্লাই করলো,

–“ওকে প্রপোজ করবে না তো? ঠিক আছে করতে হবে না প্রপোজ। ২৪ ঘন্টা। অনলি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমি অন্য একজনের সাথে রিলেশন করে তোমাকে দেখিয়ে দিবো হুহ।”

আনিতার ম্যাসেজ দেখে আদৃত ঠোঁট চেপে ধরে হাসলো। ও জানে আদৃত ওকেই ভালোবাসে তারপরও আদৃতের কথায় রেগে যাচ্ছে। রাতুল রিপ্লাই করে বলে,

–“আরে ২৪ ঘন্টা সময় কেন নিচ্ছো? আমাকে চোখে পড়ছে না তোমার? আমার সাথে রিলেশন করে নাও তাহলেই তো হয়।”

–“হ্যাঁ তাই করবো। তোমার সাথেই রিলেশন করবো আমি। আদৃতকে দেখিয়ে দেখিয়ে তোমার সাথেই কথা বলবো তোমাকেই ভালোবাসি বলবো আমি। তারপর দেখবো আদৃত কিভাবে নেয় এটা।”

আনিতা আর রাতুলের ম্যাসেজ দেখে আরহান জেরিন আমিরা হাসছে। ওরা তিনজনে শুধুই নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ম্যাসেজ তো করছে শুধু আনিতা রাতুল আর আদৃত। এদিকে রাতুল আর আনিতার ম্যাসেজ দেখে আদৃত রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে,

–“করে দেখাও রিলেশন। ভালোবাসি একবার বলে দেখো ওকে তারপর দেখো তোমার কি হাল করি আমি।”

–“তাহলে প্রপোজ করো বলছি।”

আনিতার কথায় বাকী চারজন সহমত প্রকাশ করে। ওরা সবাই আদৃতকে বলে আবার প্রপোজ করতে। আদৃতও আর না করেনি। এতক্ষণ তো ইচ্ছে করেই আনিতাকে রাগাচ্ছিলো। আদৃত আবারো ম্যাসেজ করে বলে,

–“আই লাভ ইউ আনি। লাভ ইউ সো মাচ। ডু ইউ লাভ মি?”

–“হ্যাঁ ভালোবাসি আমি তোমাকে। আর সারাজীবন ভালোবাসতে চাই।”



চলবে।

[ ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গল্পটা কেমন হচ্ছে অবশ্যই সবাই জানাবেন। হ্যাপি রিডিং🥰 ]