ব্যক্তিগত সুখ পর্ব-০৮

0
279

#ব্যক্তিগত_সুখ
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ৮

খাবার টেবিলে, মিম সকলকে তার সাধ্য মতো আপ্যায়ন করতে লাগলো।
দীপ্ত বোনের মেজাজ বুঝে’ই কথা বলার চেষ্টা করছে তার সাথে। কিন্তু,মিমের তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তখন ফাইজান সাহেব মেয়ে কে আদুরে গলায় বললেন,
– “আম্মু তুমিও খেতে বসে যাও, আমাদের সাথে।” মিম মেকি হেসে বললো,
– “তুমি আবার আমাকে নিয়ে পরলে কেন? বাবা? আমি কি একবারও খাবার খেতে চেয়েছি তোমাদের সাথে বসে?” মেয়ের এমন উগ্রবা*দী আচার নিয়ে বেশ চিন্তিত ফাইজান সাহেব। তিনি বুঝতে পারছেন না এর কি দিয়ে প্রতিকার করবে?
রাতের ডিনার শেষে ইমান দীপ্তের সাথে গল্প করতে করতে স্টাডি রুমে চলে এলো। সে সেখানে বিখ্যাত কিছু রাইটারের লেখা বই গুলো দেখে ফাইজান সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললো,
– “আঙ্কেল, আপনার বইয়ের কালেকশান গুলো ভীষণ সুন্দর। আমার বেশ ভালো লেগেছে।”ফাইজান সাহেব মুচকি হেসে বললেন,
– “দেখ বাবা, আমি এতোটা রুচিশীল নই। তুমি বরং এই বিষয় টা নিয়ে কথা বলতে পারো আমার মেঝো মেয়ের সাথে।
কারণ এইসব বইয়ের কালেকশান তার এবং সে তার প্রিয় বিষয়নিয়ে আলোচনা করতে বেশ ভালোবাসে।”
ওনার কাছ থেকে এমন ফিডব্যাক পেয়ে ভীষণ খুশি ইমান, তবে সে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললো,
– “জানি না কেন?
আর কিই বা আমার অপরাধ? আঙ্কেল, আপনার কন্যা একটুও সহ্য করতে পারেনা আমাকে। আমাকে দেখা মাএ’ই সে রেগে যায়। হয়তো নিজের চরম শত্রু বলে মনে করে আমাকে?
দেখুন, আঙ্কেল। ভালোবাসা তো কোনো অপরাধ না?
তার আমাকে অপছন্দ করার কারণ এখনো স্পষ্ট না আমার কাছে। আমি যতবারই ওনার সাথে কথা বলা
‘র চেষ্টা করেছি, উনি বিরক্ত হয়েছে। বিরক্ত হ’য়ে দু’ চার কথা শুনিয়ে দিয়েছে আমাকে যদিও……! আমি তাতে কিছু মনে করিনি। এখনো অব্ধি আমার ছেলে মানুষ বলে’ই মনে হয় তাকে দেখে। তবে তার গোস্বা করার কারণ আমার কাছে এখানো স্পষ্ট না। আমি আসলে বুঝতে পারছিনা, সে কেন এতোটা অপছন্দ করছে আমাকে?”
পরেরদিন সকালে, সকলেই ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছে গেলো। মিম তার ডিপার্টমেন্টের কিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চললো পিঠা উৎসবের বাজার করতে। বাজারে তার হঠাৎ ইমানের সাথে দেখা। ইমান মিমকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
– “আপনি কি কি পিঠা বানাবেন? পিঠে উৎসবে?”
– “সেটা আপনাকে বলবো কেন? স্যার?”
– “একটু বললে, কি হবে?”
– “আমি দুঃখিত।”
– “বুঝলাম, কিন্তু মেল্টেড চকলেট দিয়ে কি হবে?” মিম ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলো,
– “আপনাকে বলবো কেন? আশ্চর্য………! ধরে নিন আমার কোনো সিগনেচার আইটেম হবে?”
– “আপনার সিগনেচার আইটেম?” মিম সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভেংচি কেটে,কেটে পরলো ওখান থেকে। ইমান মিটিমিটি হাসতে লাগলো।
তবে তার মিমের সিগনেচার আইটেমর বিষয় টা নিয়ে খুব কৌতুহল হচ্ছে।
ও মিম কে কাস্টার্ড পাউডার এবং কনডেন্স মিল্ক কিনতে দেখলো, এতোকিছু দেখে তার মাথা টাই ঘুরে যাচ্ছে। মানাফ,ইভা এবং প্রীতম ইমানকে নিয়ে সুপার শপে চলে এলো। ইমান ভেতরে ঢুকে দেখলো মিম ও সেখান থেকে কিছু জিনিস কিনছে।
মিম সেজান, রিয়া, নিরা আর আবিরকে সঙ্গে নিয়ে তার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পএ কিনে ফেললো।
ইমান এগিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলো,
– “খাবারের জন্য কোন ফুড কালার টা হাইজেনিক হবে?” জিনা বললো,
– “স্যার, মুদীর দোকানে ফুড কালার আছে। আমরা যাওয়ার পথে কয়েক রকমের ফুড কালার নিয়ে নেব না হয় সেখান থেকে।” ইমান মুচকি হেসে বললো,
– “কিন্তু সেগুলো স্বাস্থ্য সম্মত নয়। আমাদের পিঠের কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে হবে।” মিম তার কথা শুনে বললো,
– “তাহলে সুপারশপ থেকে ফুড পিগমেনটেশন টা নিয়ে নিন স্যার। এটা খুব স্বাস্থ্য সম্মত হবে এবং এর থেকেও ন্যাচারাল কালার পেতে চাইলে জাফরান ইউজ করত পারেন। তার পাশাপাশি বিট রুট এবং গাজর আছে। তবে এটা একটু লেন্থি প্রসেস আর এতো প্রসেসিংয়ে যাওয়ার মত সময় সুযোগ কোনো টাই এখন নেই আমাদের হাতে।”
– “হুমম, কালবাদ পরশু আমাদের অনুষ্ঠান। সবাই কে প্রচুর খাটা-খাটুনি করতে হবে। আর মিম, টিপস দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”
– “আপনাকেও ধন্যবাদ, স্যার।” তারপর সে বিল মিটিয়ে চলে গেলো তার বন্ধুদের সাথে।
অতঃপর, ইমান জরুরী মিটিংয়ের জন্য তার অফিসে ফিরে বগেলো। অনেক ব্যস্ততার দরুন, সে বিকেলে যেতে পারেনি ইউনিভার্সিটির ডেকোরেশন দেখতে।রাত আটটা নাগাদ,
সে বাড়ি ফেরার পথে ভার্সিটিতে চলে এলো। মেইন গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখলো একটা মেয়ে শহীদ মিনারের সামনে আলপনা দিচ্ছে সে এগিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলো,
– “বাকিরা কোথায়?” মেয়ে টা বিরক্ত হয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– “একটু আশেপাশে তাকিয়ে দেখুন স্যার। তাহলে’ই একে একে সকলে’র খোঁজ পাওয়া যাবে।” ইমান মিমকে দেখে বেশ চমকে গেলো।
তবুও সে বেশ কোমল গলায় তাকে জিজ্ঞেস করলো,
– “তোমার কিছু খাওয়া হয়েছে? রাত তো কম হলো না? হয়তো? তুমি আলপনা দিচ্ছো বিকেল বেলা থেকে……..”
মিম তার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে রইলো, সে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
– “স্যার, একবার তুমি একবার আপনি? এইসব কি? আপনার মাথা ঠিক আছে?” ইমান নিজের ব্লেজার খুলে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বললো।
– “একদম, এখন বলো তুমি কি খাবে?”মিম দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো,
– “কিচ্ছু না।’ কিন্তু, ইমান চোখের ইশারায় ড্রাইভার রহমতকে বুঝিয়ে দিলো মিমের জন্য নাস্তাপানি নিয়ে আসতে।
রহমত, কিছুক্ষণের মধ্যেই মিমের জন্য খাবার নিয়ে এলো। ইমান বললো,
– “চট করে এগুলো খেয়ে নিন। কাজ পরেও করা যাবে।” মিম জেদ ধরে রইলো, ইমান রেগে গিয়ে রং তুলি কেড়ে তার হাত থেকে।
মিম প্রচণ্ড রেগে তাকিয়ে রইলো, ইমান নরম গলায় বললো,
– “খেয়ে নাও লক্ষীটি, তোমার শরীর খারাপ করবে।”
– “দেখুন আমি আপনার বউ নই আর প্রেমিকাও নই তাহলে আপনার এতো অধিকার বোধ আসছে কোথা থেকে?”
– “তুমি তো আমারই।” মিম রাগে রীতিমতো কাঁপছে হঠাৎ সেখানে জাফর সাহেব চলে এলেন তবে তিনি কিছু বলে ওঠার আগেই ইমান বলে উঠলো,
– “স্যার, আপনাদের খেয়াল রাখা উচিত ছিলো না? মেয়ে টা না খেয়ে বসে আছে?”
– “আসলে ইমান আমরা ওকে অনেক বলেছিলাম।”
– “বললেই, যেন সবটা হ’য়ে যাবে?” মিম ঝামেলা এড়াতে ইমানকে শান্ত ভাবে বললো,
– “আমি খেয়ে নিচ্ছি স্যার।” ইমান দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠলো,
– “দ্যাটস লাইক মাই গুড গার্ল। তুমি খেলেই আমি চলে যাবো এখান থেকে।” ততক্ষণে সাদিক সাহেব এসে হাজির। তিনি মুচকি ইমানকে বললো,
– “চলুন স্যার, আমাদের জন্য চা নাস্তার আয়োজন করা হয়েছে।”
ইমান এক বার আড়চোখে মিম কে দেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো। সে শিক্ষক মিলনায়তন থেকে চায়ের কাপ টা নিয়ে বারান্দায় এসে দেখলো,
মিম কাজ করার পাশাপাশি সেজানের সাথে গল্প করছে। সেজান মিমের খুব কাছাকাছি বসে মাঝে মাঝে সে আবার মিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ইমান সে দৃশ্য দেখে প্রচণ্ড চোটে গেলো,
সে চায়ের কাপ টা মেঝেতে ছুড়ে মে’রে সোজা গিয়ে হাজির হলো মিমের কাছে।
মিম হঠাৎ তার এমন রুদ্রমূর্তি দেখে বেশ অবাক হল। ও ইমান কে জিজ্ঞেস করলো,
– “স্যার, আপনি কিছু বলতে এসেছেন আমাকে?” সে দাঁতে দাঁত চেপে জিজ্ঞেস করলো,
– “এতো কিসের আঠা তোমার? একটা হলেই হলো? সামনে পুরুষ মানুষ দেখলেই তার গায়ে গিয়ে পরতে খুব ভালো লাগে?”
– “আপনি কি থামবেন? প্লিজ?”
– “এই ছেলে টা কি করছে তোমার কাছে?”
– “দ্যাট’স নান অব ইওর বিজনেস।” সেজান তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে বললো,
– “স্যার, আমি ওকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসবো এ- টাই বলতে এসেছিলাম ওকে।”
– “কিন্তু, মিম তোমার সাথে যাবে না।”
– “আমাদের বাসা পাশাপাশি, স্যার। আমার কথা হয়েছে আঙ্কেল এবং আন্টির সাথে।”
– “তুমি কি ওর ভা*তা*র লাগলো?” মিম রেগে গিয়ে বলে উঠলো,
– “আপনি ও আমার ভা*তা*র নন, স্যার। আর তা ছাড়া আমি ক’দিনই বা চিনি আপনাকে?”
– “তুমি আমার সাথে যাবে, এটাই ফাইনাল।”
– “আমি কোথাও যাবো না মিস্টার, আপনার সাথে।
এন্ড আই এম নট ইওর পারসোনাল প্রপার্টি। ডু, ইউ আন্ডারস্ট্যান্ডি দ্যাট?”
– “হুহ্, তুমি যে আমার কি? তা যদি বুঝতে?” তখন হঠাৎ ইমানের ফোন বেজে উঠলো সে মিটিমিটি হেসে কল টা রিসিভ করে ফোন টা এগিয়ে দিলো মিমের কাছে।
মিম একটু অবাক হলো, অপর পাশ থেকে ফাইজান সাহেব বলে উঠলো,
– “মা, আমি আসতে পারছিনা। ইমান পৌঁছে দিয়ে আসবে তোমাকে।”
– “তোমাকে কে আসতে বলেছে বাবা? আর আমি কি বলেছি আমি বাড়িতে ফিরবো এই লোকটার সাথে?
তুমি ভালো করে জানো আমি ওনাকে পছন্দ করিনা। তাও তুমি আমাকে আসতে বলেছ ওনার সাথে। কি সমস্যা কি তোমাদের?
ভাইয়ের প্রজেক্টে ইনভেস্ট করছে বলে কি তোমাদের মাথাটা কিনে নিয়েছে? স্বার্থপর লোক একটা।” তার পর,মিম কলটা কেটে ফোন টা ধরিয়ে দিলো ইমানের হাতে। ইমান ঠায়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
ওদিকে, মেয়ের বলা কথা গুলো ফাইজান সাহেবকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। তিনি বেশ ভালো করেই জানেন, মিম ওনার ভয়তে কোনো ছেলেদে’র সাথে মেলা-মেশা করে না। হাতে গোনা দুয়েক’টা তার ছেলেবন্ধু আছে। বছর তিনেক আগে, একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য তিনি মেয়ের গায়ে হাত তুলেছিলেন। যে টা আজও খুব কষ্ট দেয় ওনাকে। তিনি আর অপেক্ষা না করে তৈরি হ’য়ে নিচে চলে এলেন। মিম তখন ঝড়ের বেগে তার পাশ কাটিয়ে চলে গেলো নিজের ঘরের মধ্যে।
হলে ইমান এবং সেজান বসা। ফাইজান সাহেব কে দেখে তারা দু’জনেই সালাম দিলো তাকে তিনি ইমান কে বললেন,
– “তুমি কিছু মনে করো না বাবা। আমার করা একটা ভুলের কারণে’ই মেয়ে টা হয়তো এমন হয়ে গেছে?
যাগগে, বাদদেও সেসব কথা।
দু’জনেই ডিনার না করে কিছুতেই যেতে পারবেনা বাসা থেকে।” সেজান মুচকি হেসে বললো,
– “আঙ্কেল আমি একটু মিমকে গিয়ে দেখে আসি?”
সেজানের কথাটা শুনেই ইমানের মুখ টা আমসি হ’য়ে গেছে। ততক্ষণে, মিম জামাকাপড় ছেড়ে নিচে চলে এলো। সে সেজান কে বললো,
– “বাসায় গিয়ে টেস্ট করে দেখিস…….. জলপাইয়ের আচার সাথে একটু আমলকীর আচার ও আছে।” ফাইজান সাহেব হাসিমুখে বললেন,
– “মা তুমি তোমার স্যার কে কিছু খেতে দিলে না?”
– “এখনে আমার কি প্রয়োজন বাবা?
ওনাকে আপ্যায়ন করার জন্য তুমি আছো, মা আছে আর ভাবি ছাড়াও আরও অনেকে আছে।” তখন রেষা এসে বললো,
– “কাল আমার সাথে, মিরপুরে যাবি তো? আমার নতুন ফ্লাটে?” মিম দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
– “না গো,আমার খুব লজ্জা করবে যৌতুকের টাকায় কেনা তোমার ফ্লাটে যেতে। তার চেয়ে বরং তোমার স্বামী নিজের টাকায় কিছু একটা করে দেখাক? তারপর না হয় দেখাতে যেও আমাকে?” মিমের কথা শুনে মুখের হাসি মিয়ে গেলো রেষার। ফাইজান সাহেব মেয়েকে বললেন,
– “এখন থাক মা? এসব নিয়ে না হয় পরে আলোচনা করা যাবে?” মিম সেজান কে নিজের ঘরে খেতে দিলো। ইমানে’র একটুও ভালো লাগছে না মিমের এবং সেজানের সখ্যতা দেখে।
ডিনার শেষ করে ইমান, সেজান দু’জনেই বাড়িতে ফিরে গেলো ফাইজান সাহেবের মেয়েকে নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে। এদিকে, হালিমার চোখে ঘুম নেই। রেষা কেঁদেকেটে মায়ের কাছে নালিশ করছে। নয়ন এতে কিছুটা বিরক্ত হয়ে গেলো, সে রাগ সামলাতে না পেরে বলেই ফেললো,
– “বড় আপু তোমার নাটক করা শেষ হয়েছে? মেঝো আপু মিথ্যে কি বলেছে?
তোমার জন্য আমাদের দু’জনের জীবন টা নষ্ট হ’য়ে যাচ্ছে আর তাছাড়া আপু কেন নুহাসকে বিয়ে করবে
? তুমি যেমন তেমনই মনে করো সবাইকে?” নয়নের কথা শুনে হতবাক সবাই, সে রেষাকে ধাক্কা মে’রে বেড়িয়ে গেলো ঘর থেকে।
মিম সকাল সকাল ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গেলো মেয়ে কিছু খেয়ে যায়নি শুনে,ফাইজান সাহেব দু’চার কথা শুনিয়ে দিলেন স্ত্রীকে। তারপর, তিনি কোর্টের জন্য বেড়িয়ে গেলেন। এদিকে মিম সারাদিন তার পুরো টিম নিয়ে ডেকোরেশনের কাজ করছে।
সন্ধ্যায় সে বাড়িতে পৌঁছে গেলো। রেষার শাশুড়িকে দেখে হালিমাকে ডেকে বললো,
– “মা দেখ কাল আমার অনুষ্ঠান আর আমি কোনো ঝামেলা চাই না আজকে। উনি যেন আমাকে বিরক্ত না করে, খবরদার।
না হলে ওনার কপালে আর তোমাদের কপালেও ঢের দুঃখ আছে। এমন সিনক্রিয়েট করবো, লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবেনা কাওকে।”
হালিমা মেয়েকে আশ্বস্ত করলেন, বললেন,
– “দুশ্চিন্তা করোনা মা। তিনি আজ একটুও বিরক্ত করবেনা তোমাকে।”

চলবে,,,