LoVe Effect part-27+28

0
483

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 27

🍁🍁🍁

ডিনার টেবিলে সায়নরা বসে সবাই খাচ্ছে হঠাৎ নীর হেসে উঠে বিনাকারণে হঠাৎ এভাবে হেসে উঠায় সবাই হতভম্ব হয়ে নীরের দিকে তাকায় নীর ব্যাপার টা বুঝতে পেরে মিনমিনিয়ে বলে

নীরঃ সরি

কেউ তেমন একটা পাত্তা না দিয়ে আবার খাওয়ায় মন দেয় কিন্তু এবারও নীর আগের থেকে দ্বিগুণ শব্দে হেসে উঠে এবার সবাই সন্দেহের দৃষ্টিতে নীরের দিকে তাকায় নীর হাসতে হাসতে পেট চেপে ধরে সায়নের বাবা স্মিত হেসে বলে

সায়নের বাবাঃ কি রে মা এতো হাসছিস কেনো আজ কি খুব বেশি খুশি

সায়নঃ ধ্যাত বাবা গিয়ে দেখো পেত্নি ধরেছে

সায়নের কথায় সবার বিরক্তি নিয়ে সায়নের দিকে তাকায় সবার বিরক্তিমাখা ফেস দেখে সায়নের মুখটা চুপসে যায় শ্রাবণী টেবিল থেকে একটা চামচ নিয়ে নীরের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ হাসবি না কুত্তী আমি কিন্তু জানি তুই কেনো হাসছিস

এবার আর পায় কে নীর এমনিতেই হাসি আটকাতে পারে না আর দুপুরের সিন মনে পড়লে তো নীরের হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়নীর চামচ টা সাইডে রেখে পুনরায় হাসতে শুরু করে

শ্রাবনীঃ হারামি তোকে তো আমি আজ

শ্রাবনী কে তেড়ে আসতে দেখে নীর খাওয়ার টেবিল ছেড়ে উঠে দৌড় লাগায় শ্রাবণী নীরের পেছন পেছন দৌড়ায়

শ্রাবনীর মাঃ দুইটার কান্ড দেখো এভাবে খাবার ছেড়ে কেউ উঠে শ্রাবনী নীর কে এভাবে দৌড়াচ্ছিস কেনো মেয়েটা শাড়ি পড়ে পরে যাবে তো

রিহিঃ কাহিনি কি হলো নীর হঠাৎ এভাবে কারণ ছাড়া হাসলো কেনো

এশাঃ কিছু তো একটা ব্যাপার আছেই

অভিঃ আরে ওদের ছাড়ো তো দুইজনই পা*গলি টাইপের

সায়নঃ আরে সোনাভাবী নীর একা একাই হাসতে পারে বাদ দাও খাও তো

সায়নের কথায় আয়াত ধমকে বলে

আয়াতঃ তো তোর মতো সারাদিন রামগরুড় ছানা হয়ে থাকবে

সায়নঃ যাক বাবা আমি কি করলাম এই বাড়িতে এখন থাকতেই পারবো না দেখছি

শ্রাবনীঃ তুই এভাবে হাসলি কেনো

নীরঃ বেস্টু বিলিভ মি আমি জাস্ট মাহির ভাইয়ার ফেস টা মনে পড়লেই দম বন্ধ করার মতো হাসি পাই বেচারার ফেস টা জাস্ট দারুণ ছিলো

শ্রাবনীঃ বেশ হয়েছে আমাকে ধরতে আসলো কেনো হুহহ

নীরঃ হাহ না ধরলে এখন বেডে শুয়ে শুয়ে ভূতের মুভি দেখতি পা ভাঙা অবস্থায় থুরী কোমড় ভাঙা অবস্থায়

শ্রাবনীঃ বেস্টিইইইইইইইইই

বেডে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে মাহির কোমড় ব্যথায় উঠে দাঁড়াতে পারছে না মাহিরের মা একটু আগেই মাহিরকে খাইয়ে মেডিসিন দিয়ে কতগুলো বকা দিয়ে গেছে বিনাদোষে মাহির চুপচাপ বকা হজম করে এখন শ্রাবনীর পিন্ডি চটকাচ্ছে

মাহিরঃ সারাদিন খেয়ে খেয়ে হাজার কেজি ওজন বানিয়ে আমার মতো ছোট পিঁপড়ার উপর ধাম করে পড়লো ভাগ্যিস বেঁচে আছি আমি তো ভেবেছিলাম আমার কোমড় পেট আর সিজার করা লাগবে সরি আমার কেনো সিজার হবে সার্জারী করা লাগবে হতো হে খোদা এই মেয়ের কপালে কোনো শুটকি মার্কা জামাই ঠিক করে রেখো না তাহলে বেচারা বাসর রাতেই শেষ পরেরদিন দিন কেনো আর কোনো প্রভাতের সূর্যোদয়ই ওই বেচারা দেখতে পারবে না

মাহির বিড়বিড় করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে।

নিকষ কালো আধার কাটিয়ে মেদিনীতে নতুন ভোরের সূচনা বর্তমানে বাংলাদেশে বর্ষা ঋতু চলমান গ্রীষ্ম পেরিয়ে এই তো কিছুদিন হলো বর্ষার আগমন বর্ষাকাল মানেই চারদিকে জলে টুইটুম্বুর বিনা অনুমতিতে আকাশের বুক ছিঁড়ে শুরু হয় বর্ষার প্লাবন বর্ষাকে ঘিরেই আবার বেশ কিছু পেশা সজীব হয়ে উঠে সমস্ত মাঠ-ক্ষেতে পানিতে যাতা অবস্থা। রিনঝিন বৃষ্টি মাখা সুর কার না শুনতে ভালো লাগে বৃষ্টিস্নাত বর্ষার ফুলের উপস্থিতি হাজারো মানব-মানবীর মন প্রেমের রঙে রাঙিয়ে তুলে বৃষ্টিপ্রেমী দের কাছে বৃষ্টি মানেই নতুন ছন্দে জীবনের শুরু তবে গ্রামের মতো শহরে বর্ষার সৌন্দর্য তেমন একটা উপভোগ করা যায় না ইট-পাথরের ঘেরা এই শহরের লোকজন তবুও বর্ষাকে আপণ করে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কেউ কেউ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বর্ষণের ছোঁয়া পেতে আবার কেউ ছাদে উঠে বৃষ্টি সশরীরে আলিঙ্গন করে নেয়। হঠাৎ হঠাৎ আকাশের বুক ছিঁড়ে শুরু হয় বৃষ্টি কখনো বা মেঘের বজ্রপাত সবমিলিয়ে বর্ষাকাল আমাদের যেমন আনন্দের তেমনি দিনমজুরদের জন্য কষ্টে

মাহিরদের পরীক্ষা শেষ হয়েছে সাত মাসের উপর শ্রাবনীরা এখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট দেখতে দেখতে নীর&সায়নের বিয়ের নয়মাসের উপর হয়েছে সম্পর্ক আগের মতো আছে। ভার্সিটির বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে নীর শ্রাবনী বাইরে একঘন্টা ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে যত সময় যাচ্ছে ততই বৃষ্টি বাড়ছে শ্রাবনী নীর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দু’জনেরই পা ব্যথা উঠে গেছে

শ্রাবনীঃ বেস্টু ছোড়দা আসছে না কেনো বলতো

নীরঃ জানি না হয়তো কাজে ব্যস্ত

শ্রাবনীঃ একটা ফোন দে না

নীরঃ থাক বাবা বকবে

” কি ব্যাপার এখনো বাড়ি যাওনি তোমরা ”

বহুদিন পর পরিচিত কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে নীর শ্রাবনী দুজনই চমকে যায় পেছন ফিরতেই বৃষ্টিতে আধ ভেজা মাহির, শুভ কে দেখে চমকে যায় অজান্তেই শ্রাবনীর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে প্রায় পাঁচ মাস পর মাহিরদের সাথে ওদের দেখা হয়েছে এখন যেহেতু মাহির ‘রা আর ভার্সিটির স্টুডেন্ট না তাই বেশী একটা এদিকে দেখা ও যায় না পাঁচ মাসে মাহিরের ফেস একটুও বদলায় নি ফর্সা গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি সাদার মধ্যে হালকা ব্রাউন রঙের গভীর দুটি চোখ ফিট বডি ফর্সা গায়ে আকাশী শার্ট টা দারুণ মানিয়েছে বৃষ্টির পানিতে সামনে কিছু চুল ভিজে গেছে মুখে হালকা পানি হাতের লোমগুলো পানিতে ভেজা শার্টের কোনায় ও কিছুটা ভিজে গেছে মন্দ লাগছে না ভালোই লাগছে হঠাৎ হুশ ফিরতেই শ্রাবনী দ্রুত মাহিরের দক থেকে চোখ সরিয়ে নেয় ততক্ষণে আদিত্য চুলের পানি ঝাড়ডে ঝাড়তে ওদের পাশে এসে দাঁড়ায় আদিত্য হেসে বলে

আদিত্যঃ কি লিটল সিস বিবাহিত লাইফ কেমন কাটছে

নীরঃ বর আনরোমান্টিক হলে যেমন হয় তেমনই কাটছে 🥱

আদিত্যঃ মানে

নীরঃ হিহিহি কিছু না ভালোই কাটছে আর গিরগিটির সাথে কেমন কাটতে পারে বুঝতেই পারছেন

মাহিরঃ তা এখন তো খুব স্পিচফুলি ক্লাস করতে পারেন ভার্সিটি আসেন যান কেউ ডিস্টার্ব করার নেই জ্বালানোর নেই ভালো আছেন নিশ্চয়ই মিস শ্রাবণ

মাহিরের মুখে শ্রাবণ আপনি দুইটা ডাক শুনে শ্রাবণী চমকে মাহিরের দিকে তাকায় মাহির পকেটে দুহাত গুঁজে নিচের ঠোঁট কামড়ে শ্রাবনীর দিকেই তাকিয়ে আছে শ্রাবনী হালকা কেশে বলে

শ্রাবনীঃ কোথায় হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন এতোদিন পর আবার কোন আকাশ থেকে টপকালেন

মাহিরঃ আকাশ তো একটায় মেডাম ছিলাম কোথাও তবে দূরে নয় কাছে কোথাও কেনো মিস করছিলে ( শ্রাবনীর দিকে হালকা ঝুঁকে)

মাহিরকে এভাবে ঝুঁকতে দেখে শ্রাবণী কিছু টা পিছনের দিকে ঝুঁকে যায় অতঃপর কাঁপা কাঁপা গলায় বলে

শ্রাবনীঃ ননন নাহ

মাহির শ্রাবনীর দিকে গভীর দৃষ্টিপাত করে ভার্সিটির সাদা ড্রেস গায়ে চুলগুলো খুব স্মিপল স্টাইলে বাঁধা কালো-গোলাপি সংমিশ্রিত ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক হাতে ঘড়ি শ্যামর্ণের এই মুখে হাজারো মায়ার ছড়াছড়ি চোখের ভয় মাহির আনমনে মাদকতা পূর্ণ কন্ঠে বলে উঠে

” আমার বুকের বাঁ পাশে একটা মহাদেশ আছে অথচ সেখানে আমি শাসক নয় & এক শ্যামাবতী শাসনকর্তী হয়ে ঝেঁকে আছে তবে সেই শ্যামাবতীর অভাবে সেই মহাদেশের রাজা বড্ড বেসামাল হয়ে যাচ্ছে অপেক্ষায় আছে মহাদেশের রাজার সেই পিচ্চি রাণী বউয়ের “।

মাহিরের কথা শ্রাবনীর মাথার উপর দিয়ে যায় নীররা মুচকি হেসে ওদের থেকে কিছুটা দূরে সরে গল্প করতে শুরু করে।

শ্রাবনীঃ শুনুন

মাহিরঃ বলুন

শ্রাবনীঃ একটু সরে দাঁড়ান আমার না কেমন কেমন লাগছে

মাহিরঃ কেমন লাগছে

শ্রাবনীঃ বুক কেমন ঢিপঢিপ করছে

মাহিরঃ বুক কখন ঢিপঢিপ করে জানো

শ্রাবনীঃ নাহ

মাহিরঃ কখনো কাউকে ভেবে মনের অজান্তে হেসেছো কাউকে হন্নে হয়ে এদিক ওদিক খুঁজেছো কাউকে বড্ড বেশী মিস করার মতো যন্ত্রণা সহ্য করেছো

শ্রাবনীঃ_____

মাহিরঃ জামতাম উত্তর নেই তুমি এখনো পিচ্চি আছো এসব বুঝার বয়স হয়নি বাই দ্যা ওয়ে ওয়ে একটা ব্যক্তিগত কুয়েশ্চন করি

শ্রাবনীঃ হুমমম

মাহিরঃ বৃষ্টিবিলাসী

শ্রাবনীঃ হুমম বাট বৃষ্টিতে এলার্জি

মাহিরঃ বৃষ্টি তে কারো এলার্জি হয়

শ্রাবনীঃ আছেই তো অনেকে কোল্ড এলার্জি

মাহিরঃ হুমম বাট বৃষ্টি ভালো পাও না

শ্রাবনীঃ হুমমম

মাহিরঃ কখনো করেছো বৃষ্টি বিলাস

শ্রাবনীঃ বড় হয়ে তেমন একটা করা হয়নি ছোট সময় প্রায়ই করতাম আম্মু প্রচুর বকা দিতো

মাহিরঃ বরের সাথে কোনোদিন বৃষ্টি ভিজো বৃষ্টি বিলাস ও হয়ে যাবে ফ্রিতে রোমান্স ও হবে

মাহিরের কথায় শ্রাবণী কিছু না বলে রাস্তার দিকে তাকায় বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমছে কিন্তু এখনো অনেকটা পড়ছে মাহির শ্রাবনীর পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি তে হাত ভিজিয়ে হাত দিয়ে জল নিয়ে শ্রাবনীর মুখে ছিটিয়ে দেয় মুখে পানি পড়ায় শ্রাবনী রাগী দৃষ্টির অভিনয় করে তাকায় মাহির কিউট স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে শ্রাবনী কিছু না বলে নিজেও হাত দিয়ে পানি নিয়ে মাহিরের দিকে ছুঁড়ে মারে।

বেশ কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি কমতেই সায়নের গাড়ি আসে সায়ন গাড়িতে থেকেই ওদের ফোন দেয় নীর’রা মাহিরদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসে পড়ে মাহির’রা ও চলে যায়।

মাহির কিছুক্ষণ বাইরে থেকে বাড়ি যায় কিন্তু বাড়ি যেতেই চমকে যায় মাহির

চলবে,,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ ❤️)

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 28

🍁🍁🍁

শ্রাবনী হা করে সোফায় বসে থাকা বয়স্ক লোকের দিকে তাকিয়ে আছে চেনা চেনা ঠেকছে কিন্তু চিনে উঠতে পারছে না শ্রাবনীকে এভাবে হা করে থাকতে দেখে নীর শ্রাবনীর পাশে গিয়ে বলে

নীরঃ ডেয়ার রায়বাঘিনী ননদীনি হা টা অফ করো আর যাকে চিনতে প্রবলেম হচ্ছে সে হলো তোমারে পরাণের পোলা মাহির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র উত্তরাধিকারী মিস্টার রেজওয়ান মাহির খানের একমাত্র জন্মদাতা পিতা অর ওফ এ তোমার হাফ না হওয়া শ্বশুর মশাই

নীরের কথা শুনে শ্রাবণী ভ্রু কুঁচকে নীরের দিকে তাকায় নীর শ্রাবনীর দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সোফায় বসে থাকা ভদ্রলোকের দিকে দৃষ্টিপাত করে পাশেই নীরের শ্বশুর ভাসুর বর হেসে হেসে কথা বলছে নীর সবার দিকে একবার চক্কর দিয়ে পুনরায় সায়নের দিকে তাকায় লোকটা আজকাল আগের থেকে বেশি হ্যান্ডসাম হচ্ছে নাকি প্রথম প্রেমের দোলা পাওয়ায় নীরের মনে হচ্ছে সায়ন দিনদিন হ্যান্ডসাম হচ্ছে আহ কি সুন্দর হেসে হেসে কথা বলছে সবার সাথে হেসে হেসে মধুর আলাপ করবে আর রুমে গেলে মুখভর্তি নিমপাতা চিবুতে চিবুতে যাবে যার ফলস্বরূপ নীরের সামনে মুখটা হাতির মতো করে রাখে নীরের মাঝে মাঝে নিজের কপাল নিজে চাপড়াতে ইচ্ছে করে এমন আনরোমান্টিক জামাই কেনো ওর কপালেই জুটলো কত শখ ছিলো জামাই নিয়ে যার জন্য জীবনে একটা প্রেম করেনি কম তো প্রপোজাল পাইনি তবুও নীর বুঝ হবার পর থেকে আইমিন এসব প্রেম-ভালোবাসার বুঝ হবার পর থেকে ফিউচার হাসবেন্ডের জন্য মনের এককোণে জমিয়ে রেখেছিলো আর শেষমেশ এমন বর জুটলো সারাদিন মুখে একটা সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখবে তাতে লেখা থাকবে ” হাসতে মানা ভালোবাসতে মানা রোমান্টিক হতে মানা “। অসহ্য, তারজন্য লোকে বলে যা করার বিয়ের আগে করে নেওয়ায় শ্রেয় জীবনের প্রায় বেশ অর্ধেক সময় তো ভার্সিটি কলেজ স্কুলেই কেটে যায় বাকি অর্ধেক সংসারে তাই প্রেম -টেম কলেজ ভার্সিটি লাইফে করাই বেটার অন্তত আনরোমান্টিক বর কপালে জুটলে কখনো আফসোস করতে হবে না কেনো একটা প্রেম করলাম না।

নীরের এসব ভাবার মাঝেই শ্রাবনীর মায়ের ডাক শুনে নীর খিটখিটে মেজাজ নিয়ে সায়নের দিকে দৃষ্টিপাত করে নিজেই বিড়বিড় করে

নীরঃ কাম অন নীর কার কাছে কি এক্সপেক্ট করছিস বরং মনের সুপ্ত অনুভূতি পরজন্মের বরের জন্য বাঁচিয়ে রাখ এই জন্মে ভালোবাসা মন থেকে মুছে ফেল

নীর সায়নের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে হাস্যজ্জল মুখে কিচেনের দিকে যায়

নীরঃ বলো আন্টি মা কি করতে হবে

শ্রাবনীর মাঃ দেবো টেনে এক থাপ্পর এখন আমি তোর আন্টি হয় নয়মাস হলো বিয়ে হয়েছে দুদিন পর ঘর আলো করে বাচ্চা কাচ্চা আসবে এখনো আন্টি আন্টি বলে বেড়াস আরেকদিন মার খাবি বলে দিলাম

নীরঃ তোমার ছেলে এখনো অবধি টাচ’ই করলো না দুদিন পর বাচ্চা কি আসমান থেকে টপকে পড়বে ( বিড়বিড় করে) ওকে সরি মা হয়েছে এবার বলো কি করবো

নীরের পাশে রিহি তাকায় নীরের বিড়বিড় করে বলা সবগুলো কথায় শুনতে পেয়েছে রিহি মিটিমিটি হেসে কাজে মন দেয়

শ্রাবনীর মাঃ তোর ননদ কে বল এখন একটু হাত-পা কন্ট্রোলে রাখতে সারাদিন তো খালি দৌড়ায়

নীরঃ কে আমার ননদ কোন ননদ মা আবার বাচ্চা নিলে নাকি ( চোখ টিপে)

নীরের কথায় এশা রিহি শব্দ করে হেসে দেয় শ্রাবনীর মা নীরের কান ধরে বলে

শ্রাবনীর মাঃ দাড়া পাঁজি মেয়ে তোর আজ হচ্ছে

নীরঃ আহ মা লাগছে ছাড়ো এভাবে তোমার ছোট হিটলার ছেলেটা কে ধরতে পারো না সারাদিন আমাকে বেহুদাই ধমকায় ( ইনোসেন্ট হয়ে)

শ্রাবনীর মাঃ ওকে শাসন করার জন্যই তো তোকে আনলাম আমি তো ছোট থেকে বড় করলাম এবার তুই তোর মনের মতো গড়ে নে ( নীরের কান ছেড়ে)

নীর শ্রাবনীর মা’কে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে বলে

নীরঃ তোমার ওই ঘাড়ত্যাড়া ছেলেকে গড়তে গেলে দেখবে আমাকো মাথায় তুলে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলবে

রিহিঃ ভাঙবে না বড়জোর তোকে একটু আধটু আদর করবে

রিহির কথায় নীর জিভ কেটে রিহির দিকে তাকায় শ্রাবণীর মা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নীর কথা কাটাতে বলে

নীরঃ বাই দ্যা ওয়ে ক্রাশভাবী মা হঠাৎ আমাদের বাড়িতে মাহির ভাইয়া’র বাবা কেনো আসলো

শ্রাবনীর মাঃ উনি অনেকদিন আগেই একবার এসেছিলো শ্রাবনীকে উনি উনার ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে চাই সায়ন বললো মাহির নাকি ভালো ভদ্র ছেলে তাই আর কেউ দ্বিমত করেনি এখন উনি এসেছেন কবে এনগেজমেন্ট বিয়ে হবে এসবের ডেট ফিক্সড করতে তোদের বলবো ভেবেছিলাম কিন্তু শ্রাবনী কে বললে তখন ও রাজি হতো না আর তুই তো আবার তোর বেস্টফ্রেন্ড কে কিছু না বলে থাকতে পারিস না তাই সায়ন তোদের জানায়নি এবার বুঝলি কেনো এসেছে

শ্রাবনীর মা’র কথা শুনে নীর জাস্ট থ হয়ে যায় বিয়ে তাও মাহির শ্রাবনীর ওএমজি তেলেজলে তাহলে কিভাবে মিশবে নীরকে হঠাৎ চুপ হয়ে যেতে দেখে এশা বলে

এশাঃ কি হলো চুপ হয়ে গেলি কেনো রাগ করেছিস

হঠাৎ এশার কথায় নীরের ধ্যান ভাঙে নীর হেসে বলে

নীরঃ আরে না আমি শ্রাবনীর কাছ থেকে আসছি দুইমিনিটে যাবে একমিনিটে আসবো

নীর দৌড় লাগায়

রিহিঃ আরে আস্তে যা পড়বি তো এই গেলো রে গেলো

নীর ধরাম করে একটা শক্তপোক্ত বুকের সাথে ভারী খায় মুহুর্তেই মাথা পুরো ঝিম ধরে যায় নীর মাথায় ধরে চোখ বন্ধ করে সামনের ব্যক্তির বুকের শার্ট মুঠোয় পুরে মাথার ঝিম ঝিম বন্ধ হওয়ার অপেক্ষা করে

সায়নঃ এই মেয়ে তোমার হাত-পায়ে কন্ট্রোল নেই সারাটা দিন গাড়ির মতো ছুটো

সায়নের কথায় নীর চোখ খুলে বলে

নীরঃ না হাত-পায়ে কন্ট্রোল নেই আপনার সমস্যা আর বুক টা এতো শক্ত কেনো একটু নরম করতে পারেন না আমার মাথা টায় পুরো ফাটিয়ে দিয়ে এখন আমাকে বকছে সরুন তো সামনে থেকে তালগাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকে হুদাই

সায়নঃ তোমাকে

নীর জিভ বের করে ভেংচি কেটে চলে যায় সায়ন নীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কিচেনে ডুকে সবাইকে নিজের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সায়ন বেক্কল বনে যায়।

নীরঃ বেস্টটটটটটটটটটটটটু রেএএএএএএএএএএ

হঠাৎ নীরের এমন চিৎকার শুনে শ্রাবণী হতভম্ব হয়ে যায় দরজা দিয়ে নীর দৌড়ে এসে শ্রাবণী কে ঝাপটে ধরে বলে উঠে

নীরঃ ওহহহ জান্নু কংগ্রাচুলেশনস ফর ইউ’র নিউ লাইফ বেইব

হঠাৎ নীরের এমন কথায় শ্রাবণী ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে যায় শ্রাবণী নিজেকে কোনোরকমে ধাতস্থ করে বলে

শ্রাবনীঃ বেস্টু ছোড়দা মনে হয় আজ তোকে একটু বেশি ডোস দিয়েছে তাই পাগল হয়ে গেছিস

নীরঃ ধূর রাখ তো তোর ওই ছোড়দার কথা আমি এটা কি শুনলাম রে

শ্রাবনীঃ কি শুনলি

নীরঃ বিয়ে

শ্রাবনীঃ কিহ তুই আবার বিয়ে করবি তাহলে আমার নিষ্পাপ ছোড়দা’র কি হবে

নীরঃ শালী আব*আমি কেনো বিয়া করুম আজব’স বিয়া তো করবি তুই

শ্রাবনীঃ ওয়াটট পাগল আমি আর বিয়ে পাবনা যা বইন নয়তো মানুষ কামড়াবি একটু পর

নীরঃ আয় তোকে কামড় দেয়

শ্রাবনীঃ হোপপ

নীরঃ বেস্টু আম সিরিয়াস মাহির ভাইয়ার বাবা কেনো এসেছে জানিস

শ্রাবনীঃ নাহ

নীরঃ তোর আর মাহির ভাইয়ার বিয়ের ডেইট ফিস্কড করতে

শ্রাবনীঃ কিসব বলছিস

নীরঃ সত্যি মা বললো

শ্রাবনীঃ কোথায় আমাকে তো কেউ কিছু বললো না তুই আগে থেকে জানতি

নীরঃ আরে ধূর আমি জানলে তো আমি তোকে বলতাম নাকি এখন কি করবি বিয়ে করবি

শ্রাবনীঃ নাহহহহ আমি কোথাও যাবো না তোদের ছেড়ে

নীরঃ হুহহ বিয়ের পর ঠিকই জামাইয়ের সাথে রোমান্স নিয়া বিজি থাকবা বাই দ্যা বিশ্বরোড এগেইন কংগ্রেস

দিনের আলো গ্রাস করে অনেকক্ষণ আগেই আধার এসে ঘিরে নিয়েছে মেদিনী আকাশের শুভ্র নীল আকাশ এখনো কালো দেখাচ্ছে ঝলমল রাতে আকাশে তারারা ঝলঝল করে ঝলছে হিম করা প্রকৃতির বাতাসে মিশে আছে একঝাঁক প্রেমানুভূতি। খান বাড়িতে নিস্তব্ধ পরিবেশ মাহির ফ্লোরের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চোখ থেকে যেনো আগুন ঝরছে রাগে কপাল হাতে শিরা ভেসে উঠেছে সামনেই মাহিরের বাবা ভাবলেশহীন খবরের কাগজ পড়ছেন মাঝে মধ্যে উঁকি দিয়ে নিজের ছেলের সুদর্শন মুখশ্রী খানা একবার পরিদর্শন করে পুনরায় নিজের গাম্ভীর্যতা বজায় রাখছেন নিজের ছেলেকে তিনি খুব ভালো করে চিনেন জোর করে চাপানো জিনিস ওর একদম অপ্রিয় রাগের বর্হিপ্রকাশ একবার করলে পুরো তান্ডব শুরু হয় তাই তো নিজের ছেলেকে বাপ হয়ে ভয় পাই কিন্তু আজ ভয় পেলে হবে না তাই তো মুখে গাম্ভীর্যতার রেশ ফুটিয়ে রেখেছেন। মাহির মা রান্নাঘর থেকে উঁকি দিয়ে নিজের স্বামী- ছেলের কান্ড দেখছেন আর হাসছেন মিটিমিটি জোরে হাসা এখন নিষিদ্ধ বেশ খানিকক্ষণ নিরবতা পালন করে মাহির বলে উঠে

মাহিরঃ বাবা আমি কালকেই বলেছি আমি এখনই বিয়ে করতে চাইছি না

মাহিরের বাবা নিজের গাম্ভীর্যতা বজায় রেখেই পুনরায় ভরাট কন্ঠে বলে

মাহিরের বাবাঃ তোমার পারমিশন আমি চাইনি তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করেছি তুমি কাউকে লাইক করো কিনা তুমি কিছুই বলোনি আর মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ সো বিয়ে টা তুমি করছো আর শ্রাবনী কেই করছো

মাহিরঃ বাবা আমি এখন বিয়ে করবো না দ্যাটস ইট

মাহিরের বাবাঃ তুমি কি চাও তোমার জন্য আমার মুখ ছোট হোক ওদের কাছে ওদের আমি কথা দিয়ে ফেলেছি বিয়ে তো আজ নয় কাল করতেই হবে তো দুদিন আগে করলে সমস্যা কি বিয়ে টা হচ্ছে আর তুমি ও করছো

মাহির রেগে পাশের মাটির টবে লাথি দিয়ে চেঁচিয়ে বলে

মাহিরঃ যা ইচ্ছে করো আই ডোন্ট কেয়ার আমি নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে বিয়ে নিয়ে ভাবতাম কিন্তু তোমরা যখন এখন আমাকে এভাবে ফোর্স করছো আমি বিয়ে টা করবো বাট এর পরিণাম খুব ভয়ানক হবে রেজওয়ান মাহির খান যা বলে তাই করে

মাহির রাগে টগবগ করতে করতে চলে যায় পায়ের রক্ত পুরো মাথায় উঠে গেছে রাগে ফর্সা মুখশ্রী রক্তবর্ণ ধারণ করেছে মাহির যেতেই মাহিরের বাবা একটা স্বস্তির শ্বাস নেয় এতোক্ষণ মনো হচ্ছিলো য*মের সামনে বসে ছিলো এখন প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারছে কি এক অবস্থা যেখানে মা-বাবা কে সন্তানরা ভয় পায় সেখানে উনি বাবা হয়ে ছেলেকে ভয় পাচ্ছে দুঃখে ভদ্রলোকের হাত-পা ছড়িয়ে কাঁদতে মন চাইছে।

এদিকে শ্রাবমীকে কেউ রাজি করাতে পারছে না বিয়ের জন্য সবাইকে শ্রাবনী মুখের উপর পুরো না করে দিয়েছে শ্রাবনী নিজের রুমে গাল ফুলিয়ে বসে আছে ড্রয়িংরুমে বাকিরা বসে আছে নীর শুধু সবার কার্যকলাপ দেখে যাচ্ছে শেষ মেশ সায়ন শ্রাবনীর রুমে যায় সায়নকে দেখে শ্রাবণী বলে উঠে

শ্রাবনীঃ দেখ ছোড়দা বিয়ের টপিক্স বদে যা বলার বল বাট বিয়ে নিয়ে কিচ্ছু শুনতে চাই না

সায়নঃ বনু আমরা তোর ভাই তুই আমাদের একমাত্র বোন তোর কি আমরা খারাপ চাই আমি জানি সবাই জানে তুই নিজেও জানিস মাহির ছেলে হিসেবে একদম পারফেক্ট তাহলে বিয়ে করতে বাঁধা কোথায় তুই আগে একবার না করেছিলি বলেছিলি পড়া লেখা শেষ না হলে এসব যেনো না তুলি কিন্তু আমরা এখন তুললাম কারণ তুই এখন বড় হয়েছিস আজ নয়তো কাল বিয়ে করতে হবে যদি এটা দুইদিন বা কয়েকমাস আগে হয় তাহলে সমস্যা কোথায়

শ্রাবনীঃ ছোড়দা আমি তোদের ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না ব্যস তুই ওদের না করে দে

সায়নঃ ঠিক আছে তুই না চাইলে আর জোর কিভাবে করি আমরা এখন কে বোন বড় হয়ে গেলে ভাইদের আর কি দরকার তাদের জীবনে ওকে আমি ওদের না করে দিচ্ছি

শ্রাবনীঃ তোর এসব ইমোশনাল কথা এখানে টিকবে না আউট ফর্ম হেয়ার

সায়ন নিরাশ হয়ে চলে যায় সায়ন ভেবেছিলো এসব বললে শ্রাবনী রাজি হবে কিন্তু না মেয়ে এখন সব বিঝতে শিখে গেছে কি সুন্দর বুঝে গেলো ইমোশনাল ব্লেকমেইল করছে। সায়নের শুকনো মুখ দেখে নীর বলে

নীরঃ কি শুনলো না আপনার কথা ও

নীরের গা জ্বালানো কথায় সায়ন বেশ ক্ষেপে যায় ও খুব ভালোই বুঝতে পারছে নীর সায়নকে খোঁচা দিয়ে কথা বলছে সায়ন কিছু না বলে চুপচাপ গিয়ে বসে পড়ে নীর পৈশাচিক আনন্দ অনুভব করে সায়নকে বিরক্ত হতে দেখে।

নীরঃ লাস্ট ট্রাই আমি করি গিয়ে

সায়নঃ আমার কথা শুনেনি তুমি ভাবলে কিভাবে তোমার কথা শুনবে কে তুমি হা

নীরঃ এক্সকিউজ মি ভাইয়য়া এটা না হয় আমি বের হলেই বোঝা যাবে হু এম আই

সায়নঃ ও তোমার কথায় ও রাজি হবে না

নীরঃ বাজি

সায়নঃ ১০০% বাজি

নীরঃ আমি জিতলে আমি যা চাইবো তাই দেবেন

সায়নঃ আর আমি জিতলে

নীরঃ যা চাইবেন

সায়নঃ ওকে ডান

নীরঃ তাহলে আমার সাথে চলো সবাই বাট তোমরা দরজার বাইরে থাকবে আমি ভেতরে থাকবো ওকে

সায়নঃ হুমম ওকে বাট আই নো ও রাজি হবে না

নীরঃ ওকে মেরি বর চলুন

নীর শ্রাবনীর রুমে যায় বাকিরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে নীর কে দেখে শ্রাবণী আগের থেকে দ্বিগুণ চেচিয়ে বলে বিয়ে করবে না শ্রাবনীর চেঁচানো শুনে সায়ন হাসে

নীরঃ আহ বেস্টু চেঁচাস কেনো আগে শোন আমার কিছু কথা

শ্রাবনীঃ আমি কিছু শুনবো না

নীরঃ আরে শোন তো শুনলে তোরই লাভ

শ্রাবনীঃ বল

নীর এবার কথার আওয়াজ অনেকটা কমিয়ে দেয় কেউই কিছু শুনতে পারছে না বাইরে থেকে।

নীরঃ বেস্টু তুই তো মাহির ভাইয়ার উপর রেগে আছিস উনাকে টাইট দিতে চাস তোর মনে নেই ওই দিন তুই উনার পেটে পড়েছিলি বলে কিভাবে অপমান করলো

শ্রাবনীঃ হুমম আমাকে বলেছে এতোবার খেয়ে খেয়ে ১০০০ কেজি ওজন করেছি ( কাঁদো কাঁদো হয়ে)

নীরঃ হুমম এটা অপমান না

শ্রাবনীঃ হুমমম

নীরঃ তুই প্রতিশোধ নিবি না উনাকে বুঝাবি না তুই কি জিনিস

শ্রাবনীঃ হুমমম

নীরঃ তাহলে এটার জন্য তো তোকে উনার কাছাকাছি থাকতে হবে নাকি

শ্রাবনীঃ হুমমম

নীরঃ তাহলে তাই তো বলছি বিয়ে টা করে নে দ্যান মাহির ভাইয়ার বাড়িতে ঢুকে উনাকে ইচ্ছে মতো মজা বুঝা তখন উনি ও কিছু করলে আর বললে উনার মাকে বলে দিবি নয়তো নিজেই যা করার করবি

শ্রাবনীঃ কিন্তু

নীরঃ আরে কোনো কিন্তু না তোর ব্রেনে জাস্ট এটা চেট কর তোকে মাহিরকে শাস্তি দিতেই হবে তার জন্য ওকে বিয়ে করতেই হবে

শ্রাবনীঃ হুমম বুঝলাম

নীরঃ তাহলে বিয়ে টা করছিস তো

শ্রাবনীঃ শাস্তি দেওয়ার জন্য হলেও করবো

নীরঃ কি বিয়ে টা করবি ( বাইরে সবাই কে শুনিয়ে চেঁচিয়ে বলে)

শ্রাবনীঃ হুমম

নীরঃ কি বললি শুনলাম না ( পুনরায় চেঁচিয়ে)

শ্রাবনীঃ আরে বাবা বিয়ে টা করবো শুনেছিস ( চেঁচিয়ে)

নীরঃ ওহহহ ইয়েএএএএএএ

নীর খুশিতে লাফিয়ে উঠে বাইরে সবার মুখে হাসি ফুটে সায়ন বাদে সায়নের মুখ টা জাস্ট চুপসে যায় সবাই হেসে সায়নের দিকে তাকায় সায়ন চুপচাপ চলে যায় সবাই হেসে দেয় অন্যদিকে নীরের ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে বিজয়ী হাসি।

নীরঃ কি ব্যাপার ভয় পেলেন চলে আসলেন যে

সায়নঃ ভয় কেনো পাবো নিজের রুমে আসবো না আর তুমি কে যে ভয় পাবো

নীরঃ হুমম আমি কে এটা তো প্রমাণ হলোই

সায়নঃ কি এমন বললে ও রাজি হয়ে গেলো

নীরঃ ইট’স সিক্রেট

সায়নঃ ওহ আচ্ছা

নীরঃ অবশ্য আপনার মতো আনরোমান্টিক মানুষের কথা শুনে কেউই ইমপ্রেস হবে না

সায়নঃ ওহহহ আমি আনরোমান্টিক কে বললো

নীরঃ আমি বললাম যে ছেলে প্লেটে সাজানো বিরিয়ানি শুধু দেখে যায় ধরে ও না সে তো আস্ত গাদা

সায়নঃ সাজানো প্লেট সাজানো রাখাই ভালো নয়তো কে কখন চরিত্রে দাগ দিয়ে বসবে কে জানে

নীরঃ মানে

সায়নঃ তোমাকে আনরোমান্টিক ছেলের একটু হিন্টস দেয় কেমন

নীরঃ ম মানে

প্রতিত্তোরে সায়ন নীরকে পেছনে কাভার্ডের সাথে চেপে ধরে নীরের কাছাকাছি চলে যায় মাঝখানে অল্প একটু দূরত্ব হঠাৎ সায়নকে এতো কাছে দেখে নীরের শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম নীর তো মজা করছিলো কিন্তু সায়নের চোখেমুখে কোনো মজার রেশ নেই আছে শুধু একরাশ মাদকতা নীর কাঁপা কাঁপা গলায় বলে

নীরঃ ক কি কক কর

আচমকা গলায় উষ্ণ ওষ্ঠের ছোঁয়ায় নীরের কথা মাঝপথে আটকে যায় সারা শরীরের বিদ্যুতের ন্যায় কম্পন দিয়ে উঠে বুকের ভেতর ঢিপঢিপ শব্দ ক্রমশ বাড়তে থাকে হাত-পা অবশ হয়ে যায়।

চলবে,,,,,

(গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি)