অনুরাগের ছোঁয়া পর্ব-৩+৪

0
684

#অনুরাগের ছোঁয়া
#লেখনীতে-নবনীতা নবনী
#পর্বঃ০৩
||

ফজরের সুমধুর আজানের ধ্বনি কর্ণপাত হতেই ঘুম ভেঙে গেলো আমার।পিটপিট করে চোখ খুলে উঠে বসলাম।গা থেকে উষ্ণ কম্বল সরিয়ে মুচকি হেসে বেলকনির দিকে পা বাড়ালাম।বেলকনিতে আসতেই সাথে সাথে হিম শীতল হাওয়া আমার শরীর ছুঁয়ে দিতে লাগল।ঠান্ডায় হাল্কা কাঁপুনি দিয়ে উঠল আমার শরীর।তৎক্ষনাত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম কুয়াশার চাদরে ডেকে থাকা আকাশের বুকে।এখন ও সূর্যি মামা উঠেনি।চারপাশ অন্ধকারে ডেকে আছে।ঘন কুয়াশায় দুই হাত দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না।সবকিছু যেন কুয়াশার শুভ্র চাদরে ডাকা পরেছে।মুহূর্তে কানে ভেসে এলো আজানের ধ্বনি।প্রত্যেক দিন এই সময় উঠা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।তারপর আমি তারাতারি ওযু করে ফজরের সালাত আদায় করে নিলাম।সালাত আদায় করে আমি কিচেনে গিয়ে নিজের জন্য এক কাপ চা করে রুমে আসলাম।তারপর বেলকনিতে বসে ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুক দিলাম আর সকালের হিম শীতল হাওয়া অনুভব করতে লাগলাম।
_______________

সকালের নাস্তা করে রুমে আসলাম।রুমে এসে একটা জিন্স আর হোয়াইট কালার শার্ট পরে,স্ট্রেট চুলগুলো উপরে ঝুটি করে নিলাম।আয়নায় নিজেকে একবার দেখে তাচ্ছিল্য করে হেসে নিচে চলে এলাম।নিচে এসে বাবা -মাকে বলে অফিসের জন্য বেড়িয়ে এলাম।তারপর গাড়ি ড্রাইভ করে অফিসের উদ্দেশ্যে চললাম।

অনুরাগ সকালে ঘুম থেকে উঠে জগিং করে নিজের রুমে আসল।তারপর ফ্রেশ হয়ে অফিসের পোশাক পরে নিচে আসল। তাকে নিচে নামতে দেখে তার বাবা ডাইনিং থেকে উঠে গেলো।অনুরাগ তার বাবাকে উঠে যেতে দেখে তার অনেক খারাপ লাগল।খারাপ লাগলেই কি করার, তার বাবা এক সপ্তাহ ধরে তার সাথে কোন কথা বলছেনা, তার সাথে একসাথে খাবার পর্যন্ত খাচ্ছে না।তাই অনুরাগ এসবকে পাত্তা না দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।

ছোঁয়া গাড়ি ড্রাইভ করছে আর আড় চোখে বাইরের পরিবেশ দেখছে।হঠাৎ ছোঁয়ার চোখ গেলো একটা বাচ্চার দিকে। একটা লোক বেলুন বিক্রি করছে বাচ্চাটা অসহায়ের মতো বেলুনের দিকে তাকিয়ে আছে।ছোঁয়া গাড়িটা থামালো।তারপর গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চাটার কাছে গেলো।বাচ্চাটার সামনে গিয়ে নিচু হয়ে বাচ্চাটার গালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করল..
–তোমার নাম কি খুকি

বাচ্চাটা মিষ্টি হেসে বলল,
আমার নাম তুবা।

ছোঁয়া বাচ্চাটাকে বলে,
তুমি এখানে কি করছো,তোমার বাসা কোথায়?

বাচ্চাটা ছোঁয়াকে বলে,
আমি ঐ পাশের বস্তিতে থাকি।

তারপর ছোঁয়া বাচ্চাটার সাথে আর কিছুক্ষন কথা বলে।তারপর ছোঁয়া বাচ্চাটাকে অনেকগুলো বেলুন কিনে দেয়।বেলুন গুলো পেয়ে বাচ্চাটা অনেক খুশি হয়।তুবা ছোঁয়াকে নিচু হতে বলে।তুবার কথামতো ছোঁয়া নিচু হয়।ছোঁয়া নিচু হতেই তুবা ছোঁয়ার গালে চুমু খায়।তারপর তুবা ছোঁয়াকে বলে তুমি অনেক ভালো আন্টি।তুবার কথা শুনে ছোঁয়া ও তুবাকে একটা চুমু খায়।

এদিকে অনুরাগ গাড়ি ড্রাইভ করছে তখন তার চোখ যায় ছোঁয়া আর বাচ্চাটার দিকে। অনুরাগ গাড়ি থামিয়ে গাড়িতে বসে তাদের দেখছে।অনুরাগ ছোয়াকে দেখে নাই শুধু ছোঁয়ার পেছন সাইড দেখা যাচ্ছে।অনুরাগ মেয়েটাকে দেখার জন্য উঁকি ঝুঁকি মারছে।

ছোঁয়া তুবাকে বলছে,
আমি এখন আসি পরে কোন এক সময় তোমার সাথে দেখা করে যাবনি এটা বলে ছোঁয়া পেছন ঘুরে গাড়িতে গিয়ে বসে।তারপর গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

এদিকে ছোঁয়া পেছন ঘুরতেই অনুরাগ ছোঁয়াকে দেখে ৪৪০ ভোল্টির শক খায়।অনুরাগ অভাক হয়ে ছোঁয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে।কারন কালো জিন্স,হোয়াইট শার্ট, চুলগুলো উপরে বাধা।ছোঁয়াকে এক কথায় অসাধারন লাগছে।যেকোন ছেলে এক দেখায় ছোঁয়া প্রেমে পরে যাবে।অনুরাগের ধ্যান ভাঙে গাড়ির হর্নের শব্দে।পেছন থেকে গাড়ির হর্ন বাজাচ্ছে।তার গাড়ি মাঝখানে থাকায় কোন গাড়ি যেতে পারছে না তাই পেছন থেকে অনবরত হর্ন বাজাচ্ছে।অনুরাগ তার গাড়ি সাইড করে রাখলো।তারপর মনে মনে বলতে লাগল এ কাকে দেখলাম আমি ছোঁয়া।না এটা ছোঁয়া হতেই পারে না।ছোঁয়া তো ট্রিপিকাল গাইয়া ছিলো তাহলে এটা কি করে সম্ভব।না আর ভাবতে পরছি না আমার মনের ভুল হয়তো।এটা বলে সে গাড়ি চালানোয় মনোযোগ দিলো।

অনুরাগ অফিসে এসেই তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরল।এসবের মাঝে তার ছোঁয়ার কথা মাথা থেকে বের হয়ে গেলো।এর মধ্যে ম্যানেজার সাহেব এসে দরজায় নক করল..
–স্যার আসব।

অনুরাগ ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে বলল,
–হুম ভেতরে আস।

ম্যানেজার সাহেব অনুরাগের দিকে একটা কার্ড এগিয়ে দিয়ে বলল,
–স্যার কলেজে একটা অনুষ্ঠান হবে। কলেজের প্রধান শিক্ষক আপনাকে এই কার্ডটা পাঠিয়েছে।প্রধান অতিথি হিসেবে আপনাকে ইনভাইট করেছে।

অনুরাগ হাত দিয়ে কার্ডটা নিলো তারপর বলল,
–কবে অনুষ্ঠান।

ম্যানেজার বলল,
–আগামীকাল

–ঠিকাছে এবার তুমি যেতে পার।
ম্যনেজার চলে যাওয়ার পর অনুরাগ আবার ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতে লাগল।



#চলবে ___________?

#অনুরাগের ছোঁয়া
#লেখনীতে -নবনীতা নবনী
#পর্বঃ০৪
||
ছোঁয়া অফিসে গিয়ে নিজের কেবিনে বসে ফাইল দেখছে।হঠাৎ করে তার ফোন বেজে উঠল।ছোঁয়া মোবাইলের উপর তাকিয়ে দেখল তার কলেজের টিচার ফোন দিয়েছে।ছোঁয়া তারাতারি করে কল রিসিপ করল….
–হ্যালো!আসসালামু আলাইকুম স্যার।

ফোনের অপর প্রান্ত থেকে স্যার বলে,
–ওয়ালাইকুম আসসালাম।

–কেমন আছেন স্যার।

–আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুমি কেমন আছো ছোঁয়া।

–আমি ও ভালো আছি। হঠাৎ করে কল করলেন যে কোন দরকার স্যার।

–আগামীকাল আমাদের কলেজে একটা অনুষ্ঠান আছে আমি চাই তুমি কালকে কলেজে এসো।

–অবশ্যই আসব।

–ছোঁয়া আরেকটা কথা কালকে কিন্তু তোমার গান শুনতে চাই।

–কিন্তু স্যার

–কোন কিন্তু শোনব না, কালকে তোমাকে গান গাইতেই হবে।অনেক দিন হলো তোমার গান শুনিনা। এই সুযোগে তোমার গান ও শোনা হয়ে যাবে।

–ঠিকাছে স্যার শোনাবনি।

–আচ্ছা ছোঁয়া এখন রাখি আগামীকাল দেখা হচ্ছে এটা বলে স্যার কল রেখে দিলো।ছোঁয়ার গানের গলা বরাবরই বেশ ভালো।কলেজে থাকতে ছোঁয়া অনেক বার গান গেয়েছে।এখন কলেজ লাইফ শেষ করে কোন এক কারনে বাবার অফিসে জয়েন করেছে কিছুদিন ধরে।

___________

অফিস শেষ করে অনুরাগ তার বন্ধু আকাশ আর রবিন এর সাথে দেখা করল।তারপর অনুরাগ তাদের বলল..
–শোন কালকে কলেজের একটা অনুষ্ঠানে আমাকে ইনভাইট করা হয়েছে। আমার সাথে তোরা ও যাচ্ছিস।কাল সময় মতো তেরি হয়ে থাকিস।

আকাশ আর রবিন খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
–আরে ভাই তুই টেনশন করিস না তুই না বললে ও আমরা যেতাম।কালকে কলেজে কত সুন্দরী মেয়েদের দেখা পাব আমাদের তো এখনই চলে যেতে মন চাইছে।
তা দোস্ত এখনকি ক্লাবে যাবি নাকি।

তাদের কথা শুনে অনুরাগ বলল,
–না আজকে ক্লাবে যাব না।
তারপর তারা তিনজন অনেকক্ষন কথাবার্তা বলল।কথা শেষে অনুরাগ গাড়ি করে বাড়ি চলে আসল।

ছোঁয়া অফিস থেকে ফিরে নিজের রুমে চলে আসল।তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে একসাথে ডিনার করল।ডিনার শেষে বাবা মাকে বলে নিজের রুমে এসে শুয়ে পরল।শোয়ার সাথে সাথে রাজ্যের ঘুম এসে চোখে হানা দিল।ছোঁয়া তলিয়ে গেলো ঘুমের রাজ্যে।

_________

সকালে সূর্যের মিষ্টি আলো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙে গেলো আমার।আড়মোনা ভেঙে উঠে বসলাম।তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করলাম।ব্রেকফাস্ট করে উপরে এসে শাওয়ার নিলাম।শাওয়ার শেষ করে রুমে এসে টাওয়ালটা বারান্দায় মেলে দিলাম।তারপর আলমারি খুলে অনেকগুলো শাড়ি বের করলাম।শাড়ি বের করে একটা একটা করে হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম।কোনটা পরব আমি ডিসাটড করতে পারছি না।তাই শাড়ি রেখে মুড অফ করে খাটের কোনায় বসে পরলাম।আমার রুমের পাশ দিয়ে আম্মু যাচ্ছিলো।আমাকে মুড অফ করে বসে থাকতে দেখে মা রুমে আসল। রুমে এসে মা আমাকে জিজ্ঞেস করল..
–কিরে এমন মন খারাপ করে বসে আছিস কেন?

আম্মুর কথায় আমি কাদো কাদো গলায় বললাম,
–দেখনা কলেজের অনুষ্ঠানে যাবো কিন্তু কোন শাড়িটা পরে যাবো বুজতে পারছি না।

মা আমার কথায় ফিক করে হেসে দিয়ে বলল,
–পাগলী মেয়ে তার জন্য মন খারাপ করতে হবে।তুই যেটা পরবি সেটাতেই আমার মেয়েকে পরীর মতো লাগবে।থাক আর মন খারাপ করে থাকিস না,আমি তোকে শাড়ি চুজ করে দিচ্ছি।

তারপর মা আমাকে একটা গোল্ডেন পাড়ের কালো শাড়ি চুজ করে দিয়ে চলে গেলো।আমি শাড়িটা নিয়ে আয়নায় গিয়ে দেখলাম।শাড়িটা আসলেই খুব সুন্দর।তারপর আমি শাড়িটা পরে নিলাম।শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে একজোড়া ঝুমকো কানে পরে নিলাম, সাথে হাতে কাঁচের কালো রেশমি চুড়ি,চোখে গাঢ় করে কাজল দিলাম।ঠোঁটে বেবি পিংক কালার লিপস্টিক, চুল গুলো মাঝের সিঁথি করে ছেড়ে দিলাম ব্যস আমি তৈরি।তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।আয়নার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে দেখলাম আমাকে খারাপ লাগছে না।তারপর নিচে এসে বাব -মা বললাম..
–আমায় কেমন লাগছে?

বাবা-মা মিষ্টি হেসে বলল,
–খুব সুন্দর লাগছে আমার মামুনিটাকে।একদম পরীর মতো।

তারপর মা আমার অনামিকা আঙ্গুলের নখ কামড় দিয়ে বলল,
–কারো নজর না লাগুক।

তারপর বাবা -মাকে বলে আমি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলাম।

এদিকে অনুরাগ গাড়ি নিয়ে কলেজে চলে এসেছে।তার সাথে আকাশ আর রবিন ও এসেছে।অনুরাগ গাড়ি থেকে নামতেই মেয়েরা তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।অনুরাগ আজকে ব্লাক প্যান্ট,ব্লাক কোট,হোয়াইট শার্ট,ব্লাক টাই হাতে ব্লাক ওয়াচ পড়েছে।তাকে হিরোর চেয়ে কোন অংশে কম লাগছে না।মেয়েরা তাকে দেখে যাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছে।অনুরাগ সামনে এগুতেই কলেজে হেড স্যার এসে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানালো। তারপর তারা গিয়ে বসল।অনুরাগের বন্ধুরা অনুরাগের কানে ফিসফিসিয়ে বলল ভেবেছি অনুষ্ঠানে এসে মেয়েদের পটাবো।কিন্তু আমাদের পোড়া কপাল মেয়েরাতো আমাদের দিকে তাকাচ্ছেই না।সবাইতো তোকে চোখ দিয়ে গিলেই খাচ্ছে।তাদের কথাশুনে অনুরাগ হু হা করে হেসে ফেলল।

অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে অনেক আগেই।ছোঁয়া এখন এসে পৌছাল।তারপর সে কলেজের ভেতর গেল।কলেজের ভেতর যেতেই সব ছেলেরা ছোঁয়ার দিকে একদৃষ্টতে তাকিয়ে রইল।কালো শাড়িতে ছোঁয়াকে একদম হুরপরীর মতো লাগছে।যেকোন ছেলে এক দেখায় ছোঁয়ার প্রেমে যাবে।ছোঁয়া অনুষ্ঠানের ভেতর গিয়ে স্যারদের সাথে কথা বলল।তারপর সেখানে গিয়ে বসল।তারপর সে কিছু একটা ভাবতে লাগল।

ছোঁয়া ভাবনার মাঝে একজন স্যার মাইক নিয়ে তার নাম এনাউজ করল।ছোঁয়ার নাম শুনে অনুরাগ অবাক চোখে স্ট্রজে তাকালো।ততক্ষনে ছোঁয়া স্ট্রেজে উঠে গেছে। অনুরাগ একদৃষ্টিতে ছোঁয়ার দিকা তাকিয়ে রইল।আকাশ আর রবিনতো ছোঁয়াকে দেখে সেই লেভেলের ক্রাশ খাইল।অনুরাগের কাছে ছোঁয়াকে যেন কোন পরী মনে হচ্ছে।আকাশ অনুরাগের কাছে গিয়ে বলে মাইয়াটা কিন্তু সেই।আমি তো প্রথম দেখায় ক্রাশ খাইছি।আকাশ এর কথা শুনে অনুরাগের ধ্যান ভাঙে।সে আকাশকে কিছু না বলে আবার স্ট্রেজে মনোযোগ দেয়।

ছোঁয়া হাতে একটা গিটার নিয়ে মাইকের সামনে গিয়ে দাড়ালো।ধীরে ধীরে গিটারে টুং টাং ধ্বনিতে সুর তুললো।ছোটবেলা থেকেই গানের সাথে ভীষন ভাবে পরিচিত ছোঁয়া।তাই অযথা গিটারে দৃষ্টি রাখতে হলো না।চোখ জোড়া বন্ধ করে শ্রেয়া ঘোষালের ‘আমার একলা আকাশ’ গানটা মৃদু ঠোঁট নাড়িয়ে গাইতে শুরু করল…

♥আমার একলা আকাশ থমকে গেছে
রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে

আমার দিনগুলো সব রং চিনেছে
তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে

তুমি চোখ মেললে ফুল ফোটেছে
আমার ছাঁদে এসে
ভোরের শিশির ঠোঁট ছু্ঁয়ে যায়
তোমায় ভালোবেসে

আমার একলা আকাশ থমকে গেছে
রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে

ছোঁয়া এতটুকু গাইতেই আকাশ আর রবিন বুকে হাত দিয়ে অনুরাগের উপর পরে যায়।অনুরাগ তাদের দুজনকে একটা ধমক দিতেই তারা তারাতারি উঠে যায় তারপর অনুরাগ আবার গানে মনোযোগ দেয়।

♥আমার ক্লান্ত মন ঘর খুঁজেছে যখন
আমি চাইতাম,পেতে চাইতাম
শুধু তোমার টেলিফোন
ঘর ভরা দুপুর

আমার একলা থাকার সুর
রোদ গাইতো,আমি ভাবতাম
তুমি কোথায় কতদূর

আমার বেসুর গিটার সুর বেঁধেছে
তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে
আমার একলা আকাশ চাঁদ চিনেছে
তোমার হাসি হেসে,
শুধু তোমায় ভালোবেসে

বাকীটা আর গাইতে পারল না ছোঁয়া তার আগে ছোঁয়ার চোখ চলে গেলো অনুরাগের চোখের দিকে।তাই ছোঁয়া তারাতারি এতটুকু গেয়েই স্ট্রেজ থেকে নেমে গেলো।

#চলবে _________?