অনুরাগের ছোঁয়া পর্ব-৫+৬

0
633

#অনুরাগের ছোঁয়া
#নবনীতা -নবনী (লেখনীতে)
#পর্বঃ০৫
||
বাকীটা আর গাইতে পারল না ছোঁয়া। তার আগেই ছোঁয়ার চোখ চলে গেলো সামনে বসে থাকা অনুরাগের চোখের দিকে।অনুরাগকে দেখেই তার মনে অনুরাগের দেয়া ক্ষতগুলো তাজা হয়ে উঠল।তার হাত থেমে গেলো।বাকীটুকু গান গাওয়ার মতো শক্তি অবকাশ নেই তার।ছোঁয়ার মনে হচ্ছে কেউ তার গলা ভেতর থেকে চেপে বসে আছে।সুর হারিয়ে যেতে বসেছে।কথা বলার নূন্যতম শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলছে।মৃদু মৃদু কম্পিত হচ্ছে তার শরীর। তার চোখ জোড়া পানি দিয়ে ভরে উঠেছে।নিষেধ মানার আগেই গাল বেয়ে ঝরে পরল।সবাই দেখার আগেই চোখের জলটুকু মুছে নিলো।তার পর হালকা ঝুঁকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল।সাথে সাথে করতালির আওয়াজে পুরো অনুষ্ঠান ছেয়ে গেলো।

ছোঁয়া স্ট্রেজ থেকে নেমে স্যারদের সাথে দেখা করল।তারপর সে হেড স্যারকে বলে,
–স্যার এবার আমার যেতে হবে।আমার খুব গুরুত্বপূর্ন একটা কাজ আছে।

স্যার কিছু বলতে নিয়ে ও বলল না।সে ছোঁয়ার কথায় মাথা নাড়িয়ে ছোঁয়াকে যেতে বলল।স্যার এর অনুমতি পেয়ে ছোঁয়া এক সেকেন্ড ও দাড়ালো না হনহন করে সেখান থেকে চলে আসল।

এতক্ষন ধরে ছোঁয়াকে লক্ষ্য করেছিল অনুরাগ।তার বুঝতে বাকি নেই যে,তাকে দেখেই ছোঁয়া এখান থেকে তারাতারি চলে গেছে।

অনুষ্ঠান শেষে অনুরাগ স্যারদের থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে।তারপর গাড়ি স্ট্রাট দিতে নিলে তার দুই বন্ধু দৌড়ে গাড়িতে এসে বসে।তারপর তারা অনুরাগকে বলে,
–শালা আমাদের রেখেই কেন চলে যাচ্ছিস।

–তো কি করব কোন সময় থেকে তোদের ডেকে যাচ্ছি। আমার কথা তো শুনছিসই শুধু মেয়েদের পেছনে ঘুরছিস।

–তাই বলে আমাদের কে রেখে চলে যাবি।

–তো কি করব।তোদের সাথে থাকলে আমার মান সম্মান একেবারে পাংচার হয়ে যেত।

–হয়েছে আর বলতে হবে না গাড়ি স্ট্রাট দে।

অনুরাগ গাড়ি চালাতে শুরু করে।তারপর তারা তিনজন মিলে অনেক কথা নিয়ে হাসাহাসি করে।কথার এক পর্যায়ে আকাশ বলে,
–আজকে স্ট্রজে যে গান গাইছে মেয়েটা কিন্তু দারুন দেখতে নাম কি যেন মেয়েটার।

পাশ থেকে রবিন বলে উঠে,
–আরে মেয়েটার নাম ছোঁয়া।যাই বলিস মেয়েটাকে দেখে আমি সেই লেভেলের ক্রাশ খাইছি।মেয়েটা যেমন দেখতে তেমনি গানের গলাটা ও সেই।

রবিন এর সাথে তাল মিলিয়ে আকাশ বলে,
–ঠিক বলেছিস!আমি না প্রথম দেখায় মেয়েটাকে লাইক করে ফেলেছি।মেয়েটা আসলেই সুন্দর। প্রথম দেখায় যেকোন পুরুষকে পাগল হয়ে যাবে।

তাদের দুজনের কথা এতক্ষন ধরে অনুরাগ শুনছিল।ছোঁয়াকে নিয়ে তাদের দুজনের কথা বলা অনুরাগের কাছে ভালো লাগছে না।আকাশ আর রবিন অনুরাগকে চুপ করে থাকতে দেখে বলে উঠে,কিরে তুই এত চুপ করে আছিস কেনো কিছুতো বল।তাদের কথা শুনে অনুরাগ কতক্ষন চুপ থাকে তারপর তাদের বলে আমার কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শোন,
–ছোঁয়ার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল।

এইটুকু বলার পরই আকাশ আর রবিন একসাথে কি বলে চেঁচিয়ে উঠে।

তারপর অনুরাগ বিয়ের দিনের সব ঘটনা এক এক করে তাদের দুজনকে খুলে বলে।বলা শেষে অনুরাগ একটা দীর্ঘশ্বাস নেয়।

অনুরাগের কথা শুনে তারা দুজন অভাক চোখে অনুরাগের দিকে তাকায়।তারপর আকাশ বলতে শুরু করে,
–এটা একদম ঠিক করিস নাই তুই অনুরাগ।ছোঁয়াকে তুই অপমান করেছিস।তোর কোন দিক থেকে ছোঁয়াকে গাইয়া মেয়ে বলে মনে হয়।

আকাশের কথা শুনে অনুরাগ চুপ করে থাকে কোন উত্তর দেয় না।এরপর রবিন বলে,
–আমার ও মনে হয় তুই ভুল করেছিস।ছোঁয়াকে তুই বিয়ে না করতি তাই বলে তুই এসব যাতা বলে অপমান করবি।আর তুই ওকে এসব বলেছিস তুই আমাদের থেকে ভালো জানিস ছোঁয়াকে যেকোন ছেলে দেখলে এক দেখায় পাগল হয়ে যাবে।আমি ভাবতেই পারছি না তুই এসব বলেছিস।

অনুরাগ এতক্ষন মাথা নিচু করে এসব শুনছিলো।অনুরাগ তাদেরকে বলে,আগে ছোঁয়া এরকম ছিল না। হঠাৎ করে সে এভাবে পাল্টে যাবে আমি বুঝতে পারিনি।আকাশ তার কথা শুনে বলে,
–ওর পাল্টানোটা স্বাভাবিক।তোর এত অপমান এর পর ও নিজেকে পাল্টাবে না তুই ভাবলি কি করে।

আকাশ আর রবিন অনিরাগকে বলে,
–এখনো সময় আছে তুই ছোঁয়াকে নিজের করে নে। নাহলে তুই জীবনের সব থেকে বড় ভুলটা করবি এটা বলে তারা দুজন গাড়ি থেকে নেমে যায়।

এদিকে তাদের দুজনের কথা শুনে অনুরাগের ভেতর অনুশোচনা কাজ করছে।তার এখন মনে হচ্ছে ছোয়ার সাথে সে একদম ঠিক করে নাই।এসব ভাবতে ভাবতেই সে বাড়ি গিয়ে পৌছাল।তারপর গাড়ি থেকে নেমে হনহন করে নিজের রুমে চলে গেলো।

এদিকে ছোঁয়া বাড়ি এসে নিজের রুমে চলে গেলো।নিজের রুমে বসে সে অনেকক্ষন কান্না করল।অনুরাগকে দেখে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে নাই।তাই সে তারাতারি বাড়ি চলে এসেছে।উপর থেকে সে নিজেকে যতই শক্ত করুক। ছোটবেলা থেকে অনুরাগকে ভালোবেসেছে এত সহজে কি তাকে ভোলা যায়।অনকে কষ্টে সে নিজেকে শান্ত করে ফ্রেশ হয়ে নিলো।তারপর সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখে একটু পাউডার এবং চোখের নিচে কন্সিলার দিয়ে নিলো যাতে সে কান্না করছে তার মা বাবা না বুঝতে পারে।তারপর সে নিচে গিয়ে ডিনার করে রুমে এসে শুয়ে পরল।

এদিকে অনুরাগ রুমে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে।অনুষ্ঠান থেকে আসার পর সে কোন কাজে মন বসাতে পারছে না।তার চোখের সামনে আজকে ছোঁয়ার মুখটা খালি ভেসে উঠছে।আজকে তার কাছে ছোঁয়াকে অন্যরকম লাগছে। ছোঁয়াকে নিয়ে ভাবতে তার ভালো লাগছে।এসব ভেবে সে খাটে গিয়ে শুয়ে পরে তারপর অনিরাগ কি হলো সে জানে না ছোঁয়ার গাওয়া গানটা বিরবির করে গাইতে থাকল। বিরবির করতে করতে সে এক সময় ঘুমিয়ে গেলো।

#চলবে ________?

#অনুরাগের ছোঁয়া
#নবনী (লেখনীতে)
#পর্ব -৬
||
জানালার পর্দা ভেদ করে সকালের স্নিগ্ধ হাওয়া বইছে ছোঁয়ার মুখে।স্নিগ্ধ হাওয়া ছোঁয়ার চুলগুলো এলোমেলো করে চলছে,বিরক্ত হয়ে বারবার সরাচ্ছে।একসময় ঘুম ভেঙে যায় ছোঁয়ার।
ঘড়ি দেখে ফ্রেশ হয়ে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামতেই।

‘গুড মনিং মামনি।’

‘গুড মনিং বাবা।

‘না খেয়ে বের হতে পারবে না বাড়ি থেকে আগেই বলে দিচ্ছি।

‘ওকে বাবা।

‘কোথায় যাবে এখন।

‘অফিসে।আজকে চৌধুরী গ্রুপের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং আছে।

‘অনুরাগ ও তো আসবে মিটিংয়ে।

‘সো হোয়াট বাবা। আমি কিন্তু এখন আগের ছোঁয়া নেই যে অনুরাগকে দেখে দুর্বল হয়ে যাব।
_______________

গাড়ি চলছে আপন গতিতে।ছোঁয়া চোখ বুঝে বাইরের বাতাস অনুভব করছে।হঠাৎ ব্রেক কষতেই।
‘কিহলো মামা। গাড়ি থামালে কেন?

‘ম্যাম সামনের রাস্তায় একটা বড় গাছ পরেছে।এটা রাস্তা থেকে সরাতে ১ঘন্টার মতো সময় লাগবে।

‘ওহ শিট।এটা বলে ছোঁয়া গাড়ি থেকে নামতে নিলেই
কারো সাথে ছোঁয়ার ললাট সজোরে সংঘর্ষ হয়।ছোঁয়া ব্যথাতুর ভঙ্গিতে সামনে তাকাতেই একটা ছেলেকে দেখে বিরক্ত হয়ে তার দিকে তাকায়।

ভারী কিছুর সাথে কপালে ব্যাথা পাওয়ায় দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করে আবির।সামনে তাকিয়ে একটা মেয়েকে দেখে থমকে যায় আবির।

গাড়ি নিয়ে হসপিটালে যাচ্ছিলো আবির।একটা বৃদ্ধ লোককে টাকা দেওয়ার জন্য ওয়ালেট বের করেছিল।টাকা দেওয়ার পর হঠাৎ করে তার ওয়ালেটটা নিচে পরে যায়।ওয়ালেটটা তুলতে নিলেই ছোঁয়া ললাটের সাথে আবিরের ললাট সজোড়ে সংঘর্ষ হয়।

ছোঁয়া জিহ্ব দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে কর্কশ গলায় বলে,

‘চোখে দেখেন না মিস্টার?আমার কপালটা তো মনে হয় ভেঙেই গেলো।

আবির এতক্ষন একধ্যানে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো। ছোঁয়ার কথায় তার ধ্যান ভাঙে।ধ্যান ভাঙতেই সে ছোঁয়ার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে,

‘সরি ।আসলে ওয়ালেটটা নিচে পরে গিয়েছিল এটা তুলতেই আপনার এক্সিডেন্টলি ঘটনা টা ঘটে গেছে।

ছোঁয়া ব্যাপারটা বুঝতপে পেরে বলে,

‘ইটস ওকে।

তারপর তারা দুজন কিছুক্ষন চুপ করে থাকে।নিরবতা ভেঙে আবির বলে উঠে,

“আমি আবির।পেশায় একজন ডক্টর।আপনার পরিচয়টা কি জানতে পারি মিস।

“আমি ছোঁয়া।

‘আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?

‘আসলে সামনে রাস্তায় একটা গাছ পরেছে আর রাস্তা ঠিক হতে ১ ঘন্টা সময় লাগবে। আর আমার একটা জরুরী মিটিং আছে কিভাবে যাব তাই ভাবছি।

‘আমি তোমাকে পৌছে দেই যদি তোমার আপত্তি না থাকে।

আবির এর মুখে তুমি ডাক শুনে ছোঁয়া ভ্রু কুঁচকে আবিরের দিকে তাকালো।বিষয়টা বুঝতে পেরে আবির বলে,

‘তুমি আমার থেকে বয়সে ছোট হবে তাই তুমি করে বললাম।তোমার সমস্যা থাকলে বলব না।

‘আপনি আমাকে তুমি করেই বলতে পারেন।তাতে আমার কোন সমস্যা নাই।

‘চলো তোমাকে পৌছে দেই।

‘রাস্তায় তো গাছ পরে আছে আপনি আমাকে কিভাবে পৌছে দিবেন।

‘আরেকটা রাস্তা আছে ওইটা দিয়ে যাবো।

ছোঁয়া ড্রাইভারকে বলে আবিরের গাড়িতে উঠে বসল।ছোঁয়ার অনেক অসস্তি হচ্ছে। অসস্তি হলেই কি করার, ছোয়ার যে টাইম মতো মিটিংয়ে পৌছাতে হবে।ছোঁয়া গাড়ির বাইরে তাকিয়ে আছে।বাতাসে ছোঁয়ার চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে।
এদিকে আবির ড্রাইভ করার মধ্যে দিয়ে আড় চোখে ছোঁয়াকে দেখছে।এই প্রথম কোন মেয়েকে আবির মনোযোগ দিয়ে দেখছে।অবশেষে গাড়ি এসে থামল।গাড়ি এসে থেমেছে অনেকক্ষন কিন্তু ছোঁয়া কোন হেলদোল নেই।সে একমনে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।আবির অনেকক্ষন ধরে ছোঁয়াকে ডাকছে কিন্তু ছোঁয়ার কানে তার কথা পৌছাচ্ছেই না।কোন উপায় না পেয়ে আবির ছোঁয়ার হাতের উপর তার হাত রাখল।হাতে ঠান্ডা কিছুর ছোয়া পেয়ে ছোঁয়া ধরফরিয়ে উঠল।তারপর সে তার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল আবিরের হাত তার হাতের উপর।ছোঁয়া তারাতারি করে তার হাত সরিয়ে নিলো।ছোঁয়ার অবস্হা বুঝতে পেরে আবির বলে,

‘কখন থেকে তোমাকে ডাকছি তুমি শুনছোই না তাই উপায় না পেয়ে হাত ধরেছি।আমরা পোছে গেছি।

‘ছোঁয়া তাকিয়ে দেখে সত্যিই পৌছে গেছে।তাই সে তারাতারি গাড়ি থেকে নেমে মুচকি হেসে আবিরকে বলল,

“ধন্যবাদ আপনাকে।এটা বলে ছোঁয়া চলে যেতে নিলে আবির ছোঁয়ার পিছু ডাক দেয়।

‘আবিরের ডাক শুনে ছোঁয়া পেছন ফিরে তাকিয়ে বলে,

‘কিছু বলবেন।

“আবির আমতা আমতা করে বলে তোমার নাম্বারটা দেওয়া যাবে।

‘ছোঁয়া কিছু বলতে যেয়ে ও পারে না। তাই বাধ্য হয়ে সে তার নাম্বারটা দিয়ে চলে যায়।

এদিকে ছোঁয়ার নাং পেয়ে আবির খুশি হয়ে যায়।তাররপর গাড়ি নিয়ে হসপিটালে চলে যায়।
___________
মিটিং রুমে বসে আছে অনুরাগ।প্রায় দশ মিনিট ধরে সবাই বসে আছে।কিন্তু ছোঁয়া কোম্পানি থেকে কেউ আসছে না।তাই বাধ্য হয়ে অনুরাগরা মিটিং শুরু করতে নিলেই কেউ দরজায় কড়া ঘাত করে বলে,

‘আসবো।

দরজার দিকে তাকিয়ে অনুরাগ থমকে যায়।কারন কালো রঙের শার্ট,জিন্স, হাতে কালো ওয়াচ, চুলগুলো উপরে ঝুটি করা ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিকে ছোঁয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে।সবাই ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।অনুরাগ তো যাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছে।সবার ধ্যান ভাঙে ছোঁয়ার কথায়,
–কি হলো ভেতরে আসতে দেবেন না।

–ইয়েস অবশ্যই।

ছোঁয়া ভেতরে ডুকেই বলে,
–সরি ফর লেট।আসলে রাস্তায় গাছ পরে ছিলো তাই আসতে লেট হয়েছে।

অনুরাগ বলে,এবার মিটিং শুরু করা যাক।তারপর মিটিং শুরু হয়।সব বিজন্যাস ম্যানরা এক এক করে নিজেরা প্রেজেন্টেশন দিচ্ছে কিন্তু কারো প্রেজেন্টেশন অনুরাগের পছন্দ হচ্ছেনা। অনুরাগদের কোম্পানি দেশের মধ্যে এক নাং আছে।তাই সব বিজনেসম্যান রা অনুরাগদের সাথে ডিল করতে চায়।এরপর ছোঁয়া উঠে গেলো প্রেজেন্টেশন দিতে। ছোঁয়া অনেক সুন্দর করে প্রেজেন্টেশন দিলো।সবাই ছোঁয়ার অনেক প্রশংসা ও করলো।অনুরাগ নিজেই অভাক হলো ছোঁয়া প্রেজেন্টেশন দেখে। অনুরাগ একটা বিষয় খেয়াল করছে সবাই কাজের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে কম সবাই ছোঁয়ার দিকেই তাকিয়ে আছে।এমনকি অনুরাগ নিজে ও ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই ছোঁয়ার দিকে তাকানো অনুরাগের পছন্দ হচ্ছে না।তার কেন জানি রাগ হচ্ছে।তারপর অনুরাগদের কোম্পানির সাথে ছোঁয়াদের কোম্পানির ডিল হলো।ডিল শেষে ছোঁয়া সবাইকে বলে,
–কাল সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় একটা পার্টি থ্রো করা হবে কারন বিজনেস জগতে এটা আমার প্রথম সাকসেস সবাই পার্টিতে গেলে আমি খুশি হবো।

সবাই হাসি মুখে বলে,

–অবশ্যাই আসব।

তারপর ছোঁয়া অনুরাগের কাছে গিয়ে বলে,

–মিস্টার চৌধুরী আপনি কিন্তু অবশ্যই আসবেন।

অনুরাগ হাসি মুখে বলে,

–কেন না অবশ্যই যাব।

তারপর ছোঁয়া অফিস থেকে বেড়িয়ে আসে।বেড়িয়ে এসে দেখে তার গাড়ি এখনো আসে নাই।তাই সে ড্রাইভারকে কল করে।হঠাৎ করে সে তার চেনা পরিচিত কন্ঠস্বর পেয়ে পিছন ফিরে তাকায়। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখল যে অনুরাগ তাকে বলছে…..



#চলবে?