অনুরাগের ছোঁয়া পর্ব-৭+৮

0
546

#অনুরাগের ছোঁয়া
#নবনী-(লেখনীতে)
#পর্ব-৭
||
ছোঁয়া অফিস থেকে বেড়িয়ে আসে।বেড়িয়ে এসে দেখে তার গাড়ি এখনো আসে নাই।তাই সে ড্রাইভারকে কল করে।হঠাৎ করে সে তার চেনা পরিচিত কন্ঠস্বর শোনে পেছন ফিরে তাকায়।পেছন ফিরে দেখে অনুরাগ তাকে বলছে…
–এখানে দাঁড়িয়ে আছো যে, বাড়ি ফিরবে না।

ছোঁয়ার অনুরাগের সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছে ছিলো না তবুও মুখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,

–আসলে আমার ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে এখনো আসে নাই তাই দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য ওয়েট করছি।

অনুরাগ ছোঁয়ার মুচকি হাসিটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।এই হাসিটাই যেকোন পুরুষকে ঘায়েল করে দিতে পারে।অনুরাগের হাতটা আপনা আপনিই তার বুকের বা পাশে চলে যায়।অনুরাগ ছোঁয়াকে বলে,

–আমি তো বাড়িতেই যাচ্ছি চলো তোমাকে ড্রপ করে দেই।

ছোঁয়া অনুরাগের কথায় একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে,

–তার কোন দরকার হবে না মি. চৌধুরী।আমার মতো একটা গাইয়া বাঙালি মেয়েকে আপনার গাড়ি করে ড্রপ করে দিলে আপনার প্রেকটিস পাংচার হয়ে যাবে।ঐ তো আমার গাড়ি চলে এসেছে।আমি আসি বাই, এটা বলে ছোঁয়া তার গাড়িতে উঠে চলে গেলো।

ছোঁয়ার বলা প্রত্যেকটি কথা অনুরাগের বুকে তীরের মতো বিঁধল।সে অসহায়ের মতো ছোঁয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইল।সে মনে মনে বলল,

–ছোঁয়ার বলা একটা কথা শোনে আমার এমন খারাপ লাগলো।আর আমি ছোঁয়াকে কত খারাপ কথা বলেছি, ছোঁয়ার কেমন লেগেছে আমি তা এখন বুঝতে পারছি।অনুরাগ এখন নিজেই নিজেকে ধিক্কার জানালো।তারপর সে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
_____________

এদিকে আবির নিজের চেম্বারে বসে বসে ছোঁয়ার কথা ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।প্রথম দেখেই সে ছোঁয়ার উপর থেকে চোখই সরাতে পারছিল না।তারপর ছোঁয়ার চুলগুলে বাতাসে এলোমেলো করে দেয় তা এসে আবিরের মুখে এসে বারি খায় এসব কিছুতেই আবিরের ছোঁয়ার প্রতি একরাশ ভালো লাগা তৈরি হয়।আবির মনে মনে বলে..
–যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আমার তোমাকেই চাই ছোঁয়া।আমি তোমাকে আমার মনের রানী করে রাখবো।

দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে অনেক্ষন ধরে দরজায় নক করছে আবিরে এসিসটেন্ট রিয়া।কিন্তু আবির তো তার ভাবনায় ডুবে আছে তাই চারপাশের কোন কিছুর শব্দ তার কানে যাচ্ছে না।উপায় না পেয়ে রিয়া আবিরের চেম্বারে ডুকেই পরল।সে ডুকে দেখল যে আবির কিছু ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।সে যে রুমের ভেতর ডুকল তাতে ও আবিরের কোন রেসপন্স নেই।আবিরে মুচকি মুচকি হাসায় রিয়ার মনে ভয় ডুকে গেল যে আবির কোন মেয়েকে পছন্দ করল নাতো।রিয়া আবিরকে অনেক পছন্দ করে। কিন্তু আবিরের ভয়ে কখনো সে একথা বলে নাই।সে আবিরের সামনে গিয়ে জোরে তাকে ডাক দিলো।কারো আওয়াজ শোনে আবির ধরফরিয়ে উঠল।সামনে তাকিয়ে দেখে রিয়া দাঁড়িয়ে আছে।তাকে দেখে আবির বলল..
–এতো জোরে ডাকার মানে কি রিয়া।

আবিরের কথায় রিয়া মাথা নিচু করে বল,

–স্যার আপনাকে অনেকক্ষন ধরে ডাকছিলাম আপনি তো আমার কথা শোনছিলেনই না। তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে এভাবে ডাক দিলাম।

–তো আমাকে কেন ডেকেছো এবার বলো।

–স্যার ২০২ নাং কেবিনের রোগীকে চেকাপ করার সময় এখন তাই আপনাকে ডাকতে এসেছি।

–ওহ চলো তাহলে।

–স্যার একটা কথা জিজ্ঞেস করবো যদি কিছু মনে না করেন।

–হুম বলো।

–স্যার আপনি এত মনোযোগ দিয়ে কি ভাবছিলেন। কখনো এমন করেন না।

আবির মুচকি হেসে বলে,
–আমি আমার লাইফের স্পেশাল একজনের কথা ভাবছিলাম।যাকে আমি প্রথম দেখায় নিজের মনটা দিয়ে ফেলেছি।এবার চলো এটা বলে আবির চলে গেলো।

আবিরের কথা শোনে রিয়ার চোখ থেকে টপটপ পানি পরছে।সে এতদিন ধরে যাকে ভালোবেসে এসেছে সে অন্য কাউকে ভালোবাসে এটা শোনার কতটা যন্ত্রণার সেটা রিয়া বুঝতে পারছে।সে আর কিছু ভাবতে পারছে না তার মাথাটা কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।সে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে গেলো।
____________

“তোমার জন্য নীলচে
তারার একটুখানি আলো,
ভোরের রং রাতে মিশে কালো….

কাঠগোলাপের সাদার মায়া
মিশিয়ে দিয়ে ভাবি….
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো।’

কানে হেডফোন গুঁজে গুনগুন করে গানের প্রথম অংশ আওড়ে চলছিল ছোঁয়া।বারান্দার ধারে রকিং চেয়ারটায় এলিয়ে রাখা শরীরটা ভীষন ফুরফুরে লাগছে তার।লম্বা চুলগুলো মেঝে অবদি ছড়িয়ে আছে।কপালে পরে থাকা অবাধ্য চুলগুলো থেকে থেকে উড়ে পুরো মুখ জুরে বিচরন করছে।ইশশশ!এই ভাবসা গরমের তপ্ত বাতাসাটাও মিষ্টি লাগছে তার কাছে।শিরা- উপশিরায় বইছে এক শীতলতার সিক্ত স্রোত।তার কাছে এখন এই পরিবেশটাকে ভীষন মনো মুগ্ধকর লাগছে।

হঠাৎ করে ছোঁয়ার ফোনটা বেজে উঠল।রকিং চেয়ার থেকে অলসতায় ভরা শরীরটা টেনে তুললো।মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখল আননোন নাম্বার থেকে কল আসছে।তাই ছোঁয়া কলটা প্রথমে রিসিপ করলো না।অনবরত কলটা বাজতে থাকায় ছোঁয়া একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিপ করল।রিসিপ করেই একধারে বলতে শুরু করল।

–হ্যালো। কে আপনি, বারবার কল করে ডিস্টার্ব করছেন কেন?

ফোনের অপর পাশে থাকা ব্যক্তিটি ছোঁয়ার কথা শুনে নিঃসব্দে হাসলো তারপর বলল..

–আমি আবির চিনতে পারো নি।

ছোঁয়া আবিরকে চিনতে পেরে বলে,

–সরি। আসলে বুঝতে পারিনি আপনি কল করেছেন।আননোন নাম্বার তো তাই ওরকম রিয়েক্ট করে ফেলেছি।

–ইটস ওকে।কি করছো তুমি।

–এই তো বসে আছি।আপনি?

–আমি তোমার সাথে কথা বলছি তাছাড়া কিছু করছি না।

–কালকে আমাদের বাসায় একটা পার্টি থ্রো করা হয়েছে। আমি চাই আপনি কালকে পার্টিতে আসুন।

–আমি কল করেছি বলে বলছো।

–না না এটা কি বলছেন।আমি আপনাকে আগেই বলতাম বাট আপনার ফোন নাম্বার বা বাড়ি কিছুই আমি চিনিনা তাই বলতে পারি নাই।

–আমি কি করে আসবো তোমার বাড়ি তো আমি চিনিনা।

তারপর ছোঁয়া আবিরকে তার বাড়ির ঠিকানা দিল।তারপর তারা দুজন কিছুক্ষন কথা বলল।অএপর, ছোঁয়া বলল..
–আমি এখন রাখি বাই।কালকে দেখা হবে এটা বলে ছোঁয়া কল কেটে দিলো।

আবিরও বলল,

–বাই।
______________

পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে।ছোঁয়ার বাবা নিজে দাঁড়িয়ে সব তদারকি করছে।তিনি সেই সকালে বাড়ি সাজানোর জন্য লোক নিয়ে এসেছে।ছোঁয়া সকালে ঘুম থেকে উঠে নিচে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই দেখে পুরো সিঁড়ি উপর থেকে নিচ অবদি ফুল দিয়ে সাজানো।ছোঁয়া পুরো বাড়ি চোখ বুলিয়ে নিয়ে দেখে সব সাজানো হয়ে গেছে।

ছোঁয়ার বাবা ছোঁয়াকে বলল,
“সাজানো কেমন হয়েছে।

ছোঁয়া তাকিয়ে দেখে সব জায়গায় ফুল দিয়ে সাজানো আর কিছু জায়গায় ঝারবাতি লাগানো।

ছোঁয়া হেসে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
“খুব সুন্দর হয়েছে বাবা।




#চলবে?

#অনুরাগের ছোঁয়া
#নবনী-(লেখনীতে)
#পর্ব-৮
||
সন্ধ্যায়~
সব মেহমানরা এক এক করে আসতে শুরু করে দিয়েছে।অনুরাগরা ও চলে এসেছে।ছোঁয়ার বাবা অনুরাগের বাবাকে কল করে সবাইকে নিয়ে পার্টিতে আসতে বলেছে।অনুরাগের বাবা ঐ দিনের ঘটনার পর লজ্জায় ছোঁয়াদের বাড়ি আসতে চাইছিলো না।ছোঁয়ার বাবার জোরাজুরিতে তিনি সবাইকে নিয়ে পার্টিতে এসেছে।

পার্টি এখনো শুরু হয়নি।অনুরাগ সোফার উপর বসে মোবাইল টিপছে।মোবাইল থেকে চোখ তুলে সে চারপাশে তাকালো।চারপাশে তাকিয়ে সে দেখল যে,
সবাই সিঁড়ির দিকে যাস্ট হা তাকিয়ে আছে।অনুরাগ চারপাশ থেকে চোখ সরালো।তারপর সিঁড়ির দিকে তাকালো।সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে অনুরাগের চোখ আপনা আপনি বড় হয়ে গেলো।তার হাত থেকে ফোনটা
পরে গেলো।উঠে দাঁড়ালো সে।

ছোঁয়া সিঁড়ি দিয়ে নামছে।অনুরাগ মুগ্ধ নয়নে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।কথায় আছে নাহ শাড়িতেই নারী।দুধে আলতো গায়ের রঙে লাল রঙটা ছোঁয়ার শরীরে অনেক মানিয়েছে।লাল রঙের একটা জর্জেট শাড়ি পরেছে ছোঁয়া।ঠোটে গাঢ় করে লাল লিপস্টিক দেওয়া।চোখে গাঢ় করে কাজল দেওয়া।চুলগুলো ছেঁড়ে রেখেছে যা চলার পথে বার বার উড়ছে।ওর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ছোঁয়া নিচে এসে সব গেস্টদের সাথে কথা বলে।অতপর তার চোখ যায় সোফার উপর বসে থাকা অনুরাগের উপর। অনুরাগ তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।দুজনের চোখাচোখি হয়ে যাওয়ায় ছোঁয়া তার চোখ সরিয়ে নেয়।ছোঁয়া তার চোখ সরিয়ে নেওয়ার পর অনুরাগের ধ্যান ভাঙে।সে এতক্ষন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলো।ছোঁয়াকে আজকে তার কাছে কোন পরীর চেয়ে কম মনে হচ্ছে না।সে এই মেয়ের সাথেই একদিন বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলো আর কত কিছু বলে অপমান করেছিলো।এসব ভাবতেই সে নিজেকে ধিক্কার জানায়।

ছোঁয়া অনুরাগের মা -বাবার সামনে গিয়ে হাসি মুখে বলে…

“কেমন আছেন আংকেল আন্টি।

আরিফ চৌধুরী ছোঁয়ার মাথায় হাত রেখে বলে,

“আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো আছি।তুমি কেমন আছো মা?

ছোঁয়া মিষ্টি হেসে বলে,

“আমি ও খুব ভালো আছি।

অনুরাগের মা হাসি মুখে বলে,

“তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে ছোঁয়া মা।

অনুরাগের মার কথায় ছোঁয়া কিছুটা লজ্জা পেল তারপর মুখে হাসি টেনে বলল…

“তোমাকে ও খুব সুন্দর লাগছে আন্টি।

এতক্ষন ধরে তাদের কথা অনুরাগ শোনছিলো।সে ছোঁয়াকে দেখে অবাক হচ্ছে।এতকিছুর পরে ও সে তার ফ্যামিলির সাথে ভালো ভাবে কথা বলছে।সে মুগ্ধ নয়নে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।অনুরাগের চোখে মুখে ছোঁয়ার জন্য একরাশ মুগ্ধতা দেখা যাচ্ছে।

ছোঁয়াদের কথার মাঝে তার বাবা এসে বলল,

“ছোঁয়া মা এবার অনুষ্ঠানটা শুরু করি।

ছোঁয়া তার বাবাকে বলে,

“বাবা আমার একজন গেস্ট এখনো আসে নাই
সে আসলেই অনুষ্ঠানটা শুরু করব।তারপর তার পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করল।হঠাৎ ছোঁয়ার চোখ গেলো। সে দেখল যে আবির হাতে করে একটা ফুলের বুক নিয়ে আসছে।আবির ছোঁয়ার হাতে ফুলটা দিয়ে বলল..

“দিস ইস ফর ইউ।

ছোঁয়া ও হাসি মুখে ফুলটা হাতে নিল।তারপর সে সবার সাথে আবীরের পরিচয় করিয়ে দিলো।যথারীতি সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হলো।প্রায় অনেক্ষন ধরেই অনুষ্ঠান চলতে থাকে।হঠাৎ করে সব লাইট অফ হয়ে যায়।একটা লাইট জ্বলে উঠে,কতগুলো মেয়ে প্রবেশ করে।মেয়েদের সাথে তাদের পার্টনার ও প্রবেশ করে মনে হয় তারা নাচতে এসেছে। আবির তার হাতটা ছোঁয়ার দিকে বাড়িয়ে দিল তার সাথে নাচার জন্য।ছোঁয়া ও কিছু না ভেবে আবিরের হাতটা ধরল।আবির ছোঁয়াকে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে গেল।তারপর বক্সে গান বেজে উঠে….

Bulabe tujhe yaar aaj mari galiyan
Basune tere sang main alag duniya
Bulabe tujhe yaar aaj mari galiyan
Basune tere sanh main alag duniyan

Na aayein kabi donu main zara bhi faasle
Bus ek to ho,ek mari hoon aur koi na
Hai meri sub kuch tere to sumai le
To chahi mere hat ki jamin rak le
To sasu baby ron tera like de
To jiyo jabo, jabo tera dil darke……

এদিকে অনুরাগ ছোঁয়াকে আবিরের সাথে নাচতে দেখে রাগে ফুঁসছে।সে জানে না কেন তার রাগ হচ্ছে।সে ছোঁয়াকে আবিরের সাথে সহ্য করতে পারছে না।সে ডান্স ফ্লোরে গিয়ে আবিরের কাছ থেকে টান দিয়ে ছোঁয়াকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো।তারপর সে ছোঁয়াকে নিয়ে নাচতে আরম্ব করলো।ছোঁয়া অনুরাগের দিকে তাকিয়ে তাকে বুঝার চেষ্টা করছে।অনুরাগ তাকে এমন ভাবে ধরেছে যে সে অনেক ব্যথা পাচ্ছে।ছোঁয়ার চোখে জল চলে এসেছে।সে অনুরাগের দিকে তাকিয়ে বলে..
–আপনি আমাকে এমন করে কেন ধরেছেন।ছাড়ুন আমাকে ব্যাথা পাচ্ছি তো।

অনুরাগ ছোঁয়ার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল,

–আমি ধরলে তোমার ব্যথা লাগে। যখন আবির তোমাকে নিয়ে নাচল তখন তো ব্যথা পাওনি হেসে হেসে তার সাথে নাচছিলে।

–আ মি যার সাথে মন চায় তার সাথে নাচবো তাতে আপনার কী।

–আমি তোমাকে কারো সাথে সহ্য করতে পারছি না।

–আমার হাত ছারুন।গাইয়া বাঙালি মেয়ের হাত ধরলে, তার সাথে নাচলে কিন্তু আপনার সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে।
এটা বলে ছোঁয়া তার হাতটা অনুরাগের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়।

অনুরাগ রাগে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসে।অনুরাগ আঁকা বাঁকা ভাবে গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়ি চলে আসে।বাড়ি এসে তার রুমে চলে আসে।রুমে এসে সে তার ঘরের সব জিনিসপএ ভেঙে ফেলে।তার হাতটা অনেকখানি কেটে গেছে কাঁচে লেগে।সে সেদিক না তাকিয়ে মদের বোতল নিয়ে খেতে শুরু করে দিলো।তারপর বলতে লাগল কেন আমার ছোঁয়ার সাথে কাউকে সহ্য হয় না। কেউ তার দিকে তাকালে আমার রাগ হয়। তার মানে কী, আমি ছোঁয়াকে ভালোবেসে ফেললাম এটা বলতে বলতে সে খাটে ডলে পরল।



#চলবে?