অনুরাগের ছোঁয়া পর্ব-৯+১০

0
513

#অনুরাগের ছোঁয়া
#নবনী-(লেখনীতে)
#পর্ব -৯
||
অনুরাগ রেগে বের হয়ে যাওয়ার পর ছোঁয়া পার্টিটা সেখানে শেষ করে দেয়।আবির এসে ছোঁয়াকে জিজ্ঞেস করে..

“ছোঁয়া ওনি কে? আর এভাবে তোমার সাথে বিহেব করল কেন।

“আবিরের কথায় ছোঁয়া সোজা সাপটা উওর দেয়,

“আমার বাবার বন্ধুর ছেলে অনুরাগ।আর ওর সাথেই আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।কোন এক কারনে অনুরাগের সাথে আমার বিয়েটা ভেঙে যায়।

‘ছোঁয়ার কথায় আবির চোখ ছোট ছোট করে বলে,

“কারনটা কী আমি জানতে পারি।

‘ এখন না। কোন এক সময় বলব আপনাকে।

“ছোঁয়ার কথায় আবির আর কথায় বাড়ায় না।সে ছোঁয়াকে বলে,

“তোমার যেদিন বলতে মন চাইবে সেদিনই বলো আমি তোমাকে জোর করব না।

ছোঁয়া আবিরের সাথে কিছুক্ষন কথা বলে।তারপর আবির ডিনার করে ছোঁয়ার থেকে বিদায় নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
________________

আরিফ চৌধুরী বাসায় এসে চিংকার চেচাঁমেচি শুরু করে দিয়েছে।সে চিংকার করে অনুরাগের মাকে বলছে…

–তোমার গুনধর ছেলে কি আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দেবে না।আমাকে আমার বন্ধুর কাছে একবারে ছোট করে দিলো।ঐ দিন বিয়েটা নিজেই ভেঙে দিলো।আবার আজকে পার্টিতে ছোঁয়াকে অন্যের সাথে নাচতে দেখে সেখানে ও সিনক্রেয়েট করল।তোমার ছেলে চাইছেটা কী।কথাগুলো একদমে বলে তিনি জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলেন।

‘অনুরাগের মা তার বাবার দিকে তাকিয়ে বলেন,

— ও গো,তুৃমি একটু শান্ত হও। তোমার প্রেশার বেড়ে যাবে।

–আমি শান্ত হতে পারছি না।তোমার ছেলে জন্য আমি আমার বন্ধুর কাছে মুখ দেখাতে পারছি না।তুমি তোমার ছেলেকে বুঝাও, সে যেনো ছোঁয়া মার আশে পাশে না যায়।যদি যায় তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না এই আমি বলে দিলাম। এটা বলে তিনি চলে গেলেন।

–অনুরাগের মা তার বাবার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।তারপর অনুরাগের ঘরের দিকে তিনি পা বাড়ালেন।অনুরাগের ঘরের বাইরে থেকে তনি অনেক বার দরজায় কড়া নাড়লেন।ভিতর থেকে কোন সারা শব্দ না পেয়ে তিনি নিরাস হয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।

সাঁঝ নেমেছে পশ্চিম আকাশে।কমলাটে নীরদদেশে ছেঁয়ে পরেছে কালো আঁধারে।বাতাবরণ নিরুত্তাপ,নিরুপম।নিকষ আঁধারে ছেয়ে আছে চারিপাশ।ব্যস্ত শহর এখন পুরোপুরি ঘুমন্তপুরী।
রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্ট গুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে জানান দিচ্ছে ব্যস্ত শহরের নিস্তব্ধতা। পার্টি শেষে ডিনার করে ছাঁদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে ছোঁয়া।সে ছাঁদে দাড়িয়ে অনুরাগের কথা ভাবছে।কেন অনুরাগ তার সাথে এরকম বিহেব করল এরকম হাজারো প্রশ্ন এসে তার মাথায় ঘুরে বেরাচ্ছে।সে তো অনুরাগকে নিয়ে ভাবতে চায় না তবুও অনুরাগের কথাই তার মনে পরে।সে যতই অনুরাগকে ভুলতে চায় না কেন,কোন একসময় তো সে অনুরাগকে ভালোবেসেছিলো।তার ছবি নিয়ে হাজারো রাত একা একা পার করে দিয়েছে।সে চাইলেই অনুরাগকে ভুলতে পারবে না কারন সে এখন ও তাকে ভালোবাসে।সে নিজেকে বাইরে থেকে যতই শক্ত দেখাক না কেন, ঐ দিনের ঘটনার পর সে রাতের পর রাত কান্না করে বালিশ বিজিয়েছে।ছোঁয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
“খুব কী ক্ষতি হতো যদি আমরা একসাথে থাকতাম।আমি তো আপনার সাথে নিজের জীবনটা কাটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনি আমার মনটাকে একদম ভেঙে দিলেন এসব বলতে বলতে ছোঁয়ার চোখ দিয়ে দুফোঁটা জল গরিয়ে পরল।

ছোঁয়া ছাঁদে থাকা দোলনাটায় গিয়ে বসল।তারপর সে দুর আকাশে চেয়ে গাইতে শুরু করল..

চাঁদকে বুকে ধরে নদীর ও হুংকারে
ভালো বাসায় ভেসে যায়..
সূর্য এসে ভিরে এক রোদেলা ভোরে
সে ও কেড়ে নিয়ে যায়..
এভাবে জীবন জড়ায় ব্যথার অন্ধকারে
সেও কী এ ব্যথা বুঝে আর
মন চায় কী উপহার…

____________

সকালের মিষ্টি রোদ এসে চোখে পরতে ঘুম ভেঙে যায় অনুরাগের।পিটপিট করে চোখ খুলে বসল।কাল রাতে অতিরিক্ত ড্রিংক করার ফলে তার মাতাটা ভার হয়ে আছে।সে উঠে বসে। তারপর কাল রাতের কথা মাথায় আসতেই তার রাগ হয়।সে তাকিয়ে দেখে তার হাতে রক্ত শুকিয়ে গেছে।সে উঠে ওয়াশ রুমে চলে যায়।তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতেই তার বাবার কথায় থমকে যায়….



#চলবে?

#অনুরাগের ছোঁয়া
#নবনী-(লেখনীতে)
#পর্ব -১০
||
ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতেই তার বাবার কথায় থমকে যায় অনুরাগ…

অনুরাগের বাবা তাকে উদ্দেশ্য করে রাগী ভাবে বলে,

—–টেবিলে কয়েকটা মেয়ের ছবি আছে,তুমি ছবি দেখে আমাকে জানিয়ো।

অনুরাগ অবাক হয়ে তার বাবার দিকে তাকায়।কারন তার বাবা কখনো এমন রুড ভাবে তার সাথে কথা বলে নি।সে জিজ্ঞাসু স্বরে তার বাবাকে বলে,

—–কিসের ছবি বাবা।

—–তোমার জন্য পাত্রী দেখছি তারই ছবি।

—–বাবা আমি বিয়ে করবো না।

—-কেন বিয়ে করবে না।

—-কারন আমি ছোঁ…. এইটুকু বলে থেমে যায়।কোন মুখে সে ছোঁয়াকে ভালোবাসি বলবে।

—-থেমে গেলে কেন?

—-অনুরাগ চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে কোন কথা বলছে না।

—-একটা কথা কান দিয়ে শোনে রাখ তুমি, বিয়ে করো আর নাই করো, তোমাকে যেন ছোয়ার আশে পাশে ও না দেখি।অনেক অপমান করেছো তুমি মেয়েটাকে।কালকে পার্টিতে গিয়ে ও তুমি সিনক্রিয়েট করেছো।তারপর নিজের ঘরে ভাংচুর করেছো আমি কিছু বলিনি।তোমার এসব পাগলামী আমি আর সহ্য করবো না। আমি তোমার বিয়ে দিবো যাতে করে তোমার এসব পাগলামী বন্ধ হয়।

এতক্ষন ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বাবার কথাগুলো হজম করছিল অনুরাগ।বাবার কথা গুলো শুনে অনুরাগের শরীর রাগে ফেঁটে যাচ্ছে। সে চিৎকার করে বলে উঠে,

—–কি বললা বাবা তুমি আমার বিয়ে দিবা।

—–কেন তুমি শোনতে পাওনি।

—–ওকে ফাইন আমি বিয়ে করবো।

—–টেবিলের উপর মেয়েদের ছবি আছে তুমি দেখে বলো কাকে তোমার পছন্দ।

—–ছবি দেখার দরকার নাই মেয়ে আমার পছন্দ আছে।

—-তাহলে তো হয়েই গেলো। তুমি মেয়ের এড্রেস দাও আমি আর তোমার মা মিলে বিয়ের কথা বলে আসব।

অনুরাগ তার বাবার কথায় বাঁকা হাসল।তারপর তার বাবাকে ছোঁয়াদের বাড়ির এড্রেস দিলো।

“অনুরাগের বাবা এড্রেসটা দেখে জোরে চিৎকার করে বলল…

—–তুমি আমার সাথে ফাজলামো করছো।তুমি ছোঁয়াদের বাসার ঠিকানা কেন দিয়েছো।

—-ফাইজালামো কেন করব।তুমি এড্রেস চেয়েছো আমি দিয়েছি।আমি বিয়ে করলে ছোঁয়াকেই ককরব।

—ছোঁয়া কখনো তোমাকে বিয়ে করবে না।

—–হঠাৎ করে অনুরাগ তার বাবার পা ধরে কান্না করে বলল,বাবা আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি ঐ দিন বিয়েটা ভেঙে ভুল করেছি।আমি জানি আমি ছোঁয়াকে অনেক অপমান করেছি। তার জন্য ছোয়া হয়তো আমাকে কখনো ক্ষমা করবে না।তবু ও মনের অজান্তে আমি ছোঁয়াকে ভালোবেসে ফেলেছি।আমি ছোঁয়াকে ছাড়া বাচবো না।

অনুরাগের কথা শুনে তার বাবা তাচ্ছিল্য করে হাসি দিয়ে বলল,

—তোকে আগেই আমি আর তোর মা বলেছিলাম একদিন তুই ছোঁয়াকে মন থেকে চাইবি কিন্তু পাবি না।
কথাটা মিলল।

— অনুরাগের তার বাবার দিকে অসহায় ভাবে তাকাল।তারপর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলল, বাবা তুমি কিছু একটা করো।

—-আমি তোর জন্য আর ছোট হতে পারব না।আমার বন্ধুর কাছে আমার মাথাটা হেট হয়ে গেছে তোর জন্য।কে বলতে পারে তুই আবার ঐ রকম কিছু করবি না।এটা বলে তিনি উপরে উঠতে নিলে অনুরাগ তার বাবাকে বলে,

—-তোমাদের কাউকে আমার দরকার নাই।আমি নিজেই ছোঁয়াকে আমার করে নেবো।আমার বউতো ছোঁয়াই হবে এটা বলে অনুরাগ গটগট করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো।

অনুরাগের বাবা তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ধপ করে নিচে বসে পরে।তাকে বসতে দেখে অনুরাগের মা দৌড়ে তার কাছে এসে বলে,
—-কি গো তোমার খারাপ লাগছে।একটু লেবুর শরবত করে দেবো।

—্-না।আমি কিছু খাব না।আমার খুব চিন্তা হচ্ছে। তোমার ছেলে যদি এবার কিছু করে তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না বলে দিলাম।তুমি তোমার ছেলেকে বুঝাও এটা বলে তিনি চলে গেলেন।

অনুরাগের মা অসহায় হয়ে স্বামীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।
______________

আবির কেবিনে বসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রির্পোট দেখছে।রির্পোট দেখার মাঝে তার কেবিনের দরজায় কেউ নক পরল।আবির দরজার দিকে তাকিয়ে বলল,
—কাম ইন।

সাথে সাথে দরজা ঠেলে ভেরতে ঢুকল রিয়া।রিয়াকে দেখে আবির হাতের রির্পোট গুলো দেখে টেবিলের উপর রাখল।রিয়া কেবিনে ঢুকেই বলল,

“কেমন আছেন স্যার।

আবির মুচকি হাসি দিয়ে বলল,

“ভালো।তুমি।

রিয়া যেন আবিরের এই হাসিটা দেখে সারা জীবন পার করে দিতে পারবে।সে কী ভাবছে এসব, স্যার তো তার নয় এসব ভেবে সে উওর দেয়..
—কোন রকম আছি স্যার।

রিয়ার উওর শোনে আবির ভ্রু উঁচু করে তার দিকে তাকাল।তারপর বলল কোন রকম আছি মানে।

—না স্যার এমনি বললাম আরকি।

—উহ।তা ওই দিন কোথায় চলে গেছিলা।তারপর দুদিন ডিউটি আসনাই কেন?

—রিয়া মলিন হেসে বলে, স্যার শরীটা ভালো ছিলো না তাই আরকি।(রিয়া আবিরের মুখে ছোঁয়ার কথা শোনে দৌড়ে হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে গেছে।তারপর দুদিন আর হসপিটালে আসে নাই।এই দুদিন অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়েছে।আবিরকে অন্যের সাথে কল্পনা করলে তার ভেতরে জ্বলে পুড়ে যায়।)

—মিস রিয়া এখন আপনার শরীর কেমন আছে।

—জি ভালো স্যার।

–উহ।আচ্ছা আমার একটা ও.টি. আছে। তুমি জিনিসপএ রেডি করো পাঁচ মিনিট পর অপারেশন শুরু করবো।

—ওকে স্যার।

____________

ছোঁয়া একটা গাঢ় নীল রঙের থ্রী পিছ পরে শপিং মলে এসেছে।সে ঘুরে ঘুরে শপিং করছে।হঠাৎ করে তার চোখ গেলো একটা কালো বোটাপিনের ওরনার উপর।সে গিয়ে ওরনাটা নিতে নিলে কেউ তার আগে সেটা নিয়ে নেয়। ছোঁয়া চোখ মুখ কুচকে তার দিকে তাকায়।তার দিকে তাকিয়ে ছোঁয়া অবাক হয়ে যায়।কারন ওরনাটা আবির নিয়ে দাড়িয়ে আছে।আবির ও ছোয়াকে এখানে আশা করে নি।আবির অপারেশন শেষ করে এখান দিয়ে যাচ্ছিলো।তখন ওর চোখ পরে ওরনাটার উপর।সে ছোঁয়াকে ওরনাটা গিফট করবে ভেবে গাড়ি থেকে নেমে ওরনাটা নেয়।ছোঁয়াকে দেখে আবিরের মুখে হাসি ফুটে উঠে। সে হাসি মুখে বলে,
—কেমন আছো ছোঁয়া।

—ভালো।আপনি কেমন আছেন।

—-আমিও খুব ভালো আছি। শপিং করতে এসেছো বুঝি।

—আবিরের কথায় ছোঁয়া মাথা নাড়ায়।তারপর বলে আপনি কেনো এসেছেন।

—আসলে গাড়ি থেকে ওরনাটা দেখে ভালো লাগল তাই কিনতে নেমেছি কোন একজনকে দেবো বলে।

— ছোঁয়া মুখটাকে মলিন করে বলে ওহ।ছোঁয়ার ওরনাটা অনেক পছন্দ হয়েছিলো।দোকানে ও একটাই আছে।

—দোকানদার ওরনাটা প্যাকেট করে আবিরের হাতে দেয়।আবির ওরনাটা ছোঁয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে “দিস ইজ ফর ইউ”।

—ছোঁয়া আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে,আপনি তো ওরনাটা কাউকে দেবেন বলে নিয়েছেন।আমাকে দিচ্ছেন কেন?আমি পরে এসে নিয়ে যাবো।

—আবির মুচকি হেসে বলে,কারো মধ্যে তুৃমি ও তো পরে্া।আর সত্যি বলতে তোমার জন্যই কিনছিলাম।আর এটা তোমাকে নিতেই হবে না শোনব না।

—আমার জন্য কিনেছেন মানে বুঝলাম না।

—আবির আমতা আমতা করে বলে তোমার বুঝতে হবে না।
আবিরের জোরাজোরিতে ছোঁয়া ওরনাটা নেয়।তারপর আবির আর ছোঁয়া বাইরে বেড়িয়ে আসে।ছোয়া বাইরে এসে ফুচকার স্ট্রল দেখতে পায়।ছোঁয়া আবিরকে বলে,
—আবির চলেন আমরা ফুচকা খেয়ে আসি।

—ছোঁয়ার কথা মতো আবির তার সাথে যায়।

তারপর দুজন ফুচকা খেতে থাকে।আবির খাচ্ছে কম ছোঁয়াকেই দেখছে বেশী।ছোঁয়া একের পর এক খেয়েই যাচ্ছে আর আবির মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।খাওয়ার পর আবির ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে তার মুখে তেতুলের পানি লেগে আছে।আবির ইশারায় ছোঁয়াকে বলছে তার মুখে লেগে আছে।ছোঁয়া বুঝতে পারছে না।তাই আবিরই ছোঁয়ার মুখে লেগে থাকা পানি টিস্যু দিয়ে মুছে দেয়।তারপর আবিরের ছোঁয়াকে বলে তার গাড়ি দিয়ে পৌছে দেবে।ছোঁয়া আর না করতে পারে না আবিরের সাথেই তার গাড়ি দিয়ে চলে যায়।

এদিকে অনুরাগ একটা কাজে গাড়ি নিয়ে শপিং মলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো।হঠাৎ তার চোখ যায় রাস্তার পাশের ফুচকার দোকানে।সে আবির আর ছোঁয়াকে একসাথে ফুচকা খেতে দেখে।এটা দেখে তার প্রচুর রাগ হয়।তার রাগ আরও বেরে যায় আবির যখন ছোঁয়ার মুখ টিস্যু দিয়ে মুছে দিচ্ছিলো।সে আবির আর ছোঁয়া না যাওয়া পর্যন্ত তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।তারা চলে যাওয়ার পর সে রাগে জোরে গাড়ি চলািয়ে ক্লাবে চলে যায়।তারপর সে ক্লাবে বসে ড্রিংক করতে থাকে।ড্রিংক করতে করতে সে কাঁচের গ্লাস জোরে চেপে ধরে গরগরিয়ে তার হাত থেকে রক্ত পরতে থাকে।তারপর সে পরে যেতে নিলে তার বন্ধু আকাশ তাকে ধরে নেয়।তারপর আকাশ তাকে ধরে নিজের ফ্লাটে নিয়ে যায়।সেখানে নিয়ে সে তার হাত ব্যান্ডেজ করে দেয়।তারপর আকাশ অনুরাগের দিকে তাকিয়ে বলে,
“দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মূল্য বুঝে না, পরে গেলে সবাই বুঝে”।তোর অবস্হা এখন সেরকম অনুরাগ।



#চলবে?