অসমাপ্ত ভালোবাসার শৃঙ্খচীল পর্ব-২+৩

0
876

#অসমাপ্ত_ভালোবাসার_শৃঙ্খচীল
(সেড স্টোরি না).
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ২+৩
,
,
,
,
পাঞ্চিং ব্যাগে একের পর এক ঘুষি মেরেই চলেছে অরণ্য। সম্পূর্ণ রাগ সে ঝারছে পাঞ্চিং ব্যাগে।
অরণ্য পাঞ্চিং ব্যাগে লাস্ট পাঞ্চ করে বসে পরলো। পাশে থাকা বাস্কেট বল নিয়ে দেওয়াল এর সাথে ছুড়তে লাগলো

অরণ্যঃকাজ টা তুই ঠিক করিসনি রোজ(সবাই তাহা বললেও অরণ্য রোজ বলেই ডাকে)আমার ভালোবাসাকে তুচ্ছ করেছিলি না আমার ভালোবাসাকে। আর এখন আমার ভাইয়ের সাথে ছিঃ। কি করে নামলি রে এতো নিচে কি করে। আমি তো এই রোজ কে ভালোবাসি নি এটা আমার রোজ হতেই পারেনা কখনো না।তোকে ঘৃণা করি।আমার ভালোবাসার শৃঙ্খচীল কে তুই খুন করেছিস। (রাগে চিৎকার করে বল টা জোরে ছুড়ে মারে বল টা ফেটে হাওয়া বেরিয়ে যায়।)

__
বুজলেন না তো কিছু আসলে তখন তাহা কে ফেলে চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে অরণ্যর টনক নড়ে। সে ছুটে যায় তাহার রুমে আর যেয়ে দেখে নিভ্র তাহাকে কোলে নিয়ে বেডের দিকে এগুছে। ওদের মুখটা বিপরিত দিকে থাকায় অরণ্য ঘুমন্ত তাহাকে দেখেনি।।
,
,
,
অন্ধকার স্টেশানে বসে আছে নতুন বউ পরনে বেনারোসি শাড়ি। কান্না করতে করতে চোখ ফুলায় ফেলেছে। স্টেশানে থাকা কিছু মানুষ অদ্ভুদ চোখে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে কিন্তু মেয়েটা নিজের মতো কান্না করতে ব্যস্ত।
কোন দিকে খেয়াল নেই তার।

কিছু সময় পরেই সেখানে এসে পৌঁছায় একজন সুদর্ষন যুবোক। মুখে মাস্ক থাকায় তার মুখটা দেখা না গেলেও তার সবুজ চোখ জোড়া স্পষ্ট।সে এসে মেয়েটার সামনে হাটু মুড়ে বসে পরে।

যুবোকঃআবার পালিয়েছো(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
মেয়েটাঃতো কি করবো বিয়ে করে নিবো ওই ডাক্তার কে। কতোবার বললাম করবোনা বিয়ে করবোনা বিয়ে কেউ শুনে না আমার কথা। (কেদে কেটে অস্থির হয়ে)
যুবোকঃপালায়ে কি লাভ হয়। তোমার ই বদনাম হয়
মেয়েটাঃহোক বদনাম। মরে যায় তবুও বসবো না বিয়ের আসরে আমি।
যুবোকঃকেন করছো এই জেদ। আমি তো দেখেছি ছেলেটাকে তার চোখে তোমার জন্য ভালোবাসা আছে। তাই তো তোমার এতো বার পালানোর সর্তেও তোমাকেই বিয়ে করতে চায়(দুই হাত দিয়ে মুখ তুলে)
মেয়েটাঃঅচেনা এক ছেলে যাকে তুমি চিনোনা জানোনা তার চোখ পড়তে পারো আর যে মেয়েটা দিন রাত ভালোবাসি ভালোবাসি বলে চিৎকার করে তার ভালোবাসা তোমার চোখে পরেনা(মনে মনে)।আমি তাকে ভালোবাসি না আর না তাকে বিয়ে করতে চাই।
যুবোকঃতোমাকে বুঝিয়ে লাভ নাই চলো বাড়ি থুয়ে আসি(হাত ধরে)
মেয়েটাঃ নাহ আমি যাবোনা। চলোনা আমরা বিয়ে করে ফেলি(আদুরে কন্ঠে)
যুবোকঃআমার লাইফ আর তোমার লাইফ এক না বুঝো না কেন।
মেয়েটাঃআমি কিছু বুঝিনা ভালোবাসি তোমাকে।আমার অসমাপ্ত ভালোবাসার শৃঙ্খচীল তুমি।যে ভালোবাসার কোনসমাপ্তি নেই সে ভালোবাসা তুমি আমার।(কাদতে কাদতে ফ্লোরে বসে পরে)
ছেলেটাঃসব কিছু কি পেতে হয়। জীবনে কোন কিছু না পাওয়াও থাকতে হয়(দীর্ঘশ্বাস ছেরে)
মেয়েটাঃআমি কিছু জানিনা।
ছেলেটাঃতুমি আমার জীবন সম্পর্কে অবগত তনু(তনুশ্রী রেজওয়ান)..
তনুশ্রীঃহ্যা তো
ছেলেটাঃআমার জীবন বাকি ছেলেদের মতো না সেটাও তুমি জানো আমি মাস্ক খুলে কোথাও যেতে পারিনি। ২৪ ঘন্টা আমার মাথার উপরে যমরাজ থাকে।আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এই নিশ্চয়তা দিতে পারিনা যে আদৌ আমি ফিরতে পারবো কি করে জরাবো তোমাকে আমার সাথে যার কারনে আমি আমার আদরের বোনটাকে আমার থেকে দূরে রেখেছি।কি করে এমন একটা জীবনে তোমাকে জরায়(তনু কে বুকে জরিয়ে নিয়ে)
তনুঃআমি জানিনা যদি মরণ হয় তাহলে তোমার বউ হয়েই মরতে চায় বিধবা হতে হলেও তোমার বিধবা হবো তবুও আমি এই তুমি টাকে চায় আমার ভালোবাসার শৃঙ্খচীল কে চায়।ভালোবাসি অয়ন খুব ভালোবাসি আমার গ্যাংস্টার অয়ন টাকে।
অয়নঃআর কি করার চলেন ম্যাডাম ট্রেন এসে গেছে।(ট্রেন এর দিকে ইশারা করে)

তনু খুশিতে লাফিয়ে উঠে অয়ন এর গলা জরিয়ে ধরে।অয়ন তনু কে ওইভাবে উঁচু করে তুলে ট্রেনে উঠে পরে। অয়ন তনুকে বসায় দেয় সিটে।পকেট থেকে ফোন বের করে কাকে যেনো ম্যসেজ করে।ফোনটা পুনরায় পকেটে পুরে ফেলে। পাশে তাকিয়ে দেখে তনু অয়ন এর কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে।

(তনু পুরো নাম তনুশ্রী রেজওয়ান।ঢাকার অনেক বড় শিল্পকার এর মেয়ে। বয়স হবে ২১ ২২ এর কাছে।মারাত্মক সুন্দরী।হাজার হাজার ছেলে যার পিছনে পাগল সে মেয়ে অয়ন রহমান এর পেছনে পাগল।

অয়ন রহমান উর্ফে AR।দেখতে অনেক সুন্দর। দুধে আলতা গায়ের রঙ ব্রাউন চুল। সবুজ জোড়া আখি যুগোল।রাগ তার নাকের ডোগায়। মন পছন্দ কিছু না হলে সেটা তছনছ করতে এক সেকেন্ড ও সময় নেয় না। তার রাগ দেখে বড় বড় গ্যাংস্টার ও ভয় পায়।কিন্তু তার রাগ দেখে শুধু মাত্র তনু আছে যে ভয় পায় না।

ধীরে ধীরে এদের অতিত ও জানবেন)

,
,
——-

ছোট একটা মেয়ে দুই সাইডে ঝুটি বেধে দৌড়াচ্ছে মনের সুখে কোন দিকে খোজ নেই তার হাতে বেলুন এর সমাহার।ফোকলা দাতের হাসিতে অসম্ভব মায়াবী লাগছে।

ছোট মেয়েটাকে হুট করে একটা ছেলে এসে কোলে তুলে নেয়। নরম গাল খানিতে ছোট করে ভালোবাসার স্পর্শ দেয় পিচ্চিটা খিল খিল করে হেসে উঠে।যেনো মুক্ত ঝরছে।

ছেলেটা সেটা দেখে বলে উঠে
ঃএই ভাবে হাসলে কিন্তু তোএ হাসিটা আমি খেয়ে ফেলবো বলে দিলাম(চোখ পাকায়ে)

মহূর্তে পিচ্চিটার মুখে ভয় এসে জোড় হয় আর ভ্যা করে কেদে দেয় সেটা দেখে ছেলেটা চুপ করানোর জায়গায় হেসে দেয়

পিচ্চি টা আদো আদো বুলিতে বলে উঠে
ঃপতা(পচা) অতন্য (অরণ্য)ভাইয়া।

অরণ্য কথাটা শুনে তাহার ঝুটি ধরে দেয় টান।

ঘুমন্ত তাহার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠে হাসি।চোখ জোড়া খুলতেই আপন মনে হেসে দেয় সে।ছোট বেলার সৃতি হয় ই এমন।

তাহাঃছোট বেলাতেও যেমন কাদাতে পছন্দ করতে এখনো ঠিক তেমন টাই করো। বুঝিনা কি পাও আমাকে কাদিয়ে(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)

——-

অরণ্যঃতাড়াতাড়ি খেতে দেও মা(ডাইনিং টেবিলের কাছে এসে)
মিসেস চৌধুরীঃএই নে তোর খাবার।এক মিনিট তুই এইভাবে রেডি হয়ে কই যাস
অরণ্যঃপাটি অফিস
মিসেস চৌধুরীঃশুনো ছেলের কথা কালকে আসলো আর আজকে থেকে নাকি সে কাজে লেগে পরবে না না সেটা হবে না।

অরণ্য কিছু বলতে যাবে তার আগেয় সিড়ি দিয়ে তাহাকে নামতে দেখে বলে উঠে।

অরণ্যঃআমি তো আর কারো মতো অন্যর টাকায় খেতে পছন্দ করিনা

তাহা স্পষ্ট বুঝতে পারলো কথা টা তাকে শুনানোর জন্যেই বলা হলো তাহা সে কথার পাত্তা না দিয়ে নিভ্রর রুমে গেলো।

মিসেস চৌধুরীঃতুই যাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বললি সেটা বলার আগে একটা বার ভাবলি না
এটা তার শশুড়বাড়ি। সে কেন কামায় করবে একটু বুঝাবি।আর বড় কথা সে এই বাড়ির বড় বউ হয়েও নিজে ইনকাম করে এসিস্ট্যান্ট জার্নালিস্ট সে অনার্স টা কাম্পিলিট করলেই সেও একজন জার্নালিস্ট হয়ে যাবে।আর এমনকি সে নিজের সম্পূর্ণ খরচ নিজের টাকায় চালায় তার মা যে টাকা পাঠায় সেটা ও নেয় না।

অরণ্যঃওর মা টাকা পাঠায় মানে।মামু পাঠায় ন। আর অয়ন ই বা কই।
(অবাক সুরে)

মিসেস চৌধুরীঃনা অয়ন এখন কথায় কেউ জানেনা (আমতা আমতা করে)
অরণ্যঃআর মামু
(অবাক সুরে)

মিসেস চৌধুরী কিছু বলতে যাবে তার আগেয় সেখানে তাহা এসে বলে যে তাকে নিভ্র ডাকছে।মিসেস চৌধুরী জেনো হাফ ছেরে বাচে চোখের ইশারায় তাহাকে ধন্যবাদ বলে চলে যায়। তাহাও ভার্সিটির উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে।

কিন্তু অরণ্যর মনে সন্দেহ বাসা বাধে

অরণ্যঃমামার কথা শুনতেই মা র চেহারার রঙ পালটে গেলো। কিন্তু কেনো। কোথাও তো একটা গন্ডগোল আছে।কিছুতো একটাই লুকানো হচ্ছে(সন্দিহান কন্ঠে)

অরণ্যর ফোনে কারো ফোন আসায় সে ভাবনা বাদ দিয়ে ফোন কানে নিয়ে বেরিয়ে পরে।

চলবে!!!!.
যারা নাম দেখে মনে করেছেন এটা সেড স্টোরি তাদের বলছি এটা কোন সেড স্টোরি না অসমাপ্ত মানে যেটার সমাপ্তি নেই।

#অসমাপ্ত_ভালোবাসার_শৃঙ্খচীল
(সেড স্টোরি না).
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ৩
,
,
,
,
অরণ্য পার্টি অফিসে এসে পার্কিং এ নিজের গাড়ি পার্ক করে যে না বের হতে যাবে এমন সময় কোথায় থেকে একটা নেয়ে দৌড়ে আসে অরণ্যের কাছে।অরণ্য কিছু বুঝার আগেই মেয়েটা অরণ্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর মেয়েটা অরণ্যের জায়গায় দাঁড়িয়ে যায় তখনি একটা বুলেট এসে মেয়েটার হাতে লাগে।

মেয়েটার সাদা শার্ট টা রক্তে ভিজে যায়। মেয়েটা মাথা ঘুরে পরতে নিলেই অরণ্য এসে ধরে ফেলে।গুলি চালানোর আওয়াজ শুনে সবাই সেখানে জোর হয়ে যায়।

অরণ্য কারো তোয়াক্কা না করে মেয়েটাকে কোলে তুলে গাড়িতে বসাই দেয়। দূর থেকে সবটা লক্ষ্য করে তাহা। তার মন অজানা ভয়ে কেপে উঠে। সে নিজেও জানে না এর কারন। শুভ্র চৌধুরী মানে অরণ্যর বাবার ইন্টারভিউ নিতে এসেছিলো সে।

শুভ্র চৌধুরী এসে তাহার কাধে হাত রাখে।

শুভ্রঃকি হয়েছে মামনি
তাহাঃআমার কিছু ঠিক লাগছেনা বাবাই। আজকে অরণ্য প্রথম দিন পার্টি অফিসে এসেছিলো আর আজকেই তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয় আর কোথায় থেকে হুট করে এই মেয়েটা চলে আসে। আমার ব্যাপারটা ঠিক লাগছেনা তুমি তাড়াতাড়ি হস্পিটালে যাও।
(সন্দেহ জড়িত কন্ঠে)
শুভ্রঃহুম আমার ও তাই মনে হচ্ছে আচ্ছা তুই ও চল আমার সাথে।
তাহাঃনা বাবাই সেখানে গেলে তোমার ছেলে হিংস্র বাঘ হয়ে যাবে। এমনিতেই ওর মাথা এখন বিগড়ে আছে আমার তো সুটার এর জন্য ভয় করছে। সে যদি অরণ্য ভাইয়ার হাতে পরে তাহলে যে কি হবে ওর আল্লাহ জানে।
অভ্রঃএখনো ভাইয়া বলবি(কাধে হাত দিয়ে)
তাহাঃদেরি হয়ে যাছে বাবাই যাও তুমি

——-
পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে তাহাও শুভ্র চৌধুরীর পিছা নেয়। তার কেনো জানি মেয়েটাকে সুবিধার মনে হচ্ছেনা।

তাহা হস্পিটালে এসে দেখে অরণ্য চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছে।শার্টে রক্তের ছড়াছড়ি। চোখ মুখে অনুতাপের ছোয়া।

তাহাঃকেন তোমাকে দেখে আমার ভয় লাগছে অরণ্য। তুমি তো শুধু মেয়েটাকে সাহায্য করেছো তাহলে আমার কেন মনে হচ্ছে হাওয়ার দিক পরিবর্তন হচ্ছে। কিসের ভয় আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। কেন তোমাকে পেয়েও হারানোর আশংকায় বুকটা ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে এটা তো হবার নই আমাদের ভালোবাসার শৃঙ্খচীল এর কাহিনী এখানেই সমাপ্ত হতে পারেনা এটা যে #অসমাপ্ত_ভালোবাসার_শৃঙ্খচীল এর কাহিনী যা শেষ হবার নই।

তাহা আড়ালে দাড়িয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছিলো কিন্তু অরণ্য তাহার উপস্থিতি বুঝে গেছিলো।

কিছুক্ষন পরেই ডাক্তার এসে জানালো মেয়েটা এখন ঠিক আছে।অরণ্যে স্বস্তির নিশ্বাস নিলো।ঘুমের ঔষধ দেওয়ার কারনে মেয়েটার ঘুম কাল সকালের আগে ভাংবে না। শুভ্র চৌধুরী গার্ডস রেখে চলে গেলেন। কিন্তু তাহা গেলোনা।

রাত তখন ৮টা বাজে। বাড়িতে সবাই টেনসেন করবে দেখে ফোন করার জন্য করিডোর এ আসতেই একটা বলিষ্ঠ হাত এসে তাহার কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো হঠাৎ এমন আক্রমণে তাহা একটুও অবাক হলোনা।

অরণ্যঃকি করছিস এখানে(শক্ত গলায়)
তাহাঃআমার সুন্দর বর টাকে পাহাড়া দিছি কি আর করবো(অরণ্যের গলা জরায় ধরে)
অরণ্যঃসাহস দেখছি বেরে গেছে একটা চড় মেরে এই সব কথা ছুটায় দিবো। আমাকে টাচ করার সাহস পেলি কই
তাহাঃএ্যাহ আইসে আমাকে টাচ করার সাহস পাইলি কই(অরণ্যকে ব্যাঙগ করে) নিজে যে সাপের মতো আমার কোমড় পেচায় রেখেছে সেটার বেলায় কিছুনা
অরণ্যঃতুই আমারে ইনডাইরেক্টলি সাপ বলছিস তোর এতো সাহস
তাহাঃআমি ইন্ডাইরেক্টলি না ডাইরেক্টলি বলছি আর হ্যা আমার অনেক সাহস কারন আছি মুনতাহা রোজা রহমান চৌধুরী গোট ইট
অরণ্যঃসাহস টা বেশি হয়ে গেলোনা
তাহাঃএকদম না জামাই। চৌধুরী সাহেব এর বউ এর এইটুকু সাহস না হলে মানায় না (অরণ্যের নাকের সাথে নিজের নাক ঘষে)

অরণ্যঃকেন করিস এমন তোকে ঘৃণা করতে পারিনা যে বার বার ঘৃণা হেরে ভালোবাসা এসে যায়।মনের কোনে যে ভালোবাসার শৃঙ্খচীল কে আমি আটকায় রেখেছি সে বের হতে চায় কিন্তু তোর করা কাজ গুলোর কথা মনে পরলে যে নিজের উপর রাগ হয়(মনে মনে)

তাহাঃমেয়েটা কেমন আছে(অরণ্যের বুকে মাথা রেখে)

অরণ্য চেয়েও পারেনা তার রোজ এর মাথাটা নিজের বুক থেকে সরাতে।তার যে বড্ড প্রয়োজন ছিলো প্রিয়তমার ছোয়াটা

অরণ্যঃহুম এখন ভালো আছে কালকে সকাল অব্দি জ্ঞান ফিরে আসবে।

কিচ্ছুক্ষণ দুইজনে নিশ্চুপ হয়ে থাকে। হঠাৎ করে অরণ্য বলে উঠে
ঃমামার কি হয়েছে রোজ
তাহা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো প্রশ্নটার জন্য সকালে যখন সে প্রশ্ন টা করেছিলো তখন ই বুঝে গেছিলো সে অরণ্য যতক্ষন না প্রশ্নটার উত্তর পাচ্ছে সে শান্ত হবে না

তাহাঃওই যে স্টার দেখছো না ওইটা আমার বাবা।
অরণ্যঃমানে(কাপা কন্ঠে)
তাহাঃ
৪ বছর আগে যখন তুমি বিয়ে করে চলে গেছিলে দেশ ছেড়ে তখন বাবা ভেংগে পরেছিলো কারন আমাদের যে সম্পর্ক ছিলো সেটা ফ্যামিলি যানতোনা। তাই আব্বু মনে করেছিলো ওর ডিসিশান এর জন্য আমার আমার আর তোমার জীবন নষ্ট হয়েছিলো । দিন দিন এই শোকে ঘুমরে মরছিলো। হঠাৎ একদিন শুনি আব্বু ব্রেনস্টোক করেছে।আম্মু সব দোষ আমাকে দিয়ে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেলো নানু বাসায়।

নিশ্চুপে অরণ্যের বুকে মাথা দিয়ে নিশ্চুপে চোখের পানি ফেলছে তাহা।পুরানো ঘা টা পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।অরণ্য যেনো পাথর হয়ে গেছে কি বলবে কি রিয়েকশান দিবে সে ভুলে গেছ।সে স্বপ্নেও ভাবেনি তার বিদেশে যাওয়ার কারনে তার রেড রোজ কে এতো বড় প্রতিদান দিতে হবে।

——-
এক হাত ঘোমটা টেনে বসে আছে তনুশ্রী।মুখ তার লজ্জায় রাঙা অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে।কিছুক্ষন আগেই তারা বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।

কিছুক্ষন এর মাঝেই অয়ন রুমে প্রবেশ করে। তনুশ্রী নড়েচড়ে উঠে দাড়ায়ে অয়ন এর পা ছুয়ে সালাম করে।অয়ন তনুশ্রী কে উঠিয়ে বুকের মাঝে জরায় ধরে। তনুশ্রী ও গুটিশুটি মেরে কাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তিটির বুকের সাথে মিশে থাকে।

অয়নঃএবার খুশিতো ম্যাডাম(তনুশ্রী মাথায় কিস করে)
তনুশ্রীঃআপনি আমাকে ভালোবাসেন না অয়ন তাই না।
অয়নঃকেন এমন মনে হলো
তনুশ্রীঃআজকে আমার বিয়ে ছিলো সেটা আপনি জানতেন তবুও আপনি প্রতিবারের মতো কিছুটি করেন নি।আমি যদি না পালাতাম তবে। আজকে এই সময় আমি অন্য কারো বউ হতাম অন্য কারো (আর বলতে দিলোনা অয়ন).

নিজের ঠোঁট দ্বারা তনুশ্রীর ঠোঁট দখল করে নিলো। তনুশ্রী ও সকল অভিমান রাগ অয়ন এর ঠোঁটের উপর ঝারতে লাগলো।

অয়ন তনুশ্রীর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে তাকে সোজা করে দাড় করালো

অয়নঃতোমার বাসাতে মোট ৫০০ র মতো গার্ডস থাকে তোমার বিয়ে দিনে।কিছু গার্ডস এর পোশাক পড়ে তো কিছু ছন্দ বেসে।কিন্তু প্রতিবার তুমি সফল হও কি করে।

তনুশ্রী অবাক চাহনী নিক্ষেপ করে অয়ন এর দিকে।
অয়নঃতুমি যে পালিয়ে স্টেশান এ আসো তোমার পিছে কোন গার্ডস আসেনা কেনো তোমার বাবার পাওয়ার এতো কম।

তনুশ্রীঃতার মানে প্রতিবার এইসব মানে আমি যাতে পালাতে পারি তাই কিন্তু কেনো করতেন এমন

অয়নঃইটস টোপ সিক্রেট বেবি যাও ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুমায়ে পরো কাবার্ডে ড্রেস আছে।।

তনু অয়ন এর কথা মতো চলে যায় কারন সে যানে যতোক্ষন না অয়ন এর ইচ্ছা হবে সে কিছু বলবে না

তনু সাওয়ার এর নিচে চোখ বন্ধ করে দাড়ায়। সাথে সাথে চোখের সামনে ভেসে উঠে কিছু সৃতি

তখন তনু ইন্টার প্রথম বর্ষে।খুব প্রানচ্ছ্বল মেয়ে সে।বাবা আর ২ ভাইয়ের আদরের টুকরা সে মা ছোট বেলায় তাকে জন্ম দিতে যেয়ে মারা যায়।

তনু সেদিন গাড়ি না নিয়ে যেয়ে হেটে যাওয়ার জেদ ধরে তাই না পেরে তারা বাপি রাজি হয়ে যায় কিন্তু কিছুদূর যেতেই সে দেখে,,,,

চলবে!!!.