এক টুকরো নূর পর্ব-০৫

0
98

#এক_টুকরো_নূরজ্ঞজ্ঞ
——————-(৫ম পর্ব)
লেখা: উম্মেহানি মিম

আলেয়া বেগম আগে আগে হাঁটছেন মেয়েদের পিছনে রেখে আগলানোর চেষ্টা করছেন।নিচে নামতেই মিডিয়ার লোকজন তাদের ঘিরে ধরলো।কিছুতেই সেখান থেকে বেরোতে পারছিলেন না তারা। সাংবাদিকদের উদ্ভট প্রশ্নের ভিরে একটি কথাও মুখে ফুটছে না তাদের।নূরা ভয়ে নেতিয়ে আছে।চোখে রাজ্যের কান্না। নোহা মুখ খুললো,”আপনারা আমাদের যেতে দিন।”
আলেয়াও নির্লিপ্ত কন্ঠে বললেন,”আমাদের বেরোতে দিন দয়া করে।”
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলো,”কিন্তু আপনাদের মধ্যে নূরা কে? আমরা জাহিদ সাহেবের থেকে জেনেছি আপনারা তিন মা মেয়েই বাইরে গেলে এমন কালো বোরকা পড়ে যান।আপনাদের পরিচয়টা দিন।”
আলেয়া বললেন,”আমি নূরার মা। এবার অন্তত আমাদের বেরোতে দিন।”
সাংবাদিকরা এবার পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই ওদের পাকড়াও করলো,”নূরা কে আপনাদের মধ্যে আমরা ওনার থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।অভিনেতা সাদমান হকের সাথে কত দিনের সম্পর্ক ওনার?সম্পর্ক যখন আছে সেটা লুকিয়ে রাখার কি মানে!তাহলে কি আমরা ধরে নেব এটা ভালো কোনো সম্পর্ক না?”
নূরা যেন কথাগুলো আর সহ্য করতে পারলো না।মাথার মধ্যে প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে তার।মাথাটা ভিষণ ঘুরছে।তার পক্ষে আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হলো না।মেঝেতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।
আলেয়া দ্রুত নূরাকে ধরলেন। হুড়োহুড়ি লেগে গেল চারিদিকে।ততক্ষণাৎ সাদমানকে দেখা গেল।সাংবাদিকরা তার দিকে ছুঁটে গেল।সাদমান উত্তেজিত হয়ে বললো,” আপনারা কি মানুষ?এই মানুষ গুলোর সাথে কি করছিলেন এতক্ষণ? দেখছেন মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে।”
সাংবাদিকরা যেন কোনো কথাই কানে নিচ্ছে না একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে।সাদমান নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে বললো,”আপনারা এখন যান।আমি কালকে প্রেস কনফারেন্স করবো।তখন আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তরই আমি দিবো।এখন আমি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।”
সাংবাদিকরা শান্ত হলো সাদমানের কথায়।সাদমান এগিয়ে গেল নূরাদের দিকে।আলেয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,”আন্টি আমার সাথে আসুন আপনারা?”
আলেয়া না সূচক মাথা নাড়ালেন।
সাদমান অনুরোধ করে বললো,”পরিস্থিতি তো বুঝতে পারছেন।দয়া করে আসুন।আপনারা এখানে থাকলে বা এই মুহুর্তে কোথাও চলেগেলে আরও জল ঘোলা হবে।আর আপনার মেয়ের শরিরটাও খারাপ করেছে। এই অবস্থায় ওনার ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। আমার সাথে আসুন এখন, পরে যা খুশি করবেন।”
আলেয়া আর কোনো উপায় না পেয়ে সাদমানের সাথেই তাদের ফ্ল্যাটে গেলেন।নূরাকে গেস্ট রুমের বিছানায় শুয়ানো হয়েছে।
সাদমানের মা মিসেস লিপি এসেছেন নূরাকে দেখতে।উনি নূরার মাথার কাছে একটা চেয়ার নিয়ে বসেছেন।যা হয়েছে সবটাই তিনি শুনেছেন।মেয়েটাকে দেখে সত্যিই নিষ্পাপ মনে হয়।
লিপি আলেয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন,”আপনি ওর মা তাই না?”
“জি”
“আমার ছেলেটা একটু উগ্র হতে পারে কিন্তু ওতটাও খারাপ না।আপনার মেয়েকে আমি চিনি না তবুও তাকে দেখে মনে হয় সে খুব নিষ্পাপ।”
“আমার মেয়েটা নিষ্পাপই আপা।একদম পবিত্র।আলেয়া চোখ মুছলেন।
লিপি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,” সাদমান ডাক্তারকে কল দিয়েছে এখনই চলে আসবে।
“মহিলা ডাক্তার তো?”
“মহিলা ডাক্তার কেন?”
“নূরার সংকোচ হবে পুরুষ ডাক্তার আসলে।”
লিপি বললেন,”ঠিক আছে আমি সাদমানকে বলে আসি কথাটা।”
উনি চলে যেতেই নোহা বললো,”এই আন্টিটা কত ভালো তাই না আম্মা?আমাদের চাচি আম্মার মতো না একদম।”
আলেয়া নোহাকে সাবধান করলেন,”গীবত করবে না আম্মা।কারোর অনুপস্থিতে তার সম্পর্কে খারাপ কথা বলা পাপ।এটাকে গীবত বলে।”
নোহা কাচুমাচু করে মাথা নাড়ালো।

একজন মহিলা ডাক্তার এসেছেন,নূরাকে চ্যাকআপ করে বললেন,প্রেশার অনেক বেশি লো হয়েগেছে।উনি একটা স্যালাইন লাগিয়ে দিলেন।আর রেস্ট নিতে বললেন।

সাদমান নিজের ঘরে শুয়ে আছে।চোখ বন্ধ করে ভাবছে কালকে মিডিয়াকে ফেস করবে কীভাবে।পরক্ষণেই ভাবছে তার তো কোনো দোষ নেই।যা হওয়ার হবে।
লিপি সাদমানের ঘরে ঢুকলেন,তার পাশে বসে বললেন,”দেখেছো তুমি মিডিয়া কাকে বলে?সেলিব্রিটি কাকে বলে? এখানে উন্নত ক্যারিয়ার যেমন গড়া যায় তেমন মুহুর্তেই তোমার ক্যারিয়ার খারাপ হয়ে যেতে পারে।”
সাদমান ভ্রুক্ষেপহীন বললো,”যার যা ইচ্ছা বলুক। সাদমান হকের ক্যারিয়ার খারাপ করা এত সহজ না।একটা মেয়েকে জড়িয়ে আমার ক্যারিয়ার কে খারাপ করে আমিও দেখে ছাড়বো।”
দরজায় দাঁড়িয়ে সাদমানের বাবা হক সাহেব বললেন,”আর মেয়েটার যে অসম্মান হলো, ভবিষ্যতেও হবে সেগুলোর দায়ভার কে দিবে?তোমার মতো অপদার্থের কাছে তো নিজের স্বার্থটাই আসল।”
সাদমান উঠে দাঁড়ালো,”মাথা নিচু করে বললো,মিথ্যে মিথ্যেই থাকে বাবা।আমরা তো জানি সব মিথ্যে তাহলে কে কি বললো তাতে কি আসে যায়!”
লিপি বললেন, “অনেক কিছু আসে যায় একটা মেয়ের জন্য।মেয়েটাকে দেখলাম একদম নিষ্পাপ।কত লজ্জাশীলা, পর্দাশীল।অথচ তাকে নিয়ে আজ কত জাল ঘোলা হচ্ছে।মেয়েটার মনের অবস্থা ভাবতেই আমার গাঁ শিওড়ে উঠছে।”
“কিন্তু এখানে আমি কি করতে পারি? আমি তো চাইনি এমন হোক।”
হক সাহেব গম্ভীর কন্ঠে বললেন,”এমন কিছু হবে আমি আগেই জানতাম কিন্তু এরকম একটা নির্দোষ, নিরপরাধ মেয়ে তোমাদের ব’লির পাঠা হবে সেটা কখনও কল্পনা করিনি।তোমার যা খুশি করেছো আমি তোমাকে বাধা দিলেও তুমি শুনোনি।তোমার মা তোমাকে প্রশ্রয় দিয়েছে।সে জন্য তুমি আজকের সাদমান হয়ে উঠেছো।আমি তোমার মাকেও দোষ দেই না, কারণ যখন ভালো খারাপ বুঝতে না তখন তুমি বাবা-মায়ের কথা শুনতে।বুঝতে শেখার পর নিজের মর্জি মতো চলেছো।সে জন্য ভুলের বোঝা নিজেই টানবে।”
“আমি কোনো ভুল করিনি বাবা”
“করেছো মিডিয়ায় কাজ করা শুরু করে।এখানে কেউ কারোর বন্ধু হয় না আজ দেখলে তো?”
“তোমরা এত ভেবো না সব ঠিক হয়ে যাবে।কয়েক দিন জল ঘোলা হবে তারপর আমার নতুন সিনেমা মুক্তি পেলেই সব শেষ। ”
“আর যে মেয়েটার চরিত্রে দাঁগ লাগলো সেই দাঁগ কীভাবে মুছিয়ে দিবে তুমি?”
“আমার এখানে কিছুই করার নাই বাবা”
সাদমান সোজা জবাব দিলো।
আলেয়া বললেন,” করার আছে”
“কি করার আছে আমার?”
হক সাহেব ভনিতা না করে বললেন,”তুমি মেয়েটার দায়িত্ব নিবে”
“ঠিক আছে একটা মানুষের দায়িত্ব নেয়া এমন কি! তার ভরনপোষণ করতে হবে তো? সাদমান হকের কাছে এটা কোনো ব্যপারই না।আমি তো ভেবেছি কি না কি।”
লিপি এক পলক হক সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন,”তুমি যা ভাবছো সেই দায়িত্বের কথা আমরা বলিনি।মেয়েটার সারাজীবনের দায়িত্ব নিতে বলেছি।”
সাদমান বিস্মিত হয়ে বললো”,মানে?”
“মানে নূরা মেয়েটাকে বিয়ে করবে তুমি।”
সাদমান উত্তেজিত হয়ে উঠলো,”কি সব বলছো মা? মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমাদের? চিনি না জানি না যাকে তাকে বিয়ে করে নাও বললে আর অমনি আমিও বিয়ে করে নিলাম।এত সহজ সবকিছু। অসম্ভব।এটা কিছুতেই হবে না।”
হক সাহেব রাগতস্বরে বললেন,লিপি তোমার ছেলেকে খারাপ কাজে সব সময় উৎসাহ দিয়েছো প্রথমবার কোনো ভালো কাজের জন্য রাজি করাও।আর সে যেন ভেবে না নেয় এটা আমার কথার কথা।এটা আমার ওর প্রতি আদেশ। আমি যেটা বলেছি সেটাই হবে।এর বাইরে আর কোনো কথা আমি শুনতে চাই না।”
কথাগুলো বলে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।
সাদমান আরও উত্তেজিত হয়ে উঠলো,” তোমরা বাবা- মা হয়েছো বলে নিজের সিদ্ধান্ত আমার উপর চাপিয়ে দিতে পারো না।আমি কিছুতেই তোমাদের এই সিদ্ধান্ত মানি না আর জীবনেও মানবো না।বাবাকে কথাটা জানিয়ে দিও।”
“তোমার বাবার রাগ তুমি জানো না?”
“আমার জিদ তুমি জানো না মা?অযৌক্তিক একটা বিষয়ে এভাবে আমাকে জোর করলে আমি কিন্তু বাসা থেকে চলে যাব। আমাকে আর খুঁজেও পাবে না”
লিপি এবার ধমক দিয়ে বললেন,”চুপ করো।এত অবাধ্য কেন তুমি? আমার ছেলে হিসেবে ভাবতেই তোমাকে লজ্জা লাগছে।আমি তো ভেবেছি তুমি সব মেনে নিবে অথচ তোমার ভিতরে যে সহানুভূতি বলে কিছু নাই আমি ভুলে গিয়েছিলাম।”
“সহানুভূতি দেখিয়ে আমি আমার জীবন নষ্ট করে ফেলবো মা?”
” আর মেয়েটার জীবন যে নষ্টই হয়ে গেল তার বেলায়?”
“সে জন্য তো আমি দায়ী না”
“তুমি জড়িয়ে তো আছো”
“সে জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমি ওদের যথেষ্ট সহানুভূতি দেখিয়েছি।বাসায় নিয়ে এসেছি পর্যন্ত।”
লিপি বিদ্রুপের হাসি হাসলেন,”তুমি তাদের বাসায় নিয়ে এসেছো নিজ স্বার্থে। ওনারা এভাবে চলে গেলে মিডিয়া তাদের পেয়ে তোমাকে নিয়ে আরও কুৎসা রটাতো।নিজের ক্যারিয়ার বাঁচাতে উপকারের নাটক করেছো।অভিনয় করতে করতে ভালোই অভিনয় শিখে গেছো তুমি।কিন্তু মায়ের চোখ ফাঁকি দিবে কি করে।”
সাদমান ঢোক গিললো।লিপি আবার বললেন,”এই ঘটনায় তোমার হাত থাকুক বা না থাকুক মেয়েটার অসম্মানের পেছনে তুমিই দায়ী।”
“কীভাবে আমি দায়ী?”
“আজকে যদি তুমি অভিনেতা সাদমান হক না হতে মিডিয়াও প্রচার করতো না এসব।সাধারণ মানুষের জীবনে কতকিছু হয় সবকিছুর কি নিউজ হয়?এর জন্য তোমার দায়বদ্ধতা তুমি অস্বীকার করতে পারবে না।মেয়েটাকে দেখে যা বুঝলাম কোনো পুরুষ তার চেহারা দেখে না অথচ আজকে তার ছবি সারা বাংলাদেশ দেখছে।”
“এই যুগে এসেও আদী যুগের মতো থাকতে কে বলেছে তাদের!”
“সেটা তাদের নিজস্ব ব্যপার সাদমান।
” ঠিক আছে আমি বড়জোর ছবিটা নিউজ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে পারি।এর বেশি কিছু করতে পারবো না।”
লিপি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,”বিবেক জিনিসটার বড় অভাব তোমার।”
“হ্যাঁ বিবেকের ঠেলায় আমি আমার জীবনটা নষ্ট করে ফেলবো।তাছাড়া তুমি মিহির কথাটা ভুলে যাচ্ছো কেন মা?”
“পরিস্থিতিই আমাদের সব ভুলিয়ে দিয়েছে কারণ আমাদের বিবেক বলতে একটা বস্তু আছে।”
সাদমান বিরক্তি নিয়ে বললো,”তুমি এখন যাও মা আমি কিছুক্ষণ একা থাকবো।এমনিতেই মাথার মধ্যে কত চিন্তা তার উপর তোমরা আরও প্রেশার দিচ্ছো আমাকে।আমাকে শেষ করে ফেলতে চাও?”
লিপি আর কিছু বললেন না উঠে চলে গেলেন।

হক সাহেব বিছানায় আধশোয়া অবস্থায় বসে আছেন।লিপি ঘরে ঢুকতেই তিনি বললেন,”রাজি হলো তোমার ছেলে?”
লিপি মলিন মুখে বললেন,”এত সহজে?”
“যেভাবে হয় রাজি করাও ছেলেকে।আমি আমার শেষ কথা বলে দিয়েছি।যদি তোমার ছেলে এবার উল্টাপাল্টা কিছু করে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।”
“তুমি এত উত্তেজিত হইও না।আমি দেখছি কি করা যায়।আর একটা বিষয়ে ভাবছিও।
” কি ভাবছো?”
লিপি চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বললেন,”নূরার মা বা নূরা এই বিয়েতে মত দিবে তো?নূরা আর সাদমান তো দুই মেরুর দুজন মানুষ। মেয়েটাকে যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।অসুস্থ শরিরেও উঠে নামাজ আদায় করলো।ভিষণ মিষ্টি মেয়েটা।আর এদিকে আমাদের ছেলে উগ্র,বদমেজাজি।ধর্ম কর্ম কিছুই তো জানে না।”
হক সাহেব দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,”এর জন্যই তো চাচ্ছি এই মেয়েটাই আমার ছেলের বউ হোক।আল্লাহয়ই আমাদের ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন মেয়েটাকে।নাহলে এমন দুর্ঘটনাই বা কেন ঘটবে বলো?আর মেয়েটার এখন যা পরিস্থিতি রাজি না হয়েই বা কি করবে।আমার মনে হয় ওরা রাজি হবে।যেভাবে হোক ছেলেটাকে রাজি করাতে হবে।”
লিপি মাথা নাড়লেন।

সাদমান রাগে ফুসছে।তার বাবা মায়ের মাথাটা সত্যি সত্যিই খারাপ হয়ে গেছে।সে কোন পরিস্থিতিতে আছে তারা বুঝতেই চাইছে না।আবার নতুন করে চাপ সৃষ্টি করছে।যত যাই হোক সে মিহির সাথে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে আছে, বিয়ে করলে মিহিকেই করবে।চিনে না জানে না এমন একটা মেয়েকে কেন বিয়ে করতে যাবে! তাও আবার এমন উদ্ভট একটা মেয়েকে।সারাদিন মুখ ঢেকে হাঁটে।কিছুতেই সাদমান এই মেয়েটাকে বিয়ে করতে পারবে না।যেভাবেই হোক ওদেরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে একটা থাকার ব্যবস্থা করে বাসা থেকে তাড়াতে হবে।নাহলে হক সাহেব যেকোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারেন।এসব ভাবতে ভাবতে সাদমান চোখ বন্ধ করলো,চোখের সামনে মিহির মুখটা ভেসে উঠলো….
চলবে