এ কেমন ভালোবাসা পর্ব-০৩

0
151

#এ_কেমন_ভালোবাসা?🤗
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
🌺৩🌺

বিছানায় গাল ফুলিয়ে বসে আছে আদিবা তাকে ঘিরে বসে আছে তার ৩ বোন মানে মামাতো বোন আর তার দুই বান্ধবি ।অনন্যা,রিক্তা,জেরিন।অনন্যা এবং জেরিন হলো ওর বড় মামার মেয়ে মানে তাজবির বোন,আর রিক্তা বলো ছোট মামার মেয়ে মানে আসিফ আর মেহেদির বোন ।
.
আদিবা গাল ফুলিয়ে বসে আছে দেখে অনন্যা ভ্রু-কুচকে বলে,,

—” আধাঘন্টা যাবত এরকম সং সেজে বসে আছিস বলবি তো না কি হয়েছে?”

আদিবা কাদো কাদো মুখ করে তাকালো পরক্ষনে নিজের ঠোঁট উল্টে বললো,,

—” তোমার রাক্ষস ভাই আমাকে দিয়ে ১ ঘন্টা নিজের পা টিপিয়েছে 🥺।”

ব্যস সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এটা নতুন না আদ্র প্রাই ওকে এইসব অদ্ভূত শাস্তি দেয়।ওদের এইভাবে হাসতে দেখে আদিবা রেগে খাট থেকে নেমে হনহনিয়ে বাহিরে চলে যায় যেতে যেতে বলে,,

—” তোদের কখনো ভালো হবে না।আমার মতো ইনোসেন্ট একটা বাচ্চাকে এইভাবে জ্বালাচ্ছিস তোদের উপর টাটকা টাটকা ঠাডা পরবে।”

এদিকে ওরা হাসতে হাসতে শেষ।রিক্তা হাসতে হাসতে বলে,,

—“ভাইয়ের সাজাগুলো জোস।”

জেরিন খাটে হেলাম দিয়ে শুতে শুতে বলে,,

—” আদিবাযে কবে ভাইয়ের এইসব পাগলামির পিছনের ভালোবাসাটা বুজবে।”

সবাইব এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
.
এদিকে আদিবা রেগে লাল হয়ে আছে।হাটতে নিয়েই অনুভব করে কেউ তাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরেছে।সাথে সাথে আদিবার মুখে হাসি ফুটে উঠে।ও পিছনে ঘুরে হাটু গেড়ে বসে বলে,,

—” আরেএ আমার ইয়ানা আপুটা কেমন আছে?”

ইয়ানা খুশি হয়ে আদিবাকে জরিয়ে ধরে বলে,,

—” ইয়ানা তার আদিবা আপুকে পেয়ে এতোগুলা খুশি।”

—” আচ্ছা তাই?”

—“হ্যা! আদিবা আপু তুমি এক্ষুনি দারাও আমি আসছি তোমার সাথে গার্ডেন এ গিয়ে আমি খেলবো।”

—” আচ্ছা যাও!”

আদিবার বলতে দেরি ইয়ানার এক ছুটে গিয়ে আবার একছুটে আসতে দেরি হয় নি। সে চললো আদিবাকে নিয়ে বাগানে।বাগানে গিয়ে গোলাপের বাগানে দেখে অসংখ্য প্রজাপতি তা দেখেই ইয়ানার লাফালাফি

—” আদিবা আপু আমাকে প্রজাপতি ধরে দেও না একটা।”

আদিবা এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো,,

—” কিন্তু ধরবো কিভাবে? ”

আদিবা হাত দিয়ে একটা পোকামাকড় ধরার জাল দেখিয়ে দিলো।আদিবাও গেলো সেদিকে ওটা হাতে নিয়ে কোমড়ে ওরনা প্রজাপতি ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।ইয়ানা তো সেই খুশি।অবশেষে দুটা প্রজাপতি ধরে ইয়ানার হাতে দিলো।আদিবা বলে,,

—“উফফ ইয়ানা প্রজাপতি ধরে আমার ক্ষুদা লেগে গেছে।”

ইয়ানা ভ্রু-কুচকে চারপাশ তাকালো। তারপর বলে,,

—” আদিবা আপু পেয়েরা খাবা।চলো পেয়েরা খাই।”

আদিবা পেয়েরা গাছটার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে ফেললো ইয়ানাকে বললো,,

—” পেয়েরা গাছে উঠবে কে?কতো বড় এটা।”

ইয়ানা অসহায় ভাবে বলে,,

—” আমিও তো গাছে উঠতে পারি না।”

এদিকে আদ্র আর তার দুই ভাই এবং বন্ধুরা ছাদে আড্ডা দিচ্ছে।হঠাৎ মেহেদির কথায় আদ্র তাকায়,,

—” আদ্র ভাই আদিবা আর ইয়ানা বাগানে কি করছে?”

মেহেদির কথায় সেদিকে তাকায় আদ্র দেখে গোলাপের বাগানে আদিবা ওরনা কোমড়ে গুজে পোকা ধরার জাল হাতে দারিয়ে ঠোঁট উল্টে ইয়ানাকে কি যেন বলছে।আদ্র অপলক তাকিয়ে রইলো গোলাপ বাগানে যেন আদিবাকেও তার কাছে সদ্য ফোটা গোলাপের মতো লাগছে।আবার হেসে দিলো আদিবার বাচ্চাদের মতো মুখোভজ্ঞি দেখে।আদ্র এর বন্ধু সাহিল বলে,,

—” কিরে হাসছিস কেন?”

আদ্র আদিবার দিক তাকিয়ে থেকেই বলে,,

—” মাজে মাজে ভাবি এই কোন পিচ্চি মেয়ের প্রেমে পড়েছি আমি, যে পুরাই বাচ্চা শুধু হাতে পায়ে বড় হচ্ছে কিন্তু ব্রেন এখনো বাচ্চাদের মতো।”

জাহিদ উঠে বলে,,

—” আরে দোস্ত তোর প্রেমিকা দেখি গাছে উঠছে?”

আদ্র তাকিয়ে দেখে আদিবা ইয়া বড় একটা মই বেয়ে গাছে উঠছে।আদ্র ” সর্বনাশ ” বলে ছুট লাগালো নিচে ওর পিছে পিছে ওর দুই ভাই আর ওর ৪ বন্ধুও গেলো।

ইয়ানা নিচ থেকে চিল্লাচ্ছে,,

—” আদিবা আপু ওই বড় পেয়েরাটা পারো।ওইটাও পারো আর ওই বাম পাশের টাও।”

ইয়ানার কথা শুনে আদিবা পিছে ফিরে উঠতে উঠতেই বলে,,

—” আরে বোন আমার আগে আমি উঠে নেই তুই আগে থেকেই চিল্লাচ্ছিস কেন?”

আবার উপরে উঠতে নিলেই ভূলবশত পা ফোসকে গেলো আদিবার দিলো এক চিৎকার,,

—“আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া আম্মু গোওওও তোমার মেয়ে শেষ গোওওওও।”

আদিবা একে বারে নিচে ধরাম করে পড়েছে এদিকে আদ্র দৌড়ে এসেও রক্ষা পায়নি সে আদিবাকে ধরেছে ঠিকি কোনরকম কিন্তু মই পড়েছে আদিবার পায়ে৷ এতে সে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছে।ব্যাথার চোখ মুখ খিচে আদ্র এর শার্ট খামছে ধরে আছে,চোখ দিয়ে টপটপ পানি পড়ছে,,আদ্র রেগে চিৎকার করে বললো,,

—” স্টুপিট গার্ল হেভ ইউ গোন মেড। এতো বড় গাছে চড়েছিলে কোন আক্কলে।মন চাচ্ছে তুলে একটা আছাড় মারি ইডিয়ট কোথাকার।”

আদ্র এর ধমক শুনে এইবার আদিবা জোড়েই কান্না করে দিলো।ব্যাথায় বেচারির পুরো মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। শান্ত এগিয়ে এসে বলে,,

—” দোস্ত পরে বকিস ও ব্যাথা পেয়েছে। ”

আদ্র আদিবা ব্যাথা পেয়েছে শুনে অস্থির হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে আদিবার পায়ের উপর মই পড়ে আছে আর পা দিয়ে রক্ত পড়ছে। আদ্র দ্রুত উঠতে নিলেই আদিবা ” আহহহহহ” করে উঠে আদ্র তাকিয়ে দেখে ও উঠতে নিলে আদিবা পায়ে ব্যাথা পাচ্ছে।আদিবার দিক তাকিয়ে দেখে ব্যাথায় কুকড়ে আছে সে।আদ্রর মনে হচ্ছে কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছে,সে কাপা কাপা গলায় শান্তকে বলে,,

—” শান্ত আমি উঠতে পারছি না আমি উঠলে ও পায়ে আরো ব্যাথা পাচ্ছে। তুই আগে মইটা সরা।”

সবাই বুজতে পারছে আদ্রর ভীষন কষ্ট হচ্ছে।শান্ত, জাহিদ দ্রুত আদিবার পা থেকে মই টা সরিয়ে দিলো।আদ্র তাকিয়ে দেখে পাটা পুরো লাল হয়ে গেছে রক্তে হয়তো পেরেক বেধে গিয়েছিলো।শান্তরা মই সরাতেই আদ্র আদিবাকে নিয়ে উঠতে নিলেই আদিবা চিৎকার দিয়ে উঠে,,

—” আম্মুউউউউউ!! উহুহুহু!আদ্র ভাভাইয়া বব্যাথা পপাচ্ছি পপ্লিজ নড়িয়েন নননা।”

আদ্র কি করবে ভেবে পাচ্ছে না মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।সে সয্য করতে পারছে না আদিবার কষ্ট।আসিফ এগিয়ে এসে বলে,,

—” ভাই কষ্ট হলেও আপনাকে উঠতে হবে ওর পা দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছে।বন্ধ করতে হবে তা।”

আদিবা আবারো কাদতে কাদতে বলে,,

—” নাহহ নাহহ প্লিজ আসিফ ভাইয়া আমি উঠবো না ব্যাথা করছে।”

আসিফ বললো,,

—” বোনু ভাইয়ারা আছি তো কিছু হবে না।ব্লিডিং বন্ধ করতে হবে বোনু।”

আদিবা আদ্র কে খামিছে ধরে কাদছে।আসিফ আর মেহেদিও আদিবাকে ভীষন আদর করে।সব বোনের মাজে আদিবা আর ইয়ানাকে ওরা ভাইরা অনেক আদর করে তাই আদিবার কান্না দেখেও ওদের চোখ চিকচিক করছে জলে।আদ্র কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।অনেক ব্লিডিং হয়ে হচ্ছে রক্ত বন্ধ করতে হবে তাই সাত পাচ না ভেবে সে আদিবাকে কোলে নিয়ে উঠে দাড়ালো এতে আদিবার পা নাড়া পড়ায় আবারো চিৎকার দিলো,,

—” মায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া!! আদ্র ভাইয়া খারাপ আপনি আমার ব্যাথা করছে আদ্র ভাইয়া। আল্লাহহহহহহহহহহহহ!!!! ”

আদিবার চিৎকার যেন আদ্র এর কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিলো। বুকটায় ভীষন চিন চিন ব্যাথা করছে।আদ্র আদিবার দিক তাকিয়ে বলে,,

—” আদুপাখি তাকা আমার দিকে। এই যে আমি আছি কিছু হবে না আমি আছিতো কান্না করিস না। তুই কান্না করলে আমার ভালো লাগে না কান্না থামা।”

আদ্র হাটতে নিয়েই আবারো পা টায় ঝাকি লাগাতে এইবার ব্যাথা সয্য করতে না পেরে আদিবা আদ্র এর ঘাড়ে জোরে সোরে একটা কামড় দিয়ে দেয়।আদ্র চোখ মুখ খিচে ফেললো।প্রচন্ড জোড়ে কামড় দিয়েছে আদিবা।কিন্তু এতেও যেন কেমন সুখ সুখ লাগছে তার কাছে প্রেয়সীর দেওয়া আঘাত যে বড়ো মিষ্টি।তাই তো তা সাদরে গ্রহন করলো আদ্র। আদিবাকে কোলে নিয়েই ঘড়ে ডুকলো আদ্র চিৎকার করে অনন্যাকে ডাকলো। আদ্র এর এর চিৎকারে সেদিকে তাকালো সবাই দেখে আদ্র আদিবাকে কোলে নিয়ে আসছে আদিবার মা দ্রুত সেদিকে এসে অস্থির হয়ে বলে,,

—” আল্লাহ গোও!! আমার মেয়ের কি হয়েছে আদিবা মারে কি হয়েছে সোনা মা আমার কান্না করছিস কেন?”

সাহিল এগিয়ে এসে বলে,,

—” আন্টি হাইপার হয়িয়েন না।ও মই থেকে পড়ে গেছে তাই পায়ে ব্যাথা পেয়েছে।”

আদিবার মা মেয়ের পায়ের দিক তাকিয়ে আৎ্কে উঠে ঝড় ঝড় করে রক্ত পড়ছে।

—” আল্লাহ রে এই কি হলো আমার মেয়ের আল্লাহ ওর রক্ত থামা কেউ!”

আদ্র আদিবাকে সোফায় বসিয়ে দিলো আদিবার মা দ্রুত এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলো।আদ্র আবার অনন্যা কে ডাক দেয় ভাইয়ের ডাক শুকে হুরমড়িয়ে ছুটে আসে সে।আদ্র তাকে দেখে ধমকে বলে,,

—” কয়বার ডেকেছি শুনতে পাস নি।”

অনন্যা কাচুমাচু হয়ে বলে,,

—” শুনেছি এসে আদিবাকে এরকম দেখে আবারো ফাস্ট এয়েইড বক্স আনতে গিয়েছিলাম।অনন্যা মেডিকেল সাইন্স নিয়ে স্টাডি করছে তাই ওকে আদ্র ডেকেছে।এদিকে আদিবা নিজের মাকে ঝাপটে ধরে কান্না করতে করতে বলছে,,

—” ও মা আম্মু গো ব্যাথা করছে আম্মুউউউ আমার কষ্ট হচ্ছে আম্মু কিছু করো। ”

অনন্যা আদিবার পা পায়ে হাত দিয়ে পরিস্কার করতে নিতেই আদিবা আবারো জোরে কাদতে কাদতে বলে,,

—” অনু আপুউউ ধরো না ব্যাথা করছে ধরো না আপুউউ।”

অনন্যা অসহায় ভাবে ভাইয়ের দিক তাকিয়ে বলে,,

—” ভাইয়া এইভাবে ওর ব্লিডিং আরো হবে। আগে ওকে ইঞ্জেকশন দিয়ে সেন্সলেস করতে হবে পায়ে সেলাই লাগবে মনে হয়।”

ইঞ্জেকশনের কথা শুনে আদিবা ছটফট করতে করতে বলে,,

—” এই না আমি ইঞ্জেকশন দেবো না।আদ্র ভাইয়া প্লিজ অনু আপুকে না করুন না প্লিজ ভাইয়া না করুন আমি ব্যাথা পাবো।মেহেদি ভাইয়া, তাজবি ভাইয়া না করো আপুকে।তোমাদের বোন ব্যাথা পাবে ভাইয়া।”

তাজবি এগিয়ে এসে বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো তারপর আদ্রকে বলে,,

—” আদ্র তুই ওকে শক্ত করে ধরে রাখ যাতে ও না নড়তে পারে।(আদিবার মা কে) ফুপ্পি তুমি উঠো।”।

আদিবা চিৎকার করে ওর মা কে ধরে রেখেছে।আদ্র ওর ফুপ্পিকে সরিয়ে নিজে ধরতে নিলে আদিবা আদ্রকে ইচ্ছা মতো কিল ঘুশি দিচ্ছে।আদ্র কোন রকম ওকে থামিয়ে ঝাপটে ধরেছে।এদিকে মেহেদি গিয়ে আদিবার আরেক পা শক্ত করে ধরে রাখলো।আদিবা বলেই যাচ্ছে,

—” তোমরা পচা ভাইয়ারা। আমি কারো সাথে কথা বলবো না।খারাপ তোমরা,কেউ আমাকে ভালোবাসে না আমি কারো সাথে কথা বলবো না।”

এদিকে অনন্যা আদিবাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে দিলো। আদিবা আদ্রকে শক্ত করে ধরলো।কিছুক্ষন পর আসতে আসতে শান্ত হয়ে গেলো আদিবা।আদ্র ওর মাথা উঠিয়ে দেখে ঘুমিয়ে পড়েছে।আদ্র অনন্যাকে বলে,,

—” এইবার কাজ শুরু কর জলদি।আসতে করবি যাতে ব্যাথা না পায়।”

আদ্র উঠলো না আদিবাকে জড়িয়ে ধরেই রাখলো।আদ্রর কান্না করতে ইচ্ছে করছে।পিচ্চিটা কতো ব্যাথা পেলো আজ যদি ও সাথে সাথে থাকতো তাহলে এতো ব্যাথা পেতো না।আদ্র বুকটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে।এদিকে সবাই তাকিয়ে আছে ওদের দিকে।

আদিবার মা আদ্র এর মাকে বলে,,

—” ভাবী আমার মেয়েটা অনেক ভাগ্যবতী গো আমার ভাইপো এর মতো মানুষ যে তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।”

জাহানারা বেগম হেসে বলেন,,

—” পাগলের মতো ভালোবাসে বলেই তো সব সময় ওকে এইভাবে আগলে রাখে।সেই ছোট থেকেই তো আদিবার পিছে পিছে ঘুরতো।আমি জানি আমার ছেলে ভীতরে ভীতরে কান্না করছে।ওর চোখ লাল হয়ে আছে।”

দুইমা তাদের ছেলেমেয়েদের দিকে তৃপ্তি ভরা চোখে তাকিয়ে আছেন। মায়েরা এমনি সন্তানদের কষ্ট,হাসি কান্না,ভালোলাগা,ভালোবাসা মুখে না বললেও বুজে ফেলো।

চলবে,,,

ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।