কারণে অকারণে ভালোবাসি02 পর্ব-০৯

0
659

#কারণে_অকারণে_ভালোবাসি02
#সুরাইয়া_আয়াত

৯.

রাত বারোটা হবো হবো সেই মুহূর্তে মাথার কাছে ভারী কিছু জিনিস রাখতেই আরুর চোখে ঢলে আসা নিবিড় ঘুমটা ভেঙে গেল, আরু স্বদ্ধ কন্ঠে প্রশ্ন করে উঠল

— প্লিজ ঘুমাতে দিন না মিঃঅভদ্র!

আরুর কথার পরিবর্তে আরিশের ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি ফুঁটে উঠলো, আরু আরিশের কন্ঠস্বরের তীব্র নিস্তব্ধতাতে অকস্মাৎ এপাশ ঘুরে তাকিয়ে দেখলো আরিশের দিকে, হালকা ডিম লাইটের মলীন আলোতে আরিশের মুখমন্ডল আরুর কাছে স্বচ্ছ। আরিশের চেহারার মাদকতায় আরু কন্ঠে খাদ নামিয়ে প্রশ্ন করলো

— কি হলো, কিছু বলছেন না যে! আমি কি আবার কোন ভুল করলাম যে তার পানিশমেন্ট এর অপেক্ষা করাচ্ছেন আমাকে?

আরিশ নিরুত্তর, অন্ধকারে মুখমন্ডলটা স্পষ্ট হলেও মুখের সেই মৃদু মাদকতায় ভরা হাসিটা কোন না কোনভাবে আরুর দৃষ্টি এড়াচ্ছে, ঘটনার তৎপরতায় আরু চঞ্চল হয়ে আমতা সুরে বলল

— আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এখন এতো রাতে পানিশমেন্ট সহ আমাকে বই পড়তে বলবেন বা কান ধরে ওঠবস করতে বলবেন তাহলে কিন্তু আমি দৌড়ে ছুটে গিয়ে শ্বশুর বাবার কাছে নাশিল জানাবো আর যার ফলস্বরূপ আপনার খাওয়া জুটবে না আর এই বাসায়, হু!

আরুর কন্ঠের চঞ্চলতা অনুভব করে আরিশ বলে উঠলো
— আরুপাখি!

আরুর শরীর শীতল হলো আরিশের এই কন্ঠে, বেশ আড়ষ্ট ভঙ্গিমাতে বলল
— জ্বীইইই, কিছু বলবেন!

আরিশ আরুর মাথার পাশ থেকে উপন্যাসের একটা বই তুলে আরুর হাতে দিয়ে বলল
— আমাদের বিয়ের হাফ এনিভার্সারি শেষ হতে এখনো বেশ কিছুটা সময় বাকি আছে কিন্তু আমি তো তোমাকে তোমার গিফটই দিলাম না।

আরু ভ্রু কুঁচকে সন্দিহান কন্ঠে জানালো
— গিফট! কিসের গিফট? আর কেনই বা গিফট! আমি কি বলেছি যে আমার কিছু লাগবে? আর কিছু লাগলেও তো আমি আপনাকে বলি আর আপনি তা এনে দেন, কিন্তু আমি তো আপনাকে কিছু বলেছি বলে তো মনে পড়ছে না।

আরিশ আর বৃথা বাক্য ব্যায় না করে সোজা পথে এলে, সে জানে তার বউটা এখনো তার মতো করে ভাবতে শেখেনি, তেমন ভাবে কিছু ভাবতে পারে না যেমনটা একটা ম্যাচিওর মেয়ের ভাবা উচিত।

আরিশ উপন্যাসের বইটা আরুর হাতে দিয়ে বলল
— এই নাও, তোমার গিফট, যেই জিনিসটা তোমার জীবন থেকে আমি কয়েক বছরের জন্য কেড়ে নিয়েছিলাম সেটা আবার তোমাকে সারাজীবনের জন্য ফিরিয়ে দিলাম।

ওর চারিপাশ জুড়ে এক নতুনত্বের মাদকতায় পরিপূর্ণ, সেই পুরোনো ঘ্রাণ আর সেই পুরোনো অনুভূতি, নতুন বইয়ের গন্ধ আরূর কাছে কখনোই অপরিচিত না, ছোটবেলার নেশাটা আজও ওকে একইভাবে জেকে ধরে বসে আছে তা আজ আরু অনুভব করতে পারছে। আরু এবার তড়িঘড়ি উঠে বসলো,ও যা অনুভব করছে তা সঠিক অনুভুতি তাতে কোন খাদ নেই। আরু অন্ধকারে বইটাতে আলতো আলতো স্পর্শ করতে লাগলো, আর বইয়ের ওপর সাদা অক্ষরে লেখা “চরিত্রহীন” নামটা ফুঁটে উঠছে। আরুর মুখে হাসি! মাধুর্যে পরিপূর্ণ এই হাসি,যা সকল গ্লানি দূর করার ক্ষমতা রাখে। আরু বইটা পাশে রেখে, ওর মাথাটা আরিশের বুকের বাম দিকের স্হান দখল করলো, আগলে নিলো আরিশকে। দুজনের মাঝেই বিরাজ করছে এই সমুদ্র নিস্তব্ধতা, যেই নিস্তব্ধতার ঢেউ এ দূরে সরে যাচ্ছে কয়েক বছর পূর্বের সেই মান অভিমান। নিস্তব্ধতা ভেঙে আরু বলে উঠলো

— আপনি দেখছি আমার জীবনে আমার আলাদীন হওয়ার দায়িত্বটা বেশ ভালোই পালন করে চলেছেন!

আরিশ বেশ শব্দ করে হাসলো আর বলে উঠলো

— তাই নাকি?

আরু উত্তরে জানালো

— হমম। আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি আপনাকে?

আরিশ ও আরু কে জড়িয়ে ধরে আরুর মাথায় থুতনি রেখে বলল

— আমি তোমার মনের কথা কি করে বুঝে যা তাই তো? ঠিক এই প্রশ্নটা করতে নিশ্চয়।

আরু অবাক করা কন্ঠে বলল

— সত্যিই তো! আপনি কি করে বুঝলেন?

আরিশ এবার বেশ হো হো করেই হেসে উঠলো তবে পরিবর্তে আরু অবাক না হয়ে পারলো না।

আরিশ এবা্র আরুর হাত ধরে হাটতে হাটতে ব্যালকনির খোলা জায়গায় নিয়ে গেল। তাপমাত্রার অবস্হা এই মুহূর্তে সংকটজনক, হাড় হিম করে শরীর কাঁপাকাঁপি অবস্হা, আর এই কনকনে শীতের মাঝে দুই প্রেমিকযুগল তার তীব্র সাক্ষী। বাইরের কুয়াশায় সব কিছু ধূসর, হিমকনাগুলোও যেন শরীরে শিশির ছেয়ে দেওয়ার তীব্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই মুহূর্তে আরিশ আরু কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল

— ভালোবাসতে গেলে আলাদীন হতে হয় না, আলাদীন এর কাজ তার মালিকের সব ইচ্ছা আকাঙ্খা পূরন করা, কিন্তু আমি কি আলাদীন? আমি কি পেরেছি বলো তোমার সব ইচ্ছা পূরন করতে? পারিনি, তুমি চাওয়া স্বত্তেও তোমাকে সন্তান সুখের কোন স্হায়ী ব্যাবস্থা করতে পারিনি, তবে আমি ভালোবাসি, নিজেকে প্রেমিক পুরূষ বললেও কতটা ঠিক হবে জানি না তবে ভালোবাসি! কারণে অকারণে ভালোবাসি, যে ভালোবাসা বাসতে কোন কারণ লাগবে না, ইচ্ছে করলেই ভালোবাসা যায় এমন ভালোবাসা! ওই যে একটা লাইন আছে না!
” তুমি না বাসলেও আমি বাসি! ”
প্রয়োজন নেই যে তুমিও আমাকে ভালোবাসবে, তবে আমি বাসি! অকারণেও বড্ড ভালোবাসি।
যেদিন মনে হবে যে আমার ভালোবাসা কমে যাচ্ছে যেদিন আমাকে বলবে, গুমরে থেকে বা বানভাসী কান্না কেঁদে নয়! মন খুলে আমাকে অভিযোগ জানাবে আর আমার থেকেও সেদিন তুমি তীব্র অভদ্রের ন্যায় অধিকার খাটিয়ে বলবে
— কি হলো, আপনি না কারণে অকারণে ভালোবাসতেন আমাকে!
তখন আমি নাক কান বুজে নিজের ভুলটা মেনে তোমাকে বুকের বা পাশে জায়গা দিয়ে বলবো
— যার স্হান আমার বুকের বা পাশে তার অস্তিত্ব কি বিলীন হওয়া সম্ভব? আজও যে ভালোবাসি, ঠিক আগের মতোই হয়তোবা তার তুলনায় ও বেশি!
সেদিনও হয়তো সাইকোলজির পাতায় লেখা ৫৬ নম্বর পেজের উক্তিটা মনের মাঝে কড়া নাড়বে আর বলবে
“There is no specific source of love in this world, because love goes without reason which is called love for no reason.”

আরু ক্ষনিকের জন্য অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো আর তারপর এই মৌন নিরবতা ভঙ্গ করে বলল

— কিভাবে পারেন এইভাবে ভালোবাসতে? কই আমি তো পারিনা!

আরিশ আরু কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে বলল

— বললাম না, প্রয়োজন নেই যে তোমাকেও আমার মতোই ভালোবাসতে হবে।
তাই তো বলি
” শোনো না রুপসী তুমি যে প্রেয়সী,
কি ভীষন উদাসী, প্রেয়সী।

না না না

জীবনের গলিতে, এ গানের কলিতে চাইছি বলিতে
‘ ভালোবাসি ‘।

আরুও আরিশকে পূর্বের ন্যায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, আমিও আপনাকে কারণে অকারণে ভালোবাসতে চায়, যে ভালোবাসায় কোন কারনের প্রয়োজন হয় না, শুধু মনের ডাক পেলেই ভালোবাসা যায়! ভালোবাসি, বাসতে চায়, আর ভীষনভাবে চায়!

……..

— মধুর বিয়ে ঠিক হয়েছে? এই মাসের শেষের দিকেই, তোর মামা আর মামী আফজাল ভাইয়া আর অনিকার কাছে ফোন করবে বলে।

আরু মলীন কন্ঠে তীব্র আর্জি নিয়ে জানালো

— কই আমাকে তো কেও কিছু জানালো না কল করে! আমাকে কি কেও ধরাছোঁয়ার মধ্যে ফেলে না?

আরুর মা মেয়ের এমন বোকা বোকা কথা শুনে আপন মনেই হেসে উঠলেন আর বললেন

— কে বলেছে আমার মেয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে পড়ে? সে কি জানে না যে তাকে ছাড়া আমাদের পরিবার অসম্পূর্ণ।

আরু গাল ফুলিয়ে বলল

— মি অভদ্র বলেছে এই কথা, যে সে নাকি আমাদের ফ্যামিলি ট্যুরে আমাকে নেবে কি ভাবছে!

আরুর কথা শুনে উনি না হেসে পারলেন না, উচ্চস্বরে হেসে ফেললেন এবার, আরুর বিরক্তির মাত্রা বাড়লো, আরুর দিকে আরিশ একবার ঘুরে তাকালো, টাই বাধছে আরিশ আর আরুর দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছে কারন ক্ষনে ক্ষতি আরুর মুখের রঙ বদলাচ্ছে, কখনো রেগে যাচ্ছে আবার কখনো কন্ঠ মলীন করে কথা বলছে।
আরিশ এবার বলে উঠল
— আরু পাখি আমার টাই টা বেধে দাও।

কথাটা শুনে আরু হতবাকের মতো চেয়ে রইলো কারন সে নিজেই পারে না টাই বাধতে।
আরু কানে ফোন ধরে আছে, অপর পাশ থেকে আফসানা বেগম সবটা শুনছেন আর হাসছেন আপন খেয়ালে। আরু ফোন কানে ধরে বলল

— আপনি তো জানেন যে আমি পারিনা, তাহলে আমাকে কেন বলছেন? আর আপনি নিজেই তো পারেন সব।

আরুর কথা শুনে আফসানা বেগম ধমক দিলেন

— পারিস না বলে কি শিখতে হবে না নাকি? আরিশ যা বলছে কর, আমি এখন রাখছি আমার অনেক কাজ।

কথাটা বলে আফসানা বেগম কলটা কেটে দিলেন, আরু বিরক্তভরা দৃষ্টিতে চেয়ে বলল

— কেন কেন কেন? আমিই কেন?

আরিশ এবার বিমূঢ় কন্ঠে বলল

— আরু পাখি শুনতে পাওনি কি বললাম?

আরু ফোনটা রেখে আরিশের সামনে গিয়ে টাইটাকে দেখতে লাগলো, কোথা থেকে শুরু করবে বুঝতে পারছে না। আরিশ বললো

— যা করার তাড়াতাড়ি করো, আই এম গেটিং লেট, আর তোমার আজকে কলেজ নেই মানে এটা ভেবোনা যে বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে, ডোন্ট ডেয়ার টু ডু দিস।

আরু জিভ বার করে বলল

— ওসব কাজে ক্রাইম পার্টনার লাগে আর আমার ক্রাইম পার্টনারের আজকে কলেজ তাই আর কিছু করা যাবে না, সানা কলেজ চলে যাচ্ছে আর আমি বাড়িতে বসে একা একা কি করবো?

আরিশ আরুর হাত থেকে টাই টা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল

— আম্মুর সাথে থাকবে বাট বাসার বাইরে এক পা ও না।

— হমম জানি জানি। আর তারপর বলবেন নো মোর ওয়ার্ডস।

আরিশ নিজে টাই বাধতে বাধতে বলল
— সবই তো জানো দেখছি। ইট ইজ আ গুড সাইন।

আরু দাঁত বার করে একটা সাফল্যের হাসি দিলো আর হঠাৎই হাসি থামিয়ে বলল

— আপনি নিজেই যখন টাই বেধে নিলেন তখন আমাকে ডাকলেন কেন? আমি তো আম্মুর সাথে বেশ কথা বলছিলাম।

আরিশ চুলটা ঠিক করে বলল

— এমনি!

মনে মনে ভাবলো
— আজাইরা আমাকে জালাতে তোমার যেমন ভালো লাগে তেমনি মি টু!

আরিশকে ভাবনার ছলে দেখে আরু আল্হাদী কন্ঠে বলল
— আরিশ ভাইয়া আরিশ ভাইয়া!

আরিশ ভ্রু কুঁচকে বলল

— একটা থাপ্পড় দিবো ভাইয়া বললে। বলেছি না আমাকে ভাইয়া বলবে না।

আরু আবার বলল

— আরিশ ভাইয়া আরিশ ভাইয়া শোনেন না।

আরিশ রেগে বলল

— কটা থাপ্পড় দিবো বলো! ইউর ইউশ!

আরু আবার বললো

— আরিশ ভাইয়া আরিশ ভাইয়া!

আরিশ ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো

— কি কিছু লাগবে তাইতো?

আরু মাথা নেড়ে বলল

— হ্যাঁ 😁!

— এতো ড্রামা না করে বলো কি লাগবে।

আরু হাত ডলতে ডলতে বলল

— বেশি কিছু না, খুব ছোট্ট জিনিস!

— কি তা বলো! দেরি হয়ে যাচ্ছে আমার, আসার পথে নিয়ে আসবো।

আরু একটা সুন্দর হাসি দিয়ে বলল

— আগের দিন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় আসার সময় আমি না একটা হাওয়াই. মিঠাই য়ের দোকান দেখেছিলাম, আমার না খেতে মন চেয়েছিল কিন্তু আপনাকে তখন বলিনাই।

আরিশ চোখ পাকিয়ে বলল

— তখন বলোনি কেন?

আরু চোখ মুখ ছোট করে বলল

— শ্বশুর বাবা ছিলো না তাই বলিনি!

আরিশ ধমকের সুরে বলল

— তো? আমার বাবাকে কি কখনো ভয় পেয়েছো যে বলতে সাহস পাওনি, সবসময় তো এটা ওটা বলে তার মাথায় চড়ে নাচো।

আরু আরিশের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলল

— শ্বশুর বাবা যদি ভাবে যে আমি এখনো বাচ্চাদের মতো বাহানা করি তাই আর বলিনি।

আরুর কথা শুনে আরিশ একটা শুকনো কাশি কেশে বলল

— সেটা কি আর কারোর জানতে বাকি আছে?

— 😁

— আচ্ছা আমি আসার পথে নিয়ে আসবো, টাটা।

আরুও আরিশের পিছন পিছন গেল নীচে, আরিশ তাতে বেশ খুশি হলো, আরিশকে গেট ওবধি এগিয়ে দিয়ে আরু বলল
— মনে করে আনবেন প্লিজ।

— হমম।
হঠাৎ আরুর পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো খালি পায়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা দেখে আরিশ দাঁত কিড়কিড় করে বলল

–পায়ে মোজা কই? খালি পায়ে এলে কেন? সু কই তোমার?

আরু বুঝলো যে বিপদ আসন্ন, তাই আরিশের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে এক পা দু পা করে পেছাতে লাগলো, আরিশ ভ্রু কুঁচকালো, হঠাৎ আরু বাসার ভিতর দৌড়ে জোরে চিৎকার করে বলল

— শাশুড়ি আম্মু দেখো তোমার ছেলে আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসছে।

আরুর এমন চিৎকার শুনে উনি রান্নাঘর থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে এলেন, আর আরু কে জড়িয়ে চেঁচিয়ে আরিশের উদ্দেশ্যে বললেন

— তোর সাহাস তো কম না আরিশ। মেয়েটাকে মারতে আসছিস!

উনি আর আরু বাইরে গিয়ে দেখেন না আছে আরিশ আর না আছে গাড়ি।
আরুর চিৎকার শুনে অনিকা খান কোন কিছু বিচার না করে যে আরিশের ওপরই দোষ টা দেবেন তা আরিশ নিঃসন্দেহে জানে তাই তর্ক না করে আরিশ দ্রুত বেরিয়ে গেছে, আরু মুচকি হাসছে।
সোফায় আরু বসলো, অনিকা খান রান্নাঘর থেকে বলছেন
— আজ বাসায় আসুক ও।

আরু সোফাতে গড়াগড়ি দিয়ে হাসছে, তখনই আরিশ এসএমএস দিলো

— নো ক্যান্ডি, নো হাওয়াই মিঠাই, বাই মিসেসে উইইইমা টুইটুই।

আরু ফোনটা হাতে নিয়ে আবার চিৎকার দিয়ে বলল

— শাশুড়ি আম্মু দেখো তোমার ছেলে আমাকে এসএমএ দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।

উনি গর্জে উঠে বললেন

— আসুক আজ ও বাসায়।

আরু মুখ টিপে হাসছে।

#চলবে,,,,