পরকীয়ার শেষ পরিণতি পর্ব-০৩

0
313

#পরকীয়ার_শেষ_পরিণতি
#পর্ব_৩
#Shimul

গাড়িটা গেইটের কাছে রেখে আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকলাম, হালকা ঝিরঝির বৃষ্টি। কোথায় থেকে যেন একটা কান্নার আওয়াজ আমার কানে ভেসে আসছে, বারান্দার দিকে তাকিয়ে তো আমি থমকে দাঁড়ালাম।

কারণ আমার ছেলে বারান্দার দোলনায় বসে কান্না করছে। আমি তাড়াতাড়ি ছেলের কাছে যেতে লাগলে ছেলে আমাকে দেখে দৌড়ে আমার কোলে এসে পরলো। আমি তাকে পরম মমতায় জড়িয়ে নিলাম, আর বললাম,,,,,,,,,,,,,,,

“কি হয়েছে আব্বু, তুমি এভাবে কান্না করছো কেন? আজকেও কী তোমার আম্মু তোমায় বকেছে”

ছেলে মাথা ঝাকিয়ে বললো,,,,,,,,,,

“না”

“তাহলে কান্না করছো কেন”

“আম্মু না”

“হ্যা বল”

“আম্মু না অনেক খারাপ, অনেক পচা”

“কেন কি করেছে তোমার আম্মু”

“আম্মু না প্রতিদিন বিকেলে স্যারের সাথে রুমে শুয়ে থাকে, আমি কিছু বললে আমাকে মারে”

ছেলের কথা শুনে থ হয়ে গেলাম আমি।

“কি বলছো তুমি এগুলা”

“হ্যাঁ আমি সত্যি বলছি, এখনো আম্মুর রুমে স্যার আছে”

ছেলের মুখে এ কথা শুনে আমার সারা শরীর কাঁপতে লাগলো, এদিকে খিদের তাড়নাই জান যায় যায় অবস্থা। এমন সময় নিজের ছেলের মুখে এমন কথা শুনে আমার পা যেন মাটির সাথে আটকে গিয়েছে।

আমি কাঁপা কাঁপা পায়ে দরজার দিকে যেতে লাগলাম, দরজার কাছে যেতেই একটা মেয়ে মানুষের গোঙ্গানির আওয়াজ শুনতে পেলাম। দরজায় একটা ধাক্কা দিলাম, কিন্তু দরজা ভিতর থেকে লক লাগানো। আমি আস্তে আস্তে জানালার কাছে গেলাম, জানালার পর্দাটা হালকা সরাতেই আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমার পায়ের নিচ থেকে মনে হয় মাটি সরে গেল। বুকের ভিতরে মনে হচ্ছে কেউই একটা বড় হেমার নিয়ে এলোপাতাড়ি বাড়ি দিয়ে যাচ্ছে। কি দৃশ্য দেখলাম আমি, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি।আমার স্ত্রী এবং সাব্বির দুইজন সম্পূর্ণ কাপড় বিহীন অবস্থায়, একজনের উপর একজন লেপ্টে আছে এবং আমার স্ত্রী ওর মাথার চুলে ধরে ওকে উৎসাহ দিচ্ছে।

আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা, আমার মাথা দিশেহারা পাখির মত ঘুরতে লাগলো। জানালার কাছ থেকে দৌড়ে গিয়ে আমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরলাম আর জোরে জোরে কাঁদতে লাগলাম। আমাকে কাঁদতে দেখে ছেলে বললো,,,,,,,,,,,,,,,,

“আব্বু তুমি কাঁদছো কেন”

আমি কোন কথার জবাব দিচ্ছি না, আমি ছেলেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছি।

“জানো আব্বু আজকে না আমি লুকিয়ে লুকিয়ে আম্মুর মোবাইল নিয়ে আসি, তারপর তোমার নাম্বার আর স্যারের নাম্বার এক করে দিই। তুমি যেন বুঝতে পারো তাই”

আমি অবাক হয়ে ছেলের কথা শুনে ছেলের দিকে তাকালাম, কি নিষ্পাপ ফুলের মত চেহারা।একটা পাঁচ বছরের ছেলের মাথায় কতটুকু বুদ্ধি, ঠিক আমার মত হয়েছে। কলেজে থাকতে আমাকে সবাই জিনিয়াস বলে ডাকতো!

আমি ছেলের কপালে একটা চুমু দিয়ে, আবারো তাকে জড়িয়ে ধরলাম।

আমার ছেলে আস্তে আস্তে আবারো বলতে
লাগলো,,,,,,,,,,,,,

“জানো আব্বু ঐদিন আমি কোন দুষ্টামি করি নি, স্যার আমাকে না পড়িয়ে আম্মুর রুমে চলে গেল। যেয়ে দেখি আম্মুর বিছানায় শুয়ে আছে। আমি রুমে গেলে আম্মু আমাকে জুরে গালে থাপ্পড় মারে, আর বলে তোর আব্বুকে যদি এ কথা বলিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো”

আমার ছেলের কথা শুনে আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেল। পরকীয়ার জন্য নিজের ছেলেকে মারার কথা বলে, আর আমি এখন বুঝতে পারছি কেন ঐদিন আমার ছেলে এতটা ভয় পেয়েছিল, আমাকে বলতে যেয়েও কেন বলতে পারেনি।

যে মা পরকীয়ার জন্য নিজের ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে, তারচেয়ে জঘন্য’তম খারাপ মা আর নেই!

আমি পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে, আমার গাড়ির ড্রাইভার কে ফোন করলাম। ১০ মিনিটের মধ্যে আমার বাসায় আসার জন্য।

১০ মিনিট পরে ডাইভার আমার কাছে আসলো, আমি ড্রাইভারকে বললাম,,,,,,,,,,,,

“আমার ছেলেটাকে ওর দাদুর কাছে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবি”

তারপর আব্বুকে ফোন দিলাম, দিয়ে
বললাম,,,,,,,,,,,

“রিহান আসছে, রিহানকে মেইন রোড থেকে এগিয়ে নিয়ে যেও” আর কোন কথা না বলে ফোনটা রেখে দিলাম।

তারপর আমার ছেলেটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ দুই গালে চুমু দিলাম। তারপরে তাকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে বললাম,,,,,,,,,

“বাবা তোমার দাদু এসে তোমাকে রাস্তা থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, ওইখানে একদম দুষ্টুমি করবে না”

“আব্বু তুমি যাবা না”

“হ্যা আব্বু পরে আসবো তুমি যাও”

ড্রাইভারকে দিয়ে ছেলেকে নিজের গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলাম তারপর আবারো আস্তে আস্তে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম, জানালার পর্দাটা হালকা তুলতেই আবারো পুরো সেই দৃশ্য’ই দেখলাম, যে একজনের উপর একজন লেপ্টে আছে আর আমার স্ত্রী ওকে হাত দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে।

বারবার মনে হচ্ছে আমি কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি, স্বপ্ন কেটে গেলে সব আবার আগের মত হয়ে যাবে। আমার চোখ জেনো কোনোমতেই বিশ্বাস করতে পারছে না, কিভাবে বিশ্বাস করবে? একটা মেয়ে একটানা এক বছর একটা ছেলের পিছনে পাগলের মতো ঘুরে তাকে ভালোবেসে বিবাহর মত পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে আর
ছয়টা বছর লাগামহীন টানা সংসার করে।

তাদের সে সংসার আলোকিত করে যদি একটা পুত্রসন্তান আসে, সে পুত্রসন্তান এখন কথা বলতে পারে, তাকে পৃথিবীর মধুর ডাক মা বলে ডাকতে পারে।
আর সে এখন সন্তান এবং স্বামীর অগোচরে আরেকজন পর পুরুষ নিয়ে নিজের বিছানায় আনন্দ খেলায় মেতে উঠে। তাহলে কি করে তার সেই স্বামী নিজের চোখকে বিশ্বাস করাবে?

আমি এখনো পর্দার ফাক দিয়ে তাকিয়ে আছি, সাব্বির আমার স্ত্রীর শরীরের উপর থেকে উঠতে চাচ্ছে! কিন্তু আমার স্ত্রী ওকে দুইহাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।

এমন কোন রাত নাই যে তাকে আমি কাছে টানার চেষ্টা করি নাই, প্রতিবারই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে শুধু পরকীয়ার জন্য। শুধু তাই নয় আমার নিষ্পাপ ছেলেকে মারার হুমকি দিয়েছে এই পরকিয়ার জন্য। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।

আমার সারা শরীর রাগে ফুলতে লাগলো, সমস্ত রক্ত যেন খুব দ্রুত বেগে মাথায় উঠতে লাগলো। নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করতে পারছি না।

হঠাৎ করে রূমের দিকে খেয়াল করলাম দুজনে উঠে দাঁড়িয়েছে এবং সাব্বির মেঝেতে রাখা জামা গুলো পরিধান করছে। আর ফিসফিসিয়ে কি জানি আমার বউ কি জানি বলছে, সেই কথা শুনে আমার স্ত্রী মৃদু হাসছে।

ওরা দরজা দিয়ে বাহিরে বের হবে, আমি তাদের বের হবার আগে ছাদে ওঠার সিঁড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়লাম।

হঠাৎ করে দরজা খোলার শব্দ শুনলাম। সাব্বির রুম থেকে আগে বের হচ্ছে, আর আমার স্ত্রীর শরীরে কাপড় পেছাতে পেছাতে সাব্বির এর পিছনে যাচ্ছে।

বাহিরে হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি, সেই বৃষ্টিতে ভিজে আমার সারা শরীর একাকার হয়ে যাচ্ছে। পেটের খিদে কোথায় জানি হারিয়ে গেছে বলতে পারব না। আমার সমস্ত শরীর রাগে কঠোর মোটর করতে লাগলো।

উঠানের মাঝখানে সাব্বির আর আমার স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছে। সাব্বির বার বার মুখ নিয়ে যাচ্ছে আমার স্ত্রীর মুখের কাছে, আর আমার বউ আহ্লাদী হয়ে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। কয়েকবার ধাক্কা দেওয়ার পরে সাব্বির আমার স্ত্রীর ঠোটে চুম্বন দিলো। এ দৃশ্যটা দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না, হাতের মধ্যে সমস্ত শক্তি এনে সহ জুড়ে দেওয়ালে এক ঘুসি মারলাম।

সাথে সাথে হাত দিয়ে রক্ত পড়তে লাগলো, কিন্তু আমার সেদিকে কোন খেয়াল নাই।

সাব্বির গেটের কাছে গিয়ে সাইকেলে উঠলো, আমার স্ত্রী এখনো উঠানে দাঁড়িয়ে আছে। সাব্বির হঠাৎ করে সাইকেল থেকে নেমে দৌড়ে এসে আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে একনাগাড়ে চুমু দিতে লাগলো।

আমি তাদের কথার স্পষ্ট আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। সাব্বির বলছে,,,,,,,,,

“এই চলো না আর একবার হয়ে যাক”

ওর কথা শুনে আমার বউ বললো,,,,,,,,,,,,,

“না না আজকে আর না, ও চলে আসবে”

সাব্বির এ কথা শুনে ওর হাতে থাকা ঘড়ির দিকে তাকালো, তারপর বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,

“তোমার হাজব্যান্ড তো সন্ধ্যা 7 টায় আসবে, এখন তো মাত্র ছয়টা বাজে। চলো না আরেকবার হয়ে যাক, এ কথা বলে সাব্বির আমার স্ত্রীকে কোলে তুলে নিল আর আমার স্ত্রীর সাথে সাথে ওর গলা জড়িয়ে ধরলো।

তারপর রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজাটা বন্ধ করে দিল।

আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না। জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলাম, আর আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,

“হে আল্লাহ আমার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দাও” না কোনোভাবে রাগ কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।

রক্তমাখা হাত নিয়ে আবারও সহ জুড়ে দেওয়ালে ঘুসি মারলাম, সাথে সাথে হাত দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত পড়তে লাগলো। সে রক্ত সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ছে। আমার মনে হচ্ছে শরীরের সমস্ত রক্ত যদি চলে যাই, তারপরও আমার কোন রূপ কষ্ট হবে না।

সিঁড়ির থাপের উপরে বসে, রক্তমাখা হাত দিয়ে দেওয়ালে আস্তে আস্তে থাপ্পর দিচ্ছি। নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু দৃশ্য গুলো যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে তখন রাগ আমার কন্ট্রোল সীমার বাহিরে চলে যেতে থাকে। আল্লাহকে ডাকতে থাকি, আর রাগকে দমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সন্ধ্যা ছয়টা ৪৫ ওরা রুম থেকে বের হলো। আমি তখন অব্দি সিঁড়ির মধ্যে বসে আছি, সাব্বির রুম থেকে বের হয়ে সাইকেলে গিয়ে উঠে বসলো, তারপর হাত দিয়ে একটি চুমু ইমোজি উপহার দিল। আর আমার স্ত্রী মুচকি হেসে রুমের ভিতরে চলে যেতে লাগলো।

আমি আমার গায়ের কোড টা খুলে, ভিতরের সেন্টু গেঞ্জি দিয়ে রক্তমাখা হাত টা ভালো ভাবে বেঁধে নিলাম।তারপর আস্তে আস্তে রুমের দিকে প্রবেশ করতে লাগলাম। রাগ আর কষ্ট মিশ্রিত হয়ে আমাকে যেন অবশ করে তুলছে। রুমে প্রবেশ করে দেখি শাড়ির আঁচলটা গায়ে পেচিয়ে বিছানার এক সাইডে শুয়ে আছে, যেন নিষ্পাপ একটা মেয়ে। অনেকদিন যাবত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে 😅

হঠাৎ করে আমার আসার শব্দ শুনে বিছানা থেকে ঘুরে তাকালো, আমাকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেল। কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,

“কখন এসেছো”

আমি তার কথার কোন জবাব দিচ্ছি না, আমার চোখ দিয়ে রাগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে, মুখ দিয়ে যেন কোন কথা বের হতে চাচ্ছে না।

আমার স্ত্রী আমার এই অবস্থা দেখে কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,

“কি হয়েছে তোমার, এ অবস্থা কেন পানি খাবে”

আমার কোন কথার উত্তর না পেয়ে বিছানা থেকে উঠে আমাকে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিল।

আমি স্ত্রীর দিকে এখনো আমি ক্ষৃর্ণ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছি। শাড়ীটা এখনো ভালোভাবে শরীরে পেছানো হয় নাই। আমার তাকানো দেখে আমার স্ত্রী একটু ভয় পেতে লাগলো, আমি তাকে দেখছি সে মৃদু মৃদু কাঁপছে। আমি তার হাট থেকে গ্লাসটা নিয়ে জুড়ে ফ্লোরে আছাড় মারলাম। তারপর দৌড়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে এক মগ পানি গলা দিয়ে ডগ ডগ করে ঢালতে লাগলাম। পুরো এক মগ পানি খেয়ে মনের তৃষ্ণার্ত আত্মাকে শান্তি করলাম। তারপর আবার রুমের ভিতরে প্রবেশ করলাম, দেখি সে বিছানার একপাশে বসে আছে। আমি গিয়ে তার হাত ধরলাম এবং বললাম চল বিছানায়। সে অবাক হয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“কি করছো তুমি, আমার এগুলো করতে ভালো লাগে না”

সাথে সাথে চুলের মুঠি ধরে একটা থাপ্পর দিলাম, থাপ্পর এর কারণে ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়তে লাগলো।

আমার স্ত্রী আমার এই বেসামাল অবস্থায় দেখে ভয়ে চুপসে গেল। আমি বলতে লাগলাম,,,,,,,,,

“কি করে তোর এগুলা করতে ভাল লাগবে? প্রতিদিন নিজের স্বামীকে দূরে সরিয়ে দিয়ে পর পুরুষ নিয়ে বিছানায় লেপ্টে থাকিস। তুই এরকম জঘন্য কাজ করবি আমি ভাবতে ও পারিনি”

আমার কথা শুনে আমার স্ত্রী ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,

“কি আবোল তাবোল বকছো, আমি কার সাথে বিছানায় লেপ্টে ছিলাম”

একথা শুনার পর আমার আরো রাগ উঠে গেলো। চুলের মুঠি ধরে আরো একটা থাপ্পড় দিলাম, থাপ্পড় খেয়ে ছিটকে বিছানায় গিয়ে পড়ল। আমি তার কাছে গিয়ে এক টানে তার শরীর থেকে শাড়িটা খুলে ফেললাম, আমার স্ত্রী ভয় কোন কথা বলছে না। তারপর বিছানার সাথে হাত গুলো চেপে ধরে নিজের পবিত্র ভাবে বিবাহ করা স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের খেলায় মেতে উঠলাম।

আমার কাজ শেষ হওয়ার পরে তার চুলের মুঠি ধরে বিছানায় উঠে বসালাম। তারপর কাপড় গুলো গায়ে ঢিল মেরে বললাম,,,,,,,,,,,,,,

“আজকই তোর জীবনের শেষ দিন, সাথে তোর ওই প্রেমিক নাগরের ও”

আমি স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার চোখে দুনিয়ার সমস্ত ভয় এসে জরু হয়েছে। ভয়ে একদম চুপসে খাটের এক কোনায় বসে আছে। আমি গিয়ে আবারও তার চুলের মুঠি ধরলাম, আর বলতে লাগলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,

“কি অপরাধ আমার, কি অপরাধ করেছিল আমার নিষ্পাপ ছেলেটা? কেন তুই এ মনটা করলি”

সাথে সাথে আমার স্ত্রী পা দুটো জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,

“আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি আর কখনো এরকম করবো না সত্যি বলছি”

“তোর মতন বিশ্বাস’ঘাতক’কে যদি ক্ষমা করি, তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাকে ক্ষমা করবে না। তুই কেন এ এমনটা করলি? কিসের অভাব আমার, টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি সবই আছে। তারপরও তুই কেন এমন করলি, তোকে আমি ভালোবাসি নি? সময় দেয়নি? কথা বল আমার কথার উত্তর দে? আর নাহয় তোকে আমি আজকে এখানেই,,,,,,,,,,,,,,

#চলবে……………………………..