প্রণয়ী পায়রা পর্ব-১৫

0
664

#প্রণয়ী_পায়রা
লাবিবা ওয়াহিদ
| পর্ব ১৫ |

[কপি নিষেধ]

আজমানকে স্যুপ খাওয়াতে খাওয়াতে ফায়ান আনমনেই কিছু একটা ভেবে যাচ্ছে। আজমান নিশব্দে ছেলের হাতে খাওয়াটা উপভোগ করছে। সারা দূরে বসেই বাবা ছেলের ভালোবাসা দেখছে। এই ফায়ানকে পাওয়ার জন্য তার কতো বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। নানান চিকিৎসার পরেই ছেলেটা তার কোল আলো করে আসলো! তাকে প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ দিলো। আস্তে আস্তে তাদের মাঝেই বড় হলো। ফায়ান তার শৈশব, কৈশোরে যথেষ্ট শান্ত-শিষ্ট ছিলো। আলাদা এক ভালোবাসা, টান তার বাবা-মায়ের প্রতি। এখনো এই ফায়ান ব্যতিক্রমধর্মী হয়নি যদিও-বা বড় হওয়ার সাথে সাথে রাগের পরিমাণ বেড়েছে। ছেলেটার সখ যেন আকাশ ছোঁয়া! ছেলেটার মারাত্মক নেশা ছিলো অস্ত্রের প্রতি যা সারাকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলতো। সারার এক বান্ধুবির আঙ্কেল ছিলেন সিআইএ এর একজন অফিসার। তিনি ছোট থেকেই ফায়ানকে দেখেছেন বড় হতে। যখন ফায়ান কৈশোরে পা দেয় তখনই সেই আঙ্কেল অর্থাৎ গ্র‍্যান্ডফাদার তাকে নিয়ে যায় অজানা মিশনে। সারা নিজেও অবগত নয় ফায়ানকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফায়ানই-বা কী অবস্থায় ছিলো। প্রায় সাত-আট বছর পর ফায়ান ফিরে আসে এক সুঠাম, বিচক্ষণ যুবক হয়ে। সারার ধ্যান ভাঙ্গে আজমান এবং ফায়ানের কথোপকথনে।

-‘কী সিংহ! আর কতদিন এমন ছন্নছাড়া থাকবে? এই বুড়ো বাপটাকে তো বউমার মুখ দেখাও! কতদিনই বা আছি এই দুই দিনের দুনিয়ায়?’

-‘শাট আপ পাপা! না তোমার কিছু হয়েছে আর না তুমি বুড়ো হয়েছো। হবে, সব হবে! আগে তোমার সুস্থতা প্রয়োজন! আর শুনো, এই আমেরিকায় পরে থাকতে হবে না। বিডিতে তোমার কোম্পানির দ্রুত একটি শাখা খুলার ব্যবস্থা করেছি, এখানে সব ল্যাসি আন্টি সামলাবেন।’

-‘আর তুমি? তুমি কী করবে?’

-‘যেটা করছি সেটাই! তুমি জানো তো পাপা, আমি কোনো গভার্মেন্টের গোলাম হয়ে থাকতে চাই না। আমার পেশা মুক্ত, স্বাধীন!’

-‘এভাবে আর কতদিন বাবা? এসব খুন-খারাবি..’ সারার কথায় ফোড়ন কেটে বললো,

-‘আমি বিনা কারণে রক্তে হাত রঞ্জিত করি না মা, তা তুমি বেশ ভালো করেই জানো। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ি! যে বা যারা সঠিক বিচার পায় না আমি তাদের জন্য লড়ি। আমি বিডিতে এমন অনেক কেস পেয়েছি মা, তুমি যেটাকে সহজ ভাবে বলছো সেটা এতটা সহজ কাজ নয়! আমার মতো ব্যক্তি-ই পারে ওই লুসিয়াসকে চরম ভুগাতে! ও মরবে মা! আটটা বছর তোমাদের থেকে দূরে থেকেছি, কেন থেকেছি? অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে থেকেছি। বাঁচতে হলে জাস্টিস প্রয়োজন, জাস্টিস!’

সারা তপ্তশ্বাস ফেললো, বিপরীতে কিছু বলার শব্দ খুঁজে পেলো না। আজমানকে শুইয়ে দিয়ে ফায়ান রুম থেকে বের হয়ে যায়। ফায়ান বের হতেই আজমান শুভ্র ছাদের দিকে দৃষ্টি স্থির করে বলে,

-‘ছেলেটা কতো বড় হয়ে গেছে না? সে এখন আমাদের শাসাচ্ছে!’

-‘ফাই বড় হয়েছে আজ নতুন দেখছো নাকি?’

-‘নাহ। তাকে আজও সেই ছোটই মনে হয়।’

ফায়ান বের হয়ে পকেট থেকে ফোন বের করলো অনলকে কল দেয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সে কল দেয়ার পূর্বেই দেখলো তার চাচ্চু ইকবাল কয়েকবার ফোন দিয়ে ফেলেছে। ফায়ান দেরী না করে কল ব্যাক করলো। হয়তো প্রয়োজনীয় কিছু! ইকবাল যেন তার ভাইপোর অপেক্ষাতেই বসে।

-‘ফাই, কী অবস্থা ওদিকের? ভাই কেমন আছে?’

-‘গতকাল ডিসচার্জ দিয়েছে চাচ্চু। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে!’

-‘যাক, আল্লাহ’র দরবারে লাখ লাখ শুকুরিয়া! তোমার ছোটমাও বেশ চিন্তিত ছিলেন!’

-‘চিন্তার কোনো কারণ নেই। আল্লাহ ভরসা! বাট চাচ্চু, আমি তোমাকে যে কাজ দিয়েছিলাম তা কী ফুলফিল করেছো?’

ইকবাল মৃদু হাসে। তার অধরের ভাঁজের সিগারেটে ফুঁক দিতে দিতে বলে,

-‘এ যে আমার বাম হাতের কাজ ফাই! আর তুমিই তো সব করে দিয়েছো! এখন শুধু তোমার বিডি ফেরা বাকি। সামনে দিয়ার বিয়ে এদিকে তোমার গুলির শুটও কতদিন যাবৎ নিজ চক্ষে দেখি না!’

ফায়ান নিশব্দে হাসলো। অতঃপর বললো,
-‘এদিকের ক্রিমিনাল গুলোকে শাস্তি দেই, সব সামলাই তারপরই বিডিতে ফিরবো। এখন রাখছি, বাই চাচ্চু!’

-‘বাই, বাই!’

ফায়ান কল কেটে দেয়। অতঃপর আনমনেই পেছনের শুভ্র দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো। দৃষ্টি তার সামনের বড় কাচ ভেদ করে আঙিনায় স্থির। কপোলের খোচা খোচা দাঁড়িতে আঙুলের বিচরণ চালিয়ে অধর বাঁকিয়ে আনমনে বলে উঠলো,

-‘আমার পিজ্যানকে খুব মিস করছি চাচ্চু, কতদিন তাকে ছুঁয়ে দেখি না। সামনে থেকে অনুভব করি না। সে তো এতদিনে নিশ্চয়ই এই বিরহে দগ্ধ! তুমি কী ভেবেছো প্রণয়িনী, আমি কিছু জানি না? তোমার প্রতিটা স্টেপের ডিটেইল আমার কাছে পৌঁছে যায়। আমিও যে বিরহের দহনে পুড়ছি সে খেয়াল রাখো আমার পায়রা? রিয়েলিটি, রেসপনসেবলিটি আমায় তোমার থেকে দূরে রেখেছে প্রণয়ী! তুমি ব্যতীত আমার বক্ষ যে ভীষণ শুণ্য, প্রণয়িনী।’

——————————————

সুমিষ্ট সকাল। পাখিরা গুনগুন করে নিজেদের গানে ব্যস্ত। সূর্য অবিন্যস্তভাবে প্রতিদিনকার ন্যায়ই উত্তাপময় দ্যুতি ছড়াচ্ছে। গ্রীষ্মের উত্তাপ হয়তো এমনই। আরোরা সিঁড়িতে বসে অপেক্ষারত। তার পাশে আরিশাও উপস্থিত। রুহান গিয়েছে এক প্রফেসরের সঙ্গে দেখা করতে। রুহানের জন্যেই মূলত ওরা অপেক্ষারত। কিছুক্ষণ বাদে রুহান ফিরেও আসে তবে সে কিছুটা আনমনে। আরোরার দৃষ্টি এড়ায় না। আরোরা উঠে দাঁড়ায় এবং রুহানের দিকে যেতে অগ্রসর হয়। রুহান তখনো নিশ্চুপ, নির্বিঘ্ন! আরোরা রুহানের পিঠে এক চাপড় মেরে বলে,

-‘কী সমস্যা? এমন চুপ করে আছিস কেন? আমাদের জানামতে স্যার তোকে কিছু বলবে না, ইভেন বলেও নি!’
রুহান শূন্য দৃষ্টিতে তাকায়, আরোরার পানে। আরোরা রুহানের এরূপ দৃষ্টি দেখে চমকে উঠলো।

আরোরার কপোলে(গালে) হাত দিয়ে বসে আছে। আরিশারও একই অবস্থা। রুহান তার সামনে বসা দুই নারীর ভাবগতি বোঝার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আরোরাকে একটু বেশি-ই বিষণ্ণ দেখাচ্ছে। কিয়ৎক্ষণ নীরবতা পালনের পর আরিশা টেবিলে এক থাবা বসিয়ে উৎকন্ঠা স্বরে বলে উঠলো,

-‘রাস্কেল একটা! আর পছন্দ করার মানুষ পেলি না? তুই ভাবতে পারছিস তুই সাপের লেজে পারা দিয়েছিস! ওই ইয়ামিনের বোন এই জেবা! এদের শরীরে একই রক্ত প্রবাহমান!’

রুহান তার শুকনো অধর-জোড়া জিহবা দিয়ে ভেঁজালো। অতঃপর দ্বিরুক্তি গলায় বলে,

-‘দেখ, পছন্দটা কাল, সময়, পরিস্থিতি দেখে হয় না! তাকে আমার পছন্দ হয়েছে আমি কী জানতাম ওটা ইয়ামিনের বোন হবে। দেখ আরিশা! ইয়ামিন আর জেবা, দু’জনকে একসাথে মিলাবি না। এমনও তো হতে পারে, মেয়েটা ইয়ামিনের মতো নয়! এক ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্র?’

আরিশা মানতে পারলো না রুহানের এরূপ যুক্তি। আরিশা এক মুহূর্তও সেখানে বসলো না। উঠে দাঁড়ায় এবং উল্টোপথে হাঁটা দেয়! রুহান করুণ দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে আরোরার উপর। কিন্তু লাভ হলো না। সেও উঠে দাঁড়ায়। রুহান আরোরার পথ আটকে বললো,

-‘তুই অন্তত মুখ ফিরিয়ে নিস না!’

আরোরা নির্বিঘ্নে তাকায় রুহানের পানে। অতঃপর নিজ হাত মুক্ত করে থমথমে গলায় বলে,

-‘তুই ভুল পথে যাচ্ছিস রুহান। অন্য কেউ হলে তোকে আমি সাপোর্ট করতাম। আমি ইয়ামিন বা ওর পরিবার, কাউকেই বিশ্বাসযোগ্য মনে করি না!’

বলেই আরোরা চলে গেলো৷ রুহান হতাশ দৃষ্টিতে আরোরার চলে যাওয়া দেখলো। দূর থেকে এই ঘটনা দেখে একজন পৈশাচিক হাসি দিলো। অধরে মৃদু হাসির রেখা টেনে বলে,

-‘ধীরে ধীরে আমি তোমায় নিসঙ্গ করে দিবো আরোরা আপু। রুহানকে আমি চরমভাবে বিষিয়ে তুলবো তোমার প্রতি। আজ তুমি আমার প্ল্যানের এক ধাপ উন্নতি দিলে। আমার ভাইকে সর্বহারা করে দিচ্ছো তুমি, এতো সহজে ছেড়ে দিবো ভেবেছো? তুমিও সর্বহারা হবে, আপনজনের ব্যথায় কাতর হবে!’

বলেই জেবা আড়াল থেকে বেরিয়ে রুহানের দিকে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হয়! তার এখন মূল উদ্দেশ্য রুহানকে সময় দেয়া, তার বিশ্বাস অর্জন করা! অতঃপর….

————————————–

আরোরা অনলের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভার্সিটি থেকে বের হবে তখনই লামিসা এবং তার গ্যাং তাদের পথ আটকে দাঁড়ায়। সরু দৃষ্টি নিক্ষেপ করে অনল এবং আরোরাকে পর্যবেক্ষণ করলো। অতঃপর অধরে চওড়া হাসি টেনে আরোরার উদ্দেশ্যে বলে,

-‘ভালোই তো ছেলেদের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করে বেড়াচ্ছো, অথচ নিজেকে সাধু মানুষ দাবি করতে, বাহ!গতকালও দেখলাম কালো পোশাকধারীর গাড়িতে উঠছো! বেশ উন্নতি করেছো ক্যারেক্টারের!’

অনল এগিয়ে কিছু বলতে নিবে ওমনি আরোরা অনলকে থামিয়ে বলে,

-‘ছাড়ুন এদের। এরা হচ্ছে লোকালয়ের কু’কু’র, এরা ঘেউ ঘেউ করলে এদের পাশ কাটিয়ে চলে যেতে হয়, উল্টো ঘেউ ঘেউ করতে নেই!’

আরোরার বচনে অগ্নিময় দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো লাফিসা। বচনগুলো তার গায়ে ছোবলের ন্যায় লাগলো যা সে দমাতে পারে না। লামিসা এক চিৎকার দিয়ে যেই আরোরার গায়ে হাত তুলবে তখনই কোথা থেকে একজন গার্ড এসে তার হাত খপ করে ধরে ফেললো। লামিসা কিড়মিড় চোখে গার্ডের দিকে তাকালো। গার্ড লামিসার হাত কিছুটা শক্ত করে চেপে ধরে বললো,

-‘ম্যাম আমাদের হেফাজতে! স্যারের আমানতকে কষ্ট দেয়ার অধিকার আপনার নেই! আমি চাইলে এখুনি আপনার হাত ভেঙ্গে দিতে পারি জানেন?’

আরোরা তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে লামিসার দিকে তাকালো। লামিসার চোখ কুঠুরি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। হয়তো গার্ডের এমন বচন আশা করেনি। আরোরা ফিচেল হেসে গার্ডের উদ্দেশ্যে বেশ ভাব নিয়ে বলে,

-‘তাকে ছেড়ে দিন। বেচারী ভয় পাচ্ছে। আমি দ্রুত বাড়ি যেতে চাই!’

-‘জ্বী ম্যাম!’ গার্ড হাত ছেড়ে তার থেকে কিছুটা দূরে অবস্থানরত গার্ডের দিকে ইশারা করলো। সেই গার্ড ইশারা বুঝতে পেরে মাথা নাড়িয়ে পার্কিং এর দিকে চলে যায়। অনলের নির্দেশে গার্ডটিও দূরে সরে দাঁড়ায়। লামিসা এবং তার গ্যাং এখনো বিস্মিত দৃষ্টিতে সবটা দেখছে। আরোরা অন্তঃপুরে কঠিন রকম হাসছে। যাক, মাঝেমধ্যে শো অফও মুখ বন্ধ করার জন্যে উপযুক্ত। অনল আরোরাকে লামিসাদের সামনে দাঁড়াতে নিষেধ করে। আরোরা মাথা নাড়িয়ে অনলের সাথে লামিসাদের পাশ কাটিয়ে দূরে চলে যায়। আরোরা এবং অনলের মধ্যে একটা ভাই-বোনের সম্পর্ক হয়ে গেছে। ফায়ান আমেরিকা গেছে আজ প্রায় সতেরো দিন। এতদিনে অনল এবং আরোরার মধ্যে বেশ ভাব হয়। অনলের থেকেই জানতে পেরেছে ফায়ানের বাবা অসুস্থ এবং হসপিটালে ভর্তি। এতে আরোরার বেশ খারাপ লাগে এবং সেও বুঝতে পারে কেন ফায়ান তার সাথে যোগাযোগ করে না।

তবে মনকে কতদিন সে বুঝ দিবে? বেহায়া মনটা যে এসব বুঝতে চায় না। সেই মনটা যে অভিমানের পাহাড় বসিয়েছে।

———————————————

আরোরা বেশ রাগাম্বিত ফায়ানের প্রতি। ফায়ান আজ ব্যাক করছে অথচ একবারও জানানোর প্রয়োজনবোধ করেনি। তার কিনা শুনতে হয়েছে দিয়ার থেকে? কেন? ইংরেজের মুখ ছিলো না? কেন পরমুখে শুনতে হবে? অভিমানের পাল্লা যেন আরও ভারী হলো। রাগে, ক্ষোভে আরোরা ক্রদনরত! কপোল বেয়ে টপ টপ করে নোনাজল গড়িয়ে পরছে। এই জঘন্য সত্যিটা তার মানতে ভিষণ কষ্ট হচ্ছে! অব্যক্ত এই ব্যথার অনুভূতি। অবহেলা করতে করতে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। পরমুহূর্তে কিছুদিন পূর্বে বলা দিয়ার কথাটি মস্তিষ্কে তরঙ্গিত হলো! ফায়ানের বিয়ের কথা চলছে। আচ্ছা সে কী কোনো বিদেশীনি কে সাথে করে.. হৃদয়টা জঘন্যভাবে মুচড়ে উঠলো তার। উপলব্ধি করলো, তার নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। তাহলে কী সেও ফায়ানকে.. ভালোবাসে? শেষোক্ত শব্দটি মস্তিষ্কে তরঙ্গিত হতেই সবার্ঙ্গে খেলে যায় অদ্ভুত শিহরণ, সেই সাথে ক্ষতটা আরও গভীর হয়। শাওয়ায়ের নিচে বসে সশব্দে কাঁদতে শুরু করলো সে। পারবে না! পারবে না ফায়ানকে অন্য নারীর প্বার্শে দেখতে, অন্য নারীর সংস্পর্শে দেখতে। কেটে গেলো দীর্ঘক্ষণ। নিজেকে খুব কষ্টে সামলে চেঞ্জ করে রুমে চলে আসলো। মাথাটা তার ভার লাগছে, দেহটাও তার শীতল হয়ে আছে। পরমুহূর্তেই ‘হাঁচি’ দিয়ে উঠলো সে।

~চলবে।
বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম।