#প্রিয়_হতে_প্রিয়তর
#পর্বঃ০৭
#লেখিকাঃতাসনিম
কিছুদিন পর…..
জাবিরের বাবা মেহেরপুর থেকে আসলে ফারাহদের বাসায় সকলে একসাথে বসে কথাবার্তা বলতে শুরু করেন,সকলেই উপস্থিত ছিল সেখানে। জাবিরের বাবা লতিফ চৌধুরীকে বলেন,
“দেখেন ভাই আপনি তো জানেনই আব্বা চলে যাওয়ার পর থেকে আমি বেশির ভাগ গ্রামেই থাকি,তাই বার বার গ্রাম থেকে আসা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না,তাই আমি চাচ্ছিলাম ওদের বিয়েটা যদি আজকেই হয়ে যায় তাহলে ভালো হতো,তাছাড়া জাবিরও এখন বড় আয়োজন করতে চাইছে না,আজকে বিয়ে টা হয়ে গেলে পরে আমরা বড় আয়োজন করে রিসিপশন টা করলাম,আপনারা কি বলেন এ ব্যাপারে”
“আজই আপনারা বিয়ের কাজ টা শেষ করতে চান,আমাদের তো একমাত্র মেয়ে ছোট আয়োজন করলেও আমাদের আত্মীয়স্বজন অল্প কিছু মানুষকেও তো দাওয়াত দেয়ার ইচ্ছে ছিল আমাদের, আমাদের যদি আগে জানাতেন তাহলে আমরা প্রস্তুত হয়ে থাকতাম আর কি”
“আসলে ভাই আমি এসেছিই আজকে সকালে,তাই আর আপনাকে জানাতে পারিনি,এখন আপনি কি বলেন”
লতিফ চৌধুরী তার স্ত্রী মিনারা বেগমের দিকে তাকালেন,উনি সম্মতি দেয়াতে তিনি রাজি হয়ে গেলেন।
“তাহলে আর দেরি কিসের চলুন কাজী আনতে হবে তো ফাহিম বাবা আসো তুমি আমাদের সাথে, আর আপা আপনি ব্যস্ত হবেন না আমরা একদম সাদাসিধা ভাবেই আমাদের ঘরের রাণী কে নিয়ে যাবো”
“ঠিক আছে ভাই, আমরা ব্যস্ত হবো না”
জাবিরের বাবা জুবায়ের সাহেব ফাহিম আর লতিফ চৌধুরী কে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন।মিনারা বেগম আর জাবিরের মা শরীফা বেগম রান্নাঘরের দিকে গেলেন।
ড্রইয়িংরুমে জাহরা আর ফারাহ, জাবির বসে ছিল।জাহরা জাবিরের পাশে থেকে উঠে ফারাহর পাশে গিয়ে বসে বললো,
“ভাবি ফাইনালি ভাবি তুমি আমাদের বাসায় চলে আসবে ভাবতেই আমার ভালো লাগছে”
“জাহরা তুই একটু আম্মুর কাছে যা,আমার ফারাহর সাথে কথা আছে”
“ভাইয়া একটু পর থেকে তো সবসময়ই সময় পাবি কথার বলার এখন আমাকে একটু বলতে দে”
“যেতে বলেছি আমি”
জাহরা উঠে চলে গেল। জাবির কিছু বলার আগেই ফারাহ বললো,
“আপনি এতোদিন কোথায় ছিলেন”
“ঢাকার বাইরে ছিলাম,অফিসের কাজে,এসব বাদ দিন আপনি বলুন এত তারাতাড়ি বিয়েতে আপনার আপত্তি নেই তো”
“আমার কেন আপত্তি থাকবে, আজ না হয় কাল বিয়ে করতেই হবে,আগে করে ফেলাই ভালো,কিন্তু একটা সমস্যা আছে”
“কি সমস্যা”
“আপনাকে একটু বদলাতে হবে, আমাকে তুমি করে বলতে হবে,না হলে সবাই কি মনে করবে,বর বউকে আপনি করে কথা বলে”
“ঠিক আছে বললাম তুমি,কিন্তু তাহলে আপনারও তো আমাকে তুমি বলা উচিত তাই না”
“আমি আপনি বললে সবাই কিছু ভাববে না”
“আপনি তুমি না বললে আমিও তুমি বলবো না”
“আরে কি সমস্যা আপনার”
“সমস্যা আমার না আপনার”
এর মধ্যেই মিনারা বেগম এসে ফারাহকে তার সাথে যেতে বললেন,ফারাহ তার সাথে চলে গেলেন।
মেরুন কালারের একটা শাড়ি পরিয়ে দিল,সিম্পল কিছু জুয়েলারি পড়িয়ে দিল।তারপর একবার নিজে পা থেকে মাথা পর্যন্ত মেয়ে কে দেখলেন।
“আম্মু আমার ড্রেস টা কি খারাপ ছিল,এসবের কি দরকার ছিল”
“দরকার ছিল,তারা বিয়ে শেষে মেহেরপুর যাবে,সেখানে তাদের আত্মীয়-স্বজন আছে নতুন বউ নিয়ে গেলে তোমাকে দেখতে আসবে,তুমি সেখানে ড্রেস পড়ে গেলে কেমন দেখাবে,তাছাড়া আয়োজন করে না হলেও বিয়ে হচ্ছে তোমার,বিয়েতে প্রত্যেক নারীকে শাড়িতেই মানায়”
কিছুক্ষণ পর কাজী নিয়ে চলে আসলো।বিয়ে পড়ানো শুরু হলো। ফারাহকে কবুল বলতে বলা হলো,একটু চুপ থেকে সে কবুল বলে দিল,তারপর জাবির কে বলা হলো কবুল বলার জন্য সেও বললো।বিয়ে সম্পূর্ণ হলো আলহামদুলিল্লাহ। সবাই মিষ্টি মুখ করলো।
মেহেরপুর যাওয়ার জন্য গাড়ি চলে এসেছে, এখন বিদায়ের পালা ফারাহর এতক্ষণ চোখে পানি না আসলেও এখন যেতে হবে ভেবেই তার কান্না চলে আসলো,ফাহিম কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগল, ফাহিমও কেদে দিল বোনকে বিদায় দিতে গিয়ে,তারপর চোখ মুছে ফাহিম ফারাহ কে বললো,
“এই পাগলের ডাক্তার দেখিস আমার বোনের জামাই রে পাগল বানিয়ে ফেলিস না,এই যে জাবির সাহেব আমার বোনকে দেখে রাখবে,সে রেগে গেলে কিন্তু মাথার তার ছিঁড়ে যায়”
ফারাহ তার বাবা মার দিকে তাকালো, তারা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল,ফারাহ তাদের কাছে যেতেই কান্না যেন আরো বেড়ে গেল।তারা ওকে শান্ত করে গাড়িতে বসালেন,আর জাবির কে বললেন কাদিয়ো না আমার মেয়েটাকে বাবা,ভালোবেসে রেখো সবসময়।
তারপর মেহেরপুরের উদ্দেশ্য গাড়ি রওনা হয়ে গেল।গাড়িতে উঠার পর জাবির ফারাহ কে বললো,
“ফারাহ শান্ত হও এখন,পরে তো মাথা ব্যথা করবে,তোমাকে তো আমরা সারাজীবনের জন্য মেহেরপুর নিয়ে যাচ্ছি কিছুদিন থাকবে তারপর চলে আসবে,তখন তো তোমার যখন ইচ্ছে করবে নিজের বাসায় যেতে পারবে”
ফারাহ কিছু বললো না, কিছুদূর যেতেই ফারাহ ঘুমিয়ে পড়লো,ওকে ঘুমাতে দেখে জাবির ওর মাথা টা তার কাঁধে রাখলো,ওর হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বসে রইলো।কাছাকাছি চলে আসার পর জাবির ফারাহ কে ডাক দিল,ঘুম থেকে উঠে নিজের মাথা জাবিরের কাঁধে দেখে ফারাহ দূরে সরে বসলো।
“কখন ঘুমিয়েছি আমি,আপনি ডাকলেন না কেন আমাকে”
“যখন ডাকার দরকার হয়েছে তখন তো ডাক দিয়েছি,এখন সুন্দর একটা ভাব নিয়ে বসো কারণ কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা পৌঁছে যাবো”
“আপনাদের এখানে কে কে আছে”
“এখন তো খুব বেশি কেউ নেই,কারণ সবাই ঢাকায় থাকে,তাও ছোট ফুফু আছে তার পরিবারের সবাই বড় ফুপুর বাসা মেহেরপুর থেকে একটু দূরে থাকে আমরা আসছি শুনে চলে আসছে নিশ্চয়ই,আর আশেপাশের প্রতিবেশীরা আর কেউ নেই”
“ওহহ, সেখানে তারা কি আমাকে কোনো প্রশ্ন করবে,মানে আমি তো নতুন বউ তাই আর কি”
“জিজ্ঞেস করলে তুমি স্মার্টলি আন্সার দিবে,এটা কোনো ব্যাপার তোমার জন্য”
“পরীক্ষা দেয়ার আগে সব শিক্ষার্থীরই ভয় করে যতই সে সিলেবাস কমপ্লিট করে রাখুক না কেন,বুঝলেন”
“হুমম বুঝলাম টেনশন করো না বি পজিটিভ”
কিছুক্ষণ পরে তারা পৌঁছে গেল। সবাই ফারাহ জাবিরের আগে পৌঁছে গিয়েছে। তারা গাড়ি থেকে নামতেই জাবিরের বড় ফুফু আর ছোট ফুফু মিষ্টি নিয়ে এলেন,ওদের মিষ্টি মুখ করে বাসায় ঢোকালেন, বসার রুমের সোফায় জাবির আর ফারাহকে বসানো হলো।বড় ফুফুর দুই মেয়ে,বর্ষা ও মেঘ তারা এসে ফারাহর পাশে বসলো, সবাই নানারকম কথা বলছিল,আড্ডা হৈ হুল্লোড়ে মনে হচ্ছিল না হঠাৎ করে এ বিয়ে হয়েছে মনে হচ্ছে অনেক দিন ধরে প্ল্যানিংয়ের পর আজ এ বিয়ে।সবকিছুর মধ্যেও ফারাহর বার বার তার বাবা মা ভাইয়ের কথা মনে পড়ছিল।কেউ না বুঝলেও জাবির ঠিক বুঝতে পেরেছিল ফারাহ কি ভাবছে,সবাই সামনে থাকায় আর সে কিছু বলতে পারেনি।
#চলবে
#প্রিয়_হতে_প্রিয়তর
#পর্বঃ০৮
#লেখিকাঃতাসনিম
রাতে……
শরীফা বেগম ফারাহকে খাইয়ে দিলেন,তারপর জাবিরের ফুফাতো বোনেরা তাকে জাবিরের রুমে দিয়ে আসে।জাবির তখন রুমে ছিল না,ফারাহ চারদিকটা ঘুরে দেখছিল।বাসার সামনে একটা বড় উঠোন, পাশেই একটা পুকুর,বাসার আশেপাশে বিভিন্ন গাছগাছালি, বাসার ভিতরটাও অনেক সুন্দর, হ্যান্ডমেড জিনিস দিয়ে সবকিছু সাজানো,রুমের দেয়ালে একটা বড় একটা পেইন্টিং লাগানো সেটা দেখতে দেখতে ফারাহ সামনের দিকে এগুচ্ছিল,তখনই জাবিরের সাথে খেল এক ধাক্কা, পড়ে যায় নি কারণ অবশ্যই আমাদের হিরো তাকে ধরে ফেলেছে।
“ঠিক আছো”
“হু,আপনি এমন হঠাৎ করে চলে এলেন,এখনি তো পড়ে যেতাম”
“আমি আছি কিসের জন্য, পড়তে দিতাম নাকি,যাই হোক কি করছিলে তুমি”
“বাসা টা দেখছিলাম,আচ্ছা এই পেইন্টিং টা কিনে আনা”
“না এটা আমার দাদাভাই নিজে বানিয়েছেন, আমাদের এখানে যা দেখছো সবই তার বানানো উনি অনেক শৌখিন লোক ছিলেন,এখন এসব কিছু দেখেশুনে রাখার জন্যই আব্বু এখানে থাকে”
“আমারও ইচ্ছে করছে এখানেই থেকে যায়,কত শান্ত পরিবেশ ঢাকায় তো শুধু মানুষের কোলাহল”
“যখন আমরা বুড়ো-বুড়ি হয়ে যাবো তখন এখানে এসে থাকবো”
জাবির কথাটা বলে নিজেই হেসে দিল,তারপর বারান্দায় গেল।ফারাহ পেইন্টিং টা কিছুক্ষণ দেখে জাবিরের কাছে গেল।
“ঘুমাবেন না”
“এখানে আসলে আর ঘুমাতে ইচ্ছে করে না, তুমি ঘুমিয়ে পড়ো”
ফারাহ আর কিছু বললো না, রুমে এসে শুয়ে পড়লো।কিছুক্ষণ পর জাবির ও রুমে চলে আসলো,ফারাহ ঘুমিয়ে পড়েছে দেখে সে আস্তে আস্তে নড়াচড়া করতে লাগল। ড্রেস চেঞ্জ করে এসে বিছানার অপর সাইডে শুয়ে পড়লো।
সূর্যের আলো এসে ফারাহর মুখে পড়ছিল,কিছুক্ষণ পর ফারাহ ঘুম থেকে উঠে গেল,পাশে তাকিয়ে দেখে জাবির ঘুমিয়ে আছে দেখতে একদম বাচ্চা মতো লাগছে,আলো যেন জাবিরের মুখে না পড়ে তাই সে পর্দা টা টেনে দিল।
তারপর ব্যাগ থেকে একটা সবুজ রঙের জামদানী শাড়ি বের করলো,আম্মু বলে দিয়েছিল এখানে শাড়ি পড়ে একটা বড় ঘোমটা দিয়ে রাখি।তাই ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করে ফারাহ রেডি হয়ে নিল।আয়নায় দেখছিল ঠিক লাগছে কিনা তখন পিছনে ঘুরে দেখলো জাবির ঘুম থেকে উঠে গেছে, আর তাকে দেখছে,এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ফারাহর লজ্জা পেয়ে গেল। জাবির বিষয় টা বুঝতে পেরে বিছানা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল।এ সুযোগে ফারাহ রুমটা গুছিয়ে বাইরে চলে এলো।
বাইরে পা রাখতেই তার ননদিনীরা তাকে ঘিরে ধরলো,লন্ডনের বর্ণনা জানার জন্য, তাদের সাথে কথা বলার সময় ফারাহর শাশুড়ী শরীফা বেগম ফারাহকে তার সাথে আসতে বললেন।
রান্নারুমে নিয়ে গেলেন ফারাহকে,ওর হাতে চায়ের ট্রে দিয়ে বললেন,ড্রইয়িংরুমে গিয়ে এক এক করে সবাইকে চা দেয়ার জন্য, ফারাহ ও মাথা নাড়িয়ে ড্রইয়িংরুমের দিকে পা বাড়ালো। সবাইকে চা দেয়া শেষে বড় ফুফু বললেন,
“জাবির নিচে আসছে না কেন এখনো,ওদের নাস্তা টা কি রুমে পাঠিয়ে দিবে নাকি শরীফা”
“আপা আমি কি বলবো,আপনি যা ভালো মনে করেন”
“আচ্ছা তাহলে রুমেই পাঠিয়ে দেয়,বর্ষা, মেঘ,জাহরা এদিকে আয় আমার সাথে”
“ফুফু আমিও আসবো আপনার সাথে”
“হ্যা মা আসো,আমি আরো ভাবলাম তুমি বিদেশ থেকে আসছো কাজ করতে বললে রাগ করো কিনা”
“না না ফুফু কি বলছেন, বলুন না আমাকে কি করতে হবে”
“আচ্ছা আসো আমার সাথে”
বড় ফুফু নাস্তা জাবিরের রুমে পাঠিয়ে দিলেন।
“আপনি নিচে আসলেন না কেন সবাই নিচে খাচ্ছে”
“আমি কি বলেছি উপরে খাবার নিয়ে আসতে”
“আপনি আসছিলেন না বলে বড় ফুফু পাঠিয়ে দিয়েছেন,আসুন খেয়ে নিন”
“তুমি খেয়েছো”
“নাহ”
“হুমম চলো তাহলে একসাথে খেয়ে নেয়,তারপর তোমাকে পুরো বাসাটা ঘুরিয়ে দেখাবো”
“সত্যি”
“হুমম খাওয়া শেষ করো আগে”
ফারাহ তারাতাড়ি খাওয়া শেষ করে খাবারের ট্রে টা নিচে রেখে এলো।তারপর জাবিরের সাথে বাসাটা দেখতে লাগলো।পুরো বাসা দেখার পর একটা বন্ধ রুমের সামনে গিয়ে থামলো জাবির।পকেট থেকে চাবি বের করে রুমটা খুললো।আস্তে আস্তে রুমে ঢুকলো,ফারাহও তার সাথে রুমে ঢুকলো।এ রুমটা আরো বেশি সুন্দর সবকিছু বেতের তৈরি।
“এটা দাদাভাইয়ের রুম,দাঁড়াও একটা জিনিস দেখায় তোমাকে”
জাবির আলমারিটা খুলে একটা রঙিন বক্স বের করলো।ফারাহর দিকে তাকিয়ে বললো
“এই বক্সটা দাদাভাই কখনো কাউকে ধরতে দিত না,দাদু মারা যাওয়ার পর এটাতে দাদুর সব প্রিয় জিনিস তুলে রেখেছেন এই বক্সটাতে,এখানে বেশিরভাগ জিনিস দাদাভাইয়ের দেয়া দাদুকে”
“হাউ সুইট জাবির,তারা একে-অপরকে কতটা ভালোবাসতেন”
“হুমম অনেক ভালোবাসতেন”
“পুরোনো দিনের ভালোবাসা কত সুন্দর ছিল একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা,বিশ্বাস,ভরসা আর বুক ভরা ভালোবাসা ছিল।আর এখনের যুগে ভালোবাসা মানেই ভেজাল,নেই কোনো শ্রদ্ধা,বিশ্বাস আছে শুধু সন্দেহ রাগারাগি ঝগড়া ইগো,যা ভালোবাসার কাছেও দুটি মানুষকে আসতে দেয় না”
“যারা ভালোবাসে তারা চাইলেও পুরোনো দিনের মানুষের মতো ভালোবাসতে পারে,এটা নির্ভর করে ভালোবাসার দুটো মানুষের উপর”
ফারাহ কিছু বলার আগেই জাবিরের ডাক চলে আসলো,বক্সটা রেখে জাবিরকে তার বাবার সাথে বাজারে যেতে হলো।ফারাহ তার শাশুড়ী, ফুফু শাশুড়ীদের সাথে রান্না ঘরে গেল,সেখানে তারা তাকে কোনো কাজ করতে দেয় নি,তাই ফারাহ শুধু চুপ করে বসে তাদের কাজই দেখছিল।
#চলবে