প্রেমতরী পর্ব-০৫

0
253

#প্রেমতরী
পর্ব :-৫(১ম অংশ)
.
ভোরবেলা দরজা খোলার শব্দে মিষ্টির ঘুম ভেঙে যায়। মামুন ঘুমিয়ে আছে।
তখনো সকালের আলো ফুটে নি।
মিষ্টি মনে মনে ভাবে, জেঠিমা হয়তো মিষ্টিকে ডাকতে এসেছে।
মিষ্টি বিছানা ছেড়ে উঠে দরজার সামনে যেতেই তার চোখ কপালে উঠে যায়।
এ যে মিষ্টির মা….
মিষ্টিকে এভাবে মামুনের সাথে এক বিছানায় দেখে তিনিও যেন আকাশ থেকে পড়েন।
–আম্মু, তুমি এখানে?
–তুই মামুনের সাথে এখানেই ছিলি?
–না মানে,(ঠাসসসসসসসসসসসসস)
থাপ্পড়টা একটু জোরেই পড়ে, যার ফলে মিষ্টির ঠোট ফেটে রক্ত পড়তে থাকে।
–ছিঃ মিষ্টি, আমাকে এই দিনটাও দেখতে হলো? তুই এতটা নিচে নেমে গেছিস?
–আম্মু, প্লিজ ভুল বুঝো না।
–আয় আমার সাথে, তোর বাবাকে সব বলবো।
–না না আম্মু প্লিজ, তোমাকে আমি সবটা খুলে বলছি।
–কি বলার আছে তোর? আমাদের মান ইজ্জতের কথা একবারও ভাবলি না?
ওমনি মামুনের আম্মু কোথায় থেকে যেনো দৌড়ে আসে।
–কি হয়েছে মিষ্টি?(মামুনের মা)
–ভাবি, তোমার ভরসায় আমি আমার মেয়েকে তোমার কাছে ঘুমাতে পাঠিয়েছি। আর তার এই প্রতিদান পেলাম আমি?
–বোন, প্লিজ কিছু মনে করিস না, তোকে কিছু কথা বলার আছে। একটু আমার সাথে আয়।
–কোথায়?
–রান্নাঘরে আয়, পাশের রুমেই মামুনের বাবা ঘুমাচ্ছে, শুনে ফেলতে পারে।
–কি এমন কথা যে কেউ শুনতে পারবে না?
–আয় না, বলছি তো।
মামুনের মা মিষ্টি আর ওর মাকে নিয়ে রান্না ঘরে আসে।
–ইসসস, ঠোঁটটা ফেটে গেছে। এত জোরে কেউ মারে? কেনো ওকে মারলি? পুরো গাল লাল হয়ে আছে।
–ও যা করেছে ওকে যে মেরে ফেলিনি সেটা ওর ভাগ্য।
মায়ের মুখে এমন কথা শুনে মিষ্টি কেঁদে ওঠে।
–মিষ্টি কি করেছে শুনি।
–কি করেছে? তোমার ছেলের সাথে সারারাত কাটিয়েছে একসাথে। ছিঃ, আমার ভাবতেও পারছিনা এটা।
–তোর মুখটা লাগামহীন হয়ে গেছে। যা মুখে আসে তা বলিস না, ও তোর মেয়ে হয়।
–আমার মেয়ে হয়ে কি করে পারলো এমন কাজ করতে?
–ওকে আমিই পাঠিয়েছি মামুনের কাছে।
–কিহ? কি বলছো এসব?
–ঠিকই বলছি। মিষ্টি আমার ছেলের বউ।
–মানে? বুঝলাম না।
–ওরা বিয়ে করেছে।
–মিষ্টি, কি বলছেন উনি এসব? এটা কি সত্যি?(মিষ্টির দিকে তাকিয়ে)
মিষ্টি নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে।
–আমি ব্যাপারটা কিছু বুঝলাম না, বিয়ে করেছে মানে? ওদের বিয়ে হলো কবে?
–২ দিন আগেই ওরা বিয়ে করেছে। ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। তোরা মিষ্টিকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চাচ্ছিলি, তাই ওরা ভয়ে নিজেরা বিয়ে করে নেয়। আমি নিজেও এই ব্যাপারে কিছু জানতাম না। কাল মামুন আমাকে সবটা জানালো।
–এটা আমি বিশ্বাস করি না, কোনো প্রমান আছে?
–ওদের বিয়ের রেজিস্টার কাগজ আছে আমার কাছে, দাড়া নিয়ে আসতেছি।
মিষ্টির মায়ের হাতে ওদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন কাগজ তুলে দেওয়া হয়।
–হায় আল্লাহ, এখন আমি কি করবো। ওর বাবা এটা জানতে পারলে ওকে আস্ত রাখবে না। মেরেই ফেলবে ওকে।
–মামুনের সাথে মিষ্টিকে মেনে নিতে তোর কোনো আপত্তি আছে?
–সব কিছু কথা বার্তার মাধ্যমে হলে কোনো আপত্তি থাকতো না। কিন্তু ওরা কাউকেই কিছু জানায় নি, সমস্যাটা তো ওখানেই।
–যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এখন কি করবি?
–ভাবি প্লিজ, ওর বাবাকে এখন কিছু বলতে যেও না। আমার মেয়েটাকে শেষ করে ফেলবে। তুমি তো জানোই ওনার রাগ সম্পর্কে।
–আমিও সেটাই ভাবছি। এটাও ভাবছি যে ওনার কাছে মিষ্টি আর মামুনের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো। তবে এখন না, ব্যাপারটা কিছুটা শান্ত হোক, এরপর।
–হ্যা সেটাই ভালো।
–এখন মিষ্টিকে নিয়ে ঘরে যা, ওর ঠোট কেটে গেছে, ঔষুধ লাগিয়ে দে।
–আচ্ছা।
.
মিষ্টি মায়ের সাথে ঘরে আসে।
–বেশি ব্যথা করছে? (মিষ্টির মা)
–(মিষ্টি মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়)
–আমি না জেনে তোকে কত কিছু বলে দিয়েছি। আমায় ক্ষমা করে দে মা।
–কি বলছো এসব, ভুল তো আমি করেছি তোমায় না জানিয়ে। সত্যি বলছি আম্মু, খুব ভয় পেয়েছিলাম, তাই তোমাকে কিছু বলতে পারিনি।
–কেনো লুকিয়ে বিয়েটা করলি?
–আম্মু, আমি মামুনকে খুব ভালোবাসি। তোমরা আমায় অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলে। তাইতো কোনো উপায় না পেয়ে আমাদের লুকিয়ে বিয়েটা করতে হলো।
–আমার মাথায় কিচ্ছু আসছে না, এখন আমি কি করবো? তোর বাবা যদি জানতে পারে তাহলে কি যে হবে।
–এতো ভেবো না, যা হবে দেখা যাবে।
–দেখা যাবে? যদি তোর বাবা জানতে পারে, চুলের মুঠি ধরে বাড়ি থেকে বের করে দেবে।
–এভাবে কেনো বলছো আম্মু, যার সাথে আমি সারাজীবন কাটাবো, তাকে যদি আমি বেছে নেই, তাহলে কি এটা আমার অন্যায়?
–অন্যায় না, তবে মা বাবাকে না জানিয়ে এভাবে পালিয়ে বিয়ে করাটা অন্যায়। আমাদের একটা মাত্র সন্তান, তাকে কোথাও দেখে শুনে বিয়ে দিবো, বড় করে অনুষ্ঠান করে সবাইকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবো। কত ইচ্ছা ছিলো তোর বাবার, এখন যদি এটা জানতে পারে, কি হবে বুঝতে পারছিস?
মিষ্টি আর কোনো কথা বাড়ায় না, সে জানে তার দ্বারা একটা অন্যায় হয়ে গেছে।
বাড়ির দুই কর্তা ছাড়া মিষ্টি আর মামুনের বিয়ের কথা সবাই জানে।
এখন শুধু তাদের দুই ভাইকে রাজি করাতে পারলেই হলো।
.
–শুনছেন, আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিলো।(মামুনের মা)
–কি কথা(মামুনের বাবা)
–আমি মনে মনে একটা বিষয় নিয়ে ভাবলাম।
–কি বিষয়?
–মামুনের বিয়ে দিলে কেমন হয়?
–পাগল হলে নাকি? ওর বয়সই বা কত হয়েছে? এখনো তো নিজের পায়েই দাড়াতে পারে নি।
–ওকে আপনার ছোট মনে হয়? ও এখন চাকরি করে, নিজের খরচ নিজে চালায়, বিয়ে করলেও বউয়ের খরচ ঠিক চালাতে পারবে।
–হুম বুঝলাম। মানে হলো ঘরে একটা বউ আনা লাগবে আপনার সাথে সময় কাটানোর জন্য, তাইতো?
–বাহ, আপনি দেখি আমার মনের কথা বুঝে ফেলেন।
–বয়স কি কম হয়েছে আমার? অনেক অভিজ্ঞতা আমার।
–হয়েছে, এবার বলেন। মামুনের বিয়ে দিলে কেমন হয়?
–কোথাও মেয়ে দেখতে হবে?
–তা তো দেখতেই হবে, তবে আমি বলছি কি, আমাদের চোখের সামনেই তো একটা মেয়ে আছে।
–আমাদের চোখের সামনে? কোন মেয়ে?
–মিষ্টি।
–ধুর, কি যে বলো। ও তো আমাদের ঘরের মেয়ে। ঘরের মধ্যেই আত্মীয়তা করবো নাকি।
–আমরা তো ছোট থেকেই মিষ্টিকে চিনি জানি, কোলে পিঠে করে ওকে মামুষ করেছি, খুবই ভালো মেয়ে। আমি তো ওকে নিজের মেয়ের মতোই দেখি। তাই চাচ্ছি একেবারে নিজের মেয়ে বানিয়ে ফেলতে। যদি আপনার কোনো আপত্তি না থাকে।
–বুজলাম, কিন্তু ঘরের মধ্যেই কেনো? আমরা তো অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা বাড়াতে পারি।
–তা তো পারি, কিন্তু এখনকার যুগে এমন মেয়ে পাওয়া কত কষ্ট। আর মেয়ে তো আমাদের হাতেই আছে। আপনিই বলেন, মিষ্টির মত এমন গুণবতী মেয়ে আমাকে খুজে দিতে পারবেন?
–তোমার সাথে কথায় পারবো না। ঠিক আছে, দেখছি ব্যাপারটা।
–একটু তাড়াতাড়ি, নাহলে ওর বাবা আবার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে ফেলবে।
–আচ্ছা।
.
মামুনের মা মামুনের বাবাকে কোনো রকম রাজি করিয়ে ফেললো। এখন শুধু মিষ্টির বাবাকে রাজি করানো বাকি।
–আম্মু, আব্বু কি রাজি হবে?(মিষ্টি)
–জানি নারে মা, কি যে করলি এটা। আমার মাথায় কিচ্ছু আসছে না।
–আব্বুকে একবার বলে দেখো না।
–তোর বাবার এখন মন মানসিকতা ভালো নেই, ছেলে পক্ষ বিয়েটা ভেঙে দেওয়াও ওনার মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হোক। এরপর বলবো।
–জানো আম্মু, বিয়েটা আমরাই ভেঙেছি।
–তোরা? কিভাবে?
–ওই ছেলেটাকে সব খুলে বলেছিলাম।
–ভালো ছেলে ছিলো বিধায় কিছু করে নি, অন্য কেউ হলে কতো কথা শুনিয়ে দিতো।
–হ্যা, আচ্ছা আম্মু আমি কি মামুনের সাথে থাকতে পারবো?
–এখন না, বিপদ বলে কয়ে আসে না। তোর বাবা জানতে পারলে সমস্যা হবে।
–প্লিজ আম্মু, একটু সামলে নাও না। ও তো আমার স্বামী হয়। ওকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো?
–পালিয়ে বিয়ে করার আগে এটা মনে ছিলো না? এখন কেনো এতো জ্বালা দিচ্ছিস?
–(মিষ্টি মাথা নিচে নামিয়ে ফেলে)
–কোথাও যাওয়া চলবে না। যতদিন না সব ঠিক হয়, নিজের ঘরেই থাকবি।
–ঠিক আছে আম্মু, আমি যাবো না।
.
.
#প্রেমতরী
পর্ব :- ৫ (২য় অংশ)
.
–পালিয়ে বিয়ে করার আগে এটা মনে ছিলো না? এখন কেনো এতো জ্বালা দিচ্ছিস?
–(মিষ্টি মাথা নিচে নামিয়ে ফেলে)
–কোথাও যাওয়া চলবে না। যতদিন না সব ঠিক হয়, নিজের ঘরেই থাকবি।
–ঠিক আছে আম্মু, আমি যাবো না।
মায়ের এক ধমকে মিষ্টি মাথা নিচু করে ঘরে চলে যায়।
তবুও কে শোনে কার কথা, লুকিয়ে লুকিয়ে দুজনের দেখা চলতোই,
এভাবে ওদের র দিনগুলো খুব সুন্দর ভাবেই চলছিলো। কেউ কিছু বলতো না। শুধু বাড়ির দুই কর্তাকে একটু এড়িয়ে চলতো।
এর প্রায় ২ সপ্তাহ পর মামুনের বাবা মিষ্টির বাবাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠায়।
এবং মিষ্টিকে নিজের ছেলের বউ হিসেবে চেয়ে বসে।
মিষ্টির বাবা তখনই না বলে দেয়। তিনি মিষ্টিকে মামুনের সাথে বিয়ে দিবেন না।
তিনি চান না একই ঘরে আবার নতুন করে কোনো সম্পর্ক তৈরী হোক।
ওনার ধারনা এই ধরনের সম্পর্কগুলোতে ঝগড়া সবসময় লেগেই থাকে।
তাছাড়া মামুন এখনো নিজের পায়ে দাড়াতে পারে নি। কোনো রকম একটা ছোটখাটো চাকরি করছে। বিয়ের পর বউ কে চালাবে কি করে?
তবুও মামুনের বাবা মিষ্টির বাবাকে কয়েকবার অনুরোধ করে।
শেষমেশ মিষ্টির বাবা কয়েকটা শর্তে রাজি হয়।
মেয়ে যখন চাইবে তার বাবা মায়ের কাছে আসতে পারবে, এনিয়ে আমার মেয়ের সাথে কোনোরকম ঝগড়া করা যাবে না।
আর আমার সমস্ত আয় রোজগার আমার মেয়ের জন্যই, আমি চাই বিয়ের জন্য এতগুলো টাকা খরচ না করে টাকাগুলো মামুনের হাতে তুলে দিতে, যেনো সে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাড়াতে পারে।
এরপর তোমরা আমার মেয়েকে নিজের পুত্রবধূ করে নিয়ে যেতে পারো।
মামুনের বাবা সবটাতেই রাজি, তবে তিনিও মিষ্টির বাবাকে কিছু কথা বলেন।
ছেলেপক্ষ হিসেবে আমাদের কিছুই চাওয়ার নেই। আমাদের শুধু মিষ্টিকেই লাগবে। আর হ্যা, আমি এখনো বেচে আছি। আমার আর মামুনের রোজগারে আমরা খুব সুখেই আছি।
আমি মনে করি না যে মিষ্টি আমাদের সংসারে আসলে কোনো রকম কষ্টে থাকবে, বরং সে আমার মেয়ে হয়েই এই সংসারে থাকবে।
তুই তোর ভাইয়ের ওপর ভরসা করতে পারিস।
মামুনের বাবার এমন কথায় মিষ্টির বাবা নিমিষেই রাজি হয়ে যায়।
কথাবার্তা শেষে ঘরে এসে মিষ্টির বাবা মিষ্টির মাকে সবকিছু খুলে বলে।
যা মিষ্টির কানে পৌছায়।
.
খুশির ঠেলায় মিষ্টি মামুনের ঘরের দিকে দৌড় দেয়।
মামুন শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছিলো।
মিষ্টি গিয়ে মামুনে জাপটে ধরে মামুনের ওপর শুয়ে পড়ে।
–আরে আরে, কি হয়েছে আমার পাগলিটার?
–(মিষ্টি মামুনকে জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে হাপাতে থাকে)
–কিরে? কথা বল।
–আব্বুও রাজি হয়ে গেছে।
–কি বলছিস? সত্যি?
–হুম, আমি নিজের কানে শুনেছি। আম্মুকে বললো যে তোর সাথে আমার বিয়ে দিবে।
–যাক বাবা, যেনো কলিজায় পানি আসলো।
–আমার যে কি খুশি লাগছে। মনটা চাচ্ছে কি না কি করে ফেলি।
–ধুর পাগলি। নেমে দাড়া আমার ওপর থেকে।
–নামবো না।
–এতো ওজন কেনো তুই?
–তোর বউ আমি, ওজন হলেও তোকেই তুলতে হবে।
–আমাকে দেখ, শরীরে মাংসের খুব অভাব। একটুও শক্তি নাই। তোর ওজনে আমার যায় যায় অবস্থা। সর….
–এহ, বউয়ের ওজন নিতে পারে না, আবার জামাই হইছে।
–হ্যারে, দেখতো। ইদানীং আমি কেমন যেনো শুকিয়ে যাচ্ছি। আর তুই? মোটা হচ্ছিস।
–অ্যাহ, আমি মোটা হচ্ছি?
–বেশি না, একটু।
–তুই আমাকে মোটা বললি?
–না না, মজা করছি।
–আমি আর আসবো না তোর কাছে, গেলাম আমি।
–যাও কই? আমাকে রেখে কোথাও যাওয়া চলবে না।
–না, আমি চলে যাবো। তুই মোটা বললি কেনো?
–আচ্ছা সরি, এই যে কানে ধরছি। আর জীবনেও বলবো না।
–যদি আর কখনো মোটা বলিস, তাহলে আমি আরো বেশি বেশি খাবো, আরো বেশি বেশি মোটা হবো।
–বাপরে, আর জীবনেও বলবো না।
–মনে থাকে যেনো।
.
সামনের মাসেই মিষ্টি আর মামুনের বিয়ে ঠিক করা হয়।
তবে মিষ্টির বাবার কড়া আদেশ। বিয়ের আগে মামুনের সাথে একদম মেলামেশা করা যাবে না।
মিষ্টিও বাবাকে জমের মতো ভয় পায়। তাই আর মামুনের কাছে যেতে পারে না।
সারাদিন বাবা বাহিরে কাজে থাকে, সেই সময় মামুন ও কাজে থাকে।
রাতে যখন বাবা ফিরে আসে, মামুনও তখন বাড়ি ফিরে আসে।
আর ওই সময় বাবা ঘরে থাকায় মিষ্টি আর মামুনের দেখা হয় না।
তবে সারারাত দুজন মোবাইলে কথা বলেই কাটিয়ে দিতো।
এভাবেই ধীরেধীরে বিয়ের দিনগুলো আগাতে থাকে।
এর মাঝেই মিষ্টির নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করে।
পরিবর্তনটা কিসের, সেটা মিষ্টি ভালো ভাবেই বুঝতে পারে।
তাই একদিন নিজেই টেষ্ট কিট দিয়ে নিজেকে পরিক্ষা করে,
এবং সে বুঝতে পারে যে নতুন মেহমান আসতে চলেছে।
.
.
.
চলবে……..
.
লেখক :- #A_Al_Mamun