স্নিগ্ধ প্রেমের সম্মোহন পর্ব-৪৮

0
1053

#স্নিগ্ধ_প্রেমের_সম্মোহন
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
|পর্ব-৪৮|

নিস্তব্ধ দৃষ্টি! চারিপাশ থেকে ভেসে আসছে শত মানুষের কান্না। প্রিয়জন হারানোর ব্যাথায় কেও কেও লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। আবার কিছু মানুষ ব্যাস্ত তাদের প্রিয়জনের লাশ খুজতে। চোখে অশ্রুতে টলমল করছে!

কক্সবাজারে এসে আমরা যেই হোটেলে উঠেছি সেই হোটেলটা আপাতত লাশ দিয়ে ভরপুর। কারো সন্তান হারানোর বেদনা, কারো তো ভালোবাসার মানুষটি চলে যাওয়াতে আত্ন চিৎকার! হোটেলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাড়ি সাড়ি ভাবে লাশ সাজানো রয়েছে। এখানে মোট ১৫০ জনের লাশ তো হবেই। বাক্যহীন দৃষ্টি নিয়ে কাঁপা পায়ে এগিয়ে আসি সামনে। সঙ্গে সঙ্গে দুজন লোক এসে আমার সামনে দুইটা লাশ রেখে দেয়।

সাদা কাফনে মোড়ানো দুটি লাশের দিকে নিস্তব্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আমি। প্রিয়জন হারানোর তীব্র ব্যাথা আজ আমি চরম ভাবে অনুভূত করছি। শূন্য দৃষ্টি নিয়ে লাশ দুটোর দিকে তাকিয়ে। এমন কেনো হলো? একটু কি ভিন্ন হতে পারতো না?আল্লাহ কি আমায় নিয়ে গেলে পারতেন না? বুকে চাপ অনুভব হয়। হাটুগেড়ে মাটিতে বসে চিৎকার করে কেঁদে দেই! বাস্তবতা এতো কঠিন কেনো? লাশদুটো আর কারো নয় আমার দাদু এবং বড় ভাইয়ের মতো অন্য তম একজন ব্যাক্তি অরণ্য ভাইয়া।

কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে। তখনি পেছন থেকে অভ্র ভাইয়া দৌড়ে এসে ক্রন্দনরত কন্ঠে বললেন,

-‘ এভাবে কাঁদিস না দোল। অসুস্থ হয়ে পড়বি। চল এখান থেকে! পূর্ব রুমে একা। ‘

পূর্বের কথা মনে পড়তেই উঠে দাঁড়াই। পায়ে শক্তি আসছে না ঠিকমতো দাঁড়ানোর। অভ্র ভাইয়া তা বুঝতে পেরে আমার হাত ধরে কাঁধে হাত রেখে রুমে এগিয়ে দেন। রুমের কাছে এসে ভাইয়া বললেন,

-‘ পূর্বের খেয়াল রাখিস! আর নিজের প্রতিও, কান্না করিস না আর। আমি লাশ দাফনের ব্যাবস্থা করতে যাচ্ছি। ‘

অশ্রুসিক্ত নয়নে সায় জানাই। অভ্র ভাইয়া চোখের পানি মুছে দিয়ে চলে যান। তার চোখেও পানি জ্বলজ্বল করছে! এভাবে দাদু, অরণ্য ভাইয়া তাদের দুজনের হটাৎ চলে যাওয়া কেও মেনে নিতে পারছে না। দুহাত দিয়ে চোখ মুছে ভেতরে যাওয়ার জন্য উদ্যক্ত হই! পূর্বের কাছে গিয়ে কাঁদা যাবেনা। এতে তিনি আরো দূর্বল হয়ে পড়বেন। আমার থেকে শতগুনে বেশি কষ্ট তিনিই পাচ্ছেন হয়তো। দাদুর জন্য তার কষ্টটা কম হলেও অরণ্য ভাইয়ার জন্য সেই কষ্ট দ্বিগুণ হবে। দাদুকে আগে কখনো দেখা বা স্নেহ পাননি তিনি! কিন্তু অরণ্য ভাইয়া? সে তো তার শ্বাস ছিলো।

গভীর শ্বাস নিয়ে রুমে প্রবেশ করি। নিঃশব্দে দরজা লাগিয়ে এগিয়ে যাই ভেতরে। বেডরুমে যেতেই স্পষ্টমান হয় পূর্বের চেহারা। ক্লান্তি, কষ্ট নেমে এসেছে তার চেহারায়! মাথায় ব্যান্ডেজ, পায়ে এবং হাতের কনুই তেও ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। মিশনে থাকাকালীন আঘাত পেয়েছে! ডাক্তার আপাতত তাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে গেছেন যার ফলে তিনি এখন ঘুমে বিভোর!

পা টিপেটিপে তার পাশে গিয়ে বসি। হাত গলিয়ে দেই তার ঘন কালো চুলে। চোখদুটো আজ বাঁধা মানছে না। টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুজল। কিছু সময় আগের কথা মনে করি!

সেই সময়টায় টিভিতে নিউজে দেখাচ্ছিলো,

-‘ অবশেষে বাংলাদেশ সরকারের হাতে ধরা পড়ে টেররিজম এর পুরো টিম। পুরো বিশ্ব আজ বাংলাদেশের প্রশংসায় মত্ত! এই মিশনে বিডির আর্মি খুব বড় একটা হেল্প করেছে। গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র অফিসার ফাজসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। নিহত হয়েছেন অনেকে, তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক আর্মি অফিসার জায়িন আকবর এবং গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র অফিসার এর সহকারী অরণ্য রহমান। তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী! ‘

এতটুকু শুনেই সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছিলো আমার। পূর্ব কোথায় গিয়েছে?ফোন কেনো রিসিভ করছেনা? লাষ্টের কথাটা কেনো বলেছিলো? সব ক্লিয়ার হয়ে যায়। তবে তৎক্ষনাৎ দাদু আর অরণ্য ভাইয়ার মৃত্যু আমি নিতে পারিনি। হার্ট দূর্বল থাকায় সাথেসাথে অঙ্গান হয়ে গিয়েছিলাম। অতঃপর জ্ঞান আসার পর অভ্র ভাইয়া বললেন পূর্ব এখন হোটেলে আছে চাইলে দেখা করতে পারি। কিন্তু তখন আমার মন ছিলো দাদু আর অরণ্য ভাইয়ার ওপর। তাদের লাশ হলেও এক নজর দেখার জন্য ছটফট করছিলাম। অভ্র ভাইয়া শেষে আমায় বুঝিয়ে না পেরে নিয়ে আসেন গ্রাউন্ড ফ্লোরে! চোখের সামনে আমার দৃশ্যমান হয় শত লাশ।

.

অতীতে বিচরণ কালীন গালে কারো স্পর্শ অনুভব হয়। মাথা নিচু করে দৃষ্টি পূর্বের দিকে দিতেই দেখি সে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন। কাঁপা কন্ঠে বললেন,

-‘ জানিস স্নিগ্ধপরী, আমার মিশনে থাকাকালীন মনে হয়নি তোকে আবার দেখতে পারবো। স্পর্শ করতে পারবো। কিন্তু ভাগ্যের জোরে আজ আমি তোর কাছে! কিন্তু… কিন্তু আমাকে বাঁচাতে গিয়ে অ..অরন্য মারা গেলো। ‘

কান্নারত কন্ঠে তিনি বললেন শেষের কথাটি। আমি মলিন চাহনি দিয়ে তাকিয়ে আছি তার দিকে। লম্বা শ্বাস টেনে নিজেকে স্থির করে বলি,

-‘ কাঁদবেন না প্লিজ। যার হায়াত যতদিন পর্যন্ত আছে সে ততদিন পর্যন্তই বেঁচে থাকবে। আল্লাহ তায়াল যার মৃত্যু যেভাবে লিখে রেখেছেন সেভাবেই তার মৃত্যু ঘটবে! এটা ঠেকানো কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আ…আপনি ঠিক আছেন?মাথায় ব্যাথা করছে নাতো? ‘

পূর্ব ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে ‘ না ‘ বললেন। তার সুস্থ হাতটা দিয়ে আমায় টেনে এনে নিজের বুকে শুইয়ে দেন। দুদিন পর তার স্পর্শ পেয়ে চুপচাপ গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকি তার বুকে। পূর্ব তার একহাত আমার মাথায় রাখলেন। অন্যহাত পিঠে রেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন! তার চেহারা না দেখলেও স্পষ্ট অনুমান করতে পারছি সে কাঁদছেন! তার কান্না যাতে না দেখি তারজন্যই বুকে টেনে নিয়েছেন। লোকটা নিজের চোখের অশ্রু কাওকে দেখাতে চায়না।

আমি চুপ হয়ে থাকি! তাকে তার মতো থাকতে দেই। কিছু সময় নীরবতা পালন করা অতীব জরুরি। কিছু নীরবতা মনে টেনে আনে অগাধ শান্তি। অতীতের বিষাক্ত ছোবল হতে নিজেকে দূরে সরিয়ে আনে।
_________________________

কেটে গিয়েছে একটি সপ্তাহ । কক্সবাজারে নেই আমরা। ঢাকায় এসেছি দুইদিন। সবাইকে সবার লাশ বুঝিয়ে দিয়ে এখানে আসা! অরণ্য ভাইয়া এবং দাদুকে কবর দেয়া হয়েছে পাঁচটা দিন পার হলো। আবরার মঞ্জিল এখন শান্ত। নিস্তব্ধতা এঁটে সেঁটে আছে এখানে! কেও পারছেনা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। এদিকে কালরাতে আমাদের টরেন্টো যাওয়ার ফ্লাইট! বহু দেরী হয়ে গিয়েছে। ঐদিকে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে আমার। মেডিকেল কলেজ থেকে ফোন এসেছিলো পূর্ব বাহানা দিয়ে সামাল দিয়েছে।

কিন্তু সায়ান ভাইয়ার আর্জেন্ট ছিলো তাই তিনি টরেন্টো চলে গিয়েছেন। এখন শুধু আমরা চারজন বাকি। তবে এ পরিস্থিতি তে কিভাবে যাবো?আল্লাহ মালুম! বাসার সবার মন খারাপ।স্পেশালির বাবার। একদম নিশ্চুপ হয়ে গেছেন তিনি।

হাতের বইটা টেবিলে রেখে লম্বা শ্বাস টেনে নিই। ভালো লাগছে না কিছু। সবকিছু বিষাদে ছায়া। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর পর কারো পায়ের শব্দ কর্ণকুহরে ভেসে আসে। কৌতূহল নিয়ে দরজার দিকে তাকাতেই দৃশ্যমান হয় পূর্বের মুখ! স্নান হেসে তিনি আমার কাছে এসে দাঁড়ান। আমার দুবাহু ধরে টেনে তার কাছে নিয়ে সর্বমুখে চুমু খেয়ে ধীর কন্ঠে বললেন,

-‘ ফ্রেশ হয়ে আসছি! ‘

বলেই চলে যান কাবার্ড এর কাছে। এক সেট কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পূর্বের নিত্যদিনের কাজ এটা। বাহির থেকে এসে পুরো মুখজুড়ে চুমু খেয়ে অতঃপর সে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করবেন!

ওয়াশরুমের দিকে একবার দৃষ্টি দিয়ে চলে যাই রুমের বাহিরে। সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসে কিচেনে চলে আসি। পূর্বের জন্য এক মগ কফি বানাতে। তিনি মুখে না বললেও তার যে এটা প্রয়োজন তা ক্ষনেই বুঝতে পেরেছি। চটপট কফি বানানো শেষে রুমে এসে দেখি পূর্ব একহাত ফোন স্ক্রল করছে অন্যহাত দিয়ে ভেজা চুলগুলো টাওয়াল দিয়ে আলত হাতে মুছছেন!

ধোঁয়া উড়ন্ত কফি মগটা নিয়ে তার সামনে এগিয়ে যাই। পূর্ব ফোন হতে দৃষ্টি সরিয়ে আমার দিকে তাকান। হাতের ফোনটা ছুড়ে মারেন বেডের মাঝখানে। তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন,

-‘ আবার কিচেনে গিয়েছিলি?’

-‘ হু একটু! ‘

-‘ নিষেধ করেছিলাম না?তবুও…’

পূর্বকে থামিয়ে দিয়ে ঠোঁট উল্টে বলি,

-‘ আরেহ্, একটুই তো গিয়েছিলাম জাষ্ট টেন মিনিটের জন্য। ‘

কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে পূর্ব আমার হাত থেকে কফি মগটা নিয়ে বেড সাইড টেবিলে রেখে দিলেন। হাতদুটো টেনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। বুঝতে বাকি রইলে না তিনি কি দেখছেন? আমি তপ্তশ্বাস ছেড়ে বলি,

-‘ আমার কোথাও লাগেনি পূর্ব। অল্প কিছু সময়ের জন্য কিচেনে গিয়েছিলাম। ‘

পূর্ব হাতদুটো ছেড়ে দেন। শক্ত কন্ঠে বললেন,

-‘ ফারদার যেনো না দেখি কিচেনে যেতে গট ইট?’

ইশারায় হ্যা বলতে পূর্ব বেডে গিয়ে বসেন। আমার হাত ধরে টেনে এনে কোমড় জরীয়ে ধরেন। টাওয়াল এগিয়ে দিয়ে ইশারা করেন কিছু। ক্ষনেই বুঝে যাই কি বলতে চাইছেন তিনি। বিনাবাক্যে তার হাত থেকে টাওয়াল নিয়ে আলত স্পর্শে পূর্বের অর্ধভেজা চুলগুলোকে মুছে দেই।

কাজ সমাপ্ত হলে তিনি কোমড় চেপে আমায় তার কোলে বসিয়ে দেন। চোখে দৃষ্টি দিয়ে বললেন,

-‘ সবকিছু গুছিয়ে নে! কাল কানাডা ব্যাক করছি আমরা। ‘

আমি খানিকটা ইতস্তত বোধ করে বলি,

-‘ আরেকটু পরে গেলে হয়না?চাচা চাচি, মামনি বাবা আম্মু সবার তো এখন মন খারাপ খুব আমরা চলে গেলে তো আরো কষ্ট পাবেন! ‘

পূর্ব মৃদু হাসলেন। হাসির কারণটা আমার বোধগম্য হলোনা। আমি কৌতূহল ভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করি,

-‘হাসছেন যে?’

-‘ আরেকটু পরে যাওয়ার দরকার নেই। বাবা মা বা কারোরই কষ্ট হবেনা কজ ওর সবাই-ই আমাদের সাথে যাচ্ছে এবার। ‘

বিষ্নয়ে ঠোঁটদুটো আপন শক্তিতে আলাদা হয়ে যায়। আমি কাঁপা কন্ঠে বলি,

-‘ স…সত্যি? ‘

পূর্ব ইশারা করে হ্যা বলি। খুশিতে গদগদ হয়ে জরীয়ে ধরি তাকে। যাক অবশেষে, ঐ ভিনদেশে বাবা মা কেমন আছে?চাচা চাচি কি করছে? কষ্ট পাচ্ছে নাকি তারা?এসব ভাবতে হবেনা। তার গেলে আর শূন্যতা বা খারাপ লাগাটা পুনরায় কাজ করবে না। প্রতিদিন আম্মুর ক্রন্দনরত কন্ঠ শুনে মন খারাপ করতে হবে না। সবকিছু ভাবতেই কেমন প্রশান্তি অনুভূত হচ্ছে! শত কষ্টের মাঝেও ভালোলাগা এলো।

.

রাতের বেলা ডাইনিং টেবিলে বসে সবাই কথার মাঝে ব্যাস্ত। কানাডা যাওয়া নিয়েই কথা হচ্ছে সবার মাঝে। তৎক্ষনাৎ আম্মু বলল,

-‘ যাক এবার বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবেনা। ভাবতেই ভালো লাগছে। ওরা দূরে থাকলে মনে হয় দুনিয়াটা মিথ্যা! ‘

মামনি সায় জানায়। মিষ্টি হেসে বলল,

-‘ সেটাই। আর বাংলাদেশে থেকেই বা কি করবো এখন?ফ্যাক্টরি তো আর নেই। নিলামে তো বিক্রি করে দিলো। ওদের কাছে থাকলেই এখন ভালো থাকবো আমরা। বাবা মায়ের সব শান্তি তো সন্তানের কাছেই। ‘

আরো টুকটাক কথা চলতে থাকে সবার মাঝে। আগের আবরার মঞ্জিলের সতেজতা টা যেনো তিলে তিলে ফিরে আসছে! সবার হাস্যমুখের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে মুচকি হাসি দিয়ে খাবারে মনোযোগ দেই। রক্তের সম্পর্ক ছাড়া কিভাবে এতোটা ক্লোজ হওয়া যায়? তার স্পষ্ট প্রমান বাবা, বড় চাচু আর মেঝ চাচুর ফ্রেন্ডশিপ দেখেই বোঝা যায়।

.

আম্মুর সাথে ঘন্টাখানেক কথা বলে রুমে আসি। রুমটা পুরো অন্ধকারে ছেয়ে আছে! তবে ডিম লাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পেলাম বেলকনিতে কেও! নিশ্চিত পূর্ব। বড় বড় পা ফেলে সেখানে চলে যাই। পূর্বের পেছনে দাঁড়িয়ে ক্ষীণ সুরে বলি,

-‘ পূর্ব? ‘

তৎক্ষনাৎ পেছনে ঘুরে তাকান তিনি। কুচকুচে কালো আকাশের দিকে গভীর দৃষ্টি ছিলো তার এতক্ষণ যাবৎ! আমাকে দেখা মাত্রই এগিয়ে আসেন। গালে হাত দিয়ে বললেন,

-‘ কই ছিলি?’

-‘ আম্মুর রুমে! আপনি এখানে কি করছেন?’

-‘ কিছুনা। চল ঘুমাবো। ‘

বলতে বলতেই কোলে তুলে নেন। দ্বিতীয় বার কিছু বলার সুযোগটা দিলেন না। বেডে এনে শুইয়ে দিয়ে অপজিট পাশে তিনি শুয়ে পড়লেন। আষ্ঠেপৃষ্ঠে জরীয়ে ধরে গালে গভীর চুমু দিয়ে মিহি কন্ঠে বললেন,

-‘ ঘুমিয়ে পড়। ‘

চলবে……

_____________________________

[গঠনমূলক মন্তব্যের আশা রাখছি। যারা পড়ছেন তারা সবাই রেসপন্স করার চেষ্টা করবেন। 😊]