স্নিগ্ধ প্রেমের সম্মোহন পর্ব-৫১

0
1041

#স্নিগ্ধ_প্রেমের_সম্মোহন
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
|পর্ব-৫১|

প্রথম মা হওয়ার অনুভূতির মতো সুখময় অনুভূতি আর একটাও নেই বোধহয়। কলেজ থেকে বাসায় এসে একাধারে ভেবে যাচ্ছি পূর্বকে কিভাবে বলবো কথাটি?তবে মাথায় তেমন কিছুই আসছে না। ভাবনা মগ্নকালে খচখচ শব্দ করে রুমে প্রবেশ করে অরিন! ওকে দেখে মুচকি হাসি দিতেই অরিন ভ্রু কুঁচকে বলল,

-‘ কাহিনি কি দোল?তুই হাসতেছিস ক্যান হুদ্দা?’

আমি ফের হাসি দিয়ে বলি,

-‘ বহু বড় কাহিনি আছে দোস্ত, শুনলে তুই এখনি নাচা শুরু করবি! ‘

-‘ তো এখন চুপ কেনো?জলদি বল।কি হইছে?’
ভরাট কৌতূহল কন্ঠে বলল অরিন!

আমি দীর্ঘশ্বাস টেনে মিহি কন্ঠে বলি,

-‘ আমি প্রেগনেন্ট অরিন, ‘

স্তব্ধ চাহনিতে কিছু সময় যাবৎ অরিন আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। পরিশেষে আমার কাছে এসে শক্ত করে জরীয়ে ধরে ও। আবেগি হয়ে বলল,

-‘ আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! তার মানে আমাদের দোলপাখির ও ছোট্ট প্রিন্স নয়তো প্রিন্সেস আসবে তাইনা?’

-‘ ইনশাল্লাহ। ‘

অরিন খুশিতে গমগম হয়ে কিছুক্ষন বকবক করলো। অতঃপর আমার দিকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে ও বলল,

-‘ তুই কি কিছু চিন্তা করতেছিস? মুখ এমন চিন্তিত কেনো?’

আমি নড়েচড়ে বসে বলি,

-‘ অরিন?এই প্রেগন্যান্সির কথাটা পূর্বকে কিভাবে বলবো বুঝতে পারছি না! ‘

অরিন ভাবুক হয়ে বলল,

-‘ আমি তো অভ্রকে এমনেই জানার সাথে সাথে ফোন দিয়ে বলেছিলাম। বাট তুই এমনে বললে চলবে না! লাভ বার্ড’স তোরা। পূর্ব ভাই তোর জন্য কত কিছু করছে। সবকিছুতে স্পেশাল রাখছে। সো, তার জন্য কিছু স্পেশাল করা জরুরি! প্রথম বাবা হচ্ছে এটা যেনো সে একটু আলাদা ভাবে জানতে পারে। ‘

-‘ এক্সাক্টলি! এটাই বলতে চাচ্ছিলাম আরকি… বল না?কি করবো?’

অরিন ভাবান্তর হয়ে পড়লো। এক সময় প্রফুল্ল হয়ে বলল,

-‘ আরেহ্ দোস্ত পরশু যে পূর্ব ভাইয়ার বার্থডে জানিস?’

-‘ না। ‘
আমি নিচু কন্ঠে বলি।

অরিন আমার কাঁধে হাত দিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল,

-‘ ব্যাপার না। মেডিকেল এর প্যারা আমি বুঝি না পড়লেও। তুই পড়া সামলাবি নাকি এসব মনে রাখবি? আচ্ছা যাইহোক এখন আসল কথা বলি। তুই পূর্ব ভাইয়ার বার্থডের দিন বলবি। এটা ভাইয়ের জীবনে সবচেয়ে বেষ্ট বার্থডে গিফট হিসেবে থাকবে! তোদের মিনি ছাঁদটায় ডেকোরেশন করে দিবোনে। ‘

আমি প্রশান্তির শ্বাস ফেলে বলি,

-‘ এটাই ভাবছিলাম! আচ্ছা এটাই ফাইনাল?’

-‘ হু ‘

অরিনের সাথে কিছু কথা বলে পড়তে বসে পড়ি। পূর্ব বাসায় নেই! আজ আসতে তার রাত হবে অনেক তাই বারংবার বলে দিয়েছে আমি যাতে তার অপেক্ষা না করে ঘুমিয়ে পড়ি পড়াশোনা শেষ করে।

গালে হাত দিয়ে অশ্রুপূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে আদ্রাফ তাকিয়ে আছে জান্নাতের দিকে। রাগে ফোসফাস করছে জান্নাত! আদ্রাফকে আরো চার পাঁচটা থাপ্পড় মেরে গাল লাল করে দিতে পারলে তার শান্তি হতো। খুব বেশি শান্তি!

জান্নাত হুংকার ছেড়ে বলল,

-‘ এই তোর সাহস কি করে হয় রে? বিয়ে করবিনা বলার? আমার থেকে কথা লুকাস। সামান্য টাকার সমস্যা বলে তুই আমায় বিয়ে করবিনা? তিন বছরের ভালোবাসা পায়ে ঠেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলি?বুক কাঁপলো না?একবার ভাবোনি আমার কি হবে আদ্রাফ?তোমার জন্য আমি আমার পরিবার ছেড়ে এই কানাডায় এসেছি। এটার কি কোনো মূল্য নেই?সামান্য টাকার জন্য বলছো সম্পর্ক ভাঙ্গতে? টাকা আজ নেই কাল আসবে। এটাই নিয়ম! পরিশ্রম করলে সব হয়। আমরা দুজন নাহয় বিয়ের পর ছোটখাটো জব করলাম। টাকা না থাকাকালীন প্রথম প্রথম হয়তো একটু কষ্ট হবে তবে দুজন মিলে সঠিকভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করলেই হয়ে যাবে তো…’

শেষের কথাগুলো শান্ত হয়ে ধরা কন্ঠে বলল জান্নাত। আদ্রাফের বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো! এই মেয়েটা এতো ভালো কেনো? ভুল মানুষকে ভালো বাসেনি সে ভাবতেই এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে ঠোঁটের কোনায় আদ্রাফের!

হাসি দেখে ফের রেগে যায় জান্নাত। রাগান্বিত কন্ঠে বলল,

-‘ এই ছেলে?হাসছিস আবার, আমি কোনো হাসার কথা বলছি কুত্তা?’

আদ্রাফ এবার আদুরে কন্ঠে বলল,

-‘ ছিহ! জান, জামাইকে কেও কুত্তা বলে? তওবা করো। ‘

জান্নাত কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে বলল,

-‘ তারমানে তুই বিয়েতে রাজি?’

আদ্রাফ এগিয়ে এসে জান্নাতকে শক্ত করে জরীয়ে ধরে বাহুডোরে আগলে নেয়। শীতল কন্ঠে বলে,

-‘ অবশ্যই রাজি! আমারই ভুল। আর পাঁচটা মেয়ের মতো তোমায় ভেবেছিলাম। এখনকার কিছু মেয়েদের মনে ভালোবাসা নেই। টাকা আছে তো তারা আছে নয়তো টাকা নেই দূরে চলে যায়! আগে আমার টাকা ছিলো, বিত্তশালী ছিলাম! কিন্তু মামারা যে এভাবে ঠকিয়ে বাবার দুইটা বাড়ি তাদের নামে লিখে নিবে ভাবনাতেই আসেনি। তারা এভাবে ধোঁকা কেনো দিলো? ‘

জান্নাতকে আদ্রাফ আর পাঁচটা মেয়ের মতো তুলনা করায় প্রথমে সে ভেবেছিলো আদ্রাফকে কড়া কয়েকটা গালি দিবে অতঃপর চারটা থাপ্পড়, ঘুসি তবে তা আর হলোনা। আদ্রাফের উদাস মুখ দেখে মন খারাপ হয়ে যায় তার।

জান্নাত নরম কন্ঠে বলল,

-‘ মন খারাপ করোনা। সবাই তো আর এক না। কাল সাপ আছে আমাদের আশেপাশেই আপনজন হয়ে তবে আমরা তাদের চিনতে পারিনা যার ফলস্বরূপ এক নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের এই আঘাত ভোগ করতে হয়! সবাই তো আর সুখ লাভ করেনা। তাছাড়া আমি আছি না?প্রতি কদমে আমি তোমার সাথ দেবো। ভরসা রাখো… ভালোবাসি আদ্রাফ!’

আদ্রাফ শক্ত করে জান্নাতের মাথা চেপে ধরে নিজের বক্ষ পিঞ্জরায়! ফিসফিস করে জান্নাতের কানের কাছে গিয়ে বলল,

-‘ ভালোবাসি আমিও ক্রাশিত কন্যা! ‘

ভ্রু কুঁচকে যায় জান্নাতের। সে চোখমুখ কুঁচকে বলল,

-‘ এই ক্রাশিত কন্যাটা আবার কে?’

-‘ কেনো তুমি!’

-‘ কেমনে কি?’

-‘ দিনে যেই পরিমাণে ক্রাশ খাও সেই অনুসারে এই নামটা তোমার জন্য একদম ফিট! ‘

জান্নাত দাঁত বের করে হেঁসে বলল,

-‘ যার ওপরই ক্রাশ খাইনা কেনো ঐটা তো ক্ষনিকের। আমার মন তো তোমাকে দেয়া! ‘

রাতের বেলা মিনি ছাঁদটায় এসে চুপচাপ একটা খরগোশ কোলে নিয়ে বসে আছি। রাত প্রায় এখন দুইটা। পূর্বের আসার নাম গন্ধ পর্যন্ত নেই এখন পর্যন্ত ও! রাগ লাগছে তো আবার কান্না পাচ্ছে উদ্ভট চিন্তা করে। প্রেগ্ন্যাসির সময় এতো তাড়াতাড়ি মুড সুইং হয় নিজেই ধরতে পারিনা!

গাড়ির হর্ণ শুনে কোল থেকে খরগোশ নামিয়ে ছাঁদের কর্ণারে চলে যাই। আঁধারের মাঝে চাঁদের সহ বিভিন্ন লাইটের আলোয় স্পষ্টরূপে দেখা যাচ্ছে পূর্বকে। সে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে গার্ডকে ইশারা করলেন গাড়ি সঠিক জায়গায় পার্ক করতে! অতঃপর চুলে হাত গলিয়ে দ্রুত পায়ে বাসার ভেতর প্রবেশ করেন।

আম চট- জলদি নেমে যাই ছাঁদ থেকে। রাগ লাগছে প্রচুর! কেনো লাগছে জানা নেই?তবে এই রাগ পূর্বের ওপর না ছাড়তে পারলে শান্তি হবেনা আমার তা আপাদত নিশ্চিত।

রুমে এসে লাইট না জ্বালিয়ে কাউচে পা তুলে বসে রইলাম! এক গুচ্ছো চুল পড়ে রয়েছে মুখ সম্মুখে। তা পিছে ঠেলে দেয়ার মতো ধৈর্য পর্যন্ত আমার নেই। পায়ের পদধ্বনির শব্দ খুব জোরালো ভাবে শোনায় বুঝতে বাকি নেই পূর্ব রুমের কাছেই! রুমে প্রবেশ করে নিঃশব্দে দরজা লাগিয়ে হাতের ব্লেজার টা সে সোফায় ছুড়ে মারে! বেডের কাছে এগিয়ে গিয়ে বেড খালি দেখে তিনি কিছুটা চিন্তত হলেন মনে হলো! তৎক্ষনাৎ রুমের লাইট অন করে দেই আমি।

পূর্ব পিছু ঘুরে তাকায় তৎক্ষনাৎ! তিনি ভড়কে গিয়ে বললেন,

-‘ ঘুমাসনি এখনো?’

আমি তড়িৎ বেগে এগিয়ে গিয়ে তার কলার চেপে ধরি। হতভম্ব হয়ে পূর্ব আমার দিকে তাকিয়ে আছেন! আমি রূঢ় কন্ঠে বলি,

-‘ এতো রাত কেনো হলো আসতে?কার সাথে ইটিশ পিটিশ করছিলেন আপনি?’

পূর্ব হতবিহ্বল হয়ে পড়লো! আমার কথার আগামাথা বুঝতে পারছে না তাই তার চেহারার ভাব আমায় বুঝিয়ে দিলো।

পূর্ব হতভম্ব হয়ে বললেন,

-‘ কি বলছিস এসব?ইটিশ পিটিশ মানে কি? রাত হয়েছে কজ বলেই তো দিয়েছিলাম আজ মিটিং আছে। নতুন ডিল এর ফাইল রেডি করার ছিলো!’

-‘ ইটিশ পিটিশ মানে মেয়েদের সাথে প্রেম, বুঝলেন?আপনি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছেন পূর্ব। ‘

মুখ গোমড়া করে এসে বেডে শুয়ে পড়ি! আমার এই রাগটা যে ভিত্তিহীন তা আমি নিজেও জানি। হুটহাট কেনো রাগতে ইচ্ছে হলো জানা নেই? প্রেগন্যান্সির সময় এমন উদ্ভট বিভেব হয়? পূর্বকে অযথা কথা বলে খারাপ লাগছে তবে তার কাছে গিয়ে সরি বলার ইচ্ছেটাও নেই। সময় ব্যাবধানে লাইট অফ হয়ে যায়। হটাৎ অনুভূত হয় কেও আমায় পেছন থেকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জরীয়ে ধরেছে! পূর্ব আমায় ঝাপটে ধরে শুয়ে আমার গালের সাথে নিজের গালের সংস্পর্শ করান! মিহি কন্ঠে বললেন,

-‘ সরি স্নিগ্ধপরী! আর এমন হবেনা প্রমিস। লেট হলেও তোকে নিয়ে অফিসে বসে থাকবো। দরকার পড়লে তোকে কোলে বসিয়ে কাজ করবো তবুও তোকে ছাড়া এতো রাত বাহিরে কাটাবো না! আজকের জন্য মাফ করে দে?প্লিজ? এদিকে তাকা একটু, ‘

আমি আমার একহাত পূর্বের হাতের ওপর রেখে মলিন কন্ঠ বলি,

-‘ আ’ম সরি! এভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিত হয়নি। খেয়ে এসেছেন?’

-‘ হ্যা। এবার এদিকে তাকা একটু, সরি কেনো বলছিস পাঁজি? দোষ আমার! এতো রাত পর্যন্ত তোকে একা রাখা উচিত হয়নি। ‘

ঘাড় ঘুরিয়ে পূর্বের দিকে তাকাতেই তিনি আমার কপালে গভীর একটা চুমু দিলেন। আমি গুটিশুটি মেরে তার বুকে শুয়ে পড়তেই তিনি তার একহাত আমার চুলে গলিয়ে দেন! আস্তে ধীরে ঘুমের অতল সাগরে হারিয়ে যাই। চারিদিকের খেয়ালটা আপাতত ব্রেনে নেই!
___________________________

-‘ আপনি বাবা হতে চলেছেন পূর্ব… ‘

পূর্বের ডান হাতটা নিজের পেটের ওপর রেখে অতীব ধীর কন্ঠে কথাটি বলে ফেলি আমি! স্পষ্ট খেয়াল হয় পূর্বের হাতটা কাঁপছে। চরম বিষ্ময় এবং অবাক দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে আছে আমার দিকে! এক চিলতে মুচকি হাসি দেই।

কিছু সময় আগেই পুরো পরিবার মিলে পূর্বের বার্থডে পালন করা শেষ করেছে। অতঃপর তাকে একা পেতেই মিনি ছাঁদটায় নিয়ে আসি। এখানে নিজ হাতে ডেকোরেশন করেছি পুরো ছাঁদটা। পূর্ব এসব দেখে হতভম্ব ছিলো অনেকটা!

গভীর দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছি পূর্বের দিকে। তিনি হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন আমার সামনে। পেটে মাথা রেখে শীতল কন্ঠে বললেন,

-‘এসে গিয়েছে সে?ওয়েলকাম বাবাই…’

পূর্বের কন্ঠনালি কাঁপছে তা স্পষ্টরূপে অনুমান করছি আমি। নিজের একহাত পরম মমতায় পূর্বের মাথার ওপর রাখি! পূর্ব পেটে গভীর চুমু খেয়ে উঠে দাঁড়ালেন। হাত ধরে পাশের চেয়ারে বসিয়ে শীতল কন্ঠে বললেন,

-‘ তোকে বাচ্চা নিতে নিষেধ করেছিলাম বারবার! কিন্তু এখন, এখন মনে হচ্ছে একদম আলাদা! বাবা হওয়ার মতো সুখের অনুভূতি পৃথিবীতে আর কিছু আছে বলে মনে হয়না। আমার পুরো জীবনে সবথেকে দুটো জিনিস আজীবন মনে গেঁথে থাকবে। প্রথমত স্নিগ্ধপরীকে সম্পূর্ণ নিজের করে পাওয়ার অনুভূতি দ্বিতীয়ত বাবা হওয়ার অনুভূতি। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত এই মূর্হতটাকে পূর্ণরূপে আমি মনে রাখবো। ভালোবাসি স্নিগ্ধপরী! সবকিছু তোর জন্য। সব প্রাপ্তি, সব সুখ তোরা কারণে প্রাপ্য! ‘

আমি আলত হেঁসে বলি,

-‘ আমার সব সুখ আপনাকে ঘিরেই। জীবনের আসল, সৌন্দর্য আনন্দ আপনার কারণেই দেখতে পেয়েছি! ভালোবাসা নামক এক মহা সুন্দর অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়েছি। ‘

-‘ এখন থেকে তোর সবকাজ করা বন্ধ। কিচেনে যাওয়া তো পুরোপুরো ভাবে নিষেধ। কলেজে দুজন লেডি গার্ড থাকবে সর্বদা তোর সাথে! বাসায় আমি সহ পুরো ফ্যামিলি আছে। বাসায় থাকাকালীন বেড থেকে নামবিনা একদম! খাওয়ার পরিমাণ আগের থেকে দ্বিগুণ বাড়াতে হবে। যেই পরিমাণে খাস, ঐটাতে একটা ঈদুরের ও পেট ভরবে কিনা সন্দেহ! রাত জেগে পড়াশোনা বন্ধ। ‘

আমি উদাস কন্ঠে বলি,

-‘ আর কিছু? ‘

পূর্ব কিছুটা ভাবুক হয়ে বললেন,

-‘ভেবে দেখতে হবে!’

আমি মুখ কাচুমাচু করে বলি,

-‘ এসব ফলো করলে আমি পাগল হয়ে যাবো। ঘরে বসে কতক্ষণ থাকা যায়?’

-‘ তারজন্য আমি আছি। ‘

-‘ আমি আপনার সব কথা মানবো তবে আমার একটা বিশেষ কথা। বিশেষ অনুরোধ আপনাকে মানতে হবে! ‘

-‘ কি বিশেষ অনুরোধ?’
ভ্রু কুঁচকে বললেন তিনি।

আমি লম্বা শ্বাস টেনে বলি,

-‘……

চলবে…