#হৃদমাঝারে_শুধুই_তুই
#লেখনীতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্ব-৭
ঘড়িতে রাত এগারোটা।চোখের ঘুম উড়ে গেছে আমার।আজকের রাতটা আমার জন্য খুবই ইম্পরটেন্ট।যে করেই হোক এখানকার কাজগুলো মিটিয়ে ফেলতে হবে।আব্বু ফোন করেছিলেন।তিনদিন পরই ঢাকা ফেরার কথা বলেছেন।আমি আর নিতে পারছি না।এখান থেকে নাগরশাল ক্যামেরাতে না পোরা অবদি শান্তি নেই আমার।বাসায় টিকতে পারবো না।সবকিছু অসহ্য লাগবে এটা ভেবে যে এতো সিক্রেট আর স্পেশাল জিনিস আমি দেখিনি।হাতে সময়ও কম।তাই সবটা আজ রাতেই করে ফেলার প্লান কষেছি।
বিকেলে শিমুল বাসায় এসেছিলো।সবটা বুঝিয়ে দিয়েছি ওকে।একটু ভয় পেয়েছিলো,তবে মানিয়ে নিয়েছি।এবার প্লানমতো সবটা করতে হবে শুধু ব্যস।রাতের খাবার খেয়েই সবাই যে যার রুমে।আমিও ঘাপটি মেরে আছি সবার ঘুমোনোর অপেক্ষায়।এগারোটা বাজতেই ড্রয়ার থেকে মিনি টর্চটা নিয়ে চুপচাপ রুম থেকে বেরোলাম।পা টিপে কিচেন থেকে ছুড়িটা ফ্রেমসহ জুতার ভিতর ঢুকিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।যেহেতু সিক্রেট মিশন,চেন্জ না করে যা পরে ছিলাম তাই পরেই বেরিয়েছি।নীল সাদার মিক্সড্ কালারের গোলজামা,চুড়িদার।
আমার টর্চটা জ্বালাইনি এখনো।ছোট ছোট ঘরগুলোর কোনো কোনোটাতে এখনো কুপি জ্বলছে তাই রাস্তাটা কিছুটা দেখা যাচ্ছে।শিমুলদের বাড়ি পৌছে আলো দেখলাম না।তারমানে ওর বাবা ঘুমিয়েছে।দরজায় টোকা দিতেই শিমুল দরজা খুলে দিলো।বাইরে বেরোতেই ফিসফিসিয়ে বললাম,
-তোর বাবা?
-ঘুম।
-গ্রেট!সবকিছু এনেছিস?
-তু দেখেটো লে।
আমি ওর হাত থেকে জিনিসগুলো পরখ করতে লাগলাম।শিমুল কাপাকাপা গলায় বললো,
-ই্ ইসব জ্ জুরুরি টো আছেক?
এগুলো দেখতে দেখতেই বললাম,
-হুম।
আর কথা বাড়ালো না ও।আমরা হাটতে হাটতে আরমানদের তাবুর পিছনে দাড়ালাম।এই জায়গাটায় শুধু দুটোই গাছ।তাছাড়া বেশ অনেকটাই ফাকা জায়গা।পাহাড়ের একটু আড়ালে জায়গাটা।আগের দিনই সবটা দেখে গেছিলাম আমি।তাবুতে আলো নেই।আমি আমার হাতের টর্চটাও নিভিয়ে দিলাম।হাতে থাকা দড়িতে বাধা নুপুর চারটের দড়ির একমাথা শিমুলের হাতে ধরিয়ে ওকে তাবু থেকে উল্টোপাশের এক ঝোপের আড়ালে দাড় করালাম।বললাম,
-এখানেই ধরে থাক এগুলো।আমি যখন টর্চের আলো নাড়াবো,এগুলো ধরে টান মারবি,নাড়াতে থাকবি।বুঝেছিস?
ও কাদোকাদোভাবে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বুঝালো।আমি ওর ঘাড়ে হাত রেখে বললাম,
-শেষবারের মতো হেল্প কর!আমিতো চলেই যাবো।তারপর আর কেউ জ্বালাবে না তোকে।আমার ক্যামেরাটা লাগবে,আর নাগরশাল দেখাও।
ও আবারো ঘাড় দুলালো।আমি ধীর পায়ে চারটে নুপুর দড়িসহ চারটে নিচু গাছের ডালে ঝুলিয়ে বেধে দিলাম।তারপর আস্তে আস্তে গিয়ে আরমানদের তাবুর পিছনে গিয়ে দাড়ালাম।টর্চের আলো ফেললাম যেদিকে শিমুল দাড়িয়েছিলো।ও কথামতো দড়ি নাড়াতে লাগলো আর নুপুরের শব্দ কানে আসলো আমার।বেশ ভালোমতোই শোনা যাচ্ছে।এবার শুধু অপেক্ষার পালা!
গভীর রাতে নুপুরের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আদিবের।রাতটা কতো তা দেখতে মোবাইল তুলে দেখে রাত সাড়ে এগারোটা।নুপুরের স্পষ্ট আওয়াজ পাচ্ছে ও।এতো রাতে এমন শব্দ কোথা থেকে আসবে?আরমানকে ধাক্কা মেরে তুলে দিলো।ও বেসামাল হয়ে উঠে বসে ঘুমোঘুমো চোখে আদিবের দিকে তাকিয়ে আবারো শুয়ে পরলো।আদিব ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললো,
-এই আরমান!ওঠ!
-আদিব!ঘুমা!
-ধুর!তোর আবার এতো ঘুম কবে থেকে হলো?ওঠ না!
-না।
-উঠবি না তো?
-না।ঘুমাবো।কাল সকালে অনেক কাজ!
-কাজ পরে করিস!ওই যে শোন!
-জ্বালাস না আদিব!
আদিব বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললো,
-তোর যামিনী এসেছে।
আরমান লাফিয়ে উঠে বসলো।যেনো ওর ঘুম গায়েব।চোখ বড়বড় করে আদিবকে বললো,
-কি বলছিস?
-এখন ঘুম নেই তাইনা?
আরমান আদিবের কলার ধরে রাগী গলায় বললো,
-ওকে নিয়ে জোকস্ মারলি?
আদিব জিভ্ কেটে বললো,
-আরে না।কালা কোথাকার!আগে শুনতাম মানুষ প্রেমে অন্ধ হয়,আবে তুইতো কানে কম শুনছিস!
আরমান ওকে ছেড়ে নিজের মাথার চুল টেনে বললো,
-সোজাভাবে বল আদিব!ওকে নিয়ে এতো পেচানো কথা সহ্য হচ্ছে না আমার!
-আমার কথা শুনতে হবে না,ওইযে নুপুরের আওয়াজ!ওইটা শোনেন!
আরমান একবার আদিবের দিকে তাকিয়ে কান খাড়া করলো।সত্যিই তো!নুপুরের আওয়াজ!এতো রাতে কে নুপুর পরে হাটছে এখানে?তবে কি ওই মেয়েটাই এসেছে?ওর যামিনী?আজ তবে ওকে ওভাবে যেতে দেবে না আরমান।চিরতরে আপন করে কাছে টেনে নিবে।নিজের অব্যক্ত অনুভুতিগুলো প্রকাশ করবে।কিন্তু ও এখানে কেনো?রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো আরমানের।বললো,
-এই মেয়েটা শুধরাবে না!
আদিব ভ্রুকুচকে বললো,
-মানে?
আরমান ওভাবেই রেগে থেকে বললো,
-ওর এসব ডেয়ারিং কাজ থামানোর জন্য,ভয় দেখানোর জন্য তখন ছেলেগুলোর হাতে ওভাবে ছেড়ে আসলাম।ভাবলাম এবার কিছুটা শিক্ষা হবে,এভাবে বনে বাঁদাড়ে বেরোবে না আর!ওকে দেখ!ঠিক চলে এসেছে।ভেবেছে যেকোনো বিপদকেই ওই মাতাল ছেলেগুলোর মতো পিটিয়ে ম্যানেজ করে নিবে।
আদিব মাথা চুলকে বললো,
-তোর ঘুমে ব্যাঘাত হয়েছে জন্য এসব আবোলতাবোল বকছিস?
আরমান তীক্ষ্ম চোখে তাকালো ওর দিকে একপলক।আদিব থতমত খেয়ে থেমে গেলো।আরমান বালিশের পাশের গেন্জি নিয়ে গায়ে পরতে পরতে উঠে দাড়ালো রাগ নিয়েই।বাইরে বেরোতে যাবে ঠিক তখনই ওর মনে পরলো সেদিন তো সে নুপুর পরে আসেনি।গয়না তো সে পছন্দয়ই করে না।একটানা বাজতে থাকা সে নুপুরের শব্দ আরমানের সন্দেহকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।আবারো বসে পরলো ও।
আদিব ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।দু একবার বাইরের দিকেও তাকাচ্ছে।ও জানে আরমানের ভাবার সময় এখন ও যাই বলবে তাই আননেসেসারি ভেবে উদুম মার দিবে ওকে আরমান।তাই চুপ করেই রইলো। আরমান অনেক্ষন বসে থেকে ভাবলো বিষয়টা কি হতে পারে!কিন্তু মাথায় আসলো না কিছুই।আদিব বললো,
-এভাবেই থাকবি?চল না,গিয়ে দেখি।
-আদিব!এটা ও না।
-মানে?
আরমান মাথা তুলে আদিবের দিকে তাকিয়ে বললো,
-ও নুপুর পরে না।খেয়াল করে দেখ।সাউন্ডটা এক জায়গা থেকেই আসছে।তারমানে কেউ একজায়গায় দাড়িয়ে শুধুমাত্র আওয়াজ করছে কাউকে শোনানোর জন্য।
-এর মানে আবার কি?
-এরমানে এটা কোনো প্লটিংয়ের পার্ট।মিথি না এটা!
আদিব ভ্রুকুটি করে বললো,
-এই মিথি আবার কে?কিসের প্লটিং?কিসব বলছিস তুই আরমান? পাগল হয়ে গেলি?তোকে চিনতে পারছি না আমি!
আরমান মুচকি হেসে বললো,
-মিথিই তো সে আদিব ।
আদিবের চোখ বড়বড় হয়ে গেছে।বললো,
-মানেহ্?
আরমান একপ্রকার ফ্যান্টাসি কাছে পেয়ে রিল্যাক্স হওয়ার মতো ভাব নিয়ে আড়মুড়িয়ে বললো,
-মানে তুই যে সেদিন রাহাতের সাথে কথা বললি,ওই বাচ্চাটার ফুপাতো বোন মিথিলা।সেই রাতে ওই এ জঙ্গলে এসেছিলো।সেই আমার দেখা যামিনী।সেই ক্যামেরাধারী মেয়ে!
-কিইইইই?
-হুম।
-তুই দেখেছিস ওর ফুপাতো বোনকে?
আরমান দুহাত পেছনে মাটিতে ঠেকিয়ে হেলান দিয়ে বসে বললো,
-হুম।
আদিব উৎফুল্ল হয়ে বললো,
-কোথায়,কখন,কিভাবে?
-সেটা অন্য কেউ নয়,ওইদিন ঝর্নায় আমি যাকে সন্দেহ করেছিলাম,আমাদের মিথ্যে পরিচয় দিলো,সেই নুড়ি।
আদিব বিস্ফোরিত চোখে তাকালো আরমানের দিকে।বললো,
-এ কি করে সম্ভব?
-এটাই হয়েছে!
-ও তো পুরোই এলাকার মেয়েদের মতো!
-হুম।তুই বলতিস না,এসব এডভেন্চারাস মেয়েরা খুব চঞ্চল হয়।নাও সি দ্যা কনসিকুয়েন্সেস্!
-তুই কি করে জানলি এতোসব?
আরমান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সোজা হয়ে বসলো। বললো,
-সে রাতে ওর চেহারা যতোটুকোই দেখে থাকি না কেনো,দ্বিতীয়বার দেখাটা খুব তাড়াতাড়ি হয়েছিলো আমাদের।তাই সন্দেহটা বেশি ছিলো।ওর তোতলানো মিথ্যে কথা,ক্যামেরার প্রতি আগ্রহ,জঙ্গলে একাকি বেরোনোর মতো ডেয়ারিং কাজ,ছেলেগুলোকে মারপিট করা,আমার কাছে নিজেকে আদিবাসিদের একজন প্রমান করতে অধীর হয়ে ওঠা,মাঝেমধ্যে বাংলা বলা,ইংলিশ বোঝা,সবকিছুতেই আরো সন্দেহ বাড়ছিলো আমার।
আরমান একটু দম নিয়ে আবারো বলতে লাগলো,
-আজ যখন ওই নাচের অনুষ্ঠানে বাঙালি একটা বাচ্চাকে দেখলাম,তখনি মনে হয়েছিলো এর সাথে আমার যামিনীর কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে।আর তাই তোকে ওই বাচ্চাটার কাছে পাঠিয়ে নুড়িকে ইচ্ছে করে দেখাই।তুই ভাবতেও পারবি না,তোর সাথে রাহাতকে দেখেছিলো ও,কতোটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলো এটা ভেবে যে রাহাত তোকে ওর পরিচয় বলে দিয়েছে।ওর চেহারা দেখেই বুঝে যাই আমি যে আমার ধারনাই ঠিক।তারপর ও নাচতে চলে গেলে রাহাতকে নানা জিনিসের লোভ দেখিকে সব কথা উগরিয়ে নিলাম।এভাবেই আমি এখন কনফার্ম,আমার সে যামিনী অন্য কেউ নয়,সেই নুড়ি!উরফ্ মিথি!
-তুই এতোক্ষনে এসব বলছিস আমাকে?
-কি করবো ভাই বল?আমি চেয়েছিলাম আমার যামিনী এভাবে রহস্যময়ী,মায়াবিনী,ভিন্নরুপী হয়ে আরো বেশি করে তার ভালোবাসায় আমাকে আবদ্ধ করুক।বারবার তার নতুন নতুন কাজে তার প্রেমে পরবো।চাইনি এতো তাড়াতাড়ি এ মুহুর্তগুলোকে হারাতে।ভালোবাসি ওকে খুব!খুব ভালোবাসি!আমার হৃদমাঝারে যে শুধু তারই বসবাস!
আরমানের কথা শুনে আটকে গেছি আমি।হৃদপিন্ডটার লাব ডাব শব্দ শুনতে পাচ্ছি।একটু দমকা হাওয়া গায়ে লাগতেই শিহরন শুরু।মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চাদটা বেরিয়ে পরলো সর্বোচ্চ আলোর ঝলকানি নিয়ে।দুরের জোনাকী পোকার ঝাকটাও আরো বেশি করে ছড়িয়ে পরে আলো ছড়াচ্ছে।এগুলো কি ছিলো?কার জন্য ছিলো?ভালোবাসা?আমার জন্য?এভাবে ভালোবাসার ডেফিনেশন আমার জন্য নিবেদিত?আমিতো আমার পাগলামি নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম,সেটাতে কারো এভাবে ভালোলাগা শুরু হতে পারে?
উনি চিনে ফেলেছিলেন আমাকে?ইচ্ছে করেই বারবার কাছে আসতেন আমার?ওই ছেলেগুলোর কাছে ফেলে চলে যাননি তারমানে,উনি আড়ালে কোথাও ছিলেন!পরিচয় জেনেও কিছু বলেননি শুধু আমার এ ব্যবহারগুলোকে আরো গভীরভাবে অনুভব করবে বলে?এতোটা ভালোবাসা?
না!না মিথি না!এসব মাথা থেকে ঝেরে ফেল।প্রেম ট্রেম বলে কিছু হয়না।এটা নিতান্তই বোকাদের টাইম পাস।এসব তোর জন্য না।এই লোকটা তোকে পছন্দ করে!এটা যে তুই জেনে গেছিস তা নিয়ে আর ভাববিও না,প্রকাশও করবি না।তাহলেই হবে।আরেকটু এসব কানে নিলে তুই পাগল হয়ে যাবি।নাহ্!কাজটা হাসিল করে এখান থেকে কেটে পর।নইলে কে জানে কোন মায়ায় জরিয়ে যাবি।
নুপুরের শব্দ থামছেই না।আরমান জানে ওটা মিথি না,তবুও কেউ বিপদে পরলো কি না সেটা দেখতে আদিবকে নিয়ে তাবুর বাইরে বেরোলো।এগিয়ে যেতো লাগলো নুপুরের শব্দ অনুসরন করে।পুরোটাই দেখলাম আমি।লাইটটা আবারো অন্যদিকে ঘুরালাম আর নাড়ালাম।এমনভাবে সেট আপ করা যাতে লাইটটা শিমুলেরই চোখে পরে শুধু।ও এবার দ্বিতীয় নুপুরের রশি ধরে টানতে থাকলো।শব্দটা জঙ্গলের দিকে হওয়া আরমান আদিব ছুটলো সেদিকেই।
ব্যস!আমার রাস্তা ফাকা!শিমুলকে বলা আছে শেষের দুটো রশি কখন টানবে আর তারপর কিভাবে গা ঢাকা দিয়ে পালাবে।আমি পা টিপে টিপে তাবুতে ঢুকলাম।বেশি খুজতে হবে এমন ধারনাকে মিথ্যে করে দিয়ে ক্যামেরাটা বালিশের পাশেই পেলাম।এজন্যই রাতে আসা আমার।দিনের বেলা ওরা বেরোলেও আসতে পারতাম,কিন্তু ক্যামেরাটা তো নিয়ে যেতো,এসেও লাভ হতো না।
ক্যামেরা হাতে পেয়ে আমার খুশি দেখে কে!নাচতে নাচতে বেরিয়ে এলাম তাবু থেকে।
আরমানদের ফেরার এখনো ঢের সময় আমি জানি।যখন দেখবে নুপুর শুন্যে ভাসছে,একমাত্র তখনি বুঝবে ইট ওয়াজ আ ট্রাপ!তার আগে না।এবার আমার সেকেন্ড প্লান ইনিশিয়েশনের পালা।তারপর ক্যামেরায় নাগরশালের লোকজনের সাথে সেলফি আর আরমানকে বোকা বানানোর একবুক শান্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরতে পারবো।না ওনার সাথে আর দেখা হবে,না এসব আবোলতাবল কথা আর মাথায় আসবে।আহ্!শান্তি!!!
#চলবে…