হয়ত তোমারই জন্য পর্ব-০৮

0
714

#হয়ত_তোমারই_জন্য
ঐশিতা সেন
পর্বঃ ০৮

আমি চাইলে এখন…
মেঘলাঃ অনেক কিছুই করতে পারেন তাই তো?
এমএসঃ হ্যাঁ অনেক কিছুই করতে পারি।
মেঘলাঃ কিন্তু আপনি কিছুই করবেন না।
এমএসঃ কেন(ভ্রূ কোচকে)
মেঘলাঃ ইউ নো বেটার(রহস্যময়ী চাহনিতে)
এমএসঃ ইয়াহ রাইট আই নো বেটার।(মুচকি হেসে)
আর কিছু বলল না আবার জানালার কাছে চলে গেল।
মেঘলাও কিছু না বলে মেঝে পরিস্কার করে বসে পড়ল।
এমএসঃ
“আমাকে ভুল বুঝনা
অনেক কিছু হয়তো বলতে
পারিনি সেদিন,
আমাকে ভুল বুঝনা
আজ আমায় কুঁড়ে,
কুঁড়ে খায় তোমার ঋণ ।
আমাকে ভুল বুঝনা তোমাকে কাছে
পেয়ে হারাই আমি নির্বোধ,
আমাকে ভুল বুঝনা আমি কেঁদে
আঁখি জলে করিযে তার শোধ ।
ঝেড়ে ফেলো অভিমান,
ছুঁয়ে দেখ এই প্রাণ।
বন্ধ দুচোখের নিভু,
নিভু কালোয়, যে আলোয়
ভেসে আসো তুমি।
মনে হয়, মিশে যাই,
তোমার আরো কাছে।”
মেঘলা মুগ্ধ চিত্তে এমএসের কবিতা শুনল।
মেঘলাঃ স্যার কাউকে কি খুব বেশি মনে পড়ছে?(সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
এমএসঃ না।প্রিয় মানুষটিকে কোনোদিনও ভুলিই নি তো মনে পড়ার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে।মনে তো তাকে পড়ে যাকে ভুলে থাকা যায়।আমি কখনোই ভুলিই নি।হৃদয়ের অন্তস্থলে আগলে রেখেছি(মুচকি হেসে)
এমএসের উত্তরে বোধহয় মেঘলা প্রসন্ন হলো।
মাঝরাতে মেঘলা বসে বসেই চেয়ারে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।এমএস দুর থেকে যখন দেখে মেঘলা ঘুমিয়ে পড়েছে তখন মেঘলার কাছে আসে।মাটিতে হাটু গেড়ে বসে মেঘলার দিকে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকায়।গরমে মেঘলা মুখে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘর্মকণা জমেছে।এমএস পকেট থেকে রুমাল বের করে আলতো করে ঘাম মুছে দেয়।তারপর যত্ন করে রুমালটা পকেটে পুরে রাখে।মেঘলার মুখে কিছু চুল উপছে পড়েছে।এমএস মেঘলার মুখের কাছে মুখ নিয়ে ফুঁ দিয়ে চুল সরিয়ে দেয়।এতে মেঘলার চোখের পাতা হালকা কেঁপে উঠে।এমএস মুচকি হাসে।
এমএসের ইচ্ছা করে মেঘলার মাথা নিজের বুকে নিতে।কিন্তু ওর সেই অধিকার নেই।ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।নিজের ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখে।
স্টোররুমে ফ্যান নেই।তাই ভাপসা গরম লাগছে।মেঘলা মায়াবী মুখশ্রীতে কিছুক্ষণ পর পর ঘর্মকণা দেখা দেয়।তাই এমএস স্টোররুমের জানালাটা খুলে দেয়।রুমের মধ্যে শীতল বাতাস প্রবেশ করে।এমএস একটা পুরোনো ফাইল পরিস্কার করে আবার মেঘলা কাছে এসে পূর্বের ন্যায় বসে পড়ে।কিছু বাদে বাদে ফাইল দিয়ে বাতাস করে যাতে মেঘলার গরম না লাগে।
ভোরের আলো চোখে পড়তেই মেঘলার ঘুম হালকা হয়ে আসে।আস্তে আস্তে চোখ খুলে।পায়ের কাছে কোনো কিছুর অস্তিত্ব টের পেয়ে নিচের দিকে তাকায়।দেখে এমএস ফ্লোরে বসেই ওর হাঁটুতে মাথা রেখে গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে।যা দেখে মেঘলা ভ্রু কোচকালো।এমএসের ঘুমন্ত মায়াবী মুখটা দেখে মেঘলার চাহনি স্বাভাবিক হলো।মাথার চুলগুলো মুখে পড়েছে।মেঘলা চুল সরিয়ে দেওয়ার জন্য হাত বাড়ায়।পরক্ষণে কি মনে করে থামিয়ে দেয়।ততক্ষণে এমএসের ঘুম ভেঙে যায়।নিজেকে এমতাবস্থায় দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।মেঘলার থেকে সরে আসে।
এমএসঃ একচুয়েলি আমি..
বাকিটা বলতে না দিয়েই মেঘলা উঠে দাঁড়ায়।তারপর বড়বড় পা ফেলে জানালার কাছে যায়।এমএস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে।

সকাল ৯টায় বোঝতে পারে পিয়ন এসেছে।
এমএসঃ আমরা সারারাত এখানে একসাথে ছিলাম তা কেউ জানলে সমস্যা হতে পারে।স্পেশালি আপনার জন্য।তাই আপনি সেল্ফের পিছনে লুকিয়ে পড়ুন।আমি পিয়নকে ডেকে দরজা খুলতে বলছি দরজা খুললে আমি পিয়নকে নিয়ে আমার কেবিনে যাব।সেই সুযোগে আপনি বের হয়ে বাসায় চলে যাবেন।স্টাফরা আরো পরে আসবে অফিস খালিই।আর আজকে আপনাকে আর আসতে হবে না।কাল সঠিক সময়ে চলে আসবেন।
মেঘলাঃ ওকে।বাট আজ আর কেন..
এমএসঃ বাড়িতে নিশ্চয়ই বলবেন কাল অফিসে সারারাত কাজ করেছেন।আর সারারাত কাজ করিয়ে নিশ্চয়ই সারাদিন কাজ করাবো না।তাই আসতে বারণ করছি।আর রাতে ঠিক করে ঘুমাতেও পারেন নি তাই বাড়িতেই রেস্ট নিন।
মেঘলাঃ ওকে।
বলে মেঘলা সেল্ফের পিছনে লুকিয়ে পড়ল।
এমএস পিয়নকে জোরে ডাক দিতেই পিয়ন দরজা খুলে দিল।
পিয়নঃ স্য..স্যার আপনি এখানে কীভাবে?(অবাক হয়ে)
এমএসঃ সেটা নিশ্চয়ই আপনার ভালো জানার কথা(চোখ মুখ শক্ত করে)কাল রাতে দরজা লক করার আগে একবার ভেতরে কেউ আছে কি না সেটা চেক করা উচিত ছিল।
পিয়নঃ সরি স্যার।আসলে বোঝতে..
এমএসঃ এখন এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাফাই গাইতে হবে না।চলুন আমার সাথে।
পিয়নঃ জী স্যার।
এমএস নিজের কেবিনের দিকে গেল পিছু পিছু পিয়ন।সেই সুযোগে মেঘলা স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
বাড়িতে সবার নজর এড়িয়ে নিজের রুমে গেল।একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে দেখে বর্ষণ ওর বিছানায় বসে আছে।ওকে বেরোতে দেখে
বর্ষণঃ কাল রাতে ফিরলি না।
মেঘলাঃ কাজ ছিল।
বর্ষণঃ অহহ।আচ্ছা শুন আমি আজ বিকালে চট্টগ্রাম যাচ্ছি।
মেঘলাঃ কি ব্যাপার বল তো আজকে তুই চট্টগ্রাম যাচ্ছিস আবার বর্ষাও যাচ্ছে।বিয়ের আগেই মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা করছিস নাকি।
বর্ষণঃ মারব টেনে একটা চড়।বড় ভাইয়ের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় ভুলে গেছিস?
মেঘলাঃ বড় ভাই!!এখানে তো আমি কোনো বড় ভাইকে দেখতে পারচ্ছি না(এদিক ওদিক তাকিয়ে)
বর্ষণঃ আমাকে কি তোর চোখে পড়ে না??
মেঘলাঃ পড়বে না কেন?তোর মতো হাতিকে দশ কিলোমিটার দূরে থেকেও চোখে পড়বে।
বর্ষণঃ মেঘু বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এবার মুখ বন্ধ না করলে সত্যিই মার খাবি বলে দিচ্ছি।
মেঘলাঃ ভুলেও তা করবি না।এরকম কিছু করলে আমি আজই হাতি আর বস্তার আই মিন তোর সাথে বর্ষার ব্রেক আপ করিয়ে দেব।
বর্ষণঃ ট্রাই করে দেখতে পারিস।আচ্ছা তুই কি আজ আর অফিস যাবি?
মেঘলাঃ না।তোরা কবে ফিরবি?
বর্ষণঃ কাজ কমপ্লিট হলে।ঠিক বলতে পারছি না কতদিন লাগবে।তুই তো জানিসই সবটা।
মেঘলাঃ হু।
বর্ষণঃ তোর কাজ কতটুকু এগুলো??
মেঘলাঃ অনেক টুকু(রহস্যময়ী হাসির সাথে)আচ্ছা দাভাই তোর হবু বউকে বলিস দুপুরে আমার মানে আমাদের সাথে দেখা করতে।অনেকদিন গেট টুগেদার হয় না।আজ যখন অফিস যাচ্ছিই না তখন দেখা করেই নেই সবার সাথে।
বর্ষণঃ আমি কেন বলব?
মেঘলাঃ আমি বলছি তাই।
বর্ষণঃ ওক্কে মেরি মা।
বর্ষণের বলার ভঙ্গিমা দেখে মেঘলা ফিক করে হেসে দিল।সাথে বর্ষণও তাল মিলাল।
🌿
একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে মেঘলা,নীলা,বর্ষা আর বৃষ্টি।অনেক দিন পর চার বান্ধবী একসাথে হয়েছে।যদিও মেঘলা,বৃষ্টি আর নীলা একই বাড়িতে থাকে।
বর্ষা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছে আর একটু পর পর টিস্যু দিয়ে নাক মুখ মুছছে।
বৃষ্টিঃ বস্তা কি হয়েছে বলবি তো।তখন থেকে ন্যাকা কান্না করে যাচ্ছিস।
বর্ষাঃ কিহহ আমি ন্যাকাকান্না করছি।একথা তুই বলতে পারলি।(হেঁচকি তুলে তুলে)
নীলাঃ বইন আমার ড্রামা না করে আসল কথা বল।
বর্ষাঃ তুইও..
বৃষ্টিঃ মেইন পয়েন্টে আসবি নাকি ধাক্কা দিয়ে বাইরে পুলে ফেলে দেব?
বর্ষাঃ হু বলছি খাড়া(নাক টেনে)
“দিল পে পাত্থর রাখকে মেনু মেকাপ করলিয়া
ও মেরে সাইয়া জি কি সাঙ্গ মেনু ব্রেকাপ করলিয়া।”
বর্ষার গান শুনে নীলা আর বৃষ্টি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে বর্ষার দিকে তাকাল তারপর ফিক করে হেসে দিল।মেঘলা নির্লিপ্তভাবে খেয়ে যাচ্ছে।যেন আগে থেকেই জানত এরকম কিছু হবে।
বর্ষাঃ তোরা হাসতাছত তোরা আমার ফ্রেন্ড নাকি শত্রু।
বৃষ্টি+নীলাঃ মে বি দুটোই।
বর্ষাঃ শুউউউ শয়তান ছ্যামড়ি বেশি হাসিস না দাঁতে পোকা ধরব।
নীলাঃ হাহ..শকুনের অভিশাপে গরু মরে না।
বর্ষাঃ হুম বাট মানুষের অভিশাপে পেত্নীরা মরে।
বৃষ্টিঃ তুই ইন্ডাইরেক্টলি আমাদের পেত্নী বলছিস।
বর্ষাঃ ইয়াপ বেবস।
বৃষ্টি+নীলাঃ বস্তায়ায়ায়ায়ায়া
মেঘলাঃ আস্তে কান খাচ্ছো কেন?
বর্ষাঃ হু..তোগো সাথে আর কথাই কমু না।
বলে পাঁচ মিনিটে গপগপিয়ে নিজের খাবারটুকু শেষ করে হনহনিয়ে চলে গেল।বর্ষার যাওয়া পরপরই নীলা আর বৃষ্টি আবার হাসিতে ফেটে পড়ল।মেঘলাও মুচকি হাসছে।
কিছুক্ষণ বাদে
বৃষ্টিঃ তা এই শুভ কাজটা কিভাবে সম্পন্ন হলো??
বলতে বলতে বর্ষণ হুড়মুড়িয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকল।
বর্ষণঃ মেঘু তুই বর্ষু কি বলেছিস(দাঁতে দাঁত চেপে)
মেঘলাঃ আমিই..আমি আবার কখন কি বললাম?কিছু মনে পড়ছে না তো।
বর্ষণঃ মেঘু হেয়ালি না করে বল।
মেঘলাঃ ওহ হ্যাঁ মনে পড়েছে আমি শুধু বর্ষাকে বলেছিলাম যে তুই আজকাল দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই কার সাথে যেন ফোনে কথা বলিস তাও হেসে হেসে।কেন কি হয়েছে।কোনো সমস্যা?আমি কি ভুল কিছু বলে ফেলেছি(ইনসেন্ট ফেস বানিয়ে)
নীলা আর বৃষ্টি আবার হেসে ফেলল।
নীলাঃ একুটুই যথেষ্ট বর্ষার রণচণ্ডী রূপ ধারণের জন্য।(হেসে হেসে)
মেঘলাঃ আমি তো মিথ্যা কিছু বলি নি।
বর্ষণঃ ওকে এটা বলার কি দরকার ছিল(দাঁতে দাঁতে চেপে)আমি তো ওর সাথেই কথা বলতাম।কিন্তু ওই গাধী ভাবল..
মেঘলাঃ এ মা দাভাই তুই আমার হবু বউদিকে গাধী বলছিস।ওকে তো জানাতে..
বর্ষণঃ ওকে আর কিছু বলেছিস তো খুব খারাপ হবে।(রেগে)
মেঘলাঃ কেন রে দাভাই তুই আমাকে ভয় পাচ্ছিস??আমার কথা শুনে যদি বর্ষা তোর উপর আরো রেগে যায় ভেবে।কিন্তু তুই তো বলেছিলি আমি ট্রাই করে দেখতে পারি।কিচ্ছু করতে পারব না।আমি ট্রাই করি নি সোজা কাজটাই করে দেখিয়েছি(ভাব নিয়ে) আবার আমার সাথে লাগতে আসলে সারাজীবনের জন্য বর্ষা আর তোর বিচ্ছেদ নিশ্চিত।
বর্ষণঃ দয়া করে বইন আমার আর আগুনে ঘি ঢালিস না।আর তোকে শাসাব না ভুলেও না।আমার না হওয়া বিয়েটা আর ভাঙিস না(কাঁদো কাঁদো মুখ করে)
মেঘলাঃ ওকে ডিয়ার দাভাই।কিন্তু আমার সাথে লাগতে আসলে কিন্তু..
বর্ষণঃ হু আর কখনো তোকে ছেড়াবো না।
মেঘলাঃ দ্যাটস লাইক আ গুড বয়।
🌿
চারদিকে রাতের কালো আঁধারে ছেয়ে গেছে।সারাদিন বাকিদের সাথে মেতে থাকলেও রাতে শূন্যতা ঝেকে বসে।খুব করে তাকে মনে পড়ে।
বিকালেই বর্ষণ আর বর্ষা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।অবশ্য যাওয়া আগেই বর্ষণ আর বর্ষার প্যাচাপ হয়ে যায়।
মেঘলা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।পুরোনো স্মৃতি গুলো তাড়া করছে।তাই একটা কণ্ঠে আপনাপনি এসে যায়।
মেঘলাঃ
“সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
একই সময়ে অন্য একজনও নিজের প্রিয় মানুষটিকে স্মরণ করে গান ধরল।
অজ্ঞাতঃ
“সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
মেঘলা+অজ্ঞাতঃ
“সেই স্মৃতি টুকু কভু ক্ষণে ক্ষণে
যেন জাগে মনে
ভুলনা ভুলনা ভুলনাআয়া
সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
অজ্ঞাতঃ
“সেদিন বাতাসে ছিল তুমি জানো
আমারই মনেরও প্রলাপ জড়ানো”
মেঘলাঃ
“সেদিন বাতাসে ছিল তুমি জানো
আমারই মনেরও প্রলাপ জড়ানো”
অজ্ঞাতঃ
“আকাশে আকাশে আছিলও ছড়ানো
তোমারও হাসিরও তুলনা
ভুলনা ভুলনা ভুলনা ভুলনাআয়া”
মেঘলা+অজ্ঞাতঃ
“সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
মেঘলাঃ
“যেতে যেতে পথে
পূর্ণিমা রাতে
চাঁদ উঠেছিল গগণে”
অজ্ঞাতঃ
“দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে
কি জানি কি মহা লগণে
চাঁদ উঠেছিল গগণে”
মেঘলাঃ
“যেতে যেতে পথে
পূর্ণিমা রাতে
চাঁদ উঠেছিল গগণে”
অজ্ঞাতঃ
“দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে
কি জানি কি মহা লগণে
চাঁদ উঠেছিল গগণে”
মেঘলাঃ
“এখন আমার
বেলা নাহি আর
বহিব একাকী বিরহের ভার”
অজ্ঞাতঃ
“এখন আমার
বেলা নাহি আর
বহিব একাকী বিরহের ভার”
মেঘলাঃ
“বাঁধিনু যে রাখি পরাণে তোমার সে রাখি খুলনা খুলনা
ভুলনা ভুলনা ভুলনাআয়া”
অজ্ঞাতঃ
“সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
মেঘলাঃ
“সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
মেঘলা+অজ্ঞাতঃ
“সেই স্মৃতি টুকু কভু ক্ষণে ক্ষণে
যেন জাগে মনে
ভুলনা ভুলনা ভুলনাআয়া
সেদিন দুজনে দুলে ছিল বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা”
🌿
পরের দিন দুপুর নাগাদ মেঘলা একটা ফাইল দিতে এমএসের কেবিনে যায়।ফাইল দিয়ে বেরোনো মাত্র কিছু একটা শুনে থেমে যায়।দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে এমএসের সব কথা শুনে।এমএসের কথা শেষ হওয়ার পরপরই মেঘলআ আড়ালে চলে যায়।এমএস কেবিন থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে যায়।মেঘলাও অতি সাবধানে এমএসের পিছু পিছু যায়।
এমএস নিজের গাড়ি করে বেরিয়ে পড়ে।মেঘলা একটা ট্যাক্সি ডেকে এমএসের গাড়ির পিছু নেয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এমএস একটা বন্ধ ফ্যাক্টরিতে ঢুকে।
মেঘলা ফ্যাক্টরিতে ঢুকে যা দেখে হতভম্ব হয়ে যায়।কারণ…
(চলবে)