হয়ত তোমারই জন্য পর্ব-১০

0
691

#হয়ত_তোমারই_জন্য
ঐশিতা সেন
পর্বঃ ১০(বোনাস)

দিগ্বিজয়ঃ What is this Meghla(দাঁতে দাঁত চেপে)
নাইয়াঃ দেখেছ এই অলক্ষুণে মেয়ের কাণ্ড লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করে নিল।হায় হায় এমনিতেই তো আগে বিয়ে ভেঙেছে এখন এভাবে বিয়ে করে এলো।বলি এই মেয়ে তোর জন্য কি এই সমাজে আমরা মুখ দেখাতে পারব না।আমাদের মান সম্মান নিয়ে কেন খেলা করছিস বারবার।হায় হায় কি কেলংকারী কাণ্ড।মুখপুড়ি আবার এখানে এসেছিস কেন?যা দুর হো সামনে থেকে।
আশিসঃ মামনি তুমি এসব কি?
মেঘলাঃ আমি এমএস স্যারকে বিয়ে করেছি(দীর্ঘশ্বাস ফেলে)।
দিগ্বিজয়ঃ বিয়ে করেছ??মানেটা কি?এভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে।
মেঘলাঃ কাউকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করি নি।(কাঠকাঠ গলায়)
দিগ্বিজয়ঃ মেঘলায়ায়ায়া তুমি লিমিট ক্রস করে ফেলেছ।এভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে হুট করে যাকে তাকে বিয়ে করে ফেললে।আবার বলছ কাউকে জানানোর প্রয়োজন বোধ কর নি।
এমএসঃ এক্সকিউজ মি।What do you mean by যাকে তাকে।I’m not যাকে তাকে।আমি সানফ্লাওয়ার ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র মালিক এমএস।
নাইয়াঃ এখন বোঝতে পারছি এই মেয়ের হঠাৎ চাকরি করার শখ জাগল কেন।চাকরির নাম করে এই ছেলের কাছে যাওয়া হতো তাই না??কি নির্লজ্জ মেয়ে মানুষ ছিঃ ছিঃ।আকাশ বাবা এই জন্য বুঝি তুমি এই মেয়ের সাথে বিয়ে ভেঙে নীলাকে বিয়ে করেছ।আগেই বলতে পারতে বাবা।আমরা তোমাকে শুধু শুধু ভুল বোঝতাম না।
এই মেয়ে এজন্যই বোঝি আকাশের সাথে বিয়ে ভাঙায় তোর কিচ্ছু যায় আসে নি তাই না।বরং তুই খুশিই ছিলি।বিয়ে ভাঙার দোষটা আকাশের উপর পড়বে আর তোর মনঃকামনা পুরণ হবে অথচ কেউ তোর দিকে আঙুল তুলবে না।একে এক্ষুনি বাড়ি থেকে বিদায় কর।নইলে এর জন্য আমার মেয়েরা বিপথে যাবে।এই মুখপুড়ি কোন সাহসে তুই আবার এই বাড়িতে এলি।লজ্জা করল না।যা বিদেয় হো।তোর বরের বাড়ি যা।আমাদের আর তোর মুখ দেখাস না।
দিগ্বিজয়ঃ বেরিয়ে যাও এ বাড়ি থেকে।জাস্ট গেট লস্ট।যার কাছে আমার মান সম্মানের কোনো গুরুত্ব নেই তার এই বাড়িতে কোনো জায়গা নেই।বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে।
এমএসঃ কারেকশন প্লিজ শশুরজি।আপনি কে আমার বউ আর আমাকে এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলার?
নাইয়াঃ শুনেছ এই ছেলের কথা।কত বড় সাহস তোমাকে বলে কি না তুমি কে ওদের যেতে বলার।এই ছেলে শুন এটা আমার স্বামীর বাড়ি এই বাড়িতে তোমাদের জায়গা নেই।চলে যাও তোমার বউকে নিয়ে।
এমএসঃ ডিয়ার শাশুমা আমি কিংবা আমার বউ এবাড়ি থেকে কোথায় যাবে না।এখন থেকে আমরা এবাড়িতেই থাকব।বরং এ বাড়ি থেকে আপনারা চলে যাবেন।
এমএসের কথা শুনে মেঘলা অবাক চোখে এমএসের দিকে তাকাল।
নাইয়াঃ এই ছেলে তোমার সাহস তো কম না।তুমি কে আমাদের আমাদেরই বাড়ি থেকে যেতে বলার?
এমএসঃ হাহ..আমি কে??হাহাহা এটা জিজ্ঞেস করছেন।আমিই তো সব।(বাঁকা হেসে)ডিয়ার শাশুমা এটা আপনাদের বাড়ি না এটা আমার বউয়ের বাড়ি।আর আমার বউয়ের বাড়ি মানে আমার বাড়ি।তাই আপনারা না আমরা চাইলে এই মুহূর্তেই আপনাদের ঘাড় ধাক্কা বের করে দিতে পারি(মুখে কাঠিন্যের ভাব এনে)।
মেঘলাঃ আমার বাড়ি মানে?এই লোকটা কিসব বলছে?(বিড়বিড় করে)
এমএসের কথায় নাইয়া বেশ ঘাবড়ে গেলেন।
নাইয়াঃ ক..কি যাতা বলছ হ্যাঁ..ওর বা..ড়ি হতে যাবে কেন?
এমএসঃ যাতা বলছি না একদম সত্য কথা বলছি।সেটা আপনারাও জানেন।কি শাশুড়জি আমি কি ভুল কিছু বলছি।
দিগ্বিজয় বাবু আর কিছু বললেন না।
এমএসঃ এই বাড়ি এমনকি আপনারা যে সম্পত্তি ভোগ করছেন তার সেই সম্পত্তির ৫০% আমার বউয়ের নামে এবং বাকি ৫০% পার্সেন্ট আমার শ্যালকের নামে।এম আই রাইট।
মেঘলা,নীলাকাশ অবাক।
নীলাঃ কতবড় বান্দরনী এই মহিলা।মেঘুর বাড়িতে থেকে মেঘুকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলছে।এই সব সম্পত্তি মেঘুর নামে অথচ ওরা কি সুন্দর নিজের নামে বলে ভোগ করে যাচ্ছে।এদের তো(মনে মনে)
এমএসঃ তো এবার বলুন আপনারা নিজে থেকে যাবেন নাকি..
নাইয়াঃ আরে বাবা এসব কি বলছ।আমরা মেঘলাসোনার মা-বাবা আমাদের এ বাড়ি থেকে বের করে দেবে!আমরা তো তোমারও মা-বাবা লাগি।মানে শশুড়-শাশুড়ী।(মেকি হেসে আহ্লাদী সুরে)
নীলাঃ এ্যাঁ শুরু করে দিয়েছে ন্যাকামী।গিরগিটির মতো রং বদলায়।
এমএসঃ হ্যাঁ তাই তো আমি কিভাবে আমার ডিয়ার শশুরজি আর শাশুমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারি।শশুড় শাশুড়ী তো মা-বাবার সমানই।
নাইয়াঃ হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছ।মেঘলা মারে তুই একদম খাঁটি সোনা চিনেছিস।আমার সোনা বাবা।এমন জামাই যেন ঘরে ঘরে থাকে।
এমএসঃ আরে শাশুমা আমরা কি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব বরণ করে ঘরে ঢুকাবেন না।
নাইয়াঃ হ্যাঁ তাই তো এক্ষুনি বরণ করছি বাবা।এই নীলা এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন যাও বরং ঢালা নিয়ে আসো।আমার মেয়ে জামাইকে বরণ করব।
নীলাঃ এক্ষুনি আনছি গিরগিটি আন্টি।
বলে নীলা বরণ ঢালা সাজিয়ে আনতে গেল।
দিগ্বিজয় বাবু আর আলয় বাবু নিজেদের রুমে গেলেন।
কিছুক্ষণ পর নীলা বরণ ঢালা সাজিয়ে নিয়ে এলো।নাইয়া ওদের বরণ করে ঘরে তুললেন।
নাইয়াঃ নীলা যাও তো আমার মেয়ে আর জামাইকে মেঘলা মায়ের রুমে নিয়ে যাও।আমি যাই রাতের খাবারের ব্যবস্থা করি।
এমএসঃ হ্যাঁ শাশুমা যান আজ রাতে আপনার হাতের খাবার খাব।
নাইয়াঃ এ্যাঁ..আমার রাতের।আচ্ছা বেশ।
বলে নাইয়াদেবী চলে গেলেন।
নীলাঃ আরে বাস আজকে এই গিরগিটি আন্টির হাতের রান্না খাবার খাব।Wow. বাট খাবার কি খাওয়া যোগ্য হবে?মনে তো হয় ১৯৯৯ সেঞ্চুরির পর আর রান্না করেন নি।হাহাহা।
তবে মেঘু কাজটা কিন্তু তুই ঠিক করলি না।এভাবে প্রতিশোধ নিলি।আমি তোদের না জানিয়ে চুপি চুপি বিয়ে করেছি বলে তুইও করলি।সে যাই কর ট্রিট কিন্তু নিয়েই ছাড়ব।তোকেও কিন্তু দিছিলাম।
টিয়া-রিয়া ঘরের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে।
এমএসঃ আরে লিটল শালিকারা তোমরা ওখানে দাঁড়িয়ে কেন।এদিকে এসো।
তারা মেঘলার দিকে তাকাল।মেঘলা সম্মতি দান করল।রিয়া-টিয়া এমএসের সামনে এলো।এমএস পকেট থেকে দুটো কিটক্যাট বের করে ওদের দুজনকে দিল।
এমএসঃ ফাস্ট টাইম এগুলোই।পরে আরো গিফট পাবে।খুশি তো।
রিয়া-টিয়াঃ খুউউউউউব।থ্যাঙ্কিউ জিজাজিইইইই
নীলাঃ ছাদ পার হে।আরে বাহ জিজাজিইইই আপনাকে ছাদেই পাঠিয়ে দিই।
এমএসঃ সাথে আমার বউকে পাঠিয়ে দিও।আজ না হয় ছাদেও ফাস্ট নাইট স্পেন্ড করব(বাঁকা হেসে)
এমএসের কথা শুনে মেঘলা কান গাল গরম হয়ে যায়।রাগী চোখে এমএসের দিকে তাকাল।পারলে এক্ষুনি এমএসকে এক বালতি বিষে ডুবাইয়া মারত।এমএস ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে রিয়া-টিয়ার সাথে কথা বলতে থাকে।নীলা-রিয়া-টিয়া মিটমিটিয়ে হাসতে থাকে।
এমএসের এসব কথা শুনে আকাশের হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে।আর সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যায়।
নীলা এমএস আর মেঘলাকে নিয়ে রুমে যায়।
কিছুকথা—
আকাশ আর বৃষ্টির জন্ম লন্ডনে হয়।বৃষ্টি মেঘলার থেকে ২মাসের বড়।বৃষ্টির জন্মের ১মাস পর একটা এক্সিডেন্টে বৃষ্টির মা মারা যান।তার ৪মাস পর আশিসবাবু বৃষ্টি আর আকাশকে নিয়ে বিডি ব্যাক করেন।
আশিসবাবুর বাবা আর দিগ্বিজয় বাবুর বাবা বাল্যবন্ধু ছিলেন।সাথে বিজনেস পার্টনারও।আশিস বাবু ২০বছর বয়সে লন্ডন যাওয়ার পর আর ফিরে আসেন নি।ওখানেই আকাশের মাকে বিয়ে করে স্যাটেল হোন।তাই দিগ্বিজয় বাবুর সাথে উনার কোনো যোগাযোগ ছিল না।আশিস বাবু যখন বিডি ব্যাক করেন তখন দিগ্বিজয় বাবুর বাবা বন্ধুর একমাত্র ছেলেকে নিজের বাড়িতে থাকার জন্য বলেন।কারণ আসিশ বাবু পৈত্রিক বাড়ি অনেক আগেই বিক্রি করে ফেলেন।বাংলাদেশে আশিস বাবুদের পৈতৃক ভিটা না থাকলেও অনেকগুলো ইন্ডাস্ট্রিজ আছে।
পিতৃসূত্রে আশিসবাবু আর দিগ্বিজয় বাবু বিজনেজ পার্টনার হোন।
মেঘলার মা মারা যাওয়া একবছর পর আশিসবাবু পরামর্শে মেঘলা আর বর্ষণের দেখভালের জন্য দিগ্বিজয় বাবু নাইয়াদেবীকে বিয়ে করেন।কিন্তু নাইয়া দেবী মেঘকা আর বর্ষণকে সন্তান গণ্য করতে পারেন নি।বরং রোজ রোজ মেঘলা আর বর্ষণের নামে দিগ্বিজয় বাবুর কানে বিষ ঢালতেন।মেঘলাকে তো আগে থেকেই দিগ্বিজয় বাবু মেনে নিতে পারেন নি মেঘনাদেবীর মৃত্যুর জন্য।ধীরে ধীরে বর্ষণের সাথেও উনার দুরত্ব তৈরি হও যা মুলত নাইয়া দেবীর চাল ছিল।তখন মেঘলা আর বর্ষণের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মেঘলার দাদু নিজের সব সম্পত্তি মেঘলা আর বর্ষণের নামে লিখে যান।তখন রিয়া আর টিয়ার জন্ম হও নি।মেঘলার দাদুর মৃত্যুর পর রিয়া-টিয়া এসেছে।
🌿
রাতের রান্নাটা নাইয়াদেবী একা একাই করেন।কোনো সার্ভেন্টের সাহায্যও নেন নি।কারণ সমস্ত বিষয়টা এমএয়া পর্যবেক্ষণ করছিল।
রান্না শেষে এমএস নাইয়াদেবীকে বলে তাদের দুজনের খাবার মেঘলার রুমে নিয়ে যেতে।নাইয়া দেবীও তাই করেন।তারপর রিয়া,টিয়া,নাইয়াদেবী,দিগ্বিজয় আর আশসবাবু ডাইনিং টেবিলেই ডিনার করেন।আকাশ বাড়ি ফিরে নি তাই নীলা আকাশের জন্য অপেক্ষা করছে।
🌿
মেঘলা রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে ফ্রেস হয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ছিল।
নাইয়া দেবী খাবার দিয়ে যাওয়ার পর এমএস বেলকনি থেকে মেঘলাকে রুমে নিয়ে আসে।
মেঘলাঃ আপনি কি করে জানলেন সব সম্পত্তির ৫০% আমার নামে?
এমএসঃ আগেই তো বলেছিলাম তোমার সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই জানি যা তুমি নিজেও জানো না।
মেঘলাঃ কিন্তু আপনি কীভাবে?এটা তো দাভাইও জানত না।
এমএসঃ তোমার মনে হয় তোমাকে বলব।
মেঘলা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
এমএসঃ তোমাকে বিয়ে করার আরেকটা কারণ তোমার সম্পত্তি।কারণ উইলে এটাও লেখা তোমার সব সম্পত্তি তোমার হাসবেন্ড হিসেবে আমারও।
মেঘলা তাচ্ছিল্য ভরে হাসল।
এমএসঃ এবার তো খেয়ে নাও।
বলে সোফায় বসল।
মেঘলাঃ আপনি খান।আমার ক্ষিদে নেই।
এমএসঃ বোঝতে পারছি।সব খাবার আমার একাই খেতে হবে।
বলে দুই প্লেটের খাবার একত্র করল৷তারপর মেঘলাকে একটানে নিজের কোলে বসাল।
মেঘলা চোখ বড় বড় করে এমএসের দিকে তাকাল।
এমএসঃ হা..খাইয়ে দাও।
মেঘলাঃ নিজের হাত নেই।আমি কেন আপনাকে খাইয়ে দিতে যাব?ছাড়ুন আমাকে।
এমএসঃ হুঁশ..চুপচাপ বস।একদম নড়বে না।আর আমি নিজের হাতে খাওয়ার জন্য তো বিয়ে করি নি।তাই তুমি খাইয়ে দেবে।
মেঘলাঃ আ..
এমএসঃ কোনো কথা না।আমার সব কথা শুনতে তুমি বাধ্য।না শুনলে কি হতে পারে তা ভালোই জান।সো ডিয়ার WiFi বেশি চিন্তা ভাবনা না করে বরকে খাইয়ে দাও তো।
মেঘলা আর কোনো উপায় না পেয়ে এমএসকে খাইয়ে দিল।এমএসও জোর করে মেঘলাকে খাইয়ে দিল।
মেঘলাঃ আহ..আপনি কি রাক্ষস আমার হাতে কেন কামড় দিলেন।(দাঁতে দাঁত চেপে)
এমএসঃ অহহ ডিয়ার ওয়াইফাই ডোন্ট কল ইট জেনারেল বাইট।ইট ইজ ইওর ফাস্ট লাভ বাইট ফ্রম মি।
মেঘলাঃ হোয়াট..ইউ জাস্ট..
এমএসঃ আমি এইরকমই।
মেঘলা ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলল।
এমএসঃ আহহ..এটা কি করলে।আমার হাতে..
মেঘলাঃ হাহ..দিস ফাস্ট লাভ বাইট ফ্রম মি।(দাঁতে দাঁত চেপে)
এমএসঃ ডু ইউ রিয়েলি থিংক ইট??
মেঘলাঃ মানে??(ভ্রূ কোচকে)
এমএসঃ নাথিং।
খাওয়া শেষ হলে
এমএসঃ শাশুমায়ায়ায়া ও শাশুমায়া..
নাইয়া দেবী মাত্র বিছানাতে শুয়েছেন।এমএসের ডাক শুনে হুড়মুড়িয়ে উঠলেন।রাগে গজগজ করতে করতে। মেঘলার রুমে গেলেন।
নাইয়াঃ কি হয়েছে বাবা ডাকছ কেন?(জোর করে মুখে হাসি ফুটিয়ে)
এমএসঃ আরে শাশুমা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন নাকি??
নাইয়াঃ না না বাবা এত তাড়াতাড়ি ঘুমাব কেন।ঘুমোই নি।
এমএসঃ অহহ..আচ্ছা তাহলে এই প্লেটগুলো নিয়ে যান।
নাইয়াঃ এ্যাঁ ওহ হ্যাঁ এক্ষুনি নিয়ে যাচ্ছি।
বলে খাবারের প্লেট নিয়ে চলে গেলেন।তারপর এমএস দরজা লাগিয়ে মেঘলার সামনে এলো।
এমএসঃ তো ডিয়ার ওয়াইফাই তুমি তৈরি তো?(বাঁকা হেসে)
মেঘলাঃ কিসের জন্য(ভ্রু কোচকে)
একহাত দিয়ে মেঘলার কোমড়ে টান দিয়ে নিজের কাছে এনেঃ বোঝতে পারছ না বুঝি এক্ষুনি বোঝিয়ে দিচ্ছি।
(চলবে)

{ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।}