হয়ত তোমারই জন্য পর্ব-১৪

0
649

#হয়ত_তোমারই_জন্য
ঐশিতা সেন
পর্বঃ ১৪

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে মেঘলা ছাদে যায়।স্নিগ্ধ সকালটা মেঘলার বেশ ভালোই লাগে।ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির রূপ মুগ্ধ নয়নে দেখতে লাগল।পাখি কলকাকলীতে চারদিক মুখরিত।মেঘলা চোখ বন্ধ করে সকালের একটা মিষ্টি গন্ধ উপভোগ করছে।মুখে অপূর্ব মোহনীয় হাসি।মেঘলা প্রকৃতি দেখতে এতটা ব্যস্ত যে কেউ ওর দিকে তাকিয়ে আছে তা বোঝতে পারছে না।ওর মারাত্মক হাসিটা যে কারো বুকে উত্তাল সৃষ্টি করছে তা জানতে পারছে না।
আকাশ মেঘলাকে ছাদে আসতে দেখে ওর পিছু পিছু আসে।ওর থেকে কিছুটা দুরে দাঁড়িয়ে ওর দিকে মুগ্ধ চিত্তে তাকিয়ে থাকে।ওর খুব ইচ্ছে করে মেঘলার কাছে যেতে।ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতে।ওর খোলা চুলে মুখ ডুবাতে।কিন্তু আফসোস আকাশের সেই অধিকার নেই।ভাবে আকাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।দুরে থেকে প্রিয়তমাকে দেখা ছাড়া ওর আর কিছুই করণীয় নেই।
তখন দেখতে পেল এমএস মেঘলার দিকে যাচ্ছে।এমএস মেঘলাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল।মেঘলা উন্মুক্ত কেশে মুখ ডুবাল।মেঘলা হঠাৎ আক্রমণে শিউরে উঠে।শক্ত করে ছাদের রেলিং চেপে ধরে।পিছনে না তাকিয়েই স্পর্শে বোঝতে পারে এমএসকে।আকাশ রেগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে হনহনিয়ে চলে যায়।
এমএস একই ভাবে দাঁড়িয়েঃ ডিয়ার ওয়াইফাই আমাকে না নিয়েই চলে এলে।ভেরি বেড।মানলাম ঘুমিয়ে ছিলাম তাই বলে ডাকলেও না।দিস ইজ নট ফেয়ার।
মেঘলা এমএসের থেকে নিজেকে ছাড়িয়েঃ আকাশদাকে দেখানোর জন্য এসব করছেন তাই না।কষ্ট দেওয়ার জন্য??
এমএসঃ না ওকে কষ্ট দেওয়ার কোনো বাসনা আমার নেই।হ্যাঁ এটা বলতেই পারো ওকে দেখেই আমি তোমার কাছে এসেছে।ওকে এটা বোঝানোর জন্য যে তুমি এখন আমার স্ত্রী।তোমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকার কোনো অধিকার নেই।(কাঠকাঠ গলায়)ও যখন তোমার দিকে তাকিয়ে আছে বোঝতে পারলে তখন তোমার নিজেও তো অস্বস্তি হচ্ছিল।কি ভুল বললাম??
মেঘলা বিস্মিত নয়নে এমএসের দিকে তাকাল।
এমএসঃ আমি জানি তুমি এখান থেকে চলে যাওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলে। কিন্তু কি বল তো ওই আকাশের জন্য আমি আমার বউয়ের প্রকৃতি উপভোগ করা নষ্ট হতে দেই কি করে বল তো।(মুছকি হেসে)
মেঘলা বিস্মিত।ওর না বলা কথা গুলো কি করে বুঝে গেল।
মেঘলাঃ আপনি কেন এরকম করছেন?
এমএস ভ্রূ কোঁচকে মেঘলার দিকে তাকাল।
মেঘলাঃ প্রথমে আমাকে জোর করে বিয়ে করলেন?আবার আপনার এতবড় বিজনেস থাকা সত্ত্বেও আমাদের বাড়িতে থাকছেন?আকাশদার থেকে আমাকে দুরে রাখার চেষ্টা করছেন?আর যাবতীয় সব কিছু।কেন করছেন??
এমএসঃ #হয়ত_তোমারই_জন্য।
বলে চলে যেতে নেয়।
এমএসের উচ্চারিত এই তিনটা শব্দই যথেষ্ট ছিল মেঘলার হৃদ স্পন্দন বাড়ানোর জন্য।
এমএস যাওয়ার আগে আবার বললঃ আমার জন্য একটা এক কাপ কফি নিয়ে এসো তো বউ।
🌿
বিকালের দিকে বর্ষণ বাড়ি ফিরল।ফিরতে না ফিরতেই নাইয়াদেবী মেঘলার না জানিয়ে বিয়ে করার কথা তেল মশলা লাগিয়ে বর্ষণকে জানালেন।নাইয়াদেবীর কথা শুনে বর্ষণের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে।তখন মেঘলাকে দেখতে পায় সিঁড়ি দিয়ে নামতে।বর্ষণ মেঘলার কাছে গিয়েঃ মেঘু ওই মহিলা যা বলছেন তা কি সত্য?তুই কি সত্যিই আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছিস?
মেঘলাঃ (মাথা নিচু করে) হ্যাঁ দাভাই আমি বিয়ে করেছি।
তখন মেঘলাকে ডাকতে ডাকতে এমএস নিচে এলো।
এমএসঃ মাই ডিয়ার ওয়াইফাই আমাকে ঘরে একা রেখে কেন চলে আসো বল তো?
এমএসের কথা শুনে মেঘলা চোখ গরম করে এমএসের দিকে তাকায়।
বর্ষণঃ ও ই কি তোর বর।
মেঘলা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বোঝায়।ততক্ষণে বর্ষণের নজর যায় মেঘলার সিঁথি ভর্তি সিঁদুর আর হাতের শাখা-পলার দিকে।
বর্ষণঃ তুই কি ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিস?
মেঘলা একবার এমএসের দিকে তাকায়।তারপর বলেঃ হ্যাঁ।
বর্ষণ বিস্ফোরণ নয়নে মেঘলার দিকে তাকায়।
এমএসঃ হাই শালাবাবু আমি এমএস।আপনার একমাত্র বোনের একমাত্র হাসবেন্ড।
বর্ষণঃ তুই যদি এমএসকে যদি ভালোবাসতিস তাহলে আমাকে বললি না কেন?কেন না জানিয়ে হুট করে বিয়ে করে ফেললি।বিয়ে করেও আমাকে জানাস নি।আজ বাড়ি না আসলে তো জানতামই না।কেন করলি বোন।তোকে কি আমি কোনো কিছুর জন্য কখনো মানা করেছি?তাহলে তোর জীবনের এতবড় একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানালি না।(অশ্রুসিক্ত নয়নে)
মেঘলা প্রতি উত্তরে কিছুই বলল না।ভালোই বোঝতে পেরেছে ওর দাভাই ওর উপর অভিমান করেছে।
নাইয়াঃ আগেই বলেছিলাম এই অপ..
বাকিটা বলার আগেই এমএসের দিকে চোখ পড়ায় থেমে যায়।
বর্ষণ আর একমুহূর্তও দেরি না করে চলে যায় নিজের রুমে।মেঘলা ভাবতে থাকতে কি করে ভাইয়ের রাগ ভাঙানো যায়।
🌿
রাতে বর্ষণ জানালার কাছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেঘলার কথাই ভাবছিল।মেঘলার হঠাৎ এই ডিসিশনের কারণ বোঝতে পারছে না।তবে এতটুকু বোঝতে পারছে ওর বোন ওর থেকে কিছু লুকাচ্ছিলে।তখন একটা গানের সুর কানে ভেসে আসে..
“O veer mere tera piyar rahe
Teri laadli ban mai jiti raba
Ek dor se bandhi hai khushiyan
Teri khushiyan de vich khilti rava.
Hai khuwab meri umod meri
Pura tu kare o veer mere
Main jaan teri or maan tera
Tera sath rahe o veer mere
Teri khushiyan ban me jiba
Meri khushiyan ban tu jibe
Itni si hai dil ki aarju
Jab hasdi tu khil jabe
Jab rudi menu behlaabe
Itni si hai dik aarju.”
…..(Music)…..
(বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নেবেন)
গান গেয়ে মেঘলা বর্ষণকে জড়িয়ে ধরেঃ এখনো রেগে থুরি অভিমান করে থাকবি?
বর্ষণঃ নিশ্চুপ
মেঘলাঃ দাভাই তুই তো জানিসই আমি কোনো কারণ ছাড়া কিছু করি না।
বর্ষণঃ সেই কারণটাই তো জানতে চাইছি।আমি জানি তুই বেহুদা কোনো কিছু করবি না।
মেঘলাঃ এতটুকু বিশ্বাস রাখ সঠিক সময়ে সব জানাব।জাস্ট কিছুদিন।
বর্ষণঃ ঠিক আছে।
মেঘলাঃ তুই না খুব পঁচা।
বর্ষণকে ছেড়ে।
বর্ষণঃ মানে??
মেঘলাঃ নিশ্চয়ই কক্সবাজার থেকে আমার জন্য কিছুই আনিস নি?তাই তো রেগে থাকার নাটক করছিলি।যাতে আমি তোর থেকে গিফট চাইতে না পারি।
বর্ষণঃ আ’ম বিস্মিত তুই বোঝলি কি করে?(মজার ছলে)
মেঘলাঃ মজা নিচ্ছিস(কোমরে হাত দিয়ে)
বর্ষণঃ হাহ..আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা যে মেঘলা সেনের মজা নেব(টিটকারি মেরে)
মেঘলাঃ দাভাইইইইইইই
ব্যস শুরু হয়ে গেল ভাইবোনের ঝগড়া মারামারি।
🌿
পরেরদিন সকালে দরাকারি কাজ আছে বলে দিগ্বিজয় বাবু আর আশিসবাবু বাড়ির সবাইকে নিয়ে একটা রিসোর্টে যান।ওখানে গিয়ে মেঘলা,এমএস,নীলাকাশ,বৃষ্টি(বাড়ি ফিরেছে), বর্ষণ,রিয়া-টিয়া অবাক।কারণ রিসোর্টে নীলার ফ্যামিলি আর বর্ষার ফ্যামিলিও আছে।
বৃষ্টিঃ ডেড ব্যাপারটা কি বলো তো।এখানে সবাই একত্র হওয়ার মানেটা কি?
আশিসঃ আসলে আমরা একটা ডিসিশন নিয়েছি।
বর্ষণঃ কি।
আশিসঃ বর্ষণের সাথে বৃষ্টির বিয়ে দিয়ে দিগ্বিজয়ের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো গাঢ় চাই।
আশিস বাবুর কথা শুনে সবাই অবাক।স্পেশালি বর্ষণ বৃষ্টি বর্ষা আর শ্রাবণের তো প্রাণ কেউ কেড়ে নিচ্ছে এরকম অবস্থা।
বর্ষণঃ হোয়াটটটটটট
বর্ষার বাবাঃ শুধু তাই না আমার বর্ষামায়ের সাথে শ্রাবণের বিয়ে ঠিক করেছি।
এটা শুনে সবাই আরেক দফা অবাক।
দিগ্বিজয়ঃ আজকে বিকালে তোমাদের গায়ে হলুদ হবে।রাতে গায়ে হলুদ আর কাল বিয়ে।
শ্রাবণঃ অসম্ভব।আমি বর্ষাকে..না এটা হতে পারে না।আমি বর্ষা আর মেঘলাকে সবসময় বোনের চোখে দেখে এসেছি।আমি বর্ষাকে বিয়ে করতে পারব না।
বলে চলে গেল।পিছন পিছন শ্রাবণের মা বাবা।
বর্ষণ চোখ মুখ শক্ত করেঃ আমি বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পারব না।
বলে অন্যদিকে চলে গেল।দিগ্বিজয় বাবু বর্ষণের কাছে গেলেন।
বর্ষা আর বৃষ্টি স্বস্থানে দাঁড়িয়ে আছে।একটুও নড়ার শক্তি পাচ্ছে না।না মুখ ফুটে কিছু বলতে।মনের মধ্যে ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলার ভয়।

দিগ্বিজয়ঃ বর্ষণ দাঁড়াও আমার কথাটা তো শুন।
বলে বর্ষণের সামনে দাঁড়ালেন।
বর্ষণ বিরক্তি নিয়ে উনার দিকে তাকাল।
দিগ্বিজয়ঃ বর্ষণ বিয়েটা করে নাও।
বর্ষণঃ বললাম তো আমি কোনোদিনও বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পারব না।(কাঠকাঠ গলায়)
দিগ্বিজয়ঃ তোমাকে বিয়ে করতেই হবে।বিয়েটা ঠিক হয়ে গেছে।আজ বাদ কাল বিয়ে তুমি এখন মানা করতে পারো না।নিমন্ত্রণ পত্রও আত্মীয়দের কাছে পৌঁছে গেছে।এখন যদি তুমি বিয়ে না করো তাহলে কিরকম বিশ্রি হবে ব্যাপারটা বুঝতে পারছ?এমনিতেই তোমার বোনের বিয়ের সময় আকাশ যা করল(দীর্ঘশ্বাস ফেলে)দয়া করে আমার মান সম্মান নিয়ে আর টানাটানি করো না।
বর্ষণঃ আপনার কাছে কি মান সম্মানটাই বেশি?
দিগ্বিজয়ঃ যদি বলি হ্যাঁ।
বর্ষণঃ আপনার থেকে আর কি ই বা আশা করা যায়।মান সম্মান নিয়ে এতই যখন ভাবেম তখন আমাকে না জানিয়ে কেন বিয়ে ঠিক করলেন?একবারও ভাবলেন না বিয়েটা নাও করতে পারি।
দিগ্বিজয়ঃ বর্ষণ বিয়েটা করে নাও প্লিজ।আমি তোমার থেকে জীবনেও কিছু চাই নি।আজ চাইছি বিয়েটা করে নাও।(করুণ সুরে)
বর্ষণ নির্বিকার চিত্ত।
দিগ্বিজয়ঃ তোমার মায়ের দিব্যি বিয়েটা করে নাও।
বর্ষণঃ মি. সেননননননন আপনি আমার মৃত মাকে এখানে কেন টেনে আনছেন?
দিগ্বিজয়ঃ নিশ্চয়ই কারণ আছে।এবার তুমি ভেবে দেখ কি করবে?

কিছুক্ষণ পর বর্ষণ আলোচনা স্থানে ফিরে এলো।বর্ষণকে দেখে সবাই আগ্রহী দৃষ্টিতে বর্ষণের দিকে তাকাল।
বর্ষণঃ আমি এই বিয়েতে রাজি।
বর্ষণের কথা শুনে মেঘলা,বৃষ্টি আর নীলা হতাশ হলো।আর বর্ষা যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছে না।করুণ দৃষ্টিতে বর্ষণের দিকে তাকাল।বর্ষণ মাথা নত করে ফেলে।
শ্রাবণও বলেছে ও বিয়েতে রাজি।শ্রাবণের মা-বাবা ওকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে বিয়েতে রাজি করিছেন।বৃষ্টি শুধু অভিমানী দৃষ্টিতে শ্রাবণের দিকে তাকাল।দেখতে পারল শ্রাবণের চোখেও অশ্রুকণা চিকচিক করছে।
এমএসঃ বাহ শশুরজি কি সারপ্রাইজটা না দিলেন।
দিগ্বিজয়বাবু রাগী চোখে এমএসের দিকে তাকালেন।ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে এমএসঃ বিয়ে যদি হয় তবে চারটা হবে দুটো না।
সবাইঃ মানে??
এমএসঃ সিম্পল আমি আর আমার বউ কি দোষ করলাম।আমরাও বিয়ে করব আবার সবাইকে সাক্ষী রেখে।কি বউ রাজী তো??
মেঘলা চোখ গরম করে এমএসের দিকে তাকাল।মনে মনেঃ এখানে আমি মরছি টেনশনে আর এই অসভ্য লোকটা আবার বিয়ের কথা বলছে?নিজের বিয়ের কথা এভাবে কেউ বলে?
দিগ্বিজয়ঃ কেন?তোমরা তো..
এমএসঃ আরে শশুড়জি আপনার ভালোর জন্যই বলছি।
দিগ্বিজয় বাবু ভ্রু কোচকালেন।
এমএসঃ আমার আর আপনার মেয়ের বিয়ের কথাটা তো কেউ জানে না এখন যদি সবাইকে সাক্ষী রেখে বিয়েটা হয় তবে আপনার সো কল্ড মান সম্মান বাঁচবে।নইলে তো সবাই প্রশ্ন করবেই মেঘলার বিয়ে কবে হলো।
দিগ্বিজয়ঃ এটা করলে মন্দ হয় না কিন্তু কার্ড..
এমএসঃ ও সব আমি সামলে নেব।
নাইয়াঃ চারটা বিয়ে কেন বললে বাপু।
এমএসঃ আমাদের বিয়ের সাথে সাথে আকাশ আর নীলারও আবার বিয়ে হবে।আগেরটা তো.. নাই বললাম(দুঃখী ভাব নিয়ে)
আকাশঃ অসম্ভব..আমি নীলাকে বিয়ে করব না।আপনার বিয়ের সাধ জেগেছে আপনি করুন।আমাকে মাখখানে টানবেন না।
মেঘলাঃ নীলাকে বিয়ে করবে না মানে??নীলাকে তো অলরেডি বিয়ে করেই ফেলেছ।
আকাশঃ হ্যাঁ একবার হয়েছে আর দরকার নেই(মেঘপাখি তুই তো সত্যিটা জানিসই না।আমি নীলাকে বিয়ে করি নি।আমি শুধু তোকে ভালোবাসি।তোর জায়গা অন্য কাউকে কি করে দেব?আমি তো বাধ্য হয়ে এই মিথ্যা নাটকটা চালিয়ে যাচ্ছি।)
মেঘলাঃ দরকার আছে।আগের বার আমরা কেউই তোমাদের বিয়েটা দেখি নি।এখন সবার সামনে করতে হবে।দ্যাটস ফাইনাল।
বলে মেঘলা চলে গেল।
(চলবে)